জ্বলদর্চি

গুচ্ছ কবিতা/ পার্থ সারথি চক্রবর্তী

গুচ্ছ কবিতা 
পার্থ সারথি চক্রবর্তী 

 আকাশ নিয়ে 

আকাশ আর জীবনের পথ-
       যেন পাশাপাশি চলছে
এক নাগাড়ে, দিনের পর দিন-
               আবহমান কাল।
এদের মধ্যেকার সম্পর্ক কি সমানুপাতিক
     নাকি ব্যস্তানুপাতিক, জানি না!
           বোঝাও যায় নি কখনো।
কখনো মিশে যায় একবিন্দুতে এসে 
কখনো বা আলাদা হয়ে যায় 
           এক লহমায়, অচিরেই।
তবু চলছে জীবনের পথ, আকাশের নীচে 
                     আকাশেরই সাথে।



পুকুর

একটি পুকুর ছিল আমার মনে,
জল ছিল অফুরান, নদীর মতো
            না না, সাগরেরই মতো।
জোয়ার, ভাঁটা, সুনামি সবই আসত-
সময়ে, অসময়ে, দুঃসময়ে।
তবু চেয়ে থাকত আকাশের দিকে-
     এক ফোঁটা, দু'ফোঁটা জলের জন্য।
     অনেকটা চাতকের মতো, মেঘের আশায়।
আমি আজো আকাশ দেখি,
মেঘ গুনি, তবে কেন যেন-
     জল পাই না আগের মতো।



চিঠি

ভাবি তোমায় চিঠি লিখব-
         নাকি লিখব না চিঠি!
তুমি হয়তো তুমিই আছো
         আমি হয়তো আমি নেই।
যে পথে এঁকেছিলাম পায়ের ছাপ
গাছের ছায়ায় মিশেছিল অন্তরঙ্গ শ্বাস,
সে পথের ছবি মনে আকঁব
        নাকি আঁকব না মনে!
সেই গাছের তলায় তাঁবু টাঙাব
        নাকি টাঙাব না তাঁবু!
বলবে কি আমায় প্রত্যুত্তরে?
যদিও বা লিখে ফেলি চিঠি!



শরীর

এক সুন্দরী শরীর আঁকতে গিয়ে-
     কেন হয়ে যায় এক কঙ্কাল 
     নির্মেদ, ঝরঝরে, অকমনীয়!
বারবার সুগন্ধি মেখেও কেন-
     ফিরে আসে খিদের গন্ধ 
     প্রাচীন, অর্বাচীন, আটপৌরে!
আমার চোখের তারায় ভেসে ওঠে-
কঙ্কালসার অবয়বে খিদের রূপ।
অনুর্বর মাটিতে বোনা বীজ থেকে
বারবার উঠে আসে আলোর চারাগাছ।
নিজস্ব আলোকমালায় সাজানো-
             এক বর্তিকা যেন!



আলো কমে আসে

আলো একসময় কম হয়ে আসে
সময়ও কিছুটা ক্লান্ত হয়-
                 জীবনের জাঁতাকলে 
আলোছায়ার হ্ত ধরে তৈরি হয়
এক আধাচেনা চিত্রনাট্য-
                জলছবির রামধনুরঙে।
রোজকার ছোঁয়ায় রোমাঞ্চ জাগে-
                 হৃদয়ের চিলেকোঠায়।
স্বপ্ন বুনে চলি আপনমনে
                 কোন এক মনের মেশিনে।

পেজ- এ লাইক দিন👇
আরও পড়ুন 

Post a Comment

0 Comments