জ্বলদর্চি

হাজার বছরের বাংলা গান - ১৫

হাজার বছরের বাংলা গান।। পর্ব-১৫

তু ল সী দা স   মা ই তি

রামমোহন রায় ও দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান:
ব্রহ্মসংগীতের সূচনা 


"প্রাচীন গীতিকারেরা তিরোহিত হযেছিলেন এবং তাদের স্থলে যে সব অনুকরণকারী দেখা দিয়েছিল তারা সংগীতকে এমন স্তরে নামিয়ে এনেছিল যা কেবল বাবু ও ধনী সম্প্রদায়ের  মনোরঞ্জনের জন্যই নিয়োজিত হত।….এই  পরিস্থিতিকে অনেক পরিমাণে সুস্থ ও স্বাভাবিক করবার চেষ্টা দেখা দিল ব্রহ্মসংগীতের মাধ্যমে।… রামমোহন যে সংগীত রচনা করেছিলেন সাহিত্যের দিক থেকে তার সার্থকতা বেশি নয়,কিন্তু সমাজে তিনি একটি বিশেষ সংগীত চিন্তা আনতে পেরেছিলেন এটি তাঁর বিশেষ কৃতিত্ব।"- একালের অন্যতম সংগীত গবেষক রাজ্যেশ্বর মিত্র রামমোহনের সংগীত প্রসঙ্গে এই কথাগুলি বলেছেন। এই কথার সূত্র ধরেই রামমোহনের সংগীত ভাবনা ও তাঁর রচিত ব্রহ্মসংগীতের আলোচনায় প্রবেশ করতে পারি। প্রকৃতপ্রস্তাবে রামমোহন রায়ের সংগীতদর্শন বাংলা গানের ইতিহাসে একটা নতুন বাঁক। এক নতুন পরিশীলিত স্রোত। যে স্রোতে বাংলা গানের এক অপূর্ব যুগের প্রকাশ। শত শত সংগীত স্রষ্টার পূর্বসূরী তিনি। এই প্রত্যয়ের তিনিই সূচনা, রবীন্দ্রনাথে তার পূর্ণতা।

রামমোহনের যুগে বাংলার জমিদার বাড়িগুলিতে সংগীতের জমজমাট চর্চা হতো ইতিহাস থেকে তা জানতে পারি। রাজা জমিদারদের অনেকেই নিজেরাও সংগীতে  পারদর্শী ছিলেন। বিষ্ণুপুর ছাড়াও কলকাতার নামকরা কিছু জমিদারবাড়ি সহ কৃষ্ণনগর, নবদ্বীপ, শান্তিপুর, হেতমপুর, বর্ধমান, পঞ্চকোট, পাতকুম, চন্দ্রকোনা, নাড়াজোল,  মহিষাদল, পঁচেটগড় প্রভৃতি বড়ো বাড়ির উঠোনে রাজা, জমিদার,দেওয়ান, সবার রচিত ও গাওয়া গান  আসর জমিয়ে তুলতো।  পূর্ববঙ্গ, উত্তরবঙ্গ, এমনকি ত্রিপুরা রাজবাড়িতেও অনেক মহারাজ গান রচনা করতেন । গাইতেনও। এই প্রবাহেই হুগলির রাধানগনের জমিদার বাড়ির সন্তান রামমোহন রায়ও সংগীত রচনা করেছেন। কিন্তু তাঁর সংগীতভাবনা ও পরিকল্পনা অন্যদের থেকে একটা ভিন্নতর জায়গায় স্থান পেয়ে তাঁকে একটা স্বতন্ত্র মহিমা দিয়েছে। যা বাংলা গানের ইতিহাসে ও বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ যোজনা। বলাবাহুল্য, তাঁর সংগীতভাবনাতেই ব্রহ্মসংগীতের সূচনা,ব্রাহ্মসমাজের গান ও ঠাকুরবাড়ির সংগীতচর্চার আরম্ভ।
 

রামমোহনের সংগীতের স্বাতন্ত্র্য তাঁর দর্শনে, তাঁর শিক্ষায়, ও কর্মপরিকল্পনার গভীরে নিহিত। নতুন ভারতবর্ষ নির্মাণের যে প্রত্যয় তাঁর  হাত ধরে বাংলা তথা ভারতে সূচিত হয়েছিল তাঁর সংগীত এই আয়োজনের এক বিশেষ একক বলা যেতে পারে। ধর্মসংস্কার ও সমাজসংস্কারের অনুষঙ্গে সুস্থ সংস্কৃতিবোধও একটা পরিশীলিত আবহের অনুসারী। রামমোহনের জীবন ও তাঁর কর্ম নিয়ে এ যাবৎ বিস্তর আলোচনা হয়েছে।  তাঁর শাস্ত্র শিক্ষা,ভাষা শিক্ষা ও সকল ধর্মের মূলকথাকে বোঝা- এসব সূত্রেই তিনি আধুনিক প্রয়োজনীয় ভাবনা কে প্রকাশ করেছেন। 
১৮২৮ সালের ২০ আগস্ট (৬ ভাদ্র) 'ব্রহ্মসভা' প্রতিষ্ঠা ,ও  ১৮৩৩  সালের  ২৩ জানুয়ারি তার 'ব্রাহ্মসমাজ'এ রূপান্তর রামমোহনের এক  তরঙ্গ তোলার মতো কাজ ছিল। তাঁর এই প্রয়াস পর্বে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছিলেন বন্ধু দ্বারকানাথ ঠাকুর, কালীনাথ মুন্সি, প্রসন্নকুমার ঠাকুর প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। শেষের দিকে তরুণ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকা ছিল।  এই সূত্রেই রামমোহন রায় এর সাথে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির যোগ। রামমোহন রায় এর নতুন দর্শনের সংগীত রচনা। ঠাকুরবাড়ির সাথে এই গানের নিবিড় যোগ তৈরি হলো। ব্রাহ্ম ধর্মের অনুভবের প্রসারের ক্ষেত্রে সংগীতের ভূমিকা গুরুত্ব পেলো। 'ব্রহ্মসভা' ও ' ব্রাহ্মসমাজ'-এই দুই এর প্রতিষ্ঠা দিবস স্মরণে যথাক্রমে 'ভদ্রোৎসব' ও ' মাঘোৎসব' ঠাকুরবাড়ির সংস্কৃতি ও সংগীত চর্চা ও প্রকাশের অন্যতম অনুষ্ঠান হয়ে উঠছিল।

'ব্রাহ্মসমাজের' প্রার্থনা ও উপাসনার আবশ্যকতা উপলব্ধি করেই রামমোহন সংগীত রচনা করেছিলেন। কিন্তু এই গান ধর্মীয় গন্ডি ছড়িয়ে একটা শান্ত, সমাহিত গম্ভীর  গানের পরিবেশে সমাজে একটা 'পরিশীলিত ও পরিমার্জিত  শৃঙ্খলাবোধ ও ভাবনার প্রকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়েছিল। কালী মীর্জার কাছে রাগসঙ্গীত শিখেছিলেন রামমোহন।  তিনি পাথুরিয়াঘাটের জমিদার দর্পনারায়ণের পৌত্র গোপীমোহন ও গোপীমোহন ঠাকুরের পুত্র প্রসন্নকুমার ঠাকুর, সংগীতশিল্পী রাহিম খাঁ  সহ সমসময়ের বহু সংগীতশিল্পী ও সংগীতগুণীদের  সহযোগে যে সংগীত পরিমণ্ডল গড়ে তুলেছিলেন সেই পরিসরে উপাসনা সংগীতের মন্ডল প্রস্তুত হয়ে গেল । এই সাধনসংগীতের গভীরে ছিল প্রাচীন ভারতীয় আধ্যাত্মিক বোধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ  জীবনের প্রতি গভীর আস্থা।

আগেই বলেছি বাংলাগান  অনুকরণপ্রিয়তা ও চটুল রসে যখন গভীরভাবে আক্রান্ত তখনই বাংলাগানে একটা প্রাণ দিলেন রামমোহন। রুচি ,সংস্কার,ও মানবপ্রেম সামনে রেখেই তিন 'বেদ,উপনিষদের ভাবাশ্রিত গভীর, জ্ঞানময় ও উদার আবেগের গান রচনায় প্রবৃত্ত হয়েছিলেন।' জীবনের শেষ কিছু বছর তিনি বহু গান রচনা করেন। বলা যায় সমাজ সংস্কারের সাথে সাথে সংগীতেরও সংস্কার করেন। রামমোহনের সাথে তাঁর অনেক সঙ্গীই  ব্রহ্মসঙ্গীত রচনায় অংশ নিলেন। তাঁদের মধ্যে নীলরত্ন হালদার,কৃষ্ণমোহন মজুমদার ,নীলমণি ঘোষ, ভৈরবচন্দ্র দত্ত, গৌরমোহন সরকার, কালীনাথ রায়,  প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ ছিলেন রামমোহন-এর খুব ঘনিষ্ঠ। এইসব গান ব্রাহ্মসমাজ ছাড়িয়ে  জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এবং দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৃতীয় পুরুষ পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে ঠাকুরবাড়িতে এগুলো গীত হয়েছে। ব্রহ্ম-উপাসনার সাধনসংগীত তিনি যার নাম দিয়েছিযেন 'ব্রহ্মসগীত ' ব্রাহ্মসমাজে তথা বাংলার সংগীতিক পরিমণ্ডলে  সেগুলি রাগসংগীত চর্চার অন্যতম প্রেরণা হয়ে উঠেছিল গবেষকগণ তা বলে থাকেন। 

রামমোহন রচিত ব্রহ্মসংগীতগুলি বিভিন্ন গ্রন্থে সংকলিত হয়ে আছে। কিছু জনপ্রিয় গান আজ গাওয়া হয়। 'আদি ব্রাহ্মসমাজ' কর্তৃক প্রকাশিত সংকলন গ্রন্থে তার ১০৭ টি গান সংকলিত হয়েছে। তাছাড়া নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মহাত্মা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত',দুর্গদাস লাহিড়ী সম্পাদিত 'বাঙালির গান', নবকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের 'ভারতীয় সঙ্গীত মুক্তাবলী' ও 'সঙ্গীতসংগ্রহ ' আনন্দচন্দ্র বেদন্তবাগীশ ও রাজনারায়ণ বসু সম্পাদিত 'রামমোহন গ্রন্থাবলী' প্রভৃতি সংকলনে রামমোহনের বহু গান রয়েছে। তাঁর 'সঙ্গের সঙ্গীরে মন,কোথা করো অন্বেষণ', 'একদিন যদি হবে অবশ্য মরণ', 'কি স্বদেশে কি বিদেশে',' অজ্ঞানে জ্ঞান হারাইয়ে করো একি অনুষ্ঠান'  প্রভৃতি বহু গান সমাজে বেশ প্রিয়তা লাভ করেছিল। এই সব গানে নির্দিষ্ট রাগ ও তালের উল্লেখ আছে। রামমোহনের সংগীত শুধু যে আধ্যাত্মিক ভাব জাগিয়ে ছিল নয়।তার অনেক গান স্বদেশ ভাবনা ও স্বদেশ প্রেম জাগাতেও পেরেছিল বলে মনে করা হয়। 

রামমোহনের থেকে অনেক ছোটো ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। দ্বারকানাথ ঠাকুরের সূত্র ধরেই রামমোহনের সাথে ঠাকুরবাড়ির সংযোগ। বাংলার নবজাগরণ  পর্বে রামমোহনের প্রধান সঙ্গী ছিলেন দ্বারকানাথ।  দেবেন্দ্রনাথ রামমোহন প্রবর্তিত স্কুলে পড়তেন। পরে তিনি ব্রাহ্মধর্মে অনুরক্ত হন। রামমোহনের মননশীল আদর্শকে পরে তিনিই 'ব্রাহ্মধর্মে' রূপ দেন এবং পরে ব্রাহ্ম ধর্মের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হয়ে ওঠেন। ঠাকুর বাড়ির নিবিড় সংগীতচর্চা শুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে এবং তা অবশ্যই ব্রাহ্মধর্মের আবহে। ব্রাহ্মসমাজের অনুষঙ্গটিকে মানববোধ ও  মঙ্গলবোধে  উত্তীর্ণ করার প্রয়াসে বিভিন্নপ্রকার  যে উৎসব শুরু হলো তাঁর  মধ্যে ভাদ্রোৎসব ও মাঘোৎসব অন্যতম। এই দুই উৎসব ঘিরে নানা আয়োজন। সংগীতায়োজন তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই অনুষ্ঠানের মধ্যে মাঘোৎসব বেশি জনপ্রিয় ছিল। তার জন্য ঠাকুরবাড়িতে সংগীতের বড়ো সমারোহ। ঠাকুর বাড়ির সব সদস্য ছাড়া বহু ব্রাহ্মভক্ত জন নতুন নতুন সংগীতের ডালি নিয়ে উপস্থিত হতেন।
দেবেন্দ্রনাথ সহ তাঁর প্রতিভাবান পুত্রগণ ও পরিবারের অন্যান্য জন সংগীত রচনা করতেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এই উৎসবে নারী পুরুষ নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করতেন। মেয়েদের সংগীতচর্চার রেওয়াজ ঠাকুর বাড়ির এই সংগীত অবহকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল।  দেবন্দ্রঠাকুর ঠাকুর সে সব সংগীত রচনা করেছিলেন তা ছিল গভীর অধ্যাত্ম ভাবনার স্রোত। তাঁর উত্তরসূরীগণ যে গান রচনা করেন তা ছিল অনেক বেশি উদার ও প্রাঞ্জল। পরের পর্বগুলিতে এই বিষয়টির বিশদ আলোচনা করা যাবে।
এ কথা সত্য যে,  দেবেন্দ্রনাথ  ঠাকুরের পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টাতেই জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবার কলকাতা তথা বাংলার সংগীতচর্চার অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। বিভিন্ন গুণী শিল্পী আমন্ত্রিত হয়ে ঠাকুরবাড়িতে জড়ো হয়ে সংগীতসৃষ্টির এক বিপুল আয়োজন করেন। বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট, শ্রীকণ্ঠ সিংহ,  চন্দ্রকোনার  রমাপতি বন্দ্যোপাধ্যায়,শান্তিপুরের রাজচন্দ্র রায় প্রমুখ ওস্তাদ সংগীত শিক্ষার নিখুঁত আয়োজন করেন। তাঁদের অনেকেই ব্রাহ্মসমাজেরও সভাগায়ক ছিলেন।
দেবেন্দ্রনাথ রচিত সমস্ত গানের স্বরলিপি  পাওয়া যায় না।  সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ, রমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যাযের ব্রহ্মসংগীত স্বরলিপি, কাঙালীচরণ  সেন ও প্রফুল্ল কুমার দাস এর ব্রহ্মসংগীত স্বরলিপি প্রভৃতি সংকলন গ্রন্থে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানগুলি পাওয়া যায়। তবে তিনি শুধু গীতিকারই ছিলেন  বলে মনে করা হয়। বিষ্ণু চক্রবর্তী সহ অনেকেই তাঁর গানের সুর করেছিলেন।
দেবেন্দ্রনাথের,' ছাড়ো মোহ ,ছাড়ো রে কুমন্ত্রণা',ভাব তাঁরে, অন্তরে যে বিরাজে' যোগী জাগে, ভোগী, রোগী কোথায় জাগো!' প্রভৃতি গানগুলি বাংলা গানের ইতিহাসে সম্পদ হয়ে থাকবে। কণ্ঠসংগীত ছাড়াও তিনি পিয়ানো ভালোবাসতেন খুব। সৌদামিনী দেবী তার 'পিতৃস্মৃতি'-তে লিখেছেন-"সংগীত বিশেষ রূপে ভালো না হইলে তিনি শুনিতে ভালোবাসিতেন না। প্রতিভার পিয়ানো বাজানো ও রবির গান শুনিতে তিনি ভালোবাসিতেন। বলিতেন রবি আমাদের বাংলাদেশের বুলবুল।"
 
রামমোহন রায়ের দর্শনের আদর্শে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর  সংগীত রচনা করলেও তিনি অনেক ক্ষেত্রেই হৃদয়ের অকুলতায় রামমোহনকে ছড়িয়ে গেছেন। সমকালীন এই সংগীত আবহই তো পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগীত সৃষ্টির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অনুপ্রেরণা। এই কথাটাই বাংলাগানের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ  প্রসঙ্গ।

(চলবে)

Post a Comment

2 Comments

  1. প্রায় সব পর্বই পড়ার চেষ্টা করি ।ভাল লেখা হচ্ছে ।ইতিহাসের ধারাবাহিকতা মেনেই লেখা ।

    ReplyDelete
  2. অসাধারণ মননশীল একটা লেখা পড়লাম, কেবল পড়লাম না অনুধাবন করলাম । এমন পরিশ্রম সাধ‍্য , তথ‍্যবহুল লেখা পরবর্তী অনেক ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করবে বলেই মনে করি‌।
    এ লেখা এক অজানা রামমোহন কে চেনালেন , তাঁর সংগীত সাধনার ক্ষেত্র কে আলোক দান করালেন। লেখক কে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই । তাঁর কলম এগিয়ে চলুক অজানার পথে । সঙে রয়েছি ।

    ReplyDelete