জ্বলদর্চি

প্রথাগত শ্রেণীকক্ষ শিক্ষা আজ চ্যালেঞ্জের মুখে/সজল কুমার মাইতি

প্রথাগত শ্রেণীকক্ষ শিক্ষা আজ চ্যালেঞ্জের মুখে

সজল কুমার মাইতি

করোনা ভাইরাস (COVID-19) এর প্রাদুর্ভাবে আজ সারা বিশ্ব দিনের পর দিন লক ডাউন হয়ে আছেl মানুষ আজ গৃহ বন্দিl স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সব দিনের পর দিন বন্ধ।  পড়া শোনা সব মাথায় উঠেছে l আমদের দেশে ও লক ডাউন দেড় বছরের অধিক কাল ধরে বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন আকারে চলছে। স্কুল কলেজ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ই বন্ধ l যেখানে সব যান চলাচল বন্ধ, মানুষ জন বাড়ির বাইরে বেরুতে পারছেন না, সেখানে শ্রেণীকক্ষ শিক্ষাদান আকাশ কুসুম ব্যাপার। এভাবে অনন্ত কাল ঘরে বসে টাইম পাস করলে তো চলবে না। 

  তাই কিছুটা নিজেদের ভেতরের তাগিদে আর কিছুটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা ও আগ্রহে বাড়িতে বসে অনেকে অনলাইন পাঠদানের একটা চেষ্টা নিজেদের ক্ষমতা অনুসারে শুরু করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সবাই মোটামুটি এক সারিতে দাঁড়িয়ে আছে l যদিও সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে টিভিতে স্কুল শিক্ষাদানের প্রয়াস শুরু হয়ে গেছে l তবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হয়তো এই অনলাইন পাঠদানের ব্যাপারে একটু এগিয়ে আছে l শিক্ষকরা  হোয়াটসঅ্যাপ(whatsapp), জুম (Zoom App ) অ্যাপ, গুগল ক্লাসরুম (Google Classroom App) অ্যাপ গুগল মিট ( Google meet) ইত্যাদি অ্যাপ এর মাধ্যমে নিজেদের মতো করে শিক্ষাদানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেনl কতটা সফল শিক্ষাদান হচ্ছে, ছাত্ররা কতটা উপকৃত হচ্ছে কেবল সময় ই বলবে l এ ছাড়া ফোন ও ইমেইল এর মাধ্যমে ও শিক্ষকরা পাঠ দান চালিয়ে যাচ্ছে l তবে এর মধ্যে ও কোনও কোনও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অতি উৎসাহে শিক্ষকদের অনলাইন শিক্ষাদানের স্ক্রিন শট প্রমান স্বরূপ রেখে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন l 

  মানুষের জীবন জীবিকা যখন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে গেছে, তখন এই ধরণের অতি উৎসাহী নির্দেশিকা শিক্ষক ছাত্রদের হতাশার মধ্যে ঠেলে দেবে না তো? স্বতঃস্ফূর্ত উৎসাহ যা বিবেকের তাড়নায় শুরু হয়েছিল কোথাও না কোথাও তার অভাব দেখা দেবে না তো? শিক্ষাদান বেত্র দান দিয়ে হয় না, এ বিবেকের স্বতঃস্ফূর্ত তাড়নার ফল স্বরূপ। 

  বর্তমানে অনলাইন শিক্ষা দানের যে চিত্রটা পাওয়া যাচ্ছে তার একটি সংক্ষিপ্ত রূপরেখা এভাবে দেওয়া যেতে পারে l অনুমান করা হচ্ছে আমাদের দেশে 2026 সালের মধ্যে অনলাইন শিক্ষার বাজার বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে যেতে পারে 8.6 বিলিয়ন ডলারে। 2019 এবং 2020 সালের মধ্যে আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বেড়েছে 128 মিলিয়ন। শুধু তাই নয়, এই সময়ে গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা শহরের ব্যবহারকারীদের তুলনায় অনেক বেশি।  ডিগ্রি লেভেল এ অনার্স এর ক্ষেত্রে শহর ও শহরতলির কলেজগুলির ছাত্রদের অংশগ্রহণ কত শতাংশ তা  নির্নয় করা সত্যিই দুঃসাধ্য l প্রত্যেকের প্রতি ক্লাস এ অংশ গ্রহণ হয়তো সম্ভব হচ্ছে না, সে তো প্রথাগত শ্রেণি কক্ষ শিক্ষা দানের ক্ষেত্রে কত জন ছাত্র অংশ গ্রহণ করে তা তো আমরা যারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়াই তারা সবাই জানি l স্বল্প সংখ্যক ছাত্র নিয়ে নিয়মিত ক্লাস নেওয়া আমাদের নিত্য দিনের অভিজ্ঞতা, এমন কি এক দুজন ছাত্র নিয়ে বহুদিন ক্লাস করতে হয়। এমন কি ছাত্র শূন্য শ্রেণি কক্ষ কোনও বিরল ঘটনা নয় l সপ্তাহে ছ দিন (প্রস্তুতি দিন উপভোগ না করে) কলেজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি হাতে গোনা গুটি কয়েক কলেজ বাদ দিলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবস্থা প্রায় এক। 

   শূন্য শ্রেণি কক্ষ হওয়া সত্বেও পরীক্ষার ফরম ভর্তির জন্য কিন্তু ন্যূনতম উপস্থিতির হিসেব দিতে হয় l তবে অনলাইন ক্লাস এর ক্ষেত্রে এদের অংশগ্রহণ যেমন সন্তোষ জনক, প্রশ্ন করার বিষয়ে ও অনেক এগিয়ে আছে l বলতে দ্বিধা নেই এদের অংশগ্রহণ প্রথাগত শ্রেণি কক্ষ শিক্ষাদানের চেয়ে অনেক এগিয়ে বিশেষত ষষ্ঠ সেমিস্টার এর ক্ষেত্রে (বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে নয়) l ছাত্রদের গ্রুপের মধ্যে নিজেদের অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা যে হয় না হলফ করে বলতে পারব না l হোক না টাইম পাস তা ও তো দরকার? 

 
 জেনারেল কোর্স এর ছাত্রদের কথা যত কম বলা যায় ততই ভাল l অনলাইন শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে এদের অংশ গ্রহণ আদৌ উৎসাহজনক নয় l এদের গ্রুপের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন যেমন উল্লেখযোগ্য ভাবে কম, অংশ গ্রহণ ততোধিক কম l তবুও বলা ভাল প্রথাগত শিক্ষার শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি হার এর চেয়ে ঢের ভাল। 

  জেনারেল বা পাস কোর্স এর ছাত্রদের ক্ষেত্রে সবারই অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয় (অতি স্বল্প কয়েকটি ছাত্র বাদ দিয়ে) l কলেজে এসে ক্লাস করার প্রবণতা এদের মধ্যে বরাবরই খুব কম l সেজন্য এদের ক্ষেত্রে অনলাইন কিংবা অফলাইনে হেরফের খুব একটা উল্লেখযোগ্য নয় l তা সত্ত্বেও বলা যায় যে অনলাইন এ ক্ষেত্রে কিছুটা ভাল অংশ গ্রহণ ও ফিডব্যাক উভয় ক্ষেত্রেই l বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি জেনারেল কোর্স এর ছাত্রদের কলেজে ক্লাস উপস্থিতি এর রেজিস্টার এ শিক্ষকদের দিনের পর দিন এন এফ পি (NFP) অর্থাৎ নান ফাউন্ড প্রেজেন্ট অথবা ডট দিয়ে ভরাতে হয় l ছাত্র অনুপস্থিত থাকার জন্য শুধু ছাত্রদের দোষ দিয়ে লাভ নেই, এ বিষয়ে শিক্ষকরা অনেকেই  ধোয়া তুলসী পাতা নয় l 

  এই চিত্র কিন্তু পছন্দ সই মিশ্র পাঠ পদ্ধতি চালু হওয়ার পরের অবস্থা, যে ব্যবস্থায় উপস্থিতির জন্য মার্কস এর শর্ত সব কটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রবর্তন করেছে l যার অর্থ দাঁড়ায় ক্লাস না করে নিশ্চিত মার্কস এর পাকা ব্যবস্থা l কলেজ গুলো ছাত্র আন্দোলনের ভয়ে বাধ্য হয় অলিখিত এই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত এ রাজি হতে l কিছু কিছু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্তভাবে স্বল্প উপস্থিতির জন্য ছাত্রদের পরীক্ষায় বসা আটকানোর ক্ষীণ দুর্বল চেষ্টা করে, কিন্তু সাফল্য এর হার কহতব্য নয় l আর পুরোনো পদ্ধতিতে টেস্ট পরীক্ষার পর কলেজে কলেজে গণ্ডগোল লেগে থাকতো ছাত্রদের উত্তীর্ণ করিয়ে দেওয়ার নিরন্তর চাপের মাধ্যমে l এ সব সত্ত্বেও বলবো অনলাইন পাঠ দানের ক্ষেত্রে অনার্স ও জেনারেল উভয় ক্ষেত্রেই অনেক বেশি সন্তোষজনক l একটা সেমিস্টার এর অর্ধেক এর বেশি সময় অতিক্রান্ত, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ l পড়া শোনা পরীক্ষা সব অনিশ্চিত l এক অনিশ্চয়তার ভবিষ্যৎ l এই পরিবেশে অনলাইন ব্যবস্থায় কিন্তু যেভাবেই হোক লেখা পড়ার প্রক্রিয়া চালু রাখার প্রয়াস দেখা যাচ্ছে। 

  করোনার পরিবেশে অনলাইন পাঠদান এর জন্ম বলাটা উচিত হবে না, তবে এর গণরূপ ধারণ হয়েছে  সে বিষয়ে মিথ্যাচার হবে না l এই পরিস্থিতি যদি আর ও কিছু দিন ধরেই চলে, তাহলে আমরা এই অনলাইন লেখা পড়া পদ্ধতিটি হয়তো স্থায়ী শিক্ষাদানের পদ্ধতি হিসেবে তার স্থান পাকা করে নেবে l হাঁ, তখন এর আর ও উন্নততর সংস্করণ বাজার এ এসে যাবে, এই পদ্ধতিতে যে যে অসুবিধে ছিল সেগুলোর অনেকটাই হয়তো শুধরে নেওয়া যাবে l আমরা সবাই এ ব্যাপারে হয়তো অভ্যস্ত হয়ে উঠব l মানুষ তো অভ্যাসের দাস l হয়তো দেখা যাবে বাড়িতে থেকে পড়াতে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করছি l ছাত্ররা বাস ট্রেন ঠেলে রোজ রোজ কলেজ এসে ক্লাস করার চেয়ে বাড়িতে থেকে মোবাইলে বা কম্পিউটার এর সামনে বসে ক্লাস করায় অনেক বেশি অভ্যস্ত হয়ে উঠবে l আর সামনা সামনি থেকে শিক্ষকের শাসনের হাত থেকে মুক্তি, পড়া না বুঝতে পারার জন্য বন্ধুদের সামনে অপদস্থ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই l বাড়ি ফেরার অনিশ্চয়তা নেই বাড়িতে বসেই ইচ্ছেমত ক্লাস করা l কত স্বাধীনতা l 

  আগে অনলাইন ছাত্র ভর্তি তো ছিল না, আর এখন অনলাইন ছাত্র ভর্তি বাধ্যতামূলক l সেরূপ অনলাইন শিক্ষা হয়তো নিয়মে পরিণত হয়ে যাবে l প্রথাগত শ্রেণি কক্ষ শিক্ষা ধীরে ধীরে পেছনে পড়ে যাবে l অবশেষে জাদুঘরের সিডি (CD) তে স্থান করে নেবে l হয়তো এটাই ভবিষ্যৎ প্রথাগত শ্রেণিকক্ষ শিক্ষার! কি ভবিষ্যৎ তা তো সময়ই বলবে l বর্তমান পরিস্থিতি প্রথাগত শিক্ষাকে যে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই l দিনের পর দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ বলে লেখা পড়া তো আর অনাদি কালের জন্য বন্ধ থাকতে পারে না l প্রথাগত শিক্ষার এই প্রতিবন্ধকতা আজ অনলাইন শিক্ষাকে লাইমলাইটে এনে দিয়েছে l পথ খুঁজতে খুঁজতে এতেই যেন আশার আলো দেখতে পাওয়া গেছে l এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগ নিযুক্ত কমিটি ও অনলাইন পরীক্ষা সম্ভব হলে নেওয়া যেতে পারে অথবা মিশ্র পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করেছে l তাছাড়া, মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও দূর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি অনলাইন ব্যবস্থার ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল l তারা যদি সফল হয়, এখানে সেটা অসম্ভব কেন? আর প্রথাগত শিক্ষায় খাতায় কলমে উপস্থিতি রইল, কিন্তু  বাস্তবে আদৌ উপস্থিতি রইল না কিন্তু মার্কস পাওয়া গেল l তাহলে অনলাইন এর ক্ষেত্রে ও মার্কস পেতে বা দিতে অসুবিধে কোথায়? 

  তাবলে অনলাইন শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই তা ভাবার কোন কারণ নেই l এই ব্যবস্থা ডিজিটাল বিভাজন সৃষ্টি করবে না তো? কত জন ছাত্রের কাছে স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ আছে? এই বিষয়ে প্রতীচি ট্রাস্টের তথ্য প্রনিধানযোগ্য। তাদের মতে গ্রামাঞ্চলে প্রায় 40 শতাংশ ছাত্রছাত্রীর স্মার্টফোন নেই বা ইন্টারনেট কানেকশন নেওয়ার ক্ষমতা নেই। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ও মফসসল এলাকায়? সব জায়গায় ইন্টারনেট যোগ আছে? থাকলে ইন্টারনেট স্পিড কি যথেষ্ট? নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহারের আর্থিক সঙ্গতি কি সবার আছে? তাছাড়া, ক্লাস রুমে শিক্ষকের সৃজনশীলতার যে সুযোগ থাকে, ছাত্রদের আলাদা ভাবে প্রয়োজন অনুসারে উদাহরণ দিয়ে তার বোঝার ক্ষমতা অনুযায়ী ব্যাখ্যা করতে হয়, সে সুযোগ অনলাইন এ কোথায়? সৃজনশীলতা শিক্ষকের সবচেয়ে বড় গুণ l তা না হলে শিক্ষা দানই ব্যর্থ। 

   যতই বলি না কেন অনলাইন এ অংশগ্রহণ এর হার এখন  অব্দি অনেক সন্তোষজনক, অলক্ষ্যে থাকা কারণ গুলোকে উপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না l চার দিকে লকডাউনে গাড়ি ঘোড়া দোকান পাট সব বন্ধ l বাইরে আড্ডা মারতে যাওয়ার ও উপায় নেই l প্রাইভেট টিউশন কোচিং সেন্টার বন্ধ l এই অবস্থায় অনলাইনে অংশগ্রহণ করা ছাড়া উপায় কি? একবার লকডাউন উঠে যাক, প্রাইভেট টিউশন কোচিং সেন্টার খুলে যাক। দোকান পাট খুলে যাক।  তখন কিন্তু হলফ দিয়ে বলা যেতে পারে অনলাইনে ও উপস্থিতির হার কমতে বাধ্য l প্রাইভেট টিউশন কোচিং সেন্টার এ যেতে হবে অনেক ছাত্রকে, অনেক ছাত্র নিজেরা প্রাইভেট পড়িয়ে নিজেরা পড়াশোনার খরচ জোগাড় করে ; তার ওপর আড্ডা ও অন্য অনেক কাজ আছে l এসব বজায় রেখে নিয়মিত অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না l সেক্ষেত্রে অনলাইনে ও অংশগ্রহণ কমতে পারে l 

  সর্বোপরি, বর্তমানে যে ধরনের  অপরিকল্পিত অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা চলছে তাতে এই বিষয়টি ভবিষ্যতে টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন l এখনই যদি এসব দেখি তবে আসল সত্য প্রকাশ্যে চলে আসবে l একটা কলেজের সঙ্গে অপর কলেজের অনলাইন ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আলাদা চিত্র দেখব l এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ও পার্থক্য অনেক l এমনকি, একই কলেজের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ও পার্থক্য লক্ষণীয় l এই বৈষম্য নিয়ে কত দূর এগোতে পারা সম্ভব সময়ই তা বলবে l তবে হলফ করে বলতে পারি অনলাইন শিক্ষা প্রথাগত শিক্ষাকে চ্যালেঞ্জ এর মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে l এই বিষয়ে কোন দ্বিমত পাব বলে মনে হয় না।

তথ্য সূত্র : সহকর্মী ও বন্ধুদের গ্রুপ ; বিভাগীয় গ্রুপ ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা; দ্য হিন্দু পত্রিকা; বিভিন্ন ওয়েবসাইট।

সজল কুমার মাইতি
প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান, বানিজ্য বিভাগ, হুগলী মহসীন কলেজ। পূর্বতন অধ্যাপক, গোয়েঙ্কা কলেজ অফ কমার্স এ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন, কলকাতা। চৌত্রিশ বছরের অধিক কাল ইউ জি ও পি জি শিক্ষা দানের অভিজ্ঞতা। বতর্মানে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কলেজের বানিজ্য বিষয়ে সিনিয়র সার্ভিসের একমাত্র অধ্যাপক।

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇
আরও পড়ুন 

Post a Comment

0 Comments