মেদিনীপুরের খেপুত ও আরিট গ্রাম জেলার ইতিহাসকে আরও ভাস্বর করে
দুর্গাপদ ঘাঁটি
"ক্ষেপুত ভাটরা তড়া গোপালনগর শ্রীবরা
পঞ্চপাটে পঞ্চ ভট্টাচার্য
দেব অনুগ্রহে কবি এ পঞ্চপান্ডব সেবি
তবে কৈল কবিতায় ধার্য্য।"
অথবা
"ভকতিতে তেজচন্দ্র স্বর্গের রাজা ইন্দ্র
প্রতাপ চন্দ্র নন্দন
সে রাজার রাজ্যতুটে খেপতে খেপাই পাটে
কৃষ্ণকিঙ্কর করিল বচন।"
- কবি কৃষ্ণ কিংকর
শীতলামঙ্গলের কবি কিংকরের কবিতায় খেপুত গ্রাম ও এখানের 'ক্ষেপুতেশ্বরী' মন্দির কতটা ইতিহাস ধরে তা নিয়ে মাটি খুঁড়তে গিয়ে বিস্মিত হতে হয়।
মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানা জেলার এক্কেবারে পূর্বপ্রান্তে রূপনারায়ণ,শিলাবতী ও কংসাবতী নদ-নদী বেষ্টিত উর্বর পলিযুক্ত মৃত্তিকা এই থানাকে কৃষি-শিক্ষা-সংস্কৃতি ও স্বাধীনতা আন্দোলনে গৌরবময় স্থানে পৌঁছেদিয়েছিল এ কথা ইতিমধ্যে নানাভাবে আলোচিত হয়েছে।
প্রাচীনকালে দাসপুর থানার বেশিরভাগই ছিল নদী-নালা জঙ্গলে ভরা জলাভূমি।প্রাচীন শুম্ভ বিভাগের অন্তর্গত ছিল এই অঞ্চলটি।জৈন গ্রন্থ 'আয়ারঙ্গ সুত্ত' বা 'আচারাঙ্গা' সূত্রে রাঢ় দেশের যে দু'টি অংশের কথা বলা হয়েছে তা হল- 'বজজ' বা 'বজ্র ভূমি'এবং 'সুবভ' বা সুম্ভভূমি বা সিংহভূমি যা দক্ষিণ রাঢ় হিসেবে পরিচিত। প্রাচীনকালে দক্ষিণ রাঢ় বলতে বর্তমানে হাওড়া ও হুগলী ( মধ্যে বর্তমান মেদিনীপুর) ও বর্ধমানের বেশিরভাগ স্থানকে বোঝাত।এগুলি তাম্রলিপ্ত রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।কালিদাসের 'রঘুবংশে ' আছে তার মহারাজা এই তাম্রলিপ্ত রাজ্য ধরে দক্ষিণ সাগরের দিকে গিয়েছিলেন।যাওয়ার পথে তিনি 'কপিসা' বর্তমান 'কাঁসাই নদী' অতিক্রম করেছিলেন।
এবার ফিরে আসা যাক আরো অনেক পিছন থেকে।হারিয়ে যাওয়া কিছু তথ্য জানতে গেলে একটু তাম্রলিপ্ত দেশের কথা আরও আলোচনা করা দরকার।তৎকালীন তাম্রলিপ্ত বন্দরের মধ্য দিয়ে প্রাচীনকালে অনেক বিদেশি বণিক বাণিজ্য করতে আসতেন এবং এই বন্দরের মধ্য দিয়েই এদেশের বনিক বিভিন্ন দেশে যেতেন।সে সময় তাম্রলিপ্ত এক প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ ধর্ম কেন্দ্র হওয়ায় এখানে অনেক বৌদ্ধ এবং সঙ্গে হিন্দু মন্দিরও গড়ে ওঠে।গুপ্তযুগে চৈনিক পর্যটক ফা-সিয়েন( ফা-হিয়েন)৪১০-১১ খ্রিঃ পর্যন্ত তাম্রলিপ্ত ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বহু বৌদ্ধ বিহার ও মন্দির দর্শন করে ভ্রমণ কাহিনী গ্রন্থে তা লিপিবদ্ধ করে গেছেন।খ্রঃ সপ্তম শতকের প্রথমার্ধে (৬২৯ খ্রীঃ) সুয়ান সাং(হিউ এন সাঙ) তাম্রলিপ্তে এসেছিলেন এবং এখান থেকে কর্ণসুবর্ণের "রক্তমৃত্তিকা" বিহারে যান।সে সময় মগধ ও তাম্রলিপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বেশ কিছু রাস্তা তৈরি হয়েছিল।রাস্তাগুলি জাঙ্গল মহাল( জঙ্গল মহল) ও সমুদ্র উপকূলের মধ্যে বর্তমান ছিল।ঘাটাল অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যে প্রাচীন দারির জঙ্গল( পরবর্তী সময়ে 'নন্দ কাপাসিয়া' জাঙ্গল নামে পরিচিত) নামে সড়কটি ছিল তার চিহ্ন এখনও লক্ষ্য করা যায়।সেটির সঙ্গে দক্ষিণে তাম্রলিপ্ত ও উত্তরে কর্ণসুবর্ণের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।এই প্রাচীন জঙ্গল বা উচ্চ পথটি পুরাবস্তু সমৃদ্ধ পান্না গ্রামের ভিতর দিয়ে খড়ারের পাশ দিয়ে উত্তরে সুলতানপুরের দরগার জলার মিশে গেছে। এই রাস্তাই প্রসিদ্ধ বৌদ্ধকেন্দ্র ও শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ যাওয়ার একমাত্র অবলম্বনও ছিল।পরবর্তীকালে মুঘল আমলে 'বাদশাহী রাস্তা' নামে পরিচিত হয়।
একসময়ে নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ সারা বঙ্গকে ১৬৬০ পরগনায় ভাগ করেন।তার মধ্যে মেদিনীপুরে তখন মোট ৫৪ টি পরগনা তৈরি হয়।তাদের মধ্যে চেতুয়া পরগনা অন্যতম।বর্তমান দাসপুর থানা এই চেতুয়া পরগনার অন্তর্গত ছিল। এই সময় মুঘল সংঘর্ষকালে বর্তমান দাসপুরের উপরিউক্ত উচ্চ পথ ধরে বহু সৈন্য সামন্ত যাতায়াত করতো।এই রাস্তার ধারে গুপ্ত,পাল ও মধ্যযুগের বহু পুরাতত্ত্বের নিদর্শনও আবিষ্কৃত হয়েছে।
সমুদ্রবেষ্টিত অরণ্য ও জলাময় মেদিনীপুর জেলার এই ভূখন্ডে মাছধরা জীবিকা নির্বাহী সংখ্যাগুরু কৈবর্ত সম্প্রদায় বর্তমানে যাঁদের মাহিষ্য বলা হয় যা 'ব্রম্ভ কৈবর্ত' পুরানেও উল্লেখ আছে,তাঁরা বাস করতেন।এদের ৩০০০খ্রিস্টপূর্ব কালের প্রোটো-অস্ট্রালয়েড দ্রাবিড় গোষ্ঠীভুক্ত এক প্রাচীন জনগোষ্ঠীর উত্তরসূরী রূপে তাঁদের নির্দেশ করা যায় বলে বেশকিছু গবেষক মনে করেন।মেগাস্থিনিস,প্লিনি,কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র,পেরিপ্লাস গ্রন্থে ইত্যাদির সাক্ষ্য অনুযায়ী এখানকার আদিম অধিবাসী সংখ্যাগুরু কৈবর্ত ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে আর্য জাতির প্রথম আগমনকালে সংঘাত ছিল রীতিমতো এবং প্রথম প্রথম উল্লেখযোগ্যভাবে আর্যরা পরাজিত হয়েছিল।এক সময় বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের প্রভাব মারাত্মকভাবে পড়েছিল এই অঞ্চলে।কিন্তু যখন বাংলায় সম্পূর্ণরূপে আর্যাগমন ঘটে তখন মিশ্র সংস্কৃতি গড়ে ওঠে।পরবর্তীকালে পুরাণ নির্ভর সংস্কৃতির উত্তর নির্ভর করে নতুনভাবে হিন্দু ধর্মের প্রাদুর্ভাব ঘটে। কিন্তু এই কৈবর্ত মাহিষ্য সম্প্রদায়ই এই জলা জঙ্গলে ভরা মেদিনীপুরের এই অংশে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি স্থাপনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল।এদেরই হাত ধরেই এখানকার নানা স্থাপত্য সৃষ্টি হয়েছিল তা অনস্বীকার্য।
এবার এই জনপদের'খেপুত'গ্রাম সম্বন্ধে উপরিক্ত যে প্রেক্ষাপট অঙ্কিত করা হলো তার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বহু ছাপ পড়েছিল যা এখানকার প্রাচীন ইতিহাসকে ভাস্বর করে।বর্তমান দাসপুর থানার এই 'খেপুত' গ্রামে 'ফিঙ্গে রাজার ডাঙ্গা' নামে একটি প্রাচীন 'ডিবি ও জঙ্গলাকীর্ণ' স্থান আছে সেখান থেকে আঃ গুপ্তযুগের কিছু পাথরের খোদাই করা ফ্রেম ও ভগ্ন মূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে।এও জানা গেছে গুপ্ত ও পাল যুগ সহ অদ্যাবধি বহু রাজন্যবর্গ ও তাঁদের সৈন্যসামন্ত তাঁদের বিশ্রামস্থান হিসেবে এই 'ফিঙে রাজার ডাঙ্গাকে' ব্যবহার করতেন তা জানা যায়।হয়তো এখানে হিউ এন সাংএর পদার্পণ ঘটেছে কিনা তার সত্যাসত্য বিচার করা নিশ্চয়ই হবে একসময়।তবে এই পথ দিয়েই বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের বহু প্রচারক বাংলায় তাদের প্রচারকার্য চালানোর জন্য যাতায়াত করতেন এটা নিশ্চিত করে বলা যায় এবং এই ডাঙায় তাঁরা কখনও কখনও অবস্থানও করতেন।
এই গ্রামে প্রাচীনকাল থেকে অদ্যাবধি বহু প্রাচীন তথ্যের নিদর্শন মেলে।রূপনারায়ণ নদের খুব নিকটে এই খেপুত গ্রামের 'ক্ষেপুতেশ্বরী' মন্দির চত্বরে কালো বেসল্ট পাথরের একটি পাদপীঠে বুদ্ধমূর্তি ছিল বলে অনুমান।মূর্তির উপরের দিকে কিছুটা অংশ অপসারিত, কেবলমাত্র এখন পা দু'টি দেখা যায়। পাদপীঠের নিচে দু'পাশে দুটি সিংহ এবং 'বাস রিলিফে' খোদিত ক্ষুদ্রাকৃতি মূর্তি দেখা যায়। কাছাকাছি 'ফিঙ্গে রাজার ডাঙ্গায়' বাস রিলিফে দুটি নরসিংহ মূর্তি,চারটি থাকযুক্ত (টিয়র) 'পিঢ়-রীতির' প্রতিকৃতি দেউল এবং ত্রিভঙ্গ ভঙ্গিতে দন্ডায়মানা চামর হস্তা স্ত্রীমূর্তি খোদিত।এগুলি গুপ্তযুগের বলে অনুমান।
এমন প্রসিদ্ধ স্থানের ইতিহাসের নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি এই গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ভগ্নদশায় পড়ে রয়েছে যা ভবিষ্যতের প্রজন্মকে ইতিহাস গবেষণার পথকে প্রশস্ত করবে এমন ইতিহাসের উপাদানকে সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থাই হচ্ছে না।
এই জনপদের আর একটি বর্ধিঞ্চু গ্রাম আরিট।
এখানের ইতিহাস-সাহিত্যের ইতিহাস।ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি মেদিনীপুর জেলার সাহিত্যের প্রাচীনতম অনেক নিদর্শনের কথা। সাহিত্য রচনার প্রাচীন সাক্ষ্য হিসেবে প্রায় ১৯ মন প্রাচীন পুঁথি কলকাতা বিদ্যালয়ের সংরক্ষণাগারে পাঠানো হয়েছে।কিন্তু তার পূর্বেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে অনেক গ্রন্থ নষ্ট হয়ে গ্যাছে।সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের আরিট গ্রামের মান্না পরিবারে অসংখ্য গ্রন্থ।এখান থেকে ১৯৭৮ সালের বিধ্বংসী বন্যায় এ জেলার বহু গ্রন্থের চরম সর্বনাশ ঘটে।
ধ্বংসস্তূপ থেকে বেশ কিছু গ্রন্থ কোন রকমে উদ্ধার করা গিয়েছিল।সেগুলি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ,আশুতোষ সংগ্রহশালা, ভারতীয় জাদুঘর,এশিয়াটিক সোসাইটি,বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়,বিশ্বভারতী,বিষ্ণুপুরের সাহিত্য পরিষদের মতো অনেক সংগ্রহশালায় পাঠানো হয়েছিল যেগুলিতে জেলার মহা সম্পদের অনেক প্রাচীন ইতিহাস লুক্কায়িত রয়েছে।
দাসপুর মেদিনীপুর জেলার এক গৌরবময় স্থান।কাঁসাই,সিলাই,রূপনারায়ণ নদীর অববাহিকায় উর্বর পলি দ্বারা গঠিত জনপদ স্বাধীনতা আন্দোলনে তো বটেই শিল্প-সাহিত্য সৃষ্টিতে জেলার অন্যান্য অংশের থেকে আদেউ পিছপা ছিলোনা।পটশিল্পের মিনিক্ সাহিত্যে এই থানা জাতীয় শিল্পচর্চার ১নং স্থানে পৌঁছে গিয়েছিল তা অনেকের জানা।উল্লেখযোগ্য দিক হলো ১৭৭২ সালে লিপিকৃত হিন্দি ভাষায় দেবনাগরী অক্ষরে ও ফার্সী পুঁথি "শাহনামা" দাসপুরের একটি গ্রন্থাগারে রক্ষিত রয়েছে।
ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত এক শ্রেণীর ধর্ম বিষয়ক আখ্যানকাব্য রচিত হয়েছিল যা বাংলা সাহিত্যে 'মঙ্গলকাব্য' নামে পরিচিত।প্রাচীন ও মধ্যযুগ থেকে অদ্যাবধি মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে তা বলাই বাহুল্য।মধ্যযুগ থেকে অদ্যাবধি বাংলা সাহিত্যের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি স্থানীয় কবি সারস্বত সাধনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন এই জেলাতে।এরা হলেন "চন্ডীমঙ্গল" রচয়িতা কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী,শিবায়ন রচয়িতা রামেশ্বর ভট্টাচার্য,শীতলা মঙ্গল রচয়িতা কবি কিংকর এবং মহাভারত অনুবাদক কাশীরাম দাস এবং বাংলা গদ্য সাহিত্যের দুই উদ্ভাবক মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার ও পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান চিরস্মরণীয়।জানা যায় এই সময় কালের মধ্যে নানা গ্রন্থ রচিত হয়েছিল জেলাতে।সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল রসিকমঙ্গল, গোবিন্দমঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল, শিবায়ন,শীতলা মঙ্গল, সারদামঙ্গল, সত্যনারায়ণ কথা।সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল-এই গ্রন্থগুলির বেশিরভাগ রচিত হয়েছিল এই দাসপুর থানার মাটিতে বসেই। এও জানা গেছে এই থানায় পুরোদমে নানা ঢঙে একাধিপত্য পদ্মরচনার চল ছিল।কবি লড়াই,গদা ভারত,কীর্তন,শ্যামা সংগীত,আগমনী গান ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে রচিত হয়েছে।
দাসপুর থানার আরিট গ্রাম শিক্ষাদিক্ষা সংস্কৃতিতে চিরকাল অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে।
"ক্ষেপুত ভাটরা তড়া গোপালনগর শ্রীবরা
পঞ্চপাটে পঞ্চ ভট্টাচার্য
দেব অনুগ্রহে কবি এপঞ্চপান্ডব সেবি
তবে কৈল কবিতায় ধার্য্য।"
সপ্তদশ শতকের কবি কিংকরের এই কবিতায় - ক্ষেপুত,ভাটরা,তড়া,গোপননগর,শ্রীবরা এই পাশাপাশি পাঁচটি গ্রাম এবং এই গ্রামগুলির পাঁচজন কবিদের নামকে হয়তো পঞ্চপাণ্ডব হিসেবে উল্লেখ করেছেন।আর পঞ্চপাণ্ডব কবির মধ্যে তিনি একজন।আর এই পাঁচটি গ্রামের মধ্যে আরিট গ্রামটি ছিল সাহিত্য চর্চার কেন্দ্রস্থল।কবি স্থায়ীভাবে খেপুত গ্রামের উপকণ্ঠে 'কেষ্টবাটিতে' বসবাস করলেও পাশাপাশি ধর্মপ্রাণ মান্না পরিবারেও নিয়মিত সাহিত্য চর্চার আসর বসাতেন ।বিষয়গুলো অবশ্যই ছিল তৎকালীন ধর্ম ও সমাজ নির্ভর সাহিত্য।এ সভার চর্চার বিষয়গুলির মধ্যে মঙ্গলকাব্যগুলিই বেশি বেশি।এই কারণে জেলার বিভিন্ন তথ্য সমৃদ্ধ ও বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ এই গ্রামের ধর্মপ্রাণ মান্না পরিবারে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল যাদের বেশিরভাগই প্রাকৃতিক বিপর্যয় নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু কে নেবে এই 'কানু সেবার ভার'এ নিয়ে ঘাটাল মহকুমার সাহিত্যিকদের এক অংশের দুশ্চিন্তার কারণ হয়েছে।
তথ্য সূত্রঃ-
১। আকবর নামা- শ্যামাপ্রসাদ বসু।
২। অার্য পৌণ্ড্রিক-মনীন্দ্র নাথ মণ্ডল।
৩।তমোলুকের ইতিহাস-ত্রৈলক্যনাথ রক্ষিত।
৪।ঘনরাম চক্রবর্ত্তীর ধর্ম্মমঙ্গল-ঈশানচন্দ্র বসু।
৫। কবি রাম মাইতি সম্পাদিত-'এই সময়'লিটিল ম্যাগাজিন।
৬। সাহিত্য সেবায় মেদিনীপুর-ত্রিপুরা বসু।
৭। পত্রিকা-পশ্চিমবঙ্গ।
আরও পড়ুন
1 Comments
দূর্দান্ত লেখা
ReplyDelete