জ্বলদর্চি

নববর্ষে বর্ষবরণ /সন্দীপ কাঞ্জিলাল

নববর্ষে বর্ষবরণ 

সন্দীপ কাঞ্জিলাল

 বছর ঘুরে আবার এলো বৈশাখ। নতুন বছরের নতুন দিন। বাংলা ১৪২৮ সাল। নতুন বছরকে বরণ করতে সমস্ত বাঙালী উন্মুখ। বর্ষবরণ বিশ্ব সংস্কৃতির অংশ। আমাদের দেশেও দিনটি আড়ম্বরের সাথে পালিত হতো এবং এখনও হয়। বর্তমানে করোনা অতিমরির কারণে পৃথিবী জুড়ে ধ্বংসাত্মক প্রলয় চলছে। এছাড়া প্রকৃতির বিরুদ্ধে যন্ত্রের জয়যাত্রার জন্য, সমগ্র পৃথিবীতে জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে এবছর বিধানসভা ভোটের জন্য নানা কৌশল মাথা চাড়া দিচ্ছে। তার ফলে বিভিন্ন সামাজিক দুর্নীতিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষা, সংস্কৃতি। মূল্যবোধের অবক্ষয়ে দেশ আজ জরাগ্রস্ত। সারা দেশ জুড়ে বৈশাখী ঝড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ নিজের হৃদয়েও এই ঝড় অনুভব করেছিলেন। যে ঝড়ে অবসাদের বাঁধন টুটে যায়, হতাশাগ্রস্তরা জেগে ওঠে, জেগে ওঠে মানুষ। তিনি বলেছেন, "বন্ধু হও, শত্রু হও, যেখানে যে কেহ রও,/ ক্ষমা করো আজিকার মতো / পুরাতন বরষের সাথে / পুরাতন অপরাধ যত।" কিন্তু   বর্তমানে তো অতি-আড়ম্বর দেখা যাচ্ছে। অবশ্য আড়ম্বর যে খারাপ তা বলছি না। শুধু বলতে চাই এই বর্ষবরণে বাহ্যিক যা আবেদন তার চেয়ে অনেক বেশি আবেদন অন্তর্গত। বর্ষবরণ শুধু গান গেয়ে, নতুন কাপড় পরে, ভুরিভোজ খেয়ে আর মেলায় গিয়ে আনন্দ করা নয়। এর আড়ালে গূঢ় অর্থ আছে। তা হলো অন্যায়-অপশক্তিকে দূর করা। দেশের মঙ্গল কামনা করা। ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্রীয় মঙ্গলই বর্ষবরণের মূল উদ্দেশ্য। এজন্যই মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়, দেশের জন্য মঙ্গলকর গান গাওয়া হয়। সেদিক দিয়ে এবারের বর্ষবরণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 

গত শতকের আশির দশকের কবি সুমিতেশ সরকার 'নাছোড় কর্কটরোগের মুখোমুখি' দাঁড়িয়ে তাঁর 'সাদা অ্যাম্বুলেন্স' কবিতায় লিখেছেন--

ভালো থাকা ও না থাকার মাঝখান দিয়ে এক-একটা পয়লা বৈশাখ চলে যাচ্ছে / সকালবেলার দোয়েল পাখি চলে যাচ্ছে সাদা অ্যাম্বুলেন্স চলে যাচ্ছে 
অ্যাম্বুলেন্স ভিতর যে শুয়ে তাকে অবিকল তোমার মতো দেখতে/ 
ঠান্ডা অক্সিজেন নল, ঠান্ডা স্যালাইনের বোতল ঠান্ডা চোখের জল পেরিয়ে যেন দূরে কোথাও চলে যেতে চাইছে সে 
কিন্তু কোথায় কতদূরে কেউ জানে না শুধু ঠান্ডা অক্সিজেনের নল, ঠান্ডা স্যালাইনের বোতল ঠান্ডা চোখের জল...
আর ভালো থাকা ও না থাকার মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া এক-একটি পয়লা বৈশাখ, সকালবেলার দোয়েলপাখি সাদা অ্যাম্বুলেন্স....

এই কবিতায় পয়লা বৈশাখ নিছক কোনও একটি দিন নয়, মৃত্যু ও বিষণ্ণতায় ঘেরা একটি জীবনের কাছে নতুনভাবে বেঁচে ওঠার প্রতিশ্রুতিও বটে। 
রবীন্দ্রনাথ বহু গান, কবিতা, প্রবন্ধ এবং ভাষণে বর্ষবরণের প্রধান কথা তুলে ধরেছেন। সেখানে তিনি যেমন তৎকালীন ভারত ও বিশ্বের কথা উল্লেখ করেছেন, তেমনি উপনিষদ থেকে করেছেন। ভারতীয় সংস্কৃতির মূল দর্শন উন্মুক্ত করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, পোশাকী আনন্দ নয় আনন্দকে অন্তরে ধারণ করতে হয়, তবেই সে আনন্দ সার্থক। রবীন্দ্রনাথ হৃদয়ের মধ্যে সত্যিকারের নববর্ষ প্রবেশের কথা বলেছেন। যে নববর্ষ জগতের মধ্যে এসে দাঁড়িয়েছে, তাকে সঠিকভাবে ধারণ করার কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন আলোকের নির্মলতা, আকাশের শান্তি দেখে কিংবা স্তব পাঠ করে বা নামগান করে কিছুক্ষণের জন্য যে ভাবের আনন্দ হয়, তা নববর্ষ যথার্থরূপ ধারণ করা নয়। মানুষের নববর্ষ এমন সহজ, কোমল শান্তিতে পরিপূর্ণ, শীতল মধুর নয়। ১৩১৮ বঙ্গাব্দের 'নববর্ষ' ভাষণে তিনি বলেছিলেন, "মানুষের নববর্ষ আরামের নববর্ষ নয়; সে এমন শান্তির নববর্ষ নয়; পাখির গান তার গান নয়, অরুণের আলো তার আলো নয়। তার নববর্ষ সংগ্রাম করে আপন অধিকার লাভ করে; আবরণে আবরণকে ছিন্ন বিদীর্ণ করে তবে তার অভ্যুদয় ঘটে।" রবীন্দ্রনাথ মানবজাতিকে আহ্বান করেছেন কষ্টের মধ্যে দিয়ে একটি সুন্দর সকালকে ধারণ করতে। তিনি মনে করেন মানুষের ব্রত বড় কঠিন। কারণ তাকে শুধু নিজের প্রয়োজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলে না, তাকে সমস্ত মানবের প্রয়োজনকে কাঁধে তুলে নিতে হয়। প্রত্যেক মানুষের ওপরে সমস্ত মানুষের সাধনা স্থাপিত হয়েছে। তাই মানুষের মুক্তি মানে বিশ্বমানবতার মুক্তি। কারও একার মুক্তি নয়। রবীন্দ্রনাথের বর্ষবরণ ভাবনা এতোটাই ব্যাপক। নটরাজ- এ তিনি বৈশাখের আবাহন করেছেন এভাবে বৈশাখ যেন নিজের উত্তপ্ত নিঃশ্বাস দিয়ে মুমূর্ষুকে উড়িয়ে দেয়, সারা বছরের আবর্জনা দূর হয়ে যায়; পুরাতন স্মৃতি এবং ভুলে যাওয়া গান যেন সুদূরে মিলিয়ে যায়; গ্লানি মুছে গিয়ে জরা ঘুচে গিয়ে ধরণী দেহ প্রাণে শুচি হয়ে উঠে এবং বৈশাখের প্রলয় শাঁখে যেন মায়াময় কুয়াশা দূর হয়। আজকের বাঙালীও এই আবাহনে বৈশাখকে বরণ করে। সুরে সুরে উচ্চারণ করে এই কথাগুলো "এসো, এসো, এসো, হে বৈশাখ।...মায়ার কুজ্ঝটিকা জাল যাক দূরে যাক।" কিন্তু এই গানে দেশ থেকে মুমূর্ষু পালিয়ে যায় না। এমনকি যারা এই গান কণ্ঠে ধারণ করেন, তাদের জীবনেও জরাজীর্ণ লেগেই থাকে। তাই সময় এসেছে অনুভবকে শাণিত করতে, উচ্চারণকে বলিষ্ঠ করতে এবং বিশ্বাসকে দৃঢ় করতে। রবীন্দ্রনাথ বৈশাখের প্রতি আহ্বান করেছেন, "নমো, নমো, হে বৈরাগী/ তপোবহ্নির শিখা জ্বালো জ্বালো/ নির্বাণহীন নির্মল আলো/ অন্তরে থাক্ জাগি।" অর্থাৎ অন্তরকে শুদ্ধ করতেই রবীন্দ্রনাথের এই আহ্বান। 

বাংলা নববর্ষ বাঙালির সংস্কৃতি সঙ্গে নিবিড় ভাবে জড়িয়ে আছে। নববর্ষের আগের দিন চড়ক উৎসব- সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং ধর্মীয় ব্যঞ্জনাকে ইঙ্গিত করে। শাল বা গর্জন গাছের বিশাল একটি খুঁটিকে জলে ভিজিয়ে রাখা হয় চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন। 'ভক্তরা' সেটিকে তুলে তেল মাখিয়ে মাটিতে সুদৃঢ়ভাবে প্রোথিত করেন, যার নাম 'গাছ জাগানো।' শোনা যায়- 'পুরুলিয়ার বিভিন্ন গ্রামে গাজনের সময় চড়কের গাছ মাটিতে পোঁতার সময়ে ভক্ত- র দল জিগির দেন- 'পার্বতী পরাননাথ বহো।' স্পষ্টত গাছটি শিব প্রতীক এবং পার্বতী এখানে ধরিত্রীর সঙ্গে সমীকৃতা।' মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি হবে, ক্ষেতে ভালো ফসল ফলবে আগামী বছরে এই কামনারাই ইঙ্গিত থাকে। 
  গাজনের শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয় চড়ক। চড়কের গাছ পুঁতে তার মাথায় আড়ভাবে একটা বাঁশ এমন করে বাঁধা হয় যে তাতে সন্ন্যাসীরা বা ভক্তরা নিজেদেরকে বেঁধে শূন্যে ঘোরেন বৃত্তাকারে। সন্ন্যাসীদের পিঠে বঁড়শির মত একটা লোহার শলাকা বিঁধিয়ে ওই আড়ের দিকের বাঁশের শেষ অংশ থেকে ঝুলে চড়কগাছ পাক খেত। সমাজতত্ত্ববিদ অতুল সুরের মতে 'বোধহয় হঠযোগের সাহায্যে তারা এটা করতে সক্ষম হত।' অনেকে বাংলা বছরের শেষ দিনে সন্ন্যাসীদের এই বৃত্তাকারে শূন্যে ঘোরার প্রথাকে সৌরচক্র সমাপ্তির প্রতীকরূপে গণ্য করে থাকেন। এই উৎসবের মধ্যে সূর্যকেন্দ্রিক কর্মধারা এবং উর্বরতাকেন্দ্রিক কর্মধারা একে অপরের পরিপূরক হয়ে প্রবাহিত হয়। ১৮৫৬-৫৭ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টান মিশনারীরা এই প্রথার ভয়াবহতা দেখে তৎকালীন বাংলা সরকারকে এই প্রথা রহিত করার জন্য অনুরোধ করে। তদানীন্তন ছোটলাট জে পি গ্রান্ট বিভাগীয় কমিশনারদের অনুসন্ধানের রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকারের মাধ্যমে নির্দেশ দেন যে, যুক্তি তর্ক দ্বারা জনসাধারণকে বুঝিয়ে জমিদারদের সাহায্যে এই নির্মম প্রথা বন্ধ করতে হবে। কিন্তু এতে বিশেষ কিছু সুফল না হওয়ায় ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই মার্চ তারিখে ছোটলাট বিডন হিন্দুনেতা ও ব্রিটিশ ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সম্মতিক্রমে এক ইস্তাহার জারি করে উক্ত প্রথা আইন অনুসারে দণ্ডনীয় বলে ঘোষণা করেন। তখন থেকে সন্ন্যাসীরা বা ভক্তরা বুকে গামছা বা কাপড় বেঁধে, তার সাহায্যে চড়ক গাছে পাক খায়। চড়ক এখন আর বিশেষ দেখা যায় না, তবে চড়কের জমজমাট মেলা এখনও পশ্চিমবাংলার অনেক স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। 

  উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন কলকাতা শহরে পাকাপোক্ত ভাবে জাঁকিয়ে বসেছে তখনই আবির্ভাব হয় বাঙালির বাবু কালচার। যা উচ্চশিক্ষিত ইংরেজদের থেকে ধার করা নয়, একান্ত নিজস্ব বাঙালি  ঘরানায় পুষ্ট বাবু কালচার। বড়দিনের সময় তখন যেমন ইংরেজরা স্ফূর্তির ফোয়ারা ছোটাত, ঠিক সেই রকম বাঙালির নববর্ষে সেকালের কলকাতার ধনী ব্যক্তিরা বিলাস ব্যসনে ও খানাপিনায় দেদার খরচ করতেন। নববর্ষকে সাদরে বরণ করার জন্য নতুন উদ্দীপনায় মেতে উঠতেন। এখনকার মত তখনও নববর্ষ ছিল তাদের কাছে এক আড়ম্বরপূর্ণ উৎসবের দিন। 
নববর্ষের দিন বাবুগিরি করাই ছিল তাদের একমাত্র লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্য পূরণে কলকাতার তনুবাবুই ছিলেন সর্বোত্তম বাঙালি বাবু। তিনি ছিলেন হাটখোলাট প্রসিদ্ধ দত্ত বংশের মদনমোহন দত্তের পুত্র। তিনি সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছিলেন বলে অর্থের কদর তেমন জানতেন না। শুভ পয়লা বৈশাখের দিন জাঁকজমকপূর্ণ জীবন যাপনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে তিনি মানসিক তৃপ্তি পেতেন। এই বিশেষ দিনে ধোপদুরস্ত বেশভূষায় তিনি একেবারে ফিটফাট থাকতেন। নববর্ষের উৎসবে তাঁর দামী জামাকাপড় আসত ঢাকা থেকে। জানা গেছে ওই সব জামাকাপড়ের এক একটির দাম প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাট টাকা। বর্তমানে যার মূল্য আট থেকে দশ হাজার। 
সেকালে তনুবাবুর প্রতিপক্ষ আরও অনেক বাবু নববর্ষের সময় দানধ্যান করতেন। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাগবাজারের গোকুলচন্দ্র মিত্র, যিনি তনবাবুর বাবুগিরিকে খুব হিংসা করতেন। ফন্দি-ফিকির খুঁজতেন তনুবাবুকে অপদস্থ করার জন্য। একবার পয়লা বৈশাখের দিন এক গরীব ব্রাহ্মণ তার কানের পুঁজ সারাবার জন্য বাবু গোকুলচন্দ্র মিত্রের কাছে এসে এক পাত্র আতর চাইলেন। গোকুলবাবু জানতেন নববর্ষের দিন সকালে তনুবাবুর বাড়ি  আতর দিয়ে ধোওয়া হয়। তিনি তাই সেই ব্রাহ্মণকে একটা ছোট ঘড়া দিয়ে পাঠালেন তনুবাবুর কাছে আতর চাইতে। বললেন, বাবু তো বাবু তনুবাবু। তাঁর কাছে যাও। সেখানে গেলে এক ঘড়া আতর পাবে। গরীব ব্রাহ্মণের কানের পুঁজ সারানোর জন্য অল্প একটু আতর দরকার ছিল। এক ঘড়া আতর নিয়ে সে কি করবে। আসলে গোকুলবাবু তনুবাবুকে প্যাঁচে ফেলবার জন্যই ব্রাহ্মণকে এক ঘড়া আতর চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর কথামত ব্রাহ্মণ তনুবাবুর কাছে গিয়ে এক ঘড়া আতর ভিক্ষা চাইল। কলকাতার শ্রেষ্ঠ বাবু তনুবাবুর বুঝতে এতটুকু অসুবিধা হল না তাঁর বিরোধী পক্ষ তাঁকে জব্দ করার জন্যই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তাঁর বাবুর খ্যাতিকে কলুষিত করার জন্য বিরোধীরা যে তৎপরতা তিনি বুঝতে পারলেন। নববর্ষের দিন তিনি যে কাউকে বিমুখ করেন না এ কথা সবারই জানা। তিনি তৎক্ষনাৎ তাঁর কর্মচারীকে নির্দেশ দিলেন এক ঘড়া আতর ব্রাহ্মণকে দিতে। কর্মচারীটি মাথা চুলকোতে থাকলে তনুবাবু বুঝতে পারলেন অত আতর গৃহে মজুত নেই। তিনি বিন্দু মাত্র চিন্তা না করে দশ হাজার টাকা বার করে দিলেন এক ঘড়া আতর কিনে আনার জন্য। একটু পরে সেই গরীব ব্রাহ্মণ এক ঘড়া আতর পেয়ে মহা খুশি হয়ে গোকুলবাবুর কাছে গিয়ে হাজির। নববর্ষের দিন তনুবাবুর দানের বহর দেখে তখন শুধু গোকুলবাবু নয়, কলকাতা তাবড় তাবড় বাবুদের চোখ ছানাবড়া। তাঁরা এক বাক্যে স্বীকার করলেন তনুবাবু হলেন কলকাতা সেরা বাবু। 

১৩০৯ বঙ্গাব্দের 'নববর্ষ' প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, "স্বার্থের জড়তা এবং পাপের আবর্ত ব্রহ্মের এই নিত্যবিরাজমান আনন্দের অনুভূতি হইতে আমাদিগকে বঞ্চিত করে।" তিনি বলতে চেয়েছেন ব্রহ্মার আনন্দ মানুষের মনের আনন্দ। স্বার্থপরতা এবং পাপের কারণে মানুষ আজ সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত। এ অবস্থা রবীন্দ্রযুগে সৃষ্টি হয়েছিল, এখনও আমাদের দেশে এই অবস্থা বিরাজ করেছে। তাই বাহ্যিক আড়ম্বরের সাথে অন্তরের শুচিতা প্রয়োজন। প্রতিটি বাঙালীর অন্তর মঙ্গল আলোকে আলোকিত করার সময় আজ। সমস্ত অপশক্তি, অন্যায়, অবিচার, লাঞ্ছনা, কঠোরতা দূর হয়ে এ নববর্ষ শান্তিময় হয়ে উঠুক।

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments