জ্বলদর্চি

১৯ জুন ২০২১

Today is the 19 June, 2021
আজকের দিন 
বাংলায়--- ৪ আষাঢ় শনিবার ১৪২৮


   ব্রিটিশ ভারতীয় ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক আহমেদ সালমান রুশদি ১৯৪৭ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস মিডনাইটস চিলড্রেন - এর জন্য ১৯৮১ সালে ম্যান বুকার পুরস্কার অর্জন করেছিল। তাঁর লেখার অনেকটা অংশ জুড়েই থাকে ভারতীয় উপমহাদেশ। তিনি জাদু বাস্তবতার সাথে ঐতিহাসিক কল্পকাহিনী একত্রিত করে লিখেন। তাঁর চতুর্থ উপন্যাস দ্য স্যাটানিক ভার্সেস বিশ্বব্যাপী একটি বড় আকারের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল।

  ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেজ পাস্কাল ১৬২৩ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। ইনি একজন গণিতজ্ঞ, পদার্থবিদ, উদ্ভাবক, লেখক এবং ক্যাথলিক দার্শনিক। তিনি গণনাকারী যন্ত্র (calculator)উদ্ভাবনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। তিনি প্রথম চাপ এবং শূন্য অবস্থা ধারণা স্পষ্ট করেন।

  ষষ্ঠ শিখগুরু গুরু হরগোবিন্দ ১৫৯৫ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর দ্বারা তাঁর বাবা তথা পঞ্চম গুরু অর্জুনের মৃত্যুদন্ড হবার পর মাত্র  এগারো বছর বয়সে তিনি শিখ গুরুর পদ লাভ করেন।  তিনি শিখ ধর্মের মধ্যে ইসলামী নিপীড়ন প্রতিহত করতে এবং ধর্মের স্বাধীনতা রক্ষা করতে একটি সামরিক ঐতিহ্যের সূচনা করার জন্য স্মরণীয়। তিনি দীর্ঘতম মেয়াদে গুরু পদে আসীন ছিলেন।

  বৃটিশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা- সদস্য রজনীপাম দত্ত ১৮৯৬ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। লেবার মান্থলি' নামে এক পত্রিকা প্রকাশ করতেন এবং আমৃত্যু এটির প্রকাশনা চালিয়ে যান। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির জন্য লেখেন 'দত্ত ব্রাডলে থিসিস'।

  ভারতীয়-আমেরিকান গণিতবিদ ও পরিসংখ্যানবিদ রাজ চন্দ্র বোস ১৯০১ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। গণিতের জগতে তিনি অমর হয়ে আছেন বোস-মেসনার অ্যালজেব্রা ও ডিজাইন থিয়োরির জন্য। জ্যামিতিক উপপাদ্যতে প্রচলিত BCH কোড তাঁরই নামের আদ্যক্ষর দিয়ে পরিচিত।

  সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাবিদ উমেশচন্দ্র দত্ত  ১৯০৭ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। বাংলার নারীদের মধ্যে শিক্ষার আলো এবং সচেতনতা আনার জন্য এবং তাদের মনের কথা তুলে ধরার জন্য একটি মহিলা মাসিক পত্রিকা বামাবোধিনী প্রকাশ করেন ও আজীবন সম্পাদনা করেছেন। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমাধিতে 'দাঁড়াও পথিকবর জন্ম তব ....' খোদিত ফলকটি তাঁর উদ্যোগেই স্থাপিত হয়েছিল ।

  বর্মী রাজনীতিক, কূটনীতিক এবং লেখিকা আন সান সু চি ১৯৪৫ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। মায়ানমারের প্রথম রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা এবং ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির নেত্রী। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ফ্রিডম ফ্রম ফিয়ার, লেটারস ফ্রম বার্মা। গণতন্ত্র ও মানবতার পক্ষে সংগ্রামের জন্য তিনি ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে  সম্মানিত হয়েছেন। জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

  বাঙালি চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায় ১৯৮১সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। ইনি  ভারতে প্রথম এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় নল-জাত শিশু দুর্গার সৃষ্টিকর্তা হিসেবে স্বীকৃত। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের নিকট তাঁর গবেষণার ফল জানানোর ক্ষেত্রে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দ্বারা প্রচণ্ড ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হন এবং পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসক সমাজ দ্বারা ক্রমাগত বিদ্রুপ ও অপমানে হতাশ হয়ে  ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে আজকের দিনে আত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁর  জীবন ও মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তপন সিনহা এক ডক্টর কি মউত নামক হিন্দি চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন।

  উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি অক্ষয়কুমার বড়াল ১৯১৯ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। প্রথম কবিতা রজনীর মৃত্যু। বাংলা গীতিকবিতার ইতিহাসে তিনি বড়াল কবি নামে পরিচিত। তাঁর কাব্য রচনার মূল বিষয় ছিল নিসর্গ, সৌন্দর্যবাদ, কল্পনামূলক প্রেম, শোক এবং মানববন্দনা,নারীপ্রেমের শান্তরস। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে বিহারীলালের সাক্ষাৎ ভাবশিষ্য নামে আখ্যায়িত করেন।

 বর্তমান পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্ত ২০০৮ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। এই  ভারতীয় সাংবাদিক মানুষের সহজবোধ্য ভাষায় সাবলীল সংবাদ পরিবেশনা ও তত্ত্বব্যাখ্যার দ্বারা  তাঁর সংবাদপত্রটিকে প্রভূত জনপ্রিয় পর্যায়ে উন্নীত করেছিলেন। এমনকি নিজেকে পর্যন্ত সচেতনভাবে টেলিভিশন ক্যামেরা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন আমৃত্যু। তাঁর লেখা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ পালাবদলের পালা, ইন্দিরা একাদশী, অন্ধকারের অন্তরালে, সিদ্ধার্থ শঙ্কর: সিদ্ধি ও নির্বাণ, সব চরিত্র কাল্পনিক ইত্যাদি।

  ভারতের চলচ্চিত্র অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থী ১৯৬২ সালে  আজকের দিনে জন্মেছিলেন। ১৯৮৬ সালে কন্নড় ছবি আনন্দ দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু। ইনি মূলত বিভিন্ন ভাষা বিশেষ করে বলিউড, তামিল, কন্নড়, মালায়ালাম, তেলেগু এবং বাংলা চলচ্চিত্রে খল অথবা কমিক চরিত্রে কাজ করে থাকেন। ১৯৯৫ সালে তিনি দ্রোহকাল চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

অগ্নিযুগের বিপ্লবী নলিনী দাস ১৯৮২ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম এই  ব্যক্তির রচিত স্বাধীনতা সংগ্রামে দ্বীপান্তরের বন্দী গ্রন্থে তাঁর দীর্ঘ ২৩ বছরের কারাবাস এবং ২০-২১ বছরের পলাতক জীবনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কিছু পরিচয় পাওয়া যায়।

মনীষী উবাচ :
যে সহজ প্রয়োজনের সীমায় মানুষ সুস্থভাবে সংযতভাবে পরস্পরের যোগে সামাজিকতা রক্ষা করতে পারে, ব্যক্তিগত দুরাকাঙক্ষা সেই সীমাকে নিরন্তর লঙ্ঘন করবার চেষ্টায় মিলনের বাঁধ ভেঙে দিতে থাকে।
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
------------------------------
সংকলক- রুম্পা প্রতিহার 
------------------------------
জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇
আরও পড়ুন 

Post a Comment

0 Comments