জ্বলদর্চি

শুভদৃষ্টি /সুমনদীপ পাণ্ডে

ফোটোগ্রাফি - সৈয়দ স্নেহাংশু 


শুভদৃষ্টি

সুমনদীপ পাণ্ডে

গত কয়েক মাসের মধ্যে আমার বেশ কয়েকজন বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেল। ভাদ্র আর পৌষ মাস বাদ দিলে সারা বছরই এই বাংলায় হাজার-হাজার মেয়ের বিয়ে হয়। সারা পৃথিবীতে এই সংখ্যাটা অন্তত কোটি কোটি। তবে পরিচিত অপরিচিত যেকোনো মেয়ের বিয়ের খবরেই আমি গভীর দুঃখ পাই। কেন এমন হয় জানি না, কিন্তু হয়। মনের এই ছেলেমানুষির কোনও ব্যাখ্যা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতন বড় কবিও খুঁজে পাননি। আমি তো কোন ছার।

যাইহোক, যে কয়েকজন বান্ধবীর বিয়ে হল তাদের মধ্যে দুজন ছিল আমার ছোটোবেলাকার খেলার সাথী, আর একজন ছাত্রী। ছাত্রীকে বান্ধবী বললাম এই কারণেই যে ছাত্রী হলেও আমাদের বয়স প্রায় এক। দৈবদুর্বিপাকে পড়ে ও কিছুদিন আমার কাছে কাজ শিখেছিল। সেই সূত্রে ছাত্রী।

তা তিন জনেই আমাকে তাদের বিয়েতে ডেকেছিল। কিন্তু, দুজন বাল্য সখীর বিয়েতে দুর্ভাগ্যবশত কাজে আটকে পড়ার জন্য যেতে পারিনি। আর এক বান্ধবী ওরফে ছাত্রীর বিয়েতে আমি ইচ্ছাকৃত যায়নি। কেন যায়নি তার কারণ অনেকদিন আগেই কবি জীবনানন্দ দাশ লিখে গেছেন "কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে ! "

ছাত্রীটির নাম বলব না। সদ্য বিয়ে হয়েছে, সমস্যা হতে পারে। তবে কাজ চালাবার জন্য একটা নামতো দিতেই হবে। ধরা যাক মেয়েটির নাম সুকু। এই এই সুকুর সাথেই আমার আলাপ চাকরি করতে গিয়ে। বছর খানেক আগে একটি ইন্সটিটিউটে তিন মাসের কন্ট্রাক্ট বেসিসে কম্পপিউটার শেখাবার একটি কাজ পেয়েছিলাম দুজন ছাত্রীকে। এর মধ্যে একজন আমার চেয়ে বয়সে বেশ বড়। আর একজনের কথাতো আগেই বলেছি। সুকুর সাথে যেদিন আমার প্রথম আলাপ হয়, সেই দিনটার কথা এখনও মনে আছে।

প্রথম দিন কাজে গেছি। ফাঁকা ক্লাসরুমে একা বসে আছি। কেউ তখনও আসেনি। এমন সময় দরজা ঠেলে এক ঝলক টাটকা বাতাসের মতন ঘরে ঢুকল একটি মেয়ে। টলটলে দুটি চোখ, চেরি ফলের মতন ঠোঁট, গাল বেয়ে মুখের উপরে এসে পড়েছে চূর্ণ চুল আর উর্বশী চাঁপার মতন গায়ের রঙ। ফুলের শ্রেষ্ঠ চাঁপা আর চাঁপার শ্রেষ্ঠ উর্বশী চাঁপা। যদিও আমি চাঁপা ফুল দেখে থাকলেও কোনও দিন উর্বশী চাঁপা দেখিনি। এই ফুলটার কথা আমি শুধু নীললোহিতের লেখায় পড়েছি। পড়াও অনেকটা দেখার মতোই। চোখে না দেখলেও তাই মনে মনে একটি ছবি এঁকেছিলাম । 'উর্বশীর মতোই এর গায়ের রঙ, উর্বশীর বাঁ হাতের মাঝখানের আঙুলের মত এর গড়ন'।

কেন জানিনা প্রথম দিন সুকুকে দেখেই আমার বইয়ে পড়া এই বর্ণনাটার কথা মনে পড়ে গেল। মনে হল এই মেয়েটি যেন আমার না দেখা সেই উর্বশী চাঁপারই মানবী রূপ। একথা মনে হতেই বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠল। আমার বুক কাঁপানো মুখের কথা নয়। এর আগে শুধু একটি মেয়েই আমার বুক কাঁপিয়েছিল। সে অনেকদিন আগের কথা, তখন আমি ক্লাস এইটে পড়ি। পুজোর অষ্টমীতে এক নাচের স্কুলের কয়েকটি মেয়ে পাড়ায় অনুষ্ঠান করতে এসেছিল। সেই মেয়েদের দলের মধ্যেই বাসন্তী রঙের শাড়ি আর কপালে কুমকুমের টিপ পরা বছর তের-চোদ্দের একটি মেয়ের নাচ দেখে আমার বুকের ভেতরটা ঠিক এরকম ভাবে কেঁপে উঠেছিল। যদিও সেই মেয়েটি আমাকে কোনদিনই ধর্তব্যের মধ্যেও আনেনি।
যাইহোক, এতদিন পরে আবার সেরকম বুক কাঁপতে দেখে কিশোরবেলার সেই মেয়েটির মুখটা মনে পড়ে গেলো। তবে সুকু যখন আমার বুক কাঁপাল তখনই জানি এ'মেয়ে সাধারণ নয়, আবার কথায় বলে 'উর্বশী চাঁপা সর্বনাশী'!

এরপর সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিলো। ছাত্রী হিসাবে ও খুব একটা আহামরি কিছু ছিল না। কোনও একটা জিনিসকে দশবার বোঝানোর পরও যখন এগারো বারে মুখের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকতো তখন রাগের চেয়ে  হাসি পেত বেশি। প্রথম প্রথম ওকে আমার মনের কথা বুঝতে দিইনি। তখন ভয় হত যদি ও রাগ করে ! দৈবাৎ কখনো ওর হাতের সাথে আমার হাতের আচমকা একটু ছোঁয়াছুঁয়ি হয়ে যেত। ব্যাস,এই পর্যন্ত। এর বেশি আর কিছু নয়। এক সেকেন্ডের হাজার ভাগের এক ভাগ সময়ের সেই স্পর্শের চেয়ে বেশি কিছু চাইতে সাহস হয়নি। তবে মনে মনে আমি অনেকবার কল্পনা করেছি, নম্র গোধূলিতে কোনও এক রাজ প্রাসাদের বারান্দায় ওর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে প্রেম ভিক্ষা চাইছি। শেষ বিকেলের সেই লাজুক রোদ এসে পড়েছে ওর মুখের ওপর আর টলটলে দুটি চোখে আমার দিকে চেয়ে ও মিটিমিটি হাসছে।
তবে সব সময় আমি এরকম থাকিনা। কখনো  কখনো ঠিক মানুষের মতন হয়ে উঠি। তখন আমার চেয়ে চেয়ে শুধু সমুদ্র দেখার থেকে সমুদ্রে স্নান করতেই বেশি ভালো লাগে ! মতিছন্ন আর কাকে বলে ।
এরকমই মানুষের মতন একদিন বৃষ্টি না-হওয়া মেঘের কোমল ছায়া পড়া বিকেল বেলায় হোয়াটসঅ্যাপে বড় আশা করে, বহু যত্নে বিভিন্ন কবিদের কাছ থেকে ধার করা কবিতার লাইন সঙ্কলিত একটি প্রেমপত্র লিখে সেন্ট করলাম। তারপর মেসেজ ডেলিভার হওয়া থেকে সিন করা পর্যন্ত সময়টাকে মনে হল কয়েকশো যুগ যেন পেরিয়ে গেছে। অবশেষে ভয়েস কলে রিপ্লাই এলো। ফোনটা ধরতেই বৃষ্টি পড়ার শব্দের মতন মহা সমুদ্রের ওপার থেকে কানে এলো, সেই প্রত্যাখ্যান বার্তা, আমরা কি শুধুই বন্ধু হতে পারিনা? সেদিনই বুঝলাম একতরফা, দেহাতীত প্রেম নিয়ে কাব্যি করা যতটা সহজ, মেনে নেওয়া ততটা নয়। কোনোক্রমে নিজেকে সামলে নিয়ে অনুতপ্ত গলায় বললাম, না-না আমারা নিশ্চয় বন্ধু হতে পারি। আমি আর কিছু চাই না, ও বলল, আমি শুধু তোমার বন্ধু হতে চেয়েছিলাম, বিশ্বাস করো এই কয়মাস তোমার কাছে ক্লাস করে অনেক কিছু শিখেছি। তোমার গলায় রবি ঠাকুর আর সুনীলের কবিতা শুনতে খুব ভালো লাগে। আমাকে কবিতা শোনাবে তো ? 

-নিশ্চয়ই,
-এর বদলে আমি কিন্তু কিছু দিতে পারব না
-আমার কিছু চাইনা
-কথা দাও
-দিলাম
-তুমি কিছু মনে করলে না তো ? আমি কি তোমাকে খুব কষ্ট দিলাম ?
পরিস্থিতি এখন অনেকটাই সামলে নিয়েছি তাই স্বাভাবিক গলাতেই বললাম, 
একেবারেই না।
-সত্যি ?
-সত্যি 
-রাখি তাহলে ? কাল ক্লাসে দেখা হবে
-আচ্ছা।
ও ফোন কেটে দিল। মুখে যতই বীরত্ব দেখাই কিন্তু মনে মনে তো জানি কতটা রাগ আর দুঃখ হচ্ছে। একবার ইচ্ছে হল কাজটা ছেড়েদি। কাল থেকে আর যাব না। তারপর ভাবলাম, আমি এতটা স্বার্থপর, নিজের রাগের জন্য ওদের কে বিপদে ফেলব, ওদের কি দোষ। যাই হোক পরের দিন আবার ক্লাসে গেলাম। তবে বেশ বুঝতে পারছিলাম আগের মত মনের ভেতরে সেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবটা আর নেই । তার যায়গায় বড় যন্ত্রের মতন ওদের ক্লাস নিচ্ছি। যদিও এটা ওদেরকে বুঝতে দিইনি।

দেখতে দেখতে মাস ঘুরলো, নটে গাছটি মুড়ল আর আমার কন্ট্রাক্টও ফুরল। এরপর অনেক দিন ওদের কারোর সাথেই আর দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। তবে মাঝেসাজে ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপে টুকটাক কথাবার্তা হয়েছিলো। তবে তা খুবই সামান্য। এক সময় সেটুকুও বন্ধ হয়ে গেল।

হঠাৎ করে একমাস আগে সুকুর সাথে রাস্তায় দেখা। অনেক খানি বদলে গেছে। সাধারণত ওকে আমি চুড়িদার পরেই বেশি দেখেছি। শাড়িপরা অবস্থায় ওর ছবি ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়া কোথাও দেখিনি। তবে সেদিন ওকে শাড়ি পরা দেখে ভালো লাগলো। ওর শিশুর সারল্য মাখা মুখে নতুন অরুণ আভা ছড়িয়ে রয়েছে। রাস্তায় আর পাঁচটা মেয়ের থেকে খুব সহজেই ওকে আলাদা করে চেনা যায়। ও কোথাও একটা যাচ্ছিলো, আমাকে দেখতে পেয়ে দাঁড়ালো। আগিয়ে এসে বলল, কেমন আছো ? আমি বললাম, ভালো, তুমি ?
আমিও  ভালোই আছি। জানতো আমার বিয়ের ঠিক হয়ে গেছে। কথাটা বলার সময় লক্ষ্য করলাম ওর চেরি ফলের মত ঠোঁটটার এককোণে এক চিলতে হাসির একটা রেখা ফুটে উঠেই আবার মিলিয়ে গেলো।

আমি বললাম, এতো দারুন খবর। কবে বিয়ে ?
-এইতো পরের মাসে। তোমাকে কিন্তু আসতেই হবে। আমি আবার ফোন করে মনে করিয়ে দেব।
- অবশ্যই যাব। বর কি করে ?
- ইঞ্জিনিয়ার,
-বাঃ 
-আজ আসি অনেক কাজ এখন। পরে কথা হবে।
যেমন ঝড়ের গতিতে এসেছিলো তেমনই ঝড়ের গতিতে চলে গেল। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপারটা হল অন্য বারের মতন এবারে আমার আর ওকে দেখে বুক কাঁপল না । বরং এক অদ্ভুত তিক্ততায় সারা শরীর ভরে গেল। 

এই ঘটনার বেশ কিছুদিন পেরিয়ে গেছে। আমিও নানান রকম ব্যস্ততায় ওর কথা প্রায় ভুলেই গেছলাম। হঠাৎ একদিন সন্ধে বেলায় আমার ফোনে একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলো। ফোনটা ধরতেই ওপারে বৃষ্টি পড়ার শব্দের মতন একটা খুব পরিচিত গলা পেলাম, আমি সুকু বলছি, চিনতে পারছ ?
- তোমাকে ভোলার সাধ্যি আছে ? বল কি খবর ?
-এই চলছে। মনে আছে তো ? আমার পরের সপ্তাহে বিয়ে। তোমাকে অবশ্যই আসতে হবে।
-নিশ্চয়ই যাব
-রাখি তাহলে, মনে থাকে যেন ।
- থাকবে, থাকবে।
কিন্তু মনে তো ঠিক করেই রেখেছিলাম যে মরে গেলেও ওর বিয়েতে যাব না। কারন জীবনানন্দের সেই কথা। দেখতে দেখতে সুকুর বিয়ে বেশ ভালোভাবেই হয়ে গেলো। এবং আমিও যথারীতি যাইনি। ভাবলাম ঝামেলা মিটে গেছে।
কিন্তু আজ সুকুর কথা আবার মনে পড়ল। কেননা, একটু আগেই ফেসবুকে একটা নোটিফিকেশন এসেছিল "সুকু অ্যাডেড টু নিউ ফটোস উইথ ইউ"।
কি মনে হতে খুললাম ছবি দুটো। তাতে দেখি একটাতে সুকু আর তার বর মালা বদল করছে। আর একটাতে দুজনে পাশাপাশি দাড়িয়ে আছে। বুঝলাম একটা বিয়ের, অন্যটা বৌভাতের।

বৌভাতের ছবিটাই ভালো করে দেখছিলাম। ওর মাথার সিঁদুর বড় বেশি গাঢ়। অপটু হাতে সিঁদুর পরতে গিয়ে সারা মাথায় গুড়ো ছড়িয়ে ফেলেছে। সেই সঙ্গে ওর কাজল ঢেকে ফেলেছে সরলতায় ভরা চোখের সেই টলটলে ভাবটাকে। ওর এখন গা ভর্তি গয়না, নতুন শাড়ি, ব্লাউজ। পাশের নতুন মানুষটির দিকে চোরা চাহনি। ওকে পুরপুরি করে তুলেছে নতুন বৌ। আগের সুকু আর নেই। ও এখন শুধুই অন্যের !
এই শেষ কথা গুলো মনে হতেই মাথার ভেতরটা দপ করে জ্বলে উঠলো। আশ্চর্য ! বিয়ে করেছে ভালো কথা । কিন্তু ছবিগুলো আমার সাথে ট্যাগ করল কেন? এই স্বামী গর্ব করে কি প্রমাণ করতে চায় ও ? যে আমার মতন একটা এলেবেলে ছেলেকে প্রত্যাখ্যান করে ওর কীরকম সাত রাজার ধন এক  ইঞ্জিনিয়ার বর জুটে গেলো ! ও কি তবে হিংসেয় আমাকে কষ্ট দিতে চায় ? কিন্তু হায়রে কপাল এই পোড়া মনকে আর কত পোড়াবে ?
 
অপমানে, রাগে তখন আমার হাত পা কাঁপছে । কোনক্রমে পকেটে ফোনটা ঢুকিয়ে ছাদে গিয়ে দাঁড়ালাম। বাইরে সদ্য সন্ধে হয়েছে। রাস্তার সবকটা আলো তখনও জ্বলেনি। হঠাৎ একটা দমকা হওয়ায় আমার সারা শরীর  কেঁপে উঠলো । নিজেকে আর সামলাতে পারছিনা। দরদর করে জল পড়ছে চোখ দিয়ে। কান্নার চোটে চোখে সব ঝাপসা হয়ে আসছে । আমি ফোঁপাতে শুরু করেছি।

ইস্, এই সময় যদি নিচ থেকে কেউ ওপরে উঠে আসে, বা পাশের বাড়ির ছাদ থেকে কেও দেখে ফেলে কি ভাববে !  কিন্তু এই কান্না আটকানোর ক্ষমতা আর আমার নেই। কবে যে শেষ এমন কেঁদেছি জানিনা। ফোঁপানি এখন হেঁচকির পর্যায়ে চলে গেছে। দুহাতে মুখ ঢেকেও এই কান্না বন্ধ করা যায় না। নিজেকে এই মুহূর্তে বড় অসহায় লাগল। আমি বড় একলা হয়ে গেছি । এই অসহ্য একাকীত্বে শরীর যেন ছিঁড়ে যেতে চাইছে।
ফোটোগ্রাফি - সৈয়দ স্নেহাংশু 

এক সময় কান্নাটা আস্তে আস্তে কমে এলো। মনে হল আমার এই কান্না আসলে অপমানের বা অভিমানের নয়, খাঁটি দুঃখের। কারণ আজ থেকে ওকে আমি সত্যি কারের মুক্তি দিচ্ছি। পকেট থেকে ফোনটা বের করে স্ক্রিনে ফুটে ওঠা  ওদের সেই ছবি দুটোর দিকে তাকিয়ে বললাম- ওহে ইঞ্জিনিয়ার, ওকে কখনো কষ্ট দিও না। সব সময় ওর পাশে থেক, ওকে ভালো রেখ।
তারপর ফোনটা সরিয়ে রেখে আকাশের দিকে তাকালাম । তারাদের ভেতর থেকে ফুটে ওঠা ওর টলটলে দুটি চোখ যনে আমার দিকে চেয়ে মিটি মিটি হাসছে। আমিও হাঁটু গেড়ে বসে, সেই সরল দুটি চোখের দিকে তাকিয়ে আবার বলালাম- তোমরা সুখী হও, খুব সুখী হও।

চোখের সেই ঝাপসা ভাবটা একটু একটু করে কেটে গিয়ে সব সচ্ছ হয়ে উঠছে। এই দৃষ্টিতে আর কোনও রাগ নেই, দুঃখ নেই, কষ্ট, যন্ত্রণা কিচ্ছু নেই। এই দৃষ্টি, বড় শুভ।
---------------
আরও পড়ুন 

Post a Comment

0 Comments