জ্বলদর্চি

ঘোড়াডিহির অন্তর্ধান রহস্য -১২ /গৌতম বাড়ই

ঘোড়াডিহির অন্তর্ধান রহস্য

গৌ ত ম  বা ড় ই

শেষ পর্ব-১২

সালতার মোবাইল ফোনটি সুইচড অফ অবস্থায় জানলার কোণে পড়েছিলো।আমরা সালতাকে ফোনে পাব কি করে? নে চার্জে বসিয়ে দে।দেখি শেষ কলটি কাকে কখন করেছিলো?মেঘ ফোনটি আমার হাতে দিলো।


সন্ধে গড়িয়ে রাত নেমে আসছে ঘোড়াডিহিতে।রাত নেমে আসছে আমাদের মনে।প্রকৃতির মতন ভোল বদল হয় এ মানব শরীরের মননের অন্তস্থলে। ভেবেছিলাম একদম ক্যাজুয়ালি সালতা বাড়িতে শুয়ে বসে রয়েছে আমরা পুলিশ গেলেই জেনে যাবো এ খবর। কিন্তু ঐ রাতেই আবার কোথায় বেরিয়ে গেল? আমি ভাবতে ভাবতে চিল্লিয়ে উঠলাম-মেঘ সালতা সারপ্রাইজ দেবে।দেখ সকালেই এখানে এসে হাজির হবে।


মেঘ বললো-তুই ভুল করছিস।গতরাতে বেরিয়েছিল সুবলভিটা থেকে।আজ বাসে বা গাড়িতে যেভাবেই আসুক রাতের মধ্যেই পৌঁছে যেত ঘোড়াডিহিতে।এখন আর তা হবার নয়।তমালকে ফোন লাগিয়ে জিগ্গেস করতো-সালতা এনজেপি থেকে স্পেশাল কোন ট্রেনে বা শিলিগুড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠেছিল এরকম খোঁজ পাওয়া যাবে কিনা?

তমাল বলল- ভাই আমিও জানতাম ও হয়ত বাড়িতেই থাকবে। সালতামামি তো কোন কুখ্যাত অপরাধী বা অপরাধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে না। তবুও তোমাদের প্রশ্নটা আমার অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া পুলিশ মাথায় আগেই খেলেছে,তাই নকশালবাড়ি থানায় আমি এই ধরনের খোঁজ নিয়েছিলাম।ওরা বলেছিল-সালতামামির জন্ম হতে বেড়ে ওঠা এই মাটিতে।ও হয়তো ঠাকুরগঞ্জ কাটিহার হয়ে বেরিয়ে যেতে পারে।বিহার দিয়ে বেরিয়ে গেলে আমাদের কিছু করবার নেই।করতে পারি কিন্তু তোমরা কি এতটা পুলিশের বাড়াবাড়ি মেনে নেবে।নেবে না।তাই আর কটাদিন অপেক্ষা করো দেখবে ও হয়ত ফিরেই আসবে।আমি খবর পেয়েছি সালতামামি অনেকগুলো সমাজসেবী সংস্থায় জড়িত।হয়ত সেরকম কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। সালতামামি আর মেঘ একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে লিভ টুগেদার করছে।সেখানে ঐ দায়িত্ববোধের ব্যাপার তো নেই।তাই ফ্যামিলি অবহেলা করে কিছু করছে তাও বলা যাবে না।দেখো কি হয়!আর হাঁ তোমাদের এই অবস্থায় রান্না করতে যাবে না।আমার ঐ ক্যানটিন থেকেই রাত সাড়ে নটা নাগাদ একজন কেউ গিয়ে তোমাদের দুপুরের মতন খাবার দিয়ে আসবে। তবুও খবর যদি পাই কিছু দেবো,নইলে আগামীকাল কথা হবে।চিন্তা করো না কেসটা আমি দেখছি।অনুজ স্যার আজকেও সব ডিটেইলস নিয়েছে।সব জানে।গোটা ঘোড়াডিহি থানা তোমাদের পাশেই আছে।তোমরা কোন প্রবলেম ফেস করলেই জানাবে আমাকে বা থানাতে।

তোমাদের ঐ অনুজ স্যারের প্রথমদিন তো যা সব চোখাচোখা প্রশ্ন।তবে পুলিশের ডিউটি তো এই।তোমাকেও নিশ্চয় অন্য পার্টিকে এমন কথা বলতেই হয়।

তা ঠিকই বলেছ বুদ্ধ।

এটুকু কথা হয়ে যাবার পর আমি তমালকে বললাম কিন্তু তমাল আমার একটা কথা ছিল ঐ খাবার --

তমাল কথা শেষ করতে না দিয়ে বলল -শোনো এই সামান্য খাবার যা পাচ্ছ কষ্ট করে খেয়ে নাও। সালতামামি আসুক ঘরে ফিরে মেঘকে বলবে, তখন আমি তোমাদের সাথে আড্ডা মারতে মারতে খাবো।বুদ্ধ পুলিশ কিন্তু সব খায় দেখোনা বাজারে আমাদের কি বদনাম!ঠিক আছে রাখছি‌।কালকে আবার।

রাতের নিস্তব্ধতায় বাইকের আওয়াজ পেলাম।জানলার পর্দা সরিয়ে দেখলাম পুলিশের বাইকে দুজন ভেতরে আসছে।বুঝে নিলাম দুপুরের মতন আমাদের খাবার দিতে ওনারা আসছেন।

সালতার ফোনটিতে দেখা গেলো শেষ কলটি রাত সাতটা তেতাল্লিশের।তমাল এটা লালবাজার আই.টি.সেল থেকে জানতে পেরে আমাদের বলেছিল।কাকে করেছে?দেখতো মেঘ কি নাম এটা?

আরে কথাকলি কর।তুই ও চিনিস।কদিন ধরেই ঘ্যানর ঘ্যানর করছিল।এই লকডাউনে ওর সাহিত্য পত্রিকার কোন ইস্যু বের করতে পারেনি তাই শারদীয়া সংখ্যাটায় সবাইকে চমকে দেবে এবার। সালতামামির একটা উপন্যাস চাই। সালতা বলছিল বেশ জোরেই  মনে পড়ছে সেদিনের কথা-না একটা সিম্পল কুড়ি লাইনের মধ্যেই কবিতা পাবি।আর সান্মানিক এক হাজার টাকা রেডী রাখবি।বলেই জোরে হাসছিলো। এতকিছুর পর তার আধঘন্টা বাদেই দরজা খুলে নিচে নেমে গেল।ব্যাস গেলই।আমি কি করে ভাবব?তারপর এই অন্তর্ধান রহস্য।

যাক বাবা যেখানে খুশি কাটাক।তোর একটা স্বাধীন মানুষ হয়ে একলা একলা বেঁচে থাকবার ভয়!কেন মেয়ে বলে?এই সালতা নির্ভরতা কাটাতে পারবি না?

মেঘ ক্ষেপে উঠলো।ধুর--তোকে একটা উপযুক্ত গাল দিলাম।কেন তুই আমাকে সঙ্গ দিবি ঐ আড্ডা মারবার ওটা বন্ধু ছাড়া হয় না।খিস্তি খেউড় আর তুমুল আলোচনা।

বুঝলুম শালা!নে এবার খা।কাল আমি নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবো।কাল থেকে একা বাঁচা অভ্যেস কর।

তুই ও খা।আজ দ্বিতীয় বাঁটুল কে গিলবো।আর জ্ঞান মারিস না।আমার চাকরি ফিরে পাচ্ছি। বেঁচে থাকবো আরাম সে!আজ সারাদিন ফোনে ফোনে মাথা ধরে গিয়েছে।এবারে রি-ফ্রেস!

মেঘ একদম সেই মেঘ হয়ে উঠলো।যে মেঘে বৃষ্টি হয় না‌।অথচ সেই মেঘে কত কল্পনার হাতি ঘোড়া ভাল্লুক আঁকা থাকে।

রাত বারোটা কুড়ি মতন আমি আর মেঘ পড়ছি সালতার ডায়েরী।মেঘের ফোন বেজে উঠলো।একটা অজ্ঞাত নাম্বার।আননোন।অজ্ঞাত।মেঘ ফোন তুলতেই ওপার থেকে নাকি জিগ্গেস করলো-আপ মেঘরোদহাসি?একদম চোস্ত হিন্দীতে।
মেঘ বললো---বিলকুল।
তারপর কেটে দিলো ফোনটা।আর ওখানেই রহস্যটা।তারপর একবার ভোররাতে সেই ফোন থেকে আবার কল এলো।সেই একই কথা।এবারে একটু এগিয়ে বলল-আপ ঠিক হ্যায় না!
মেঘ বললো এবারে-আপ কৌন হ্যায়?
ফোনটি কেটে দিলো। সালতামামি কিন্তু না।এ একদম অপরিচিত কোন অবাঙালির স্বর।আবার কলব্যাক করলেও আগের মতন ধরছেই না ফোন।ঠিক আছে কাল তমালকে নাম্বারটি দিয়ে খোঁজ খবর নিতে বলা হবে।

তারপর দিন আমি সকালে বেড়িয়ে আসি।তমালকে ফোন নাম্বারটি দিয়ে সব কথাই বলি।তমাল বলল- একটা দিন সময় লাগবে বন্ধু।আমার মনে হয় মেঘ একলা রয়েছে বাড়িতে এই কথা জেনেই কোন পরিচিতজন হয়ত ঐ ভাবে ভয় দেখাচ্ছে।এটাও মানুষের সুপ্ত মনের হিংস্র এক ধরনের নেশা।এই রকম একটা কেস ঘাঁটতে গিয়ে জানি-এক মহিলাকে তার দিদি প্রবাস থেকে স্বামী মারা যাবার পর ভয় দেখাতো বোনকে।একলা ঐ মহিলা থাকতেন,ছেলে ডিমাপুরে সরকারী চাকরী সূত্রে ছিলেন।প্রতিরাতে ঐ ফোন করতেন-তোর সর্বনাশ হবে।ছেলে বেঁচে ফিরতে পারবে না।ছেলেকে ফিরিয়ে নিয়ে আয়।এর পরের কথা অন্য একদিন বলবো।এরকম ও হতে পারে।আর এটা বুদ্ধ তোমাদের উত্তর কলকাতার দিকেই মাণিকতলায় হয়েছিল।আমি মাণিকতলা থানায় তখন।

মেঘ বলল-বুদ্ধু তুই রাতটা আমার এখানেই কাটাস।ঐ সব ফোন আর হঠাৎ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে একটু খেই হারিয়ে ফেলেছি।তুই পাশে আছিস তাই বলছি।
আমি লম্বা শ্বাস ফেললাম আর বললাম-ঠিক আছে ইয়ার!পৃথিবী আবার ঠিক হয়ে উঠবে। সবকিছু স্বাভাবিক হবে।আমি আশাবাদী বন্ধু।

শেষ চমক----

ফোনটি গাজিয়াবাদ থেকে এসেছিলো। ফোনের নাম্বারটির সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে জানা গিয়েছে মথুরার বিরজু প্রসাদের।

তারপর আরও দুটি রাত কেটে যাবার পর তৃতীয় দিনের ভোরের অন্ধকারে বেজায় তুমুল চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ পেলাম নিচে গেটের কাছে।জানলা খুলে দেখলাম।দেখি পাশে মেঘ ও এসে দাঁড়িয়েছে। সিকিউরিটি গার্ড দুজন কার সাথে চিল্লিয়ে কথা বলছে।একজন লোকের সাথে দুটি বাচ্চাও আছে দেখছি গেটের আলোতে।এইসময় মেঘের ফোন বেজে উঠলো।মেঘ তড়িঘড়ি ধরলো।
গার্ডরা বলছে-ম্যাডাম একটা লোক দুটি বাচ্চা ছেলেমেয়েকে নিয়ে আপনার ফ্ল্যাটে আস্তে চাইছে।পরিচয় দিচ্ছে নিজেকে দাদা বলে কিন্তু দাদা না।আমরা তো দাদাকে চিনি।
মেঘের কাছে থেকে এই কথা শুনেই বললাম-তুই ওদেরকে সিকিউরিটি গার্ডদের ঘরে বসাতে বল।আমি আর তুই চল নিচে গেটের কাছে যাই।আর আমি তমালকে ফোন করে পুরো ব্যাপারটা জানাই।নে এপার্টমেন্টের গেটের চাবির গোছা।চল তাড়াতাড়ি।আজ সালতামামির অন্তর্ধানের রহস্য ঘুচবে মনে হচ্ছে।রেডী হয়ে নে ঝটপট।তোদের ঘোড়াডিহির  নেচার রেসিডেন্সীর গেটে এখন যাবতীয় রহস্য দাঁড়িয়ে আছে।আমার এ মন তাই বলছে।তোর?

ভাই আমার ইনটিউশন তাই বলছে। আফটার অল আমি তো একটা মেয়ে!

তাহলে স্বীকার করছিস তুই একটি মেয়ে?

তা তো করতেই হবে। সালতামামিকে এরপর যেদিন পাবি জিগ্গেস করবি দেখবি ও তাই বলবে-মেঘ কোন কোন দিন মেয়ে হয়ে ওঠে।
সে কী রে!
হাঁ।সাচ্।তুই ও আর ক'দিন পর থাকলে জেনে ফেলতি আমি একটি মেয়েও।তবে ঐ অচেনা লোকটি আর বাচ্চা দুটি ধন্দে ফেলছে খুব।

নে ফাজলামি নয়।তমালকে জলদি ফোন করি আর নেমে গেটের কাছে চল।

গিয়ে দেখলাম আর আমরা চিনতেই পারলাম ভোরের আলোতে এ সালতামামি। দাঁড়ি গোঁফ কেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে দুটি বাচ্চাকে নিয়ে বসে আছে।
সালতা বললো-ভারী মুশকিল।নিজের বাড়িতে এরা ঢুকতে দিচ্ছে না।চল মুনিয়া আর রাজা।

মুনিয়া আর রাজা।এরা কারা?

তোদের ঘরে গিয়েই বলছি ইয়ার।বহুত জার্নি হয়েছে।বাচ্চাগুলো ধুঁকছে।চল চল।
এরমধ্যে ঘোড়াডিহি থানার পুলিশ ভ্যান আর সাথে ডিউটি অফিসার অংশুমান এসেছে।সব শুনে নিয়ে বললো গার্ডদের ওদের ছেড়ে দাও।ওরা ওদের ফ্ল্যাটে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে।আমরা ঘরে ফিরে চলি।অংশুমান বললো-আপনারা ওপরে উঠুন।আমি গেটে আছি।পরে আসবো আবার।তমাল স্যারকে থানায় ফিরে গিয়ে বলছি সব।তারপর সারাদিন সোসাইটি এটা ওটা অনেক ঝঞ্ঝাট ঝামেলা গেল।তমালের সাপোর্টে অনেক উপকার হল।সব এই পাগল সালতার জন্য।আচ্ছা করে আজ ওকে দুপুরে গাল দিলাম।

তার আগে সালতামামির কাছ থেকে জেনে নিয়েছি বাচ্চা দুটোর কথা।

নিতাই বালা আর তার স্ত্রী সালতাদের সুবলভিটা গ্রামের রুটি রুজির টানে বাচ্চা দুটিকে নিয়ে দিল্লীর কাছে গাজিয়াবাদে থাকতো।লকডাউনে কাজ হারিয়ে অর্ধভুক্ত থাকতে শুরু করে।দেশের সর্বত্র এমন সাংঘাতিক প্রচার তখন একদিন পথে নেমে এসে পরিযায়ী হয়।দেশের ভেতরে আর এক দেশ নিজের জন্ম ভিটেয় ফেরা।যে মানুষগুলো ভোট দেয় সরকার গড়ে।দেশ তাদের কোন খোঁজ রাখলো না।যেমন খোঁজ নেই নিতাই বালা আর তার স্ত্রী বিশাখার।এই বাচ্চাদুটিও জানে না তাদের বাবা-মায়ের কী হলো?এই বাচ্চাদুটিকে মথুরার বিরজু পেয়ে নিজের কাছে রাখে।সালতা বিভিন্নভাবে খবর পেয়ে ওদের নিয়ে এসেছে।ওদেরকে সালতামামি নিজের কাছে রেখে বড় করবে।

ওদের নামের পরিচয়ে ওরা বড় হবে।ওদের বাবা মা নেই কিন্তু অভিভাবক আছে।এটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জ।ওদের গায়ে পরিযায়ীর এই ইতিহাস লেগে থাকবে সারাজীবন।থাক। ওরাও জানবে এই দেশ চিরটাকাল অনুভূমিক হয়েই থাকবে।যদি উঠে দাঁড়ায় সেদিন সবার মুক্তি।আমরা সাধারণ জনগণ একটা নাম্বার একটা এপিক নাম্বার একটি আধার কার্ডের সংখ্যা শুধু এখনও।আমরা রেশনের চাল খাই আর সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত আম জনতা।এর বাইরে আমাদের সবসময় অনিশ্চিত জীবন।কিরে বুদ্ধ আর মেঘ তোরা সাথে থাকবি না?

আমি সালতাকে জড়িয়ে ধরি আর মেঘ এসে সালতার কাঁধে মাথা রাখে। মুনিয়া আর রাজা সালতার পায়ের কাছে গুটিসুটি মেরে দাঁড়ায়।

আমি বলি-সালতা তুই দাঁড়ি গোঁফ কাটলি কেন আগে বল?

তোদের পুলিশে খবর দিতেই আমাকে কি আর দুদন্ড শান্তি দিয়েছে যত গুষ্টির পুলিশ।খালি উঁকি ঝুঁকি যেখানে যাই।পরিযায়ী হয়েই ট্রেনে ফেরা।দিলাম কেটে।বিরজুকে বলি একটু খোঁজ নিতে ব্যাস।তাই ওর দু একটি ফোন এসেছে।ও পটনা থেকে ফিরে গিয়েছে।

এখন সন্ধে নেমে এসেছে ঘোড়াডিহির বিস্তীর্ণ ঝিলের ওপরে।একটা দুটো করে তারা ফুটে উঠবে আকাশে এরপর।বাইরের বৈদ্যুতিক আলোয় এক অপরূপ মায়াবী জগত হয়ে উঠবে ঘোড়াডিহি।তবে পৃথিবীর এই বিষাদগ্রস্ত সময়ে কিছুই ভালো লাগছে না আর।মুনিয়া আর রাজা ওপাশের ঘরে মেঘরোদহাসির সাথে খুব গল্প করছে।মিশে গিয়েছে।এই ঘরে আমি আর সালতামামি।বেশ চল আমরা তবে এবার জীবনে কিছু গুরুদায়িত্ব নিয়ে চলতে শুরু করি।

আমাদের নতুন এক জীবন শুরু হলো।

________________শেষ_______________

Post a Comment

0 Comments