জ্বলদর্চি

পাতি মানুষের পাঁচালি-১৫/(উপন্যাস)/(উৎসব ১৪২৮)/পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়


পাতি মানুষের পাঁচালি::১৫
--------------------------------------
বিত্ত ভিখারির উপাখ্যান
----------------------------------
বিত্তবান তালুকদার মানুষটা এমনিতে সুদর্শন, ঝকঝকে, বুদ্ধিদীপ্ত কেতাদুরস্ত। বয়স তিরিশের কোঠায়। ব্যায়াম করা সুঠাম দেহ। হঠাৎ করে দেখলে তাকে সিনেমার নায়ক বলে ভুল হতে পারে। কিন্তু আসল বিষয়টা শুনলে অবাক হয় সবাই ! কারণ বিত্তবান একজন পেশাদার ভিখারি! হ্যাঁ, পেশাদার ভিখারি! তার ভিজিটিং কার্ডে মােবাইল নম্বর, ইমেল আইডি সব দেওয়া রয়েছে। এমনকি ইংরাজিতে কথা বলতে পারে। বাংলাতে তাে পারেই। পৃথিবীর রাজনৈতিক অরাজনৈতিক খবর, সুসংবাদ, দুঃসংবাদ সব তার নখদর্পণে। এ হেন মানুষটা পেশায় ভিখারি কেন, আগে অনেক মানুষই ভাবত, এখন সয়ে যাওয়ার পর আর ভাবে না।
শুরুর অবশ্য কোনাে গল্পও নেই, সঙ্গত কারণও নেই। আর পাঁচজন সাধারণ মানুষ যেভাবে জীবন শুরু করে, তার জীবন তার থেকে বরং একটু বেশি সমৃদ্ধ পরিবারে শুরু হয়েছিল। রাজ্যের কোনাে জেলায় শহরে বা গ্রামে আমার এ কাহিনির শুরু তা গুরুত্বপূর্ণ না 
হওয়ায়, সে ভাবে শুরু না করে এভাবে শুরু করা ভালাে যে তার পরিবারে বিত্ত, পতিপত্তি ছিল। বাড়ির একমাত্র ছেলে সে। পড়াশােনার জন্য ভরতি করানাে হয়েছিল স্থানীয় এক নামী ইংরাজি মিডিয়ার স্কুলে। ভরতি হওয়ার আগে তাকে ও তার বাবা-মাকে স্কুলের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হয়নি। রাজনীতির খ্যাতিমান মানুষ ছিলেন। ফলে  ম্যানেজিং কমিটির প্রধান তাঁর সন্তানকে স্কুলে ভরতি করে নিতে পেরে ধন্য হয়েছিলেন। ধন্য না হলেও চলত অবশ্য। প্রবেশিকাতে ছেলে বসতেই পারত, কারণ বাবা রাজনীতির মানুষ হলেও কোনাে বেআইনি  প্রথাবিরুদ্ধ সুবিধা কারাে কাছ থেকে নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না। এক্ষেত্রে বিত্তর মায়ের প্রভাবে, তা সে ভয়েই হােকে বা অশান্তি এড়ানাের কারণে, তাঁকে ফোনটা করতে হয়েছিল ম্যানেজিং কমিটির প্রধানকে। ভদ্রলােক এমনিতে খুব অন্তর্মুখী এবং লাজুক প্রকৃতির ছিলেন। ফলে দলেও তাঁর খুব একটা প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল না। কিন্তু নিজের কথা নিজে বলার  বদ অভ্যাসটা  না থাকায় মানুষের কাছে অসম্ভব প্রিয় ছিলেন তিনি এবং ছেলেকে ভরতি করার  বিষয়টা স্কুলে বলে  অপরাধবোধে বহুবার জনসমক্ষে লজ্জা পেয়ে তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হয়েছিলেন।
স্বাভাবিকের থেকে বুদ্ধি একটু বেশিই ছিল বিত্তর।  ব্যাপারটা তার টিচাররা ভালােই বুঝতেন। এও বুঝতেন যে পড়াশােনায় তার প্রবল  অনীহা। প্রথম প্রথম এ নিয়ে তারা চেষ্টাচরিত্র চালিয়েছিলেন বিভিন্ন ভাবে, যদি তাকে শােধরানাে যায়। পরে অবশ্য হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন , কারণ এসব করতে গিয়ে  ব্যাপারটা দেখে এবং বুঝে তাঁরা যারপরনাই অবাক হয়েছিলেন যে সেই বয়সেই বিত্তর জীবনদর্শন এবং জীবচর্যা  একদম আলাদা এবং চমকে দেওয়ার মতাে ।  তার মতবাদ ছিল এই যে, স্কুল-কলেজের পাঠ্যবিষয়  যা  পড়ে মানুষ বিদ্বান ও জ্ঞানী হয় তা  কোনাে না কোনাে মানুষের আগেকার ভাবনার ফসল! যে জিনিস আগে জানা হয়ে গেছে,  তা আবার জানা মানে তাে জ্ঞান ফটোকপি করার শামিল! এটাই যদি গােটা জীবন করতে হবে তাহলে মানুষ হিসাবে জন্মে লাভ কী? এমনাে তাে হতে পারে আগে যা কিছু ভাবা হয়েছে, বলা হয়েছে, তার মধ্যে বিস্তর ভুল এবং বিভ্রান্তি আছে? আর চরম সত্যি  বলে তাে কিছু হয় না! গতকাল যা সঠিক ছিল আজ তা ভুল, আবার আজ যা ভুল বলে মনে করা হচ্ছে, হতেই পারে কাল তা হয়ে উঠবে অমােঘ সত্যি! সুতরাং সময় নষ্ট না করে নতুন করে ভেবে নতুন পথে হাঁটাটাই সমীচীন, যাতে মানব সভ্যতা সমৃদ্ধতর হতে পারে। আবার দিন ও সভ্যতা বদলে দেওয়ার  সে পথও একদিন আগামীর সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে গুরুত্বহীন হবে। তখন আবার নতুন পথ খুঁজতে হবে। এভাবেই পৃথিবী এগোয়।  এটাই ভবিতব্য। কিন্তু তাতে কী? লাগাতার প্রচেষ্টা  চলবেই। এ হেন জ্ঞানী ছেলেকে কিছু বােঝাতে গেলে, সে'ই হয়তাে পালটা কিছু বুঝিয়ে দেবে তাদের, সে ভয়ে তাকে আর ঘাঁটাত না তার শিক্ষকেরা। সে'ও মনের আনন্দে স্কুলের পড়াশােনা শিকেয় তুলে রাজ্যের আকাম করে বেড়াত। বিলের ধারে পাখি দেখে, ধানজমির পাশে দাঁড়িয়ে হাওয়া খেয়ে, হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে হুসহুস গাড়ি ছুটে যাওয়া দেখে, বড় ক্লাসের ছেলে, বয়সে বড় মানুষদের সঙ্গে পন্ডিতের মতো গুরুগম্ভীর  আলােচনা করে  সময় কাটত তার। এসব  প্রভাবশালী পরিবারের ফাঁকিবাজ ছাত্রদের ক্ষেত্রে এক ক্লাস থেকে আর এক ক্লাসে ওঠার ব্যাপারে  স্কুলে গিয়ে অভিভাবকদের অনুরােধ উপরােধ কার্যকরী হয়, কিন্তু আগেই বলেছি তার বাবা এধরনের মানুষ ছিলেন না। বার বার এক ভুল বা অনৈতিক কাজ তিনি করতে চাননি—অর্থাৎ ছেলের জন্য স্বজনপােষণ।ফলে যা ঘটার তাই ঘটল। পড়াশােনা না করে পরীক্ষা  দেওয়ার কারণে ক্লাস সিক্সে আটবছর কাটানাের পর সে যখন পুঁথিগত বিদ্যা অর্জনের চেষ্টায় ইতি দিলো তখন তার বয়স বাইশ বছর। বাবা কখনো পরিবারের কারো অধিকারের ব্যাপারে মাথা গলাননি,  চিরকাল  ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এসেছেন । সুতরাং এক্ষেত্রেও তার বিশেষ বক্তব্য ছিল না। মা বরং বেশ কিছুদিন লড়েছিলেন এ অচলাবস্থার বিরুদ্ধে। ছেলেকে জীবনের মূল স্রোতে ফেরানাের জন্য, নানা উদাহরণ দিয়ে কী ভালাে কী মন্দ, বােঝানাের চেষ্টা করেছিলেন তাকে, কিন্তু ভবি তাে ভােলবার নয়! বছর দুয়েক ভস্মে ঘি ঢেলে তিনি যখন ক্ষ্যান্ত দেন, বিত্ত তখন একজন মনযােগী পর্যটক হয়ে উঠেছে। বয়সের তুলনায় নজর ও উচ্চাশা বেশি ছিল বিত্তর। সে বয়সেই সে ঠিক করে ফেলেছিল,হাত-পা, মাথা, হৃদয় সচল থাকতে থাকতে ঘুরে ফেলতে হবে গােটা পৃথিবী।
প্রথমে সে শুরু করল আশপাশের দ্রষ্টব্যগুলি দিয়ে। তার দেখা আর অন্যের দেখার মধ্যে বিস্তর ফারাক ছিল। সাধারণ মানুষের ঘােরা মানে অঞ্চলের বিখ্যাত জায়গাগুলি চারদিকে ঘুরঘুর করে, গম্ভীরভাবে কিছু বােঝার ভান করা, সৌধের গায়ে হেলান দিয়ে পােজ দিয়ে ছবি তােলা। ছেলেমেয়ে, বউয়ের সঙ্গে বসে খাওয়া এবং তার পর বাড়ি ফিরে যাওয়া। বিত্ত ঠিক সে চোখ ও মন দিয়ে দেখত না কিছু। তার নজর আলাদা ছিল। বিখ্যাত জিনিসগুলিকে একঝলক দেখে নিয়ে তারপর তার ইতিহাসের আদ্যোপ্রান্ত স্থানীয় বয়স্ক শিক্ষিত মানুষদের থেকে জেনে নিত। সেখানকার স মানুষদের সঙ্গে মিশত, কথা বলত।  প্রকৃতি, পরিবেশ, সভ্যতা ঘুরে ঘুরে দেখত । স্থানীয় বইয়ের দোকানগুলি থেকে সে সব জায়গা সম্বন্ধে রেফারেন্স বইগুলি সংগ্রহ করে পড়ে ফেলত মন দিয়ে। 
সে এবং তার বাবা যে দুজন আলাদা মানুষ, তাদের জন্ম, বড় হওয়া, বেঁচে থাকার ধারা, সাধ আহ্লাদ, আকাঙ্খা, উচ্চাশা সবই যে ভিন্ন এ ব্যাপারটা সে বেশ বুঝত এবং মনে প্রাণে বিশ্বাসও করত। তার বাউণ্ডুলে জীবনের প্রথমদিকে মায়ের কাছ থেকে কিছু হাত খরচা নিলেও কিছুদিন পর থেকে তা নেওয়া সে একদম বন্ধ করে দিলো। কোনাে জায়গায় যাওয়ার জন্য এর পর থেকে সে মানুষের দেওয়া দানের ওপর নির্ভর করত। তার আগে অবশ্য তাকে  জায়গাটাতে কোনাে ক্রমে পৌঁছতে হতো। বাসে, ট্রেনে টিকিট কাটার বালাই ছিল না। মাঝে মাঝে ধরা পড়ত, কন্ডাক্টর, চেকারের কাছে। ছাড়াও পেয়ে যেত কালক্রমে। খাওয়া দাওয়া এর ওর থেকে চেয়ে ম্যানেজ হয়ে যেত। এমন সপ্রতিভভাবে চাইত যে কেউ তাকে না করতে পারত না।
কথাবার্তায় চৌখস। জায়গাটাতে পৌঁছে অতীত অভিজ্ঞতা থেকে স্বঘােষিত গাইড হয়ে চালিয়ে নিত বেশ নিজেরটা।  পড়াশােনা না করলে কী হয় , সে কিন্তু সৌখিন ছিল বেশ ! ভালাে জামাকাপড়টি চাই, দামী পারফিউম । এসব সখ আগে ছিল না। পরে তৈরি হয়েছিল। কেন হয়েছিল সে নিজেও জানে না। অথচ সে খরচ চালাতে চাকরি পাওয়ার উপায় নেই। ইচ্ছেও নেই। কিছু বললেই বলে, রবিঠাকুর, শ্রীরামকৃষ্ণ এদের কি পুঁথিগত বিদ্যা ছিল? তাহলে চলল কীভাবে? টেকনিকাল কাজ গুলােতে শিক্ষাগত যােগ্যতার কী দরকার তা  বুঝত না বিত্ত। সেরকম এটাও বুঝত না অশিক্ষিত মানুষ মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী হয় কী করে! যে যেটায়  পটু তার সেটাতে থিতু না হওয়া অন্যায়।
ব্যবসা তার দ্বারা হবে না কারণ তাতে লােক ঠকাতে হয় কোনাে না কোনাে ভাবে। বিত্ত তা চেষ্টা করেও করতে পারবে না। তাছাড়া এটার জন্য তাে প্রাথমিক ভাবে মূলধন লাগে একটা! সেটা সে পাবে কোথায় ? শুনেছিলে অনেক বড় ও সফল ব্যবসায়ী শূন্য মূলধন থেকে শুরু করে কোটিপতি হয়েছিলেন। তার অবশ্য সেটা বিশেষ বিশ্বাসযােগ্য মনে হয়নি কখনাে। সে করলে বড় কিছু করতে চায়, রামুর চায়ের দোকান বানিয়ে লাভ নেই তার।      শেষমেশ  ইনকামের কোনাে সহজ উপায় না পেয়ে সে ঠিক করল , কিছুদিন ভিক্ষা করে দেখবে পসারটা কি রকম জমে। এমনিতে তার মতাে  মানুষের ভিক্ষার ঝুঁকি এবং সুবিধে দুটোই আছে। ঝুঁকিটা হল , তাকে দেখে মানুষের বিন্দুমাত্র সহানুভূতি জাগবে না ,আর তা না জাগলে ভিক্ষাও পাবে না সে। আর সুবিধেটা হল, তার ভিক্ষার ব্যাপারটাতে একটা নতুনত্ব ও চমকের উপাদান তাে থাকবেই। সেই হুজুগে মানুষ যদি কেউ কিছু দেয় তাকে! এমনও হতে পারে যে  কনভিন্সড হয়ে মানুষ এত বেশি  দিলো তাকে যে তা সাধারণ ভিখারিরা কল্পনাও করতে পারে না।
এ পেশায় আসার কিছুদিন পরে বিত্ত বুঝল যে দ্বিতীয় সম্ভাবনার ব্যাপারটা সত্যি হতে চলেছে তার ক্ষেত্রে। প্রথম মাসেই তার আয় হল দশ হাজার টাকা। পরের মাস থেকে তা বাড়তেই থাকল ঝপ ঝপ করে। এখন তাে সে একজন , যাকে বলে সেলিব্রিটি বিগ শট ভিখারি। মাসে সব কেটেকুটে সে হাতে প্রায় আশি হাজার টাকা। কেটেকুটে কথাটা বলার কারণ হলো , এখন সে এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট ফার্মে মাসের পুরো অর্জিত টাকাটা দেয়। ফার্মের কর্ণধার অসীম মিত্তির তার বন্ধু। ছােটবেলায় এক সঙ্গে পড়ত। বড় হয়ে দু'জন দু লাইনে চলে গেছে। দুজনের আয় এখন প্রায় সমান। বন্ধু তার ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন স্কিমে টাকা ইনভেস্ট করে দেয় প্ৰতি মাসে। বাকিটা বিত্তর হাতে দেয় দৈনন্দিন খরচ বাবদ। বিত্তর অসংখ্য ডোনার। দুটো মােবাইল মেনটেন করে তবুও সবাই তাকে সবসময় কানেক্ট করতে পারে না, ফলত কেউ কেউ ‘হোয়াটস আপ’ অথবা ‘মেলে’-ও কানেক্ট করে আগে থেকে তার সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে রাখে। ‘ডেট’-এর জন্য। এখন আবার খুব ‘চুজি' হয়ে গেছে সে। সবার থেকে ভিক্ষা নেয় না। ন্যূনতম পাঁচশাে টাকা দিলেই কেউ অ্যাপ্রােচ করতে সাহস পায় তার কাছে। এসবের কারণ হল এই করে গিনেস বুক’-এ নাম তুলতে চায় সে। এসব জেনে ফেলেছে মানুষ। ফলে তার সংস্পর্শে আসতে পারলে আন্তর্জাতিক খবরাখবরের পাদপ্রদীপে এসে ফুটেজ খাওয়া যাবে এই মোহে তার চারদিকে মাছির মতো ভনভন করে মানুষ।
বিত্তবান এখন শহরে বিরাট বাড়ি করেছে। তাতে হাজারটা আধুনিক বিলাস ব্যাসনের ব্যবস্থা । প্রথমে জাতীয় ও পরে আন্তর্জাতিক ভিখারি সমিতি গড়ার স্বপ্ন তার। এ ব্যাপার জেনে মিডিয়ার ‘ওবি ভ্যান’ সব সময় ঘুর ঘুর করে তার পিছনে। কি ভাবে ভিক্ষা করবেন, অথবা সফল ভিখারি হতে গেলে,বা ,আপনিও পারবেন, জাতীয় আন্তর্জাতিক বাজারের বেস্টসেলার বইগুলি লিখে ফেলতে হবে এবার। মানুষের জীবন ছোট। সময় বড় কম। সে খ্যাতিমান হয়ে উঠেছে কেবল মাত্র পেশা নির্বাচনের মৌলিকত্বের জন্যই নয়,বিওশালী হওয়ার এক নতুন উপায় আবিস্কারের জন্যও।

দেশের হােমরাচোমরা মানুষদের সঙ্গে এখন তার ওঠাবসা। এত ব্যস্ততা বেড়েছে যে নিজের জন্য সময় বের করাই দায় এখন। এদিকে বয়স থেমে নেই। বিয়ে করা হয়নি আজও। এরপর হয়তাে আর মনমতাে উপযুক্ত পাত্রী পাওয়া যাবে না। তার অগাধ ধনরাশি সাত ভূতে খাবে। তিলতিল করে গড়ে তােলা  সাম্রাজ্য এক লহমায় ধূলিসাৎ হয়ে যাবে হয়তাে কিছু বদমাশ লােকের চক্রান্তে।  ব্যস্ততা ও অনীহার কোন মেয়ের সঙ্গে কোনোদিন সম্পর্ক হয়নি তার। এ সব ভাবতে গেলে ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায় এখন। শেষ পর্যন্ত বিয়ে করার বাসনায় ভারতের যাবতীয় ভাষার বিখ্যাত খবরের কাগজ এবং নিউস চ্যানেলে একটা করে বিজ্ঞাপন দিল সে। লিখল, সুন্দরী স্বাস্থ্যবতী, রুচিশীলা, উদার মনের মহিলা চাই লব্ধ প্রতিষ্ঠ উচ্চবিত্ত ভিখারির জন্য। অসবর্ণ, বিধবা, ডিভাের্সি চলবে! এক মাত্র শর্ত হল পাত্রর পেশাগত ব্যাপারে কোনাে কোনো বাধা দেওয়া ও শর্ত আরোপ করা চলবে না। বিত্ত আশাবাদী। এ সাধও পূর্ণ হবে তার। তারপর তার জীবন নিয়ে লেখা হবে রূপকথা। তৈরি হবে বায়োপিক।
আহা! সবাই কেন বিত্তর মতো করে ভাবে না?

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇
আরও পড়ুন 

Post a Comment

0 Comments