জ্বলদর্চি

অন্যধারার শর্টফ্লিম -১/ নিসর্গ নির্যাস

Another type of short film
অন্যধারার শর্টফিল্ম -

নি স র্গ  নি র্যা স

ভূমিকাপর্ব

শর্টফিল্ম বা মিউজিক ভিডিও, কেমন ভাবে হয়? কী থাকা উচিত, কারা কাজ করছেন এখন? এখানেও কি সিণ্ডিকেট? কেমন এগোচ্ছে কাজ? জোট বাঁধতে হবে? কুৎসা বা নেপোটিজম হয়? কিংবা দম্ভ? আবার চায়ের ঠেকে নিখাদ আড্ডা থেকে শুরু করে আস্ত একটা প্রোজেক্ট, উঠে আসবে সমস্ত বিষয়। এই ধারাবাহিকের লক্ষ্য যে তাই-ই!

ফিল্ম: কয়েক লাখি কমার্শিয়াল-এর মাঝেও কেউ কেউ খুঁজে নেয় সমঝদার বৃত্ত।

ফিল্ম কেন? অবশ্যই দর্শকদের জন্য। তারও আগে নিজের জন্য। চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু একাধিক হতে পারে, ইনফ্যাক্ট হয়। তবু দর্শক খুঁজে নেওয়ার দায় পরিচালকের। 

প্রেম-বিরহ-ঢিনচ্যাক পাবলিক খায়। দর্শক হয় কয়েক হাজার থেকে কয়েক লাখ-কোটি। পরিচালক ও টিমের দায়বদ্ধতা থাকা উচিত ফিল্মের বিষয়বস্তুতে। বিপুল দর্শক মানেই আহামরি ফিল্ম। নয়। মিউজিক ভিডিওর ক্ষেত্রেও কথাটা এক।

শর্ট ফিল্ম বা মিউজিক ভিডিও এখন জায়গায় জায়গায় তৈরি হয়। মনের ফিল্ম দুনিয়া এখন ঘরে ঘরে। আমাদের মনে রাখা উচিত এইসব শর্ট ফিল্ম আসলে লিটিল ম্যাগাজিন এর মতোই। ঠিক যেন আন্দোলন। 

কয়েক লাখি দর্শক নয় বরং আমাদের খুঁজে নিতে হবে সমঝদার দর্শক বৃত্ত। যারা শুধু নিছক এন্টারটেইনমেন্ট খুঁজবে না। বিনোদন এর মাঝেই খুঁজতে চাইবে বার্তা। পরিচালক-কলাকুশলী-দর্শক শুধু গ্যাদগ্যাদে প্রেম নয়, খুঁজে নিতে চাইবে বর্তমান পরিস্থিতি, ইতিহাস, সময়ের দাবি। কয়েকশো থেকে কয়েক হাজার হলেও ক্ষতি নেই। আসলে শিল্পের উচিত সময়ের কথা বলা। শিল্প তাই যাতে পাঞ্চ থাকবে। আবেগ, গ্রামার- এর ঠিকঠাক শরবত।
আসলে সময়ের কথা কিন্তু এই শর্ট ফিল্ম, মিউজিক ভিডিও'ই বলবে। অবশ্যই তা সময়ের দলিল হলে। সাধারণ বিষয় হয়ে উঠতে পারে অসাধারণ প্লট। শুধু প্রেম তো সবাই করে। বিরহ হয় সবারই। তাহলে এইসব বিষয় লোকে মনে রাখবে কেন? প্রেমে পড়লে আর ভাঙলে দেখবে। নতুন শর্ট ফিল্ম বেরোলে দেখবে। কিন্তু মনে রাখবে কেন? এই বার্তা দেওয়ার প্রয়াসটাই হারিয়ে যাচ্ছে। পরিচিত মুখ নিয়ে কাজ করে সো-কল্ড 'কোয়ালিটি' জাহির করার চেষ্টা করা হয়। পরিচিত মুখে দর্শক টানা হয় ওই একবার, দর্শকের মনে তা সময়ের দলিল হয়ে থেকে যায় না। নতুন মুখ খুঁজে এক্সপেরিমেন্ট করাটাই 'ট্যালেন্ট' আর 'ট্যালেন্ট' খোঁজা।

আসলে ফিল্ম বা মিউজিক ভিডিও কবিতার মতো। প্রেম-বিরহ-প্রকৃতি বিষয় হতে পারে কিন্তু একমাত্র বিষয় নয়। তাতে সমাজ থাকবে, শিক্ষা থাকবে, দাবি থাকবে, প্রতিবাদ থাকবে।

 পরিচালকের যেমন উচিত দর্শককে পুষ্টিকর জিনিস খাওয়ানোর চেষ্টা করা।সব সময় মুখরোচক নয়, তেমনই দর্শকের উচিত ফুড ভ্যালু খুঁজে নেওয়া, জাঙ্ক নয়
-----------------------------------------------------------------
প্রতি মঙ্গলবার। প্রকাশ পাবে এই ধারাবাহিক। আপনারা অভিমত জানাতে পারেন। 
jaladarchi@yahoo.in

Post a Comment

0 Comments