জ্বলদর্চি

পাতি মানুষের পাঁচালি-১/(উপন্যাস)/(উৎসব ১৪২৮)/পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

পাতি মানুষের পাঁচালি:: ১
পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায় 

আরম্ভের কথা

প্রথমেই বলি, 'এ লেখার সম্পুর্ন  কাল্পনিক, বাস্তবের কোনাে ঘটনা বা চরিত্রের সঙ্গে এর কোনো মিল থাকলে তা কাকতলীয় ধরে নিতে হবে।'-এরকম দাবি  করছি না। আবার এমনও দাবি করছি না যে, এ লেখা যেমন যেমন, তেমনটিই ঘটেছে তেমন স্থানে তেমন কাল এবং চরিত্রদের নিয়ে। সবকিছু  পাল্টে গেছে স্বাভাবিক কারণেই। লিখতে শুরুর করার আগে ভেবেছিলাম , এই প্রথমবার ‘মানুষ’ নিয়ে একটা আস্ত উপন্যাস লিখে ফেলব।  পরে দেখলাম  ব্যাপারটা মোটেই তেমন কিছু দাঁড়ায়নি। এতে না আছে কোনো কাহিনীর বিস্তার বা বিন্যাস, উল্টে বিচ্ছিন্ন কিছু মানুষের জীবন ও মনের আলাে আঁধারি, পরিবেশের কারণে তার পালটে যাওয়া ও বিভ্রান্তি নিয়ে পাতার পর পাতা শব্দের বােঝা হয়ে গেছে এটি। কোনোদিন নিজের কোনো কাজ নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করিনি। তেমন স্বভাব নয় আমার। উল্টে মনেপ্রাণে এ দর্শনে চিরকাল বিশ্বাস করে এসেছি যে, তাগিদই মানুষকে দিয়ে যা কিছু করার করিয়ে নেয়, সমাজ তাকে গ্রহণ করুক বা বর্জন। সুতরাং , আমার এ সৃষ্টির ,আদৌ যদি সৃষ্টি হয়ে থাকে, পাঠক সমাজ   কি ভাবে তা নেবেন; আমি জানি না।   ভাবিও না, কারণ তা আমার হাতে নয়।  তবু এরপর যদি তাঁরা শেষ পর্যন্ত পড়েই ফেলতে পারেন এ অবিন্যস্ত কথামালার মিছিল, তবে ধরে নিতে হবে, এই বিপন্ন স্বার্থবাদের যুগেও  মানুষ অন্য মানুষ নিয়ে আগ্রহ হারান নি। আমি নিজে একজন পাতি মানুষ। কখনো ভাবিনি মানুষ চরিত্র নিয়ে ভাবনাচিন্তা করব। এত বিষয় থাকতে কেন যে এমন জটিল একটা বিষয় নিয়ে নাড়াচড়া করতে গেলাম তা বােধহয় তিনিই জানেন যিনি করান সবকিছু। যা কিছু অব্যাখ্যাত, ধোঁয়াশায় ঢাকা , বিভ্রান্তিকর তা ‘ওনা’র উপর অক্লেশে চাপিয়ে দিয়ে পরম নিশ্চিন্তে  ঘুমােনাের অভ্যাস সাধারণ মানুষ মাত্রেরই থাকে, আমারও আছে।  তথাকথিত শ্রেষ্ঠ দ্বিপদ বিভিন্ন গুণে ও দোষের সংমিশ্রণ  সৃষ্টির সেই আদিলগ্ন থেকে । এখনো  পর্যন্ত তারা গর্বের সঙ্গে তাই'ই। এসবের মধ্যে সবিশেষ উল্লেখযােগ্য হল তাদের সবজান্তা ভাব। জুতাে সেলাই থেকে চুলকাটা, ভূতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব , মহাকাশতত্ত্ব সবকিছু তাদের নখদর্পণে। শুধু নিজেদের  যে ব্যাপারটা জানার কথা , সে ব্যাপারটায় তারা অজ্ঞ। এবং এর কারণে স্বীকৃতি না পেলে তারা মনে করে, বাকিরা তাদের বােঝে না, কদর করে না! পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ আছেন  যাঁরা যােগ্যও বটেন।  তাঁদের অন্য ব্যাখ্যা আছে এ ব্যাপারে। আর, তা হলো গুরুত্ব পেতে বড় ভালােবাসে মানুষ। যােগ্য মানুষ গুরুত্ব পেলে আপত্তির কিছু নেই, কিন্তু বিষয় হল ‘অযােগ্যের গুরুত্বপ্রাপ্তি'  ঘটে বেশি।  দাতা, গ্রহীতা কেউ-ই এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র লজ্জিত হয় না। কেন এমন হয় এর কোনো উত্তর নেই। কেবল এ কথাই বারবার মনে হয় যে, এও এক ধরনের হীনতা, যার কারণে তার অজ্ঞতা ও অশিক্ষাকে যােগ্যতা বলে চালিয়ে তৃপ্তি পায় মানুষ।

অকারণে অন্যের ব্যাপারে নাক গলিয়ে সরল ব্যাপারকে জটিল করে তুলতে মানুষের জুড়ি নেই। এ কারণে কত যে বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকা, ভাই-বােনের বিচ্ছেদ ঘটেছে , তার কোনাে গােনাগুনতি নেই। এতে অবশ্য দায় দুপক্ষেরই। যারা ভুক্তভােগী তাদের অনাবশ্যক ভালােমানুষি আর যারা নাক গলায়, তাদের অন্যের ব্যাপারে কুটকচালি করে আনন্দ পাওয়ার স্বভাব  উভয়ই এ ব্যাপারে সমান দায়ী। 

মানুষ  মানুষকে সহানুভূতি জানাতে ভালােবাসে কিন্তু অভিনন্দন জানাতে নয়। সহানুভূতির মধ্য দিয়ে, সফলের বিফলের প্রতি দয়ার তৃপ্তি প্রকাশ পায় আর অভিনন্দনে তার পরাজয়ের। আর ব্যার্থতা, হার এসব কে-ই বা পছন্দ করে? বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই  মানুষ তার ভুল কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়না, যার প্রতি ভুল হয়েছে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করার  তো প্রশ্নই আসেনা। অথচ ক্ষমা চাওয়াতে দুঃখ নয়, চিরকাল আত্মগরিমা বাড়ে।  গরিমায় তৃপ্ত হতে মানুষের অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ হওয়ার কথা। 

উদারতার ভান একধরনের অহং। কিছু মানুষ দাবি করে যে তারা যা করে তা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য, সমাজের জন্য করে । আসলে কথাটা হল 'নিঃস্বার্থ', এই পরিচয় লাভই একটি বিরাট স্বার্থ। মানুষ স্বার্থের জন্য বাঁচে, বাঁচার জন্য স্বার্থপর হয়। সত্যি বলে নিজের লাভের কথা ভাবে, মিথ্যে বলে সেই একই কারণে। পাপ করে ভালাে থাকার জন্য, পুণ্য করে ভালাে থাকার জন্য। মহৎ সাজে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে । ছােট জীবনটাতে কতখানি পেলে তৃপ্ত হবে তা নিজেই জানে না সে। কেবলই পাওয়ার নেশায় আকচাআকচি করে মরে।
অনেক ছােটোবেলায় বিভুদাকে চিনতাম। ওরকম অদ্ভুত চরিত্রের মানুষ আজ পর্যন্ত আর দেখিনি আমি। সে না ছিল সবজান্তা, না ছিল অন্যের ব্যাপারে কৌতূহলী, না হিংসুটে, না সহানুভূতিশীল। নিজের মনে, নিজের মতে, নিজের ঘােরে বাঁচত সর্বদা।  ফলে মানুষ তার নাম দিয়েছিল বিভু পাগলা।  আসল সমস্যাটা, বিভুকে নিয়ে নয়,  মানুষের মানসিকতায়। আমরা চিরকালই এমন থেকে  যাব ঠিক করেছি। কারাে জীবনধারা নিজের জীবনধারার সঙ্গে না মিললে, মনের মতাে কাজ না করলে সে পাগল।  এও এক ধরনের উন্মত্ততা। ধর্মীয় উন্মত্ততার বিরুদ্ধে জেহাদি লেখককে আমরা পছন্দ করি না,  আর এই উন্মত্ততা দোষের নয় ?

কী আছে এ ক্ষুদ্র জীবনে যে এক জীবনে সবকিছু পেয়ে সম্পৃক্ত হতে হবে? সে সমৃদ্ধি আসলে নিঃস্বতারই সামিল নয় কি ? আমি সব পেয়ে তৃপ্ত নাকি অন্যের জন্য সব ছেড়ে বেশি?- এ হিসাব মেলাতে ক্লান্ত লাগে মাঝে মাঝে। সন্দেহ হয়, সব  মানুষই হয়তাে এ লড়াইয়ে ক্লান্ত।  সব আত্মসাৎ করতে হবে জীবনে; সব পেতে হবে। সব অভাববােধ সব বিষণ্ণতাকে গলাধাক্কা দিয়ে সুখী হওয়ার ভান করতে হবে। যন্ত্রণাকে উপেক্ষা করে সুখী হওয়ার মানসিকতা বেশি কাম্য না কি লড়াই ছাড়া সফল হওয়াটা?  বড়লােক বাপের লালু ছেলেরা অপদার্থের বিলাসিতায়  যে জীবন কাটায় তা বেশি সুখের ? নাকি রােজ কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে নিজের সাধ্যে বাসে বাদুরঝােলা হয়ে অফিস যাওয়াটা বেশি সুখের ? সুখ কি বিলাসিতা না কি মানসিক অস্থিরতা? বিলাসিতা যদি সুখ হয় তাহলে পৃথিবীর সমৃদ্ধতম পাশ্চাত্যের নাগরিকেরা কীসের টানে ভারতীয় দর্শন শিখতে ছুটে আসে?

আসল কথা আমরা জানি না, আমরা ঠিক কী চাই। আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের গরিমা আমাদের চাহিদার উচ্চাশাকে এত জটিল ও শ্রমসাধ্য করে দিয়েছে যে কখনো কোনাে প্রাপ্তিতে তৃপ্তি পাইনা  আমরা এখন আর। সবসময় আকাঙ্ক্ষা, আরও চাই, আরও চাই।
অথচ কতটুকু লাগে জীবন ধারণের জন্য? খাওয়া, পরা আর সুস্থ নীরােগ থাকার নিশ্চয়তা, এগুলাে পেয়ে গেলে আর কী দরকার জীবনে ?  আত্মা ছাড়া আর কোন জিনিসটা চিরস্থায়ী পৃথিবীতে? অথচ তাকে যত্নে লালন করাতেই যত আপত্তি আমাদের। খেয়াল করে দেখবেন কোনাে মানুষ নিজের অবস্থানে সুখী নয় পৃথিবীতে। ছােটরা বড় হতে চায়, বড়রা ছােট । ধনী আরও ধনরাশির স্বপ্ন দেখে। ভিখারির রাজা হওয়ার সখ। কারাে সুখ নেই। সবাই দুঃখী। নিজেকে নিয়ে নিজেরটা নিয়ে সুখে থাকলে যেন কী সর্বনাশ হয়ে যাবে পৃথিবীর।  সব চাইবে মানুষ অথচ আলসেমির রাজা সে! জীবনে যা এল তা এল, যা এলনা তা এলনা, এ মানসিকতা ক'জনের? যােগ্য স্বীকৃতি  পেলেও শান্তি নেই। আরো আরো চাই।  অলীকের পিছনে দৌড়ে সুখ নেই। তার থেকে  হতাশা  ও মনােবিকার। তারপর নিজেকে শাস্তি দিয়ে আনন্দ পাওয়া। ভাবখানা এই—‘সফল তাে হসনি ব্যাটা! এখন বিফল হয়ে দেখ কেমন লাগে!’ নিজেকে যন্ত্রণা দিয়ে এ হেন তৃপ্তি পাওয়া কেবলমাত্র মানুষের পক্ষেই সম্ভব।

মানুষ ঠেকবে কিন্তু শিখবে না। তাতে তার আগ্রহ কম। যদি অন্যে ভাবে ব্যাটা কিছু জানে না ? না শিখলেই যেন সে সবজান্তা ! অথচ শ্রেষ্ঠকে শ্রেষ্ঠতর করা, উঁচুকে আরও উঁচুতে তােলা, তার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি হওয়া উচিত। এ প্রবৃত্তি যদি নিজের ক্ষেত্রেই কাজে লাগাত মানুষ তাহলে কী ভালােই না হত! পালটে যাওয়া পৃথিবীটার পথের ধারে মূর্তিমান যন্ত্রণার মতাে দাঁড়িয়ে থাকতে হত না তাকে!

আমি পাপ করব কিন্তু লােকে বলবে মহাত্মা। চুরি করব কিন্তু সাধকের মর্যাদা পাব, এসবেই রুচি সবার। সত্যি সত্যি কিছু করার না আছে কোনাে তাগিদ, না কোনাে সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা। কোথায় যাই এমন মানুষ নিয়ে ?  জাহান্নামে যাব ? সেটাই কি সঠিক জায়গা আমাদের? বেশ ঘুরে ঘুরে সময় কাটবে আমােদে! শ্রেষ্ঠত্বের বড়াই করতে করতে আরও পিছিয়ে পড়ে শেষে চতুষ্পদের দলে নাম লেখাব!

নিয়ম বানাব, নিদান দেব , কিন্তু নিজে তা মানব না! পণ্ডিত জ্ঞান দেবে, কিন্তু নিজে নষ্টামির চূড়ান্ত করবে! এসবই তাে করা উচিত! রাজা তাে আইন বানায়! তার আবার ফাইন কীসে?

আমি ঠিক জানি না এসব কি শুধু আমার ব্যক্তিগত পাগলামি? না  অনেকগুলো ভীতু মানুষের তরফে আমি এক বিভ্রান্ত প্রতিনিধি! আমার এসব উদ্ভট চিন্তাভাবনার সমাধানও উদ্ভট। মনে হয় সব  নষ্টামি ঝেঁটিয়ে বিদায় করার জন্য  একজন ঝাড়ুদার গোছের কিছু জোটাতে পারলে বেশ হতো।

একটা গাল ভরা শব্দ আছে—‘বিচক্ষণতা'। কালে কালে দেশে দেশে এই  শব্দটা যে কত সর্বনাশ করেছে আমাদের তার কোনাে ইয়ত্তা নেই! কিন্তু তাতে শিক্ষা হয়নি। আমরা মহাস্থবির রয়ে গেছি। ধর্ষণের পর ধর্ষক মানবতার ঢাল পেয়ে বাঁচে। খুনির জন্য কুম্ভিরাশ্রু বিসর্জন করার সময় মায়ের খালি কোল আর কান্না চোখে পড়ে না আমাদের। যে মানুষ মানুষকে বাঁচায় না, তার বাঁচার অধিকার কি? যে যন্ত্রণা দেয় তার সুখী হওয়ার বাসনা কেন? এসব কথা কখনও নিজেকে জিজ্ঞাসা করি আমরা? কারণ তাতে ভালােমানুষিতে কাদার ছিটে লাগে।  সবসময় লবঙ্গলতিকার মতাে একহাতে শ্বেত পায়রা আর এক হাতে শ্বেতপদ্ম নিয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে সাদরে আহ্বান করি পাপাচারীদের, যতদিন না তারা পাথরের মতাে জাঁকিয়ে বসে আমাদের বুকে।

দরকার বাঁচার সাহস, প্রতিবাদের ভাষা, ক্ষমা করার হৃদয়, অভিনন্দন জানানাের বুকের পাটা ! সব আছে আমাদের, কিন্তু খরচ করি না, পাছে  নিঃস্ব হয়ে যায়! যদি লােকে কিছু বলে?

অথচ কাউকে তাে প্রথমে শুরু করতেই হয়। দৌড়টা নয় আমরাই শুরু করলাম! সবাই মিলে ঘুমােই যদি তাহলে পাহারাদার কে হবে? কে উপরে তুলে ধরবে আদর্শবাদকে ? পাল্টাতে কিন্তু হবেই! এ হল কালের নিয়ম। ইতিহাস বলে অতীতে যে মানুষ কুল প্রতিবাদী হতে পারেনি অনাচারের বিরুদ্ধে সৎ ও কর্মনিষ্ঠ হতে পারেনি, কালের গর্ভে তলিয়ে গেছে তাদের সভ্যতা। বদলে এসেছে উন্নততর মানুষের প্রজাতি।


আমাদের যদি টিকে থাকতে হয় তাহলে পরিস্কার বুঝে নিতে হবে আমরা ঠিক কী চাই। ভবিষ্যৎ প্রজাতির বেঁচে থাকার আশ্বাস নাকি এক চিলতে বৈভব বা সুখের বদলে ধ্বংসের হাতছানি! এক আকাশ সচ্ছলতা নাকি এক মুঠো গরিবীয়ানা! সামনে বাঘ আর পিছনে গভীর খাদ হলে তাে লড়াই করতেই হবে বাঘের চোখের দিকে তাকিয়ে !

আবার সেই বিভু পাগলের প্রসঙ্গ টেনে এনে ছোট ছোট কাহিনীগুলোর মূল পর্বে ঢুকব। পাগল একদিন দাওয়ায় বসে বসে হুঁকো টানছিল। দুদিন তার ভাত জোটেনি, কেউ দেয়নি তাই! অথচ মুখে অদ্ভুত প্রশান্তি! পথ চলা মানুষ তাকে দেখে থমকে দাঁড়ায় আর ভাবে এত যন্ত্রণা জয় করে এ মানুষ হাসে কী করে? কেউ কেউ জিজ্ঞাসাও করে! বিভু উত্তরে বলে—'সবই অভ্যাস রে ভাই!'.এ অভ্যাসটাই আমাদের নেই! অথচ ওটা থাকাই সব থেকে দরকার ছিল। এই যে মরতে মরতে বাঁচার অভ্যাস, এ-ও তাে রপ্ত করেছি আমরা! হতাশ হতে শিখেছি । অন্যায় মেনে নিতে শিখেছি। এগুলাে তাে সম্ভব হয়েছে! সে শেখার পিছনে কোনাে নীতিগত সমর্থন নেই কারো তাকে শিখব অথচ অজস্র মানুষের সমর্থনের বিষয়কে উপেক্ষা করে ঘুমােব, এরকম যদি মানসিকতা হয় তাহলে মানুষকে বাঁচাবে কে? তার গােল্লায় যাওয়াই উচিত।(ক্রমশ) 

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

আরও পড়ুন 

Post a Comment

0 Comments