জ্বলদর্চি

৬ জুন ২০২১

 Today is the 6th June, 2021
আজকের দিন 
বাংলায়---২২ জ্যৈষ্ঠ রবিবার ১৪২৮

 বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র কিরীটী রায়ের স্রষ্টা ডাঃ নীহাররঞ্জন গুপ্ত  ১৯১১ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। চিকিৎসক হিসেবে অতি কর্মচঞ্চল জীবন-যাপনের মধ্যেও তিনি রেখে গেছেন অসংখ্য সাহিত্যধর্মী সৃষ্টি যা আপন সত্তায় ভাস্বর।তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘রাজকুমার’ মতান্তরে ‘রাজকুমারী।কেবলমাত্র রহস্য উপন্যাস নয়, তাঁর  সামাজিক উপন্যাসগুলোও সুখপাঠ্য।

  জার্মান সাহিত্যিক পাউল টমাস মান (Paul Thomas Mann) ১৮৭৫ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। ইনি  ছিলেন একজন  ঔপন্যাসিক, ছোট গল্প লেখক, প্রাবন্ধিক, সমাজ সমালোচক ও মানব-হিতৈষী।১৯২৯ সালে মূলত তাঁর প্রথম উপন্যাস বুদেনব্রুকস-এর জন্যই তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।তাঁর রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য,  ইউরোপীয় ও বিশেষভাবে জার্মান সত্ত্বার স্বরূপ উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন  গল্পে প্রতীক ও বাইবেলের বিভিন্ন রূপক ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছেন।

  রাশিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি আলেক্সান্দ্‌র সের্গেইয়েভিচ পুশকিন  ১৭৯৯  সালে আজকের দিনে( মতান্তরে ২৬ মে) জন্মেছিলেন। একজন রোমান্টিক ধাঁচের কবি, নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক।অনেকেই তাঁকে  আধুনিক রুশ সাহিত্যের জনক হিসাবে আখ্যায়িত করে থাকেন।তাঁর বিতর্কিত কবিতা 'ওড টু লিবার্টি--- রাশিয়ার জার প্রথম আলেকজান্ডার কর্তৃক তাঁর নির্বাসন দানের অন্যতম কারণ। জারের রাজনৈতিক পুলিশ বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে, লেখা প্রকাশ করতে অক্ষম থাকা অবস্থাতেই তিনি তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত নাটক বোরিস গোদুনোভ লিখেছিলেন।

  বিখ্যাত স্পেনীয় চিত্রশিল্পী দিয়েগো বেলাসকেস (স্পেনীয় ভাষায়: Diego Rodríguez de Silva y Velázquez)  ১৫৯৯ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। পুরো নাম দিয়েগো রোদ্রিগেস ডি সিলবা ই বেলাসকেস। তিনি রাজা চতুর্থ ফিলিপ -এর রাজদরবারের প্রধান শিল্পী ছিলেন। ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদী এই শিল্পী মূলত পোর্ট্রেট শিল্পে সিদ্ধি লাভ করেছিলেন। ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বহু দৃশ্যকে ছবিতে ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি স্পেনের রাজ পরিবারের অনেকের পোর্ট্রেট এঁকেছেন । তাঁর শিল্পী ক্যারিয়ার চূড়ান্ত সফলতা লাভ করেছে লেস মেনিয়ান্সের মাধ্যমে।

  বঙ্গীয় শিল্পকলার ভারতীয় চিত্রকর ও চিত্রকলা প্রশিক্ষক সুধীররঞ্জন খাস্তগীর ১৯৭৪ সালে  আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। তাঁর ভাস্কর্য মূলত ব্রোঞ্জ, প্লাস্টার ও কংক্রিটের মাধ্যমে। মনঃকল্পিত ভাস্কর্যের সাথে বহু বিশিষ্ট বিদেশী ও ভারতীয়ের মুখাকৃতি রচনা করেন। তাঁর অঙ্কিত  চিত্রগুলি ভারতীয় পুরাণ কাহিনী আধারিত, নারী অবয়বে ও মনোমুগ্ধকর পল্লীদৃশ্যে পরিস্ফুট। তাঁর রচিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য  গ্রন্থ হল ডানসেস ইন লিনোকাট, পেন্টিংস,স্কাল্পচার,পেন্টিংস অ্যান্ড ড্রয়িংস্ ইত্যাদি।

  কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় বিচারপতি  শম্ভুনাথ পণ্ডিত ১৮৬৭ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। এই বাঙালি আইনজীবী বাংলার নবজাগরণের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব  ছিলেন। ১৮৬৩ সালে কলকাতা উচ্চ আদালতে প্রথম ভারতীয় বিচারপতি হিসেবে কাজ শুরু করেন ও আমৃত্যু এই পদে আসীন ছিলেন। হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় আইন বিষয়ে প্রবন্ধ লিখতেন।আদি ব্রাহ্মসমাজে ঈশ্বর সম্পর্কে তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা হল - 'On the being of God'।কলকাতা শহরে তাঁর নামে একটি বৃহৎ হাসপাতাল ও একটি রাজপথ তাঁর নামে নামাঙ্কিত রয়েছে। কলিকাতা হাইকোর্টে তাঁর একটি মুর্তি প্রতিষ্ঠিত আছে।

  বাংলা ভাষার স্বনামধন্য বিজ্ঞান লেখক আচার্য রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী ১৯১৯ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। তিনি বিজ্ঞান বিষয়ক প্রচুর গ্রন্থ ও প্রবন্ধ রচনা করেন এবং বক্তৃতার মাধ্যমে বাঙালিদেরকে বিজ্ঞান চর্চায় অনুপ্রাণিত করেন।  বিশুদ্ধ বিজ্ঞান ছাড়াও তিনি দর্শন ও সংস্কৃত শাস্ত্রের দুর্বোধ্য বিষয়গুলো সহজ বাংলায় পাঠকের উপযোগী করে তুলে ধরেন।জিজ্ঞাসা, বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা, চরিত কথা, শব্দকথা ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

  ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী দীনেশচন্দ্র মজুমদার ১৯৩৪ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। প্রতিবেশী বিপ্লবী অনুজাচরণ সেনের মাধ্যমে যুগান্তর বিপ্লবী দলে যোগদান করেন। ১৯৩০ সালে ২৫ আগস্ট তিনি ও  অনুজাচরণ সেন  অত্যাচারী কুখ্যাত চার্লস টেগার্ট সাহেবের গাড়ীতে বোমা নিক্ষেপ করেন। টেগার্ট বেঁচে যান কিন্তু তাঁরা ধরা পড়েন। অনুজাচরণ ঘটনাস্থলেই মারা যান। বিচারে দীনেশ মজুমদারের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।

 ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা সুনীল দত্ত ১৯২৯ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ছিলেন প্রযোজক, পরিচালক এবং রাজনীতিবিদ। ১৯৫৫ সালে নির্মিত রেলওয়ে স্টেশন তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র।  তবে ১৯৫৭ সালের 'মাদার ইন্ডিয়া' তাঁকে বলিউডের ফিল্ম তারকা করেছিল।  এছাড়া  'মুঝে জিনে দো,খানদান',ইত্যাদি সিনেমাতে তাঁর  অভিনয় প্রশংসনীয়।

মনীষী উবাচ :
রাষ্ট্রতন্ত্রেই কী আর শিক্ষাতন্ত্রেই কী, কঠোর শাসন- নীতি শাসকেরই অযোগ্যতার প্রমাণ।(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
-----------------------------
সংকলক- রূম্পা প্রতিহার
----------------------------
জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments