জ্বলদর্চি

আগডুম রাজ্যে ১১ /অলোক চট্টোপাধ্যায়

আগডুম রাজ্যে  ১১ 

অলোক চট্টোপাধ্যায়

দুজনে চুপচাপ হেঁটে চলেছি বেশ চওড়া একটা রাস্তা দিয়ে। দু পাশে অনেক দোকান পাট। যাবার সময়ে এদিক দিয়ে আসিনি। আমি সে সব দেখতে দেখতে চলেছি। চটপটিও কিছুটা যেন অন্যমনস্ক। এমন সময়ে হঠাৎ একটা বাজখাঁই গলার চিৎকার – ধরেছি ধরেছি। শিগগির ঝোলাটা নিয়ে এদিকে আসুন কর্তা। কে কাকে ধরল বোঝার আগেই কে যেন পেছন থেকে দুই শক্ত হাতে জাপটে ধরল আমায়। চটপটির দিকে তাকিয়ে দেখি তার মুখ একদম ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।
হাতদুটো এবার আমাকে এবার পাঁজাকোলা করে চেপে ধরতেই তার মুখটা চোখে পড়ল। দেখেই তো আমার হয়ে গেছে। এ যে পাগলা গারদের সেই দশাসই জগঝম্প !  আমাকে পাকড়ে ধরে মুলোর মত দু পাটি দাঁত কিড়মিড় করে বলল – কি বাছাধন, এবার পালাবে কোথায়?
চটপটির দিকে দেখলাম। একদম ভ্যাবাচ্যাকা মুখে দাঁড়িয়ে আছে। বেচারা আবার শিক্ষালয়ে বুদ্ধি খাটানোর পাঠও নেয়নি যে চট করে একটা কিছু উপায় বের করবে।
পাগলা গারদের সেই বূড়োটাকেও এবার দেখতে পেলাম। জগঝম্পর হাঁকডাক শুনেই একটা দোকানের পাশ থেকে একটা ঝোলা হাতে হনহনিয়ে এগিয়ে এল সে। কাছাকাছি এসে ভয়াণক রাগ রাগ মুখে বলল –তুমি তো আচ্ছা বেয়াড়া লোক হে। কি আস্পদ্দা, পান্ডুশিখর পাগলাগারদ থেকে পালানো? তাও আবার জগঝম্পকে ঘরের ভেতর আটকে রেখে? তোমার কপালে অশেষ দুর্গতি আছে।
দুর্গতি যে আছে সে বিষয়ে আমারও তিলমাত্র সন্দেহ ছিল না। তারই মধ্যে হাত-পা ছুঁড়ে জগঝম্পর কবল থেকে ছাড়া পাবার চেষ্টা করছিলাম। সে বেজায় বিরক্ত হয়ে বলল – পাগলামিরও তো একটা সীমা থাকা উচিত। পাগলাগারদের থেকে পালিয়েছিলে সে একরকম ব্যাপার। কিন্তু ধরা পড়ার পরেও এত ধাস্টামো কিসের বাপু? ঐ কাঠি কাঠি হাত দিয়ে পাঁজরে খোঁচাচ্ছো, কাতাকুতু লাগে না বুঝি? মাটিতে আছড়ে ফেললে বুঝবে তখন।
আমিও বুঝে গেছি আমার আর কোনো আশা নেই। হাত পা ছোঁড়া বন্ধ করলাম। নরম গলায় জগঝম্পকে বললাম – ঠিক আছে, আমি চুপচাপ তোমাদের সঙ্গে যাচ্ছি। যেখানে ইচ্ছে নিয়ে চলো। শুধু যাবার আগে একবার আমার বন্ধুর সঙ্গে দুটো কথা বলে নিতে দাও।
কি ভেবে যেন সে রাজি হয়ে গেল। মাটিতে নামিয়েও দিল, তবে একহাতে কাঁধের কাছটা খামচে ধরে রইল। আমি সেই অবস্থাতেই চটপটিকে বিদায় জানিয়ে বললাম – তোমরা আমার জন্যে অনেক করেছো। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। কি আর করবে বল? তুমি বাড়ি চলে যাও। পরে মুশকিল মামাকে সব জানিও।
উত্তরে চটপটি ফিসফিস করে বলল – সে তুমি নিশ্চিন্তে থাকো। তিনি নিশ্চয়ই কিছু একটা উপায় বের করবেন। এটা কিন্তু একদিক থেকে ভালোই হল। জগঝম্পর ভয়ে কেউ বড় একটা পাগলাগারদের আশেপাশে যায় না। যারা তোমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে তাদের হাত থেকে নিরাপদে থাকবে তুমি। আর আমি এখনই ঘটপটি দাদাকে খবর দিচ্ছি। তোমাকে সময়মত উদ্ধারের ব্যবস্থা কিছু একটা হয়েই যাবে। 
আমাকে বিদায় জানিয়ে চটপটি এগিয়ে গেল। বুড়ো এদিকে সেই ঝোলাটা জগঝম্পর হাতে দিয়ে বলল – নে, এবার এটাকে এর ভেতর পুরে ফ্যাল। 
জগঝম্প আমাকে আবার চ্যাংদোলা করে ঝোলার ভেতর ভরেই ফেলেছে প্রায় এমন সময়ে হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন ধমকে উঠল – অ্যাই, খবরদার ! 
আমি ঘাড়টা একটু কাত করে দেখতে পেলাম , কি কান্ড ! ঠিক এই সময়েই মেজো কোতোয়াল আর বটোকেষ্ট কোত্থেকে এসে হাজির। মেজো কোতোয়াল সামনে এসে আমার হাত টেনে ধরে বলল – এ আমাদের বন্দীশালা থেকে পালানো চোর। পরশু রাতে দস্তুরমত আট আটটা টঙ্ক নিয়ে পালিয়েছিল। সেই থেকে ব্যাটাকে খুঁজছি আর তোমরা কিনা থলের মধ্যে লুকিয়ে এটাকে পাচার করার চেষ্টা করছো?
এ কথা শুনে পাগলাগারদের বুড়োটা বেজায় ক্ষেপে উঠে বলল – বললেই হল নাকি? এ আমাদের পাগলাগারদ থেকে পালানো পাগল। একে আমরাই ধরে নিয়ে যাব আর তারপর জলবিছুটি দিয়ে এর চিকিচ্ছে করব। আমি চোখের কোন দিয়ে দেখতে পেলাম যেতে যেতেও গোলমাল শুনে রাস্তার একপাশে চটপটি দাঁড়িয়ে গেছে।     
সেই নিয়ে লেগে গেল তুমুল ঝগড়া। জগঝম্প আর বটকেষ্ট তো দস্তুরমত  আস্তিন গোটাতে শুরু করল।  এবার মেজো কোতোয়ালের যত রাগ এসে পড়ল আমার ওপর। - তুমি তো আচ্ছা বেয়াদপ লোক হে। বন্দীশালা থেকে পালিয়েছো, সে এক রকম, আবার পাগলাগারদে ঢুকতেই বা গেলে কেন, আর যদি ঢুকেই পড়লে তাহলে পালাতে গেলে কেন? একসঙ্গে দু দু জায়গা থেকে পালানো আমি কক্ষোনো শুনিনি।
-ঠিকই তো । বুড়োও সায় দিল। - এসব লোকেদের হাটের মধ্যে দু শো গজ নাক খৎ দেওয়ানো উচিত, আর নয়তো একেবারে শূলেই চড়িয়ে দেওয়া উচিত। জগঝম্প তাই শুনে বটকেষ্টর সঙ্গে ঝগড়ার মাঝেই বলল – কিন্তু তার আগে আমি এর চিকিচ্ছে করব বলে দিলাম। শুনেই আমার বুকটা শুকিয়ে এল।
বুড়ো আর মেজো কোতোয়াল আমার নানা রকম উপযুক্ত শাস্তির বিষয়ে আলোচোনা করতে লাগল, কিন্তু ওদিকে বটকেষ্ট আর জগঝম্পর ভেতর হাতাহাতি লাগে আর কি। দু বার তো প্রায় শুরু হতে হতেও হল না। একবার যেই কি কারনে জগঝম্প এদিকে মুখ ফিরিয়েছে ঠকাস করে একটা ছোট্টো পাথরের টূকরো এসে লাগল তার মাথার ঠিক পেছনে। আমি পষ্ট দেখলাম চটপটি একটা গুলতি মতন কি যেন চট করে তার পকেটে ঢুকিয়ে ফেলল। 
জগঝম্প ঝাঁ করে ঘুরেই বটকেষ্টর জামা খামচে ধরে গর্জে উঠল – তুই আমাকে গাঁট্টা মারলি? এবার দ্যাখ তার ফল। বলেই বটকেষ্ট কিছু বোঝার বা বলার আগেই এক প্রকান্ড চড় কষিয়ে দিল তার গালে। সেই চড়ে বটকেষ্ট উল্টে পড়ল বটে কিন্তু শুয়ে শুয়েই এক জোরালো রকম ল্যাং মেরে শুইয়ে ফেলল জগঝম্পকেও। ব্যাস যে লড়াইটা লাগবো লাগবো করেও লাগছিল না সেটা এবার শুরু হয়ে গেল। জগঝম্পর বিশাল চেহারা  কিন্তু কুস্তির সূক্ষ্ণ মারপ্যাঁচে দেখলাম বটকেষ্টও কিছু কম যায় না। দুজনের ভেতর সাংঘাতিক ধস্তাধস্তি বেধে গেল। 
আমি ভাবছি এইবার বুঝি মেজো কোতোয়াল আর বুড়ো মিলে ব্যস্ত হয়ে ওদের মারপিট থামাবে, কিন্তু কোথায় কি ! বুড়ো উল্টে মেজো কোতোয়ালের পিঠে দুম দুম করে দুটো কিল কষিয়ে দিল। আর মেজো কোতোয়ালই বা ছাড়বে কেন সেও বুড়োর দাড়ি ধরে এমন হ্যাঁচকা টান মারল মনে হল কয়েক গাছা দাড়িই বুঝি উপড়ে চলে এল তার হাতে।
তারপরেই বেধে গেল তাদের দুজনের মধ্যেও সাংঘাতিক লড়াই। একবার এ ওকে চিৎ করে শুইয়ে দেয় তো ও একে আছাড় মেরে ফেলে। মেজো কোতোয়াল লোকটা বেশ জোয়ান বটে কিন্তু বুড়োর গায়ে দেখলাম ভয়ানক জোর। কেউ কারো থেকে কম যায় না। এদিকে আবার বটকেষ্ট আর জগঝম্প ঝাপটা ঝাপটি করতে করতে এসে পড়ল এদের মধ্যে। তখন কে যে কোন দলে, কে কার সঙ্গে লড়ছে সেটাই বোঝা দায়। আমি তো একবার পষ্টো দেখলাম বটকেষ্ট ঠাঁই ঠাঁই করে মেজো কোতোয়ালকে গাঁট্টা মারছে, আর একবার দেখলাম বুড়ো ঠাস করে জগঝম্পর গালে একটা চড় কষিয়ে দিল।
ইতিমধ্যে চারধারে বেশ লোক জমা হয়ে গেছে। সবাই গোল করে যুদ্ধক্ষেত্রটা ঘিরে যুযুধান দু পক্ষকেই সমানে উৎসাহ দিচ্ছে। এমন সময়ে আমার হাত ধরে টান দিল কেউ। ঘুরে দেখি চটপটি। মহা বিরক্ত মুখে বলল – এখন এমনি হাঁ করে কুস্তি দেখলে চলবে? ওরা এখন সব কিছু ভুলে নিজেদের মধ্যে লড়াইএ ব্যস্ত। এই ফাঁকে পালাতে হবে না? সে আমার হাত ধরে ঢুকে পড়ল পাশের একটা গলিতে। প্রথমে একটু স্বাভাবিক চালে হেঁটে একটা বাঁক পেরিয়েই দুজনে টেনে ছুট লাগালাম।
-আমার গুলতির টিপটা দেখলে? ছুটতে ছুটতেই শুধোলো চটপটি।
-দারুণ। জানালাম আমি। - বোঝাই যায় যে তুমি ঐ বিষয়ে প্রথম হয়েছিলে। তবে আরো একটা কথা বলতেই হয়, সময়মত বুদ্ধিটাও ঠিকঠাক খাটিয়েছিলে। মুশকিল মামার কাছে না পড়েও। জগঝম্প বা বটকেষ্ট কেউই বুঝতে পারেনি ঢিলটা অন্য কেউ মেরেছিল।
-কী করব বল? মারামারিটা যে লেগেও লাগছিল না। এ সময়ে বাইরে থেকে কেউ উসকে না দিলে লোকে লড়াই করবে কেন? চটপটি বলল। - সে যাক। এখন আমাদের একটু ঘুরপথে বাড়ির দিকে যাবার চেষ্টা করতে হবে। 
আমরা হাঁটছিলাম একটা সরু গলির মত পথ দিয়ে। একপাশে একটা মস্ত উঁচু পাঁচিল অন্য দিকে বেড়া দিয়ে ঘেরা বড় বড় গাছের বাগান। সেখানে অনেক পাখপাখালি উড়ে বেড়াচ্ছে। তাদের কিচির মিচির ডাকের মধ্যে বেশ একটা শান্তির বাতাবরণ। জগঝম্প আর বটকেষ্টদের হাত থেকে পালিয়ে অনেকটা দূরে চলে আসায় বেশ নিশ্চিন্ত লাগছিল। কিন্তু সে কথা চটপটিকে বলতে সে বেশ গম্ভীর ভাবে বলল – এখনই অত খুশি হবার দরকার নেই। আমার কেমন যেন মনে হচ্ছে কারা বুঝি আমাদের ওপর নজর রাখছে।
সে কথা শুনে আমি তো অবাক। এতটা রাস্তা এলাম, পথে তেমন লোকজনও ছিল না। জগঝম্পরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়ায় ব্যস্ত। এর ভেতর কাকে ও আমাদের ওপর নজর রাখতে দেখল? সে কথা বলতে ও বলল – তুমি খেয়াল করনি, বাগানের ভেতর দুজন লোককে দেখেছি। গাছের ফাঁক দিয়ে আমাদের উঁকি মেরে দেখছিল। এমনি গ্রামের লোকও হতে পারে, কিন্তু গাছের আড়াল নেওয়াতেই কেমন যেন অস্বস্তি হচ্ছে। তাছাড়া ঐ যে কিচির মিচির শুনছো, সবগুলো পাখির ডাক নাও হতে পারে। হতে পারে কেউ কোনো সঙ্কেত পাঠাচ্ছে। ঠিকমত বাড়িতে পৌঁছোতে পারলে তবেই নিশ্চিন্ত।
সত্যি কথাই, পাখির ডাক খেয়াল করে শুনে মনে হল কয়েকটা যেন কিরকম বেসুরো মতন। চলতে চলতে দেখি পাশের পাঁচিলের খাঁজে একটা ছোট্টো দরজা। অনেকটা আমাদের এখানকার খিড়কি দরজার মত। তার কাছাকাছি আসতেই সেটা হঠাৎই খুলে গেল আর সেখান থেকে বেরিয়ে এল উর্দিধারি কোমরে তলোয়ার ঝোলানো দুজন লোক। একই সঙ্গে, আমরা কিছু বোঝার আগেই পাঁচিলের ওদিক থেকে কে বা কারা আমাদের ওপর ছুঁড়ে দিল শক্ত দড়ি দিয়ে বোনা মস্ত এক জাল। গাছপালা ভরা বাগানের দিক থেকেও বেড়া টপকে লাফিয়ে এল সাধারণ পোষাক পরা দুজন। মানে, ওরাই আমাদের ওপর নজর রাখছিল, আর পাখির ডাক ডেকে সঙ্কেতে খবর পাঠাচ্ছিল বাকিদের।
তিন দিক থেকে আমাদের ঘিরে ফেলে উর্দিধারি একজন আমাকে ভাল করে নিরীক্ষণ করে অন্য জনকে বলল  - এটাই তো মনে হচ্ছে যে ভিনদেশিটাকে আমরা খুঁজছি সেইটা। তাকেই মনে হল এদের সর্দার।
চটপটি সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি জানিয়ে বলল – ও মোটেই ভিনদেশি লোক নয়। ও তো আমাদের আলতা পিসির ভাসুরের ছেলে। তোমরা মোটেই ওকে খুঁজছিলে না।
-সেটা তো এক্ষুনি প্রমাণ হয়ে যাবে। উর্দিধারি জানাল। বলতে বলতেই তারা আমাদের জাল থেকে ছাড়িয়ে হাতদুটো একটা লম্বা দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলল। দড়ির অন্য দিকগুলো শক্ত করে ধরে রাখল এক একজন। চটপটি তখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। -ওর কাছে রীতিমত সরকারি দস্তাবেজখানার কাগজ আছে। শুধু আলতা পিসির বাড়িতে ফেলে এসেছে। ছেড়ে দিলেই কালকের মধ্যে এনে দেখিয়ে দেবে। তখন তোমাদের নামে আমরা নালিশ করব, দেখে নিও।
উর্দিধারি অবশ্য সেসব কথায় কান দিল না। উল্টে আমার পকেট হাতড়ে ঘড়িটা বার করে ফেলল। বেজায় খুশি হয়ে অন্যজনকে বলল – এই তো। এটাই তো নিশ্চয়ই সেই যন্তরটা। ও বাবা, কাঁটাগুলো যে আপনা থেকে ঘোরে দেখি। এটা তো কর্তা বলেননি। তবে এই যে সেই লোক তাতে আর সন্দেহ নেই। ঘড়িটা খুব খুশিখুশি মুখে কিছুক্ষণ দেখে আমার পকেটেই রেখে দিল আবার।
আমরা ইতিমধ্যে পেছনের ঠেলায় আর দড়ির টানে খিড়কি দরজার ভেতর দিয়ে পাঁচিলের ওপারে ঢুকে পড়েছি। ঘড়িটা বেরিয়ে পড়ায় চটপটির মুখে আর কথা নেই। আমি ক্ষীণভাবে আর্জি জানালাম চটপটিকে ছেড়ে দেবার জন্যে। সে কথাতেও তারা কান দিল না।
-হ্যাঁ, ওকে ছেড়ে দিই আর ও দলের লোকজন জুটিয়ে রাস্তা আটকে হৈ হ্যাঙ্গামা পাকাক আর কি? ও সব হবে না। তোমাদের দুজনকেই কর্তার কাছে পেশ করা হবে। তারপর দ্যাখো তোমাদের কি হয়। 
পাঁচিলের ভেতরেও বড় গাছ আর ঝোপঝাড়। দূরে একটা মস্ত বাড়িও দেখা যাচ্ছিল। আমাদের একটা গাছের সঙ্গে বেঁধে বাকিদের পাহারায় রেখে সর্দার চলে গেল বাড়িটার দিকে। নিশ্চয়ই ওদের সেই কর্তাকে খবর দিতে। আমরা অসহায়ের মত বসে রইলাম গাছের তলায়। কে জানে এদের কর্তাটি আবার কে?

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments