জ্বলদর্চি

স্বীকারোক্তি /অর্বাচীন পন্ডিত

স্বীকারোক্তি 

অর্বাচীন পন্ডিত 


.
তোমাকে বিরক্ত করতে না চেয়েও 
অনিবার্য ভাবে তোমার কাছে ছুটে যাই 
বারবার। বুকের কষ্টেরও নিজের ইচ্ছে থাকে
তাকে কী করে শাসন করি বল ,কী করে
শান্তির আশ্বাস থেকে দিতে পারি নির্বাসন। 
সে যে দেখে সব রক্তে তার রক্ত মিশে আছে
বগটুই ,লখীমপুর সব মিলেমিশে একাকার 
ঝালদা হাঁসখালি কাছাকাছি চলে আসে
মানুষ পোড়ার গন্ধে পুড়তে থাকে সে
সেই কী ঘাতক নয়,নির্ভেজাল সরীসৃপ
তার হাত আছে শুধু পেতে রাখার জন্য
তার মুখ আছে অথচ একেবারে বোবা
 তুমি ছাড়া তার আর  কোন বিকল্প নেই
শান্তির সঙ্গে তুমি শক্তি দিও সমভাবে তাকে
এক কাপুরুষ ছিঁড়ে বেরোক সত্যিকারের পুরুষ
লালায়িত মুখের কৃত্রিম উজ্জ্বলতা  ধুয়ে
যে সোচ্চারে আকাশে তুলবে মুষ্টিবদ্ধ হাত।


.
ভারী গলাতেই  জানাই মৃত্যু সততই  দুঃখের 
তবু বলি যারা সামান্য গোলাগুলি লাঠিসোটা
থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারে  না তারা কী
সমান দায়ি নয়?অস্ত্র ক্ষমতা আজকের  না কি
তবু তার মধ্যে বেঁচে আছি দিব্যি খোসহালে 
প্রতিটি সকালে উঠে প্রথমেই বুঝে নিতে হয়
হাওয়ার  মুখ কোন দিকে , কোন দিকে প্রবাহ
তারপর লেখাজোখা আঁকাআঁকি গানবাজনা
ইত্যাদি  পোঁটলাপুঁটলি সহ ভেসে যাওয়া নিরাপদে
প্রয়োজনে খুলে ফেলে যেখানে যেমন বুলি ঝাড়া 
থরে থরে সন্মান এবং হাজারে হাজারে হাততালি
তারই ফাঁকে ফাঁকে পদে পদে পদের হাতছানি
এভাবেই মেপেজুপে বুদ্ধি বিনিয়োগ করে যাই
দশ দিকে অস্থিরতায় স্থির আমি,আমি বুদ্ধিজীবী।


.
সেই কবে দেবতা দিয়েছিল অমরত্বের  বর
এখনো অবধি আমি বহাল তবিয়তে বেঁচে আছি
অবশ্য মাঝে মাঝে আসি যাই দেহ পাল্টাই 
এভাবেই দেব দেবীর মহীমায় ক্ষমতায় ব্যালেন্স করি
আরে ভাই রাক্ষসেরও আছে জেনো মানবিক মুখ,
তবে শুরুর মতো অতটা আর চার অক্ষর নই 
অর্থ অপচয় করে বাঁধি না স্বর্গের ব্যর্থ কোনো সিঁড়ি
 ঘাড় ধরে নরককে  এনেছি স্বর্গে,স্বর্গকে  নরকে
  বুঝে গেছি পর নারী এনে রাখা যুদ্ধ অকারণ 
তার চেয়ে দরজা খুলে রাখি এবেলা  ওবেলা 
কেউ কেউ শালা খচ্চর বলে গালাগাল দেয়
হজম করি ক্ষিধে বাড়ে সর্বগ্রাসী ক্ষুধা
একদিন না একদিন খাবো ঠিক সমগ্র বসুধা।


জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments