জ্বলদর্চি

২০২১ নতুন বছর নতুন লেখা (গুচ্ছ কবিতা)/অঞ্জলি দে নন্দী (মম )

২০২১ নতুন বছর নতুন লেখা 
গুচ্ছ কবিতা 
অঞ্জলি দে নন্দী (মম)

জোনাকী


টিম টিম টিম জ্বলে
ওই জোনাকী দূরে।
জানলা দিয়ে তাদের আলো 
দেখি আমি পুকুরের জলে।
ও তো ঢেউ তুলে তাই চলেছে বয়ে
খোলা আঁধার গগনতলে।
আবার ওই যে সুদূরে
ওদের জন্যই ধ্রুব স্থির জ্বলে।
ওদের আলোয় খুশী হয়ে
ঝিঁ... ঝিঁ... ঝিঁ... তালে, লয়ে,
ঝিঁঝির দল সুরে সুরে সুরে
গাইছে বেশ ভালো।
গাঁয়ের রাতের ঘন কালো
আকাশের তারাদের ডেকে বলে,
জ্বালো জ্বালো জ্বালো!
তোমাদের যত আলো!
তোমাদের আপন শক্তি-বলে!


গোলাপ

গোলাপ রঙিন, সুগন্ধী।
ওর মোহে যত অলি বন্দী।
ওর সঙ্গে প্রেমের সন্ধি।
"ওর কাঁটা ওরই প্রতিদ্বন্দ্বী।
ও বড় মন্দি!
রক্ত ঝরায় বড়!
গোলাপের পর ও।"
সবাই এ কথাই বলে।
গোলাপ কিন্তু অন্য কথা বলে।
ও বলে, ' কাঁটা তো আমার রক্ষাকারী।
ও তো উপকারী ভারি।
চির বন্ধু তারই।'


দামোদর

আমাদের দামোদর নদ গাঁয়ের ধারে।
সাঁতার কেটে আমরা তারপরে ভাসি।
ওকে মোরা বড় ভালোবাসি।
খুশীগঞ্জ হাট তার পাড়ে।
নৌকো করে দামোদর পার হয়ে
আমরা যাই স্কুলে।
ও আপন মনে যায় বয়ে।
জল থৈ থৈ থৈ করে
একুলে ও কুলে।
ওর জলে, জেলে মাছ ধরে।
দামোদর বর্ষায় আমাদের গাঁ বন্যায় ভরে।
প্লাবনে জীবন দুঃখের করে।
তবুও নদের বরে
শীতে চাষী আলু চাষ করে
ওর ঊর্বর চড়ে।


নববর্ষ

নববর্ষ।
মনে হর্ষ।
নব পোশাক, নব খাবার।
নব উদ্যম পিকনিকে যাবার।
প্রতি বছর নববর্ষ আসে।
সবাই খুশিতে হাসে।
সূর্য আর পৃথিবীর টানে
প্রকৃতিতে ঋতু আসে।
এ কথাই বলে তো বিজ্ঞানে।
আর তাই তো বারে বারে বারে
নববর্ষ এ ধরায় ফিরে ফিরে ফিরে আসে।
আর আমরা বরণ করে তারে।


নেতাজী

তেইশে জানুয়ারি।
জন্ম তাঁরই।
পালি তা হৃদয় ভরে।
পতাকা তুলি।
স্যালুট করি, শির উঁচু করে।
উনিই তো ভরেছেন মোদের স্বাধীনতার ঝুলি।
"জয় হিন্দ" - ছিল তাঁর শ্রীমুখের বুলি।
ব্রিটিশ ভয় পেত তাঁর গোলাগুলি।
তিনি বীর শ্রী সুভাষ চন্দ্র বসু।
অষ্টের পরে উনি ধরার নবম বসু।
দেশ মাতা তাঁর ছিল পরম আপন।
এই মাতার স্বাধীনতার জন্যই ছিল তাঁর
আজীবন বিপ্লবীর জীবন যাপন।
তিনি চির সুযোগ্য পুত্র এই ভারত মাতার।

জ্বলদর্চি পেজ- এ লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments