জ্বলদর্চি

ভারতের অজৈব রসায়নের প্রথম কাণ্ডারি মেদিনীপুরের রসায়ন বিজ্ঞানী ড. পুলিনবিহারী সরকার /পূর্ণচন্দ্র ভূঞ্যা

বিজ্ঞানের অন্তরালে বিজ্ঞানী ।। পর্ব ― ৫৪


ভারতের অজৈব রসায়নের প্রথম কাণ্ডারি মেদিনীপুরের রসায়ন বিজ্ঞানী ড. পুলিনবিহারী সরকার :

পূর্ণ চন্দ্র ভূঞ্যা


কলকাতার অমিত প্রতাপশালী একজন জমিদার শ্রী যাদবনারায়ণ সরকার। এলাকায় তাঁর এবং তাঁর পূর্ব পুরুষদের বেশ নাম-ডাক। দারুণ প্রভাব-প্রতিপত্তি। তাঁর নামে বাঘে-গরু'তে এক ঘাটে জল খায়। বর্তমান কলকাতার 'যাদবপুর'-এর নামকরণ তাঁর নামেই করা হয়েছে। এ হেন জমিদারের সুযোগ্য পুত্র শ্রী বসন্ত কুমার সরকার। একজন বিখ্যাত আইনজীবী। ওকালতি করে ব্রিটিশ ভারতে দারুণ নাম-যশ করেছিলেন। স্কলারশিপ সহ একগুচ্ছ মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য খুব নামডাক তাঁর। তাঁর সুযোগ্য অর্ধাঙ্গিনী শ্রীমতী সরোজিনী দেবী। অত্যন্ত স্বামী অন্ত প্রাণ। প্রচার বিমুখ। খ্যাতির আড়ালে অন্দরমহলের চার দেওয়ালের মধ্যে তাঁর অবাধ বিচরণ। অন্দরমহলে তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বেশি। নিজের সন্তানকেও জমিদারীর কুনজর থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাইতেন সবসময়।

রত্নগর্ভা এ হেন মায়ের গর্ভেই বেড়ে উঠেছে ভারতের অজৈব রসায়নের গোড়াপত্তনকারী একজন বৈজ্ঞানিক। তিনি রসায়ন বিজ্ঞানী ড. পুলিনবিহারী সরকার। সেদিনটা ছিল ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২২শে নভেম্বর। কলকাতার ঝামাপুকুর লেন-এ সরোজিনী দেবীর বাপের বাড়ি। মাতুলালয়ে ওই দিন সরোজিনী দেবীর কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেন পুলিনবিহারী। সেদিন নবজাতকের প্রথম কান্নার সুরে মায়ের চোখ ছলছল। আনন্দাশ্রু। জমিদার বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে দুধের শিশুর বেড়ে ওঠা। জমিদারীর আবহ থেকে ছোট্ট শিশুকে যতটা সম্ভব দূরে সরিয়ে রাখতে চেষ্টার কসুর করতেন না সরোজিনী দেবী। এ হেন সন্ধিক্ষণে স্বামী বসন্ত কুমার সরকার তৎকালীন অখণ্ড মেদিনীপুরের তমলুকে আসেন ওকালতি করতে। অল্প সময়ে ওকালতি পেশায় পসার খুব জমে ওঠে তাঁর। সেজন্য তমলুকেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি। সরোজিনী দেবী যেন হাতে চাঁদ পেলেন। কলকাতা ছেড়ে, জমিদারীর বাহুল্য বর্জিত এমন একখানা নির্জন জায়গা তাঁর খুব পছন্দ। সেজন্য স্বামীর পিছু পিছু ছেলে পুলিনবিহারীকে সঙ্গে নিয়ে তমলুকে হাজির তিনি। স্বামী-সন্তান নিয়ে তমলুকেই স্থায়ী বাসস্থান গড়ে তুলেছিলেন। 

মেধাবী পুলিনবিহারী'র শৈশব আর কৈশোর বেশ হৈচৈ-এ কাটে তমলুকের অলিন্দে। তমলুকের কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে সুন্দরী রূপনারায়ণ। নদীর চরে তাঁর ছেলেবেলা আনন্দে কেটেছে। বাল্যকালে তাঁকে ভর্তি করা হয় তমলুকের বিখ্যাত হ্যামিল্টন স্কুলে। ওই স্কুল থেকে বৃত্তি নিয়ে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করেন ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে। লক্ষ্য এইবার উচ্চশিক্ষা। তার জন্য কলকাতা গমন আশু প্রয়োজন। অগত্যা বাবা-মা'কে ছেড়ে, শৈশবের সাথী তমলুক ছেড়ে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে আই. এস. সি. ক্লাসে ভর্তি হয়ে যান তিনি। প্রেসিডেন্সি কলেজে সেবছর চাঁদের হাট। একঝাঁক উজ্জ্বল সহপাঠী। জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র ঘোষ, জ্ঞানেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায়, মানিকলাল দে, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেঘনাদ সাহা প্রমুখ। নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রত্যেকে দারুণ উজ্জ্বল। সোনার মত ঝকঝকে চকচকে তাঁদের বিদ্যা-বুদ্ধির দ্যুতি। প্রেসিডেন্সি কলেজে তখন পড়ান বিশ্ববিখ্যাত এক প্রফেসর; আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। মূলত তিনিই তাঁর সকল স্টুডেন্টকে বিজ্ঞান গবেষণার স্পিরিট বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে ভাষণ দিতেন। বিজ্ঞান গবেষণায় অনুপ্রাণিত করতেন ছাত্রদের। আইডিয়া দিয়ে তিনি বলতেন― পরাধীন দেশের উন্নয়নে বৈজ্ঞানিক গবেষণা নিঃসন্দেহে এক বড় বিষম ঠাঁই; আবার আশু প্রয়োজন। তার জন্য কলেজ ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের বেশি করে গবেষণার ফিল্ডে আসতে হবে। প্রিয় অধ্যাপকের এমন পরামর্শ পরবর্তীতে গবেষণায় ঝুঁকতে উদ্বুদ্ধ করে পুলিনবিহারীকে। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে একঝাঁক গুণী বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ১৯১৩ সালে বি. এসসি. ও ১৯১৫ সালে রসায়নে এম. এসসি. পাশ করে সে।

পেশা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পিতা বসন্ত কুমার-এর মুন্সিয়ানার বাহবা দিতে হয়। রোজগার পাতির ব্যাপারে সচেতন তিনি। সেজন্য তিনি চাইতেন ছেলেও নিজের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবার পেশা বেছে নিক। ওদিকে মা সরোজিনী দেবীর ইচ্ছা― শিক্ষকতাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করুক ছেলে। মায়ের ইচ্ছাই পূর্ণ হয়। ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকের চাকরি গ্রহণ করে। ঘটনা হল― সবসময়ই ছেলে পুলিনবিহারী টাকাপয়সা, ধনদৌলতের প্রতি অনাসক্ত; নিরুদ্বিগ্ন। অর্থ উপার্জন ও সঞ্চয় কীভাবে করতে হয়― সে বিষয়ে তাঁর ন্যূনতম ধ্যানধারণা, জ্ঞানগম্যি ছিল কিনা সন্দেহ! এম. এসসি. পাশের পরেই মিলে যায় অধ্যাপকের চাকুরী। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে লেকচারার পদে যোগ দিলেন তিনি। 
       
সালটা ১৯২২। তিন বছর হল বিশ্বযুদ্ধ থেমে গেছে। সেবছর সাত পাকে বাঁধা পড়লেন বৈজ্ঞানিক। বালিকা বধূ নিরুপমা বসু'র বয়েস মাত্র তেরো। দশঘরা'র বাসিন্দা শ্রী কানাইলাল বসু'র কন্যা। নিরুপমা দেবী একজন নামকরা সংগীত শিল্পী। বিয়ের আগে থাকতেই নিরুপমা দেবীর গানের গলা বেশ মিষ্টি। সম্ভ্রান্ত সংগীত পরিবেশন করতেন তিনি। তাঁদের পাঁচ মেয়ে আর তিনজন ছেলে। আট ছেলেমেয়েকে মানুষ করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় নিরুপমা দেবীকে। সংগীত প্রিয় মায়ের কড়া অনুশাসনে সকল সন্তানের লেখাপড়া চলে। পড়াশুনায় কোনও আপস নয়। জীবনে সততা আর সমতা'র পাঠ পাখিপড়া করে বোঝান সন্তানদের। দারুণ সন্তান-অনুরাগী ছিলেন দুজনে। ছেলেমেয়েদের সঙ্গে বন্ধুর মত মিশতেন নিরুপমা দেবী আর ড. পুলিনবিহারী সরকার। তাস খেলা, ক্যারাম খেলা প্রভৃতি ইন্ডোর গেমে বাড়ি গমগম করত। একসঙ্গে সবাই খেলতে বসে পড়ে। ড. পুলিনবিহারী সরকার একজন দুর্দান্ত টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন। খেলাধুলার শক্ত পোক্ত শারীরিক গঠন তাঁর। শুধু যে খেলাধুলা আর রসায়নের প্রতি তাঁর অনুরাগ সর্বজনবিদিত; তা না। সাহিত্যের দরবারেও তাঁর স্বাচ্ছন্দ্য অবাধ বিচরণ। সাহিত্যানুরাগী বৈজ্ঞানিকের কোমল মন মাঝেমধ্যে আনচান করে ওঠে।

নিজের মা'কে খুব ভালোবাসতেন বৈজ্ঞানিক। মা অন্ত প্রাণ তাঁর। ছুটিতে কিংবা গবেষণার কাজে একটু ফুরসৎ পেলেই বেরিয়ে পড়েন মেদিনীপুর। মায়ের সঙ্গে দেখা করতে প্রায়শই হাজির হতেন তমলুকে, তাঁর শৈশবের ধাত্রীভূমিতে।

ইউনিভার্সিটিতে চরম ব্যস্ত তিনি। সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি কেবল ছাত্র পড়ানো, এম. এসসি'র প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস নেওয়া। অথচ শুধু অধ্যাপনা করে মন ভরেনি তাঁর। মন পড়ে আছে গবেষণায়। মাথার মধ্যে সারাক্ষণ ঘুরঘুর করছে নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশা। অবশেষে সে সুযোগও এসে গেল অযাচিতভাবে। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ। 'ঘোষ ট্রাভেলিং ফেলোশিপ' পেলেন তিনি। গবেষণার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলোশিপ নিয়ে রওনা হলেন ফ্রান্সের প্যারিস শহরে। শিল্প-সংষ্কৃতির শহর প্যারিস। জ্ঞানচর্চার অন্যতম পীঠস্থান। আর রয়েছে আইফেল টাওয়ার। ভালোবাসার চিরন্তন নিদর্শন। প্রেমের সেই শহরে রয়েছে বিখ্যাত অধ্যাপক-বিজ্ঞানী ড. জর্জ উরবাঁ'র ল্যাব‍রেটরি। সেই ল্যাবে ড. উরবাঁ (Prof. George Urban)-এর অধীনে শুরু হল তাঁর গবেষণা। স্ক্যাডিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম আর ইউরেনিয়াম নিয়ে অভূতপূর্ব কাজের স্বাক্ষর রাখেন সেখানে। খুব প্রশংসিত হয় তাঁর কাজ। প্যারিসে থাকা অবস্থায় ফরাসি ভাষা শিখলেন তিনি। এত সুন্দর রপ্ত করে ফেলেছেন ফরাসি ভাষা যে নিজের আস্ত গবেষণা-প্রবন্ধ ফরাসিতে অনুবাদ করে দিলেন। ফরাসি ভাষায় লেখা তাঁর গবেষণা কর্মের উপর তৈরি থিসিস-প্রবন্ধ ফরাসি দেশের জ্ঞান-বিজ্ঞান জগতের বিশেষ সেরা সম্মান 'স্টেট ডক্টরেট অব ফ্রান্স' লাভ করেন তিনি। গবেষণার কাজ শেষ করে দেশে ফিরে আসেন ১৯২৮ সালে। দেশে ফিরে পুরোনো লেকচারার পদে যোগ দেন পুনরায়। ক্লাসে পাঠদানের পাশাপাশি জম্পেশ একখানা ল্যাব‍রেটরি তৈরি করে বসলেন কলেজে। সেখানে রিসার্চ স্টুডেন্টদের নিয়ে জোরদার গবেষণা চালিয়ে যান সারাক্ষণ। বর্ণালী বিশ্লেষণ ভিত্তিক রসায়নের বিভিন্ন শাখায় তাঁর বিশেষ কৌতূহল ও গবেষণা চলে। এ বিষয়ে অসামান্য কাজের অবদান রেখে গেছেন তিনি। তাঁর এ হেন কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মিলল পুরস্কার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় স্বর্ণপদক পান তিনি। ১৯২৬ সালে বিহারের গয়া থেকে সর্বপ্রথম 'কলামবাইট' (Columnbite) নামের এক আকরিক পদার্থ আবিষ্কার করেন। এই আকরিক থেকে, ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে, রেনিয়াম (Rhenium) মৌল পদার্থ নিষ্কাশন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। ভারতে খনিজ দ্রব্য থেকে তাঁর রেনিয়াম নিষ্কাশন এই প্রথম। 

রমন এফেক্ট আর অবলোহিত বর্ণালী বিশ্লেষণ দ্বারা ফরমেট আয়ন ও ফরমিক অ্যাসিডের তফাৎ দেখান তিনি। ফরমেট, তাঁর মতে, একটি কার্বোনাইট মেটেরিয়াল। অনেকটা আইসো-ইলেকট্রনিক নাইট্রাইট আয়নের মতো। কারণ, ফরমেট আয়ন এবং তার সিন্থেসিস-এর মধ্যে একাধিক বিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেই এমন সিদ্ধান্ত তাঁর।

তাছাড়া, পান্না জাতীয় ভারতীয় পাথরগুলো পর্যালোচনা করে ওদের বহু বিচিত্র রঙের ব্যাখ্যা প্রদান করেছিলেন তিনি। খনিজ পদার্থে সেসময় প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম আর ম্যাগনেসিয়াম মৌল পদার্থ মেশানো থাকত। খনিজ পদার্থ থেকে দ্রুত তাদের পরিমাণ নির্ণয়ের সহজ উপায় বের করেছিলেন। শুধু তাই নয়; সাধারণ জিনিস যেমন চাল, মুসুর ডাল, উচ্ছে, করলা, পান প্রভৃতি সবজির মধ্যে কী কী ধাতু পদার্থ কত পরিমাণে আছে; তার সঠিক হিসাব মিলিয়ে দেখেছেন। চোখের জল আর মাতৃদুগ্ধ নিয়েও তাঁর গবেষণা-মূলক বিশ্লেষণ পণ্ডিতমহলে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছিল। বাকি সব বিখ্যাত সহপাঠী দলের মতো তিনিও নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ কৃতিত্বের ছাপ রেখে গেছেন। তার জন্য পুরস্কার স্বরূপ জুটেছে একগুচ্ছ বিশেষ সম্মাননা।

১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের রসায়ন শাখার সভাপতি, ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব কাল্টিভেশন অব সায়েন্স-এর আজীবন সদস্য এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট-এর সম্মানিত ফেলো নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে বিশুদ্ধ রসায়ন বিভাগের 'স্যার রাসবিহারী ঘোষ অধ্যাপক' আর ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে রসায়নের বিভাগীয় প্রধান হন তিনি। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করলেন স্বনামধন্য এই বিজ্ঞানী। চাকুরী থেকে অবসর নিলেও কাজ তাঁর পিছু ছাড়েনি। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা মন্ত্রক (CSIR)-এর আর্থিক আনুকূল্যে গবেষক ছাত্রদের নিয়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গবেষণায় লিপ্ত ছিলেন কাজ পাগল এই মানুষটি। ১৯৬৭ সাল। বড়সড় দুর্যোগ নেমে এল। বয়স কালে অযাচিত অসুখ তাঁর গবেষণার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পরিনতি ভগ্ন স্বাস্থ্য আর অনিয়মিত রিসার্চের কাজ। শেষমেশ এল ১৯৭১ সালের ১৪-ই জুলাই। কলকাতার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল সেদিন। ওই দিন মহান বৈজ্ঞানিক ড. পুলিনবিহারী সরকার-এর মৃত্যু হয় কলকাতায়। বাংলার আকাশ কালো মেঘে ঢেকে ঝেপে নেমে এলো বৃষ্টি। চোখের জলে ভিজে গেল কলকাতার রাজপথ। স্বাধীন ভারতের অজৈব রসায়নের কাণ্ডারি চলে গেলেন চিরঘুমের দেশে। খনিজ পদার্থের উপর তাঁর কাজ স্মরণে থাকবে অনন্ত কাল।

তথ্যসূত্র :
●অরিন্দম ভৌমিক-এর প্রবন্ধ 'পুলিনবিহারী সরকার'
●S. K. Mukherjee's article 'PULINBIHARI SARKAR'

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇


Post a Comment

0 Comments