জ্বলদর্চি

Z-generation poem-4/Arun Das

Z-generation poem-4        
 
Arun Das


একত্রিশ.

লজ্জাহীনা হাওয়ার দাপটে, লোকালয় ছেড়ে আসে স্বপ্নেরা। ঘন হয়ে ওঠে ঝিনুক ভোর। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি |লোকারণ্য লিখে রাখে পখির ডাক। অবাক হেঁটে যাওয়া। ঝাপসা কুয়াসা লিখে রাখে লুপ্ত , গুপ্ত চুমুদের কথা। 
রাত শেখায় লজ্জাহীনা রমন। ঋতুমতী ভোর একদিন ইশ্বর হয়ে ওঠে অজানা বাহুর ডাকে।



বত্রিশ .

শব্দহীন সন্ধ্যা। শকুন শহরে আল্পনা আঁকে শরনার্থী পা । জীবন যেন নৌকো ভ্রমণ। স্রোতের ক্যানভাসে এঁকে যাওয়া শান্ত ছবি। অন্ধ অন্ধকার। দৃষ্টিরও বেগ বাড়ে , বৃষ্টিরও। মনের মহাকাব্যে অজান্তে লিখে রাখি হ্রদ। হ্রদে ভেসে থাকা সূর্যাস্ত। 
.......আধভেজা শরীরে বিরল রং ফেলে বৃষ্টিঘুম।



তেত্রিশ .

ষোড়শী সন্ধ্যা শুয়ে থাকে শান্ত হ্রদে। নৌকোরং শেখে রাত। একদিন সাতরঙা রামধনু জেগে ওঠে কালো ছায়ার ডাকে।

পাতাহীন অরণ্য সাজায় নিরালা গ্রামে। বিরল বিকেল জেগে ওঠে বৃষ্টির ডাকে।
.............

চূর্ণী, তোর শরীরের পাহাড়ি চূড়োর গা বেয়ে নেমে যাওয়া, ঐ যত্নহীন রাস্তায় ....আজ শুধু অজান্তে আনমনে হেঁটে যাওয়া।



চৌত্রিশ.

সন্ধ্যাভাষা শেখায় কিভাবে সৌভাগ্য ভাঙে সংশয়। সধবা রাতের সংগম যেন সঞ্জীবনী মেঘ। অনায়াসে, ইশারায় ছুঁয়ে ফেলা সর্বোচ্চ চূড়োর নাম ৷



পঁয়ত্রিশ .

হাঁটতে হাঁটতে 
       হাঁফিয়ে যায় 
                  পাহাড়।

মেঘের লুকোচুরি 
বাতাসের ঘুম।

বুনো ফুলের গন্ধে 
              নেমে আসে 
                    বিভোর ঝরণা,

আড্ডায় নেমে আসে, 
               বুনো অন্ধকার।


ছত্রিশ .

ৎ - ফেলে যায় হঠাৎ-ই ৷
                ভা
                বি
                নি
        খুঁজছি তাকে ৷
               ভা
               বি
               নি
এ অভিঞ্জতার কোনো পর্যটক নেই ৷
            গায়ের রঙে   
            ঝরে পড়ে
            আবছা চোখ
ঢেউ খেলানো পথের ছায়া ৷
                ভা
                বি
                নি
একদিন শীতের হাত
চেনাবে ,
মরুপ্রান্তরে জমে যাওয়া হৃদয় ৷



সাঁয়ত্রিশ .

'ং' ফেলে যায় র - দিন ৷
রঙিন দিনলিপি ৷ ঈশ্বরলিপি ৷
..............

নরম আলো 
নির্জন সবুজ
অবাক মুগ্ধতা
তুই যেন,
ঠান্ডা হাওয়ায় ভেসে যাওয়া
                তারা খসার রাত ৷
মন্ত্রমুগ্ধ চোখ
নিকষ অন্ধকার
ছায়াছায়া অবয়ব
তোকে ছুঁয়ে ,
বিষবাষ্পে মেতে উঠি
                 নেশাচূর ছোবলে ৷



আটত্রিশ . 

ঃ প্রতীকহীন হরিণী পথ৷
শিশুমনে লিখে ফেলা নিঃশব্দ
                                অনুনয়।
প্রথম সন্ধ্যায় বরফখেলা ৷ পাহাড়ের ঢেউ ৷ স্বপ্ন ভেঙে ছুঁয়ে ফেলি দিব্যশিখর ৷
শূণ্য বাহুর ডাকে
জেগে ওঠে চাঁদ ৷
..... ইতস্তত হেঁটে যাই ব্যর্থ পর্দার আড়ালে ৷



ঊনচল্লিশ .

৺ চাঁদ রাখি 'ও' পাহাড়ের চূড়োয় ৷ উড়ে যায় ব্যস্ত সময়৷ রাতের খেলা ৷ শান্ত সমুদ্র লিখে রাখে নীল নক্ষত্রের মেলা৷
পা রাখি পদাতিক পাতায় ৷
হারিয়ে যায় গাছপাল, ঘর বাড়ি ৷
পুরোনো পাতায় লেখা চিঠিহীন শহর ৷
ঘুম যেন ভাবনায় ডুবে যাওয়া নদী৷
 মনোরথ ৷ হৃদয় ভেলায় ভেসে যাওয়া শান্তিপথ ৷


চল্লিশ .

আজ নীল জলের মায়াবী মেঘে লিখে রাখি স্নিগ্ধ স্বপ্ন ৷ পড়ন্ত শরীরের স্বপ্ন ছুঁয়ে যাওয়া পাখিদের৷
মোহময় গোধূলি মেখে থাকা তোর দুচোখ ৷ নিভৃতে শুষে নিই শান্ত সূর্য ৷ সূর্যাস্ত মাখা লাল সমুদ্র। এক চুমুকেই চিনে ফেলি দূর তারাদের  চিঠি ৷ নোনা ঢেউ-এর হাতছানি ৷ সরলরেখা ছুঁয়েছে যে সবুজ, সৈকত মেখে থাকা সন্ধেতে ৷
....................
চূর্ণী , তোর মেঘরঙ চুলের ঢেউ-এ হারিয়ে যাই নিভৃতে ৷
.....আজ বৃষ্টি নামুক অক্ষরে অক্ষরে ৷

Post a Comment

0 Comments