জ্বলদর্চি

সেমিকোলনের আত্মজীবনী পর্ব- ১৬/ সায়ন

সেমিকোলনের আত্মজীবনী 
পর্ব- ১৬

সায়ন

সেমিকোলন কে, কি ও কেন?

অনেকেই মনে মনে ভাবেন এই 'সেমিফাইনালের আত্মজীবনী' ব্যাপারটা আসলে কি? সন্দেহ করে একজন কবির কবিতা এখানে কেন অনুপ্রবেশ করছে। আবার সেই কবি যদি হন স্বয়ং একজন বিতর্কিত এবং চরম জনপ্রিয় সুবোধ সরকার । 

আমি একজন সেমিকোলন। আপনারা আমাকে চেনেন কিন্তু জানেন না। আমার দেহের আকার ক্ষুদ্র, তার না আছে লালিত্য না আছে রূপ। বলবান তো নয়ই, দেখলেই বোঝা যায়.....কি তাই তো? 
কিন্তু, আমার একটা বিন্দু আছে, আর আছে একটা 'কমা', বলবান শব্দের মিছিলকে আমি অনায়াসে দাঁড় করিয়ে দিতে পারি, আমি প্রবেশ করতে পারি আপনার গোপন নিউরনের অন্ধকার দেশ কাল চিন্তার দরজা জানলা খিলান ভেদ করে ! আপনি যে ভাষার কাছে গিয়েই আশ্রয় নিন না কেন আপনার সঙ্গে আমার ঠিক দেখা হবেই। জেনে রাখুন ... কানটা এগিয়ে দিন .. ফিস্ ফিস্ করে বলছি .... সাহেবরা একটা আমার একটা সংজ্ঞা বানিয়েছে সেখানে আমার আত্মজীবনীর রচনার একটা রসদ লুকিয়ে আছে ..... এই দেখুন : The semicolon forces the reader to make a pause, shorter than you would with a period, but longer than you would for a comma; however, the pause isn't as abrupt as for a dash.
 The semicolon pause creates that ''relationship, close", but not too close, not too abrupt.

এই relationship close এইটাই হল আমার সমস্ত জীবনের কাহিনী। এই কাহিনীই আমি বলতে বলতে ১৫টি অধ্যায় সম্পূর্ণ করেছি। 


প্রাজ্ঞজন ১ : কিন্তু তাও তো প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে? 

প্রাজ্ঞজন ২ : আচ্ছা এখানে সুবোধ সরকার এর কবিতা কি করছে একটু শুনি?

প্রাজ্ঞজন ৩ : এটা কি সুবোধ সরকারের কবিতা নিয়ে আলোচনা ? 

প্রাজ্ঞজন ৪ : আর কোনও কবি পেলে বাবা, শেষে ওনাকে নিয়েই কেন শুনি! ধান্দাবাজিটা তো ভালোই শিখেছো ... এত বড় মেজো সেজো কবি থাকতে উনিই কেন তাহলে! 

আমি চুপ করে শুনছি সব কথা, চোখ খোলা -জানলা খোলা চারদিকে .... বিষপুষ্পের হাওয়ায় ঘর ভরে উঠছে 

প্রাজ্ঞজন ৫ : 'ভাষানগর'র কবিতা-পাঠে কোনও দিন তো দেখলাম না মঞ্চে !  দেখলাম না কবিতা উৎসবে ! 
আরও আরও আরও আরও কথা ভেসে ভেসে বাতাল জলকণা আর নিঃশ্বাসের মধ্যে দিয়ে ভাইরাসলিপি তৈরি হচ্ছে আমার গোটা দেহ জুরে। একে কি ভাযে়রোগ্রাফি বলবো? ভাবছি ......
 
হাসতে হাসতে বেশ একটা সকালের রঙ বিকেল হয়ে যাচ্ছে, বিকেল এর গায়ে লেগে যাচ্ছে রাত। 
এই কবিতাটাই আমার , আমি এই ছন্দটাই খুঁজতে খুজতে সিরিটির আবাসনে একদিন ঢুকে পড়েছিলাম - সুবোধ সরকারের ঘরে। উনি আর আমাকে ছাড়েন নি, আমাকে ঋক্ষ মেষের পিঠে তুলে পাঠিয়ে দিয়েছেন প্লেটোর আথেন্স কিংবা দ্বৈপায়ন হ্রদের ধারে। 
আপনারা মঞ্চে ওঠার কথা নিয়ে চিন্তায় বড়ই ব্যস্ত! আমি মঞ্চের আলোর চেয়ে মনের আলোয় ঠিক করে দেখতে পাই, আসলে কি করবো বলুন আকারে ছোট তো! 

আমাকে এই বড় পৃথিবীটা দেখার জন্য তো একটা আশ্রয় নিতে হবে না কি! দেখতে হবে, জানতে হবে, ভাবতে হবে - মানুষ নামক বিষয়টি কি? 

আবার লিখবো, আমার কথা ... আজ এই পর্যন্তই থাক, কেমন?


আরও পড়ুুন

Post a Comment

0 Comments