জ্বলদর্চি

কবিতার জঠর /পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

কবিতার জঠর

পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়


এক মুঠো ভাত, আর
স্বীকৃতির সিধে।
চলে তাতে, সঙ্গে ঘোচে
হৃদয়ের খিদে।

তাতে কেউ ওড়ে, কিছু
ফিরে যায় বাড়ি।
সামন্ততান্ত্রিক প্রভু।
রাজার ভিখারি।

দুটো চোখ বুজে রাখা
কান কাটা লোক।
নিলাজের মোটা লেপ
আগুন তোষক।

এই নিয়ে এ জীবনে
ঘটনার সারি।
সামন্ততান্ত্রিক প্রভু
রাজার ভিখারি।

ভদ্র চেতনার মুখ,
জ্ঞানীর মুখোশ।
সব জানি! সবজান্তা
মিছে বিশ্বকোষ।

রাখালের বাঁশি কেড়ে
সুর তুলে তাতে।
বিজেতার জামা গায়ে
কেউ ওঠে জাতে।

তারপর বুকে মুখে
রক্ত ওঠা ভান।
"মহাভারতের কথা
অমৃত সমান।"

সাম্যবাদের বুলি
সমানে সমানে।
যার খোঁজে যত্ন-আত্তি
তারা শুধু জানে।

পৃথিবীর তিন ভাগ- 
জল, এক ভাগ।
ভূখণ্ডের ছদ্মবেশে
বাঁচার সোহাগ।

সেখানে তাদের বাস
আদরে আদরে।
ভীষ্মের তির বেঁধা
নিথর চাদরে।

কাহিনীর মুড়িঘন্ট
শঠতার ছল।
আলগোছে চাপা তাতে
ভুলের আঁচল।

এসকল নিয়ে চলে
যত কারিগরী।
না পেয়ে জলের স্পর্শ
তবু মাছ ধরি।

হে অধম আমাদের
নমস্য চেতনা।
আলস্যে সাঁতার কেটে
যে থৈ পেত না।

তার চোদ্দ পুরুষের
বুকের দরাজ-
দরজার সিংহাসনে
স্বাধীন স্বরাজ।

'কার কথা, হে মানব
কার কথা বলো।
যা শুনে মনের নদী
হয় টলোমলো?'

'চিন্তা নেই দুঃখ নেই
তাপ নেই কোনও।
বিদায়ী আবেশে বলি
ওত পেতে শোনো।

আকাশের নিচে আছে
রুক্ষ শুখা মাটি।
সেখানে প্রাণের-
বাসস্থান পরিপাটি।

সকলই তাদের ইচ্ছে
ইচ্ছেদের দ্বারা।
আত্মগত হয়ে থাকে
সীমাহীনতারা।

আমরা সুযোগ বুঝে
সাফল্যের ঝাঁজ-
দিয়ে পান্তা খাই-
সাথে আদুরে পিয়াঁজ।

তারা অসময়ে বাঁচে
মরে সারি সারি।
সামন্ততান্ত্রিক প্রভু।
রাজার ভিখারি।

-----
জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇


Post a Comment

0 Comments