জ্বলদর্চি

Z-generation poem-3 /অরুণ দাস



Z-generation poem-3
    
অরুণ দাস


একুশ.


তোর ডাকে , একদিন
বৃষ্টিহীন বিকেল
       চুপিসারে হেঁটে যায়
                    কৌতুহলী পথে ৷
ঝরণার জল
পাখির ডাক
নৌকোহীন হ্রদ
হ্রদের জলে ভেসে যাওয়া 
                               তারা
এই যে মাটি মেখে 
              পুতুল পুতুল খেলা
এই যে সদ্য বৃষ্টিস্নাত 
                        বর্ণ ভেঙে 
                             ঘাসজন্ম৷
..... মন ছুঁয়ে যায় দৈবভাবে ৷
অবাক বর্ণ খুলে অনায়াসে
                   জেগে ওঠে ব্রহ্ম৷



বাইশ .

দিনের শেষে ,
ক্রমশ স্পষ্ট হয় বকের ডানায়
লেখা সত্য ৷ ঘোর না কাটা বিষ্ময়ে নিভৃতে এঁকে রাখি সাপ ৷
শ্যাওলা জমা  বুক ৷
ধীরে ধীরে
           চোখের আড়ালে
                  চলে যাওয়া চাঁদ ৷

তেইশ .

নগ্ন রাত ৷ ঘামে ভেজা উপজাতি আকাশ ৷ মুখভার করা বৃষ্টিরা নামে পাথুরে 
পথে ৷থামবে না বলেই একদিন পথ ফিরে আসে গোলাপী শহরে ....
... ক্রমশ ইশ্বর হয়ে যাওয়া মনের গভীরে ৷


চব্বিশ .

পিঁপড়েরা শেখায় কিভাবে হাঁটতে হাঁটতে গড়ে ওঠে বর্ণমালা ৷ স্নিগ্ধ সবুজ ধোয়া জলপ্রপাত ৷ ভেজা বাতাসের গন্ধে হাঁটতে থাকা ভোরের পাহাড়৷ নদীর রূপে উছলে পড়া নর্তকী ঘুম ৷ 
পোশাক খুলে রাখে রাতের শহর ৷ সন্ধ্যা নামে বন্ধ্যা শরীরের 
ওঁ - কারে ৷


পঁচিশ .

ফল নেই জেনেও পাতাহীন গাছ দাঁড়িয়ে আছে ধোঁয়াসার মাঝে ৷ কঙ্কাল শরীর জুড়ে অস্পষ্ট বারন্দা ৷
কৌতুহলী মন চুপিসারে ছুঁয়ে যায় অভিশপ্ত সকাল ৷
কালো মেঘে রাধামাখা ঝাপসা দুপুর৷
স্মৃতি যেন আধ্যাত্মিক অঙ্ক কষে চিনে নেওয়া জন্ম৷ জন্মের মধ্যে লুকিয়ে থাকা , ছাইচাপা আগুনের দিনলিপি৷ 
সন্ন্যাসী স্বপ্নেরা শেষ কবে সোহাগী বাতাস মেখেছিল গায়ে ৷

.... আজ শুধু বেঁচে থাকা অপেক্ষা মাখা সে সব রহস্য রাত ৷
মৃত্যুহীন জীবন ছুঁয়ে থাকা মৃতরাত ৷


ছাব্বিশ .

বলবে না বলেই পরিযায়ী স্বপ্ন বোনে পাখিরা ৷ বেঁচে থাকা বৃষ্টিরা মাখে ঘন মেঘের রঙ ৷ স্নানহীন ভোর ৷ যুবতী বুক জেগে ওঠে, অবাধ সৈকতে ৷


সাতাশ .

ভান নয়, ভীত চোখে শিখে নেওয়া কৃষ্ণবর্ণ মেঘ ৷ নর্তকী চোখে লিখে রাখা বৃষ্টি ঘুম ৷ উদ্দাম উঠোন জাগে, পাখনাহীন পাখিদের জন্মলগ্ন দেখে ৷


আটাশ .

মৃত্যু যেন বৃষ্টি ভেজা পিচ্ছিল পথ ৷ আহ্লাদিত মনে মিশে যাওয়া সবুজ ঘাস ৷
নির্জনতা জানে,
হাঁটতে হাঁটতে হারিয়ে যাওয়া
                        শব্দের অর্থ ৷
স্নিগ্ধ পথে জন্ম নেওয়া
                              মুগ্ধনদী
চোখ ভাসে দূর হাঁটা পথে ৷


ঊনত্রিশ .

যত্নশীল হাত ছুঁয়ে থাকে স্বপ্নেরা ৷ যুক্তাক্ষর যেন যাবাবর মেঘে বশীভূত ভূত ৷ যুঁই ফেলে যাই মনের মাঝে ৷


ত্রিশ .

রূপহীন রাত ৷ বৃষ্টিকণা নিভৃতে মাখে মেঘের রঙ ৷ ঢেউ ভাঙি শরীরী তটে ৷   
একান্তে শিখি,
রক্তাক্ত নৌকোয় ভেসে আসা দুপুর
হঠাৎ আকাশে নামা সন্ধ্যে ৷
.... শালপাতায় লিখে রাখি, সূর্য ৷ অনন্ত ভোর ৷

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇


Post a Comment

0 Comments