জ্বলদর্চি

আগডুম রাজ্যে ৭ / অলোক চট্টোপাধ্যায়

আগডুম রাজ্যে ৭  

অলোক চট্টোপাধ্যায়

খাওয়া দাওয়া সেরে উঠোনে মাদুর বিছিয়ে বসে চটপটি আর তার বোন আমার কাছে সময় মাপার যন্ত্রটা দেখতে চাইল। আমি ফতুয়ার পকেট থেকে সেটা বার করে দেখাতে দুজনেই ভারি হতাশ হল। এইটুকুনি? আর এটা তো হাতের গয়ণার মত, তবে সে রকম চকচকেও নয় মোটেই। এ দিয়ে সময় তো পরের কথা, কোনো কিছুই মাপা যেতে পারে বলে তাদের মনে হল না।
ঘড়িটা এখানে আসার পর থেকে বন্ধই হয়ে ছিল। এবার কাঁটা ঘোরানোর চাবিটা ধরে নাড়াচাড়া করতে হঠাৎ কাঁটাগুলো নড়তে শুরু করল। হয়তো পাঁচিল টপকে লাফানোর সময়ে ধাক্কা লেগে কোনো কাঁটা কোথাও আটকে গিয়েছিল। তাই দেখে চটপটি আর চকমকির তো চোখ কপালে উঠে গেল। সত্যি বলতে কি আমারও। কারন, ঘড়ির কাঁটাগুলো ঠিক দিকে না ঘুরে উলটো দিকে ঘুরছিল। কয়েকবার চাবিটা বাইরে টেনে ঘড়ি বন্ধ করে আবার চালু করলাম। কিন্তু তাতে কোনো ফল হল না। দু ভাইবোন অবশ্য কাঁটাদের নড়াচড়া দেখেই মুগ্ধ। চকমকি বলল – ওদের বারবার থামাচ্ছো কেন? ওদের যেমন ইচ্ছে ঘুরতেই দাও না। বেশ দেখতে লাগছে। কিন্তু এর সঙ্গে সময়ের হিসেবের কি সম্পর্ক?
আমি উলটো চলা ঘড়িতেই ব্যাপারটা বোঝানোর চেষ্টা করছি, চটপটি বলল – না, এখন দেরি না করে আমাদের বেরিয়ে পড়তে হবে। মুশকিল মামার কাছে পৌঁছে পুরোটা বলতে হবে ওনাকে। তবে যদি কোনো উপায় হয়।
-মুশকিল মামা আবার কে? আমি শুধোলাম।
-শোনো তোমায় অবস্থাটা বুঝিয়ে বলছি। আমার কথাটা চাপা দিয়ে গম্ভীর মুখে চটপটি বলল। - এদিকে রাজামশাই তো ভরা রাজসভার মধ্যে বাঞ্ছারামকে আদেশ দিয়েছেন ঐ রকম একটা সময় মাপার যন্ত্র তার সাতদিনের ভেতরে চাই। এদিকে বাঞ্ছারাম তো আসলে কিছুই জানেনা। নানা রকম ভুজুং ভাজুং দিয়ে, জাদুর খেলা দেখিয়ে আর ইড়িং বিড়িং কিসব মন্ত্র বলে এতদিন সবাইকে বোকা বানাচ্ছিল। এখন পড়েছে মুশকিলে। এখন ও মনে করছে তুমি একজন সাঙ্ঘাতিক পন্ডিত আর ওর চেয়েও ভাল জাদুকর। সময়ের হিসেব পর্যন্ত কষতে পারো। এসব জানাজানি হয়ে গেলে ওর এতদিনের মোটা মাইনের চাকরিটাই যে শুধু চলে যাবে তাই নয়, অপমানও হবে খুব। তাই কালকে সভার পরেই ও চারদিকে লোক লাগিয়েছে তোমাকে খুঁজে বার করার জন্যে। ইতিমধ্যেই সবাই জেনে গেছে তুমি আবার বন্দীশালার থেকেও পালিয়ে গেছো। ওর চরেরা এখন চারদিকে তোমায় খুঁজছে। ধরতে পারলে তোমার যন্তরটা কেড়ে নিয়ে হিসেবের কায়দাটা বুঝে নিয়ে তোমাকে মেরেও ফেলতে পারে।
শুনে তো আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেল। ভিজে ভিজে গলায় বললাম – তাহলে এখন কি হবে চটপটি ভাই?
চকমকি বলল – শুধু এই নয়। ওদিকে আবার ঘন্টাইদাদা খবর এনেছে ফোড়নদাসের লোকেরাও তোমাকে খুঁজছে। সে আবার ভারি সুযোগসন্ধানী লোক, আর বেজায় চালাক। অ্যাদ্দিন ওর নজর ছিল কোতোয়ালের পদটার দিকে। এখন ওদিকে সুবিধে করতে না পেরে আর বাঞ্ছারাম ঝামেলায় পড়েছে দেখে ও চাইছে তোমাকে কব্জা করে সময় মাপার ব্যাপারটা জেনে নিয়ে বাঞ্ছারামকে সরিয়ে ওই সভাপন্ডিত হয়ে বসবে। ফোড়নদাস পারেনা হেন কাজ নেই। দরকার হলে বাগডুমদের সঙ্গেও হাত মেলাতে পারে।
-এর মধ্যে আবার বাগডুমরা এলো কোত্থেকে? আমি শুকনো গলায় বললাম। - এমন তো নয় ওরা আমাকে বাগডুম ভাবছে?
-না না, তা ভাববে কেন? চটপটি অভয় দিল। - তাদের মস্ত মস্ত গোঁফ হয়। আর মেয়েরা মাথায় কাপড়ের ঢাকনা পরে থাকে। বাকিটা আমাদের মতই, তবে কি কারণে যেন তাদের সঙ্গে আমাদের ঘোর শত্রুতা। তারাও আমাদের দুচক্ষে দেখতে পারেনা আর আমাদেরও কোনো বিপদ আপদ হলে বলা হয় বাগডুমরাই তার জন্যে দায়ী।
-কিন্তু এখন আমার কি হবে? আমি জিগ্যেস করলাম।
-আমরা এখন যাবো আমাদের মুশকিল মামার কাছে। চকমকি জানাল। - তিনি নিশ্চয়ই একটা কিছু উপায় বার করতে পারবেন। ওনার পুরো নাম মুশকিল আসান বুদ্ধিধর। আমাদের বড়মামার বন্ধু বলে আমরা তাকে মুশকিল মামা বলেই ডাকি। এখানকার শিক্ষালয়ে পড়ান। ওখানেই থাকেন। আমি তো ওনার কাছেই পড়ি। দাদারাও আগে পড়েছে। খুব ভাল লোক। আর ভীষণ বুদ্ধি ধরেন। কারো কোনো দরকার পড়লে ওনার কাছেই সবাই বুদ্ধি ধার নিতে যায়। এমন কি রাজামশাইও তেমন বুঝলে মুশকিল মামাকেই ডেকে পাঠান।

ঠিক হল আমি আর চটপটি একসঙ্গে যাব শিক্ষালয়ে। চকমকিও যাবে, কিন্তু কিছুটা আগে আগে। যাতে পথে সন্দেহজনক কাউকে দেখলে আমাদের সাবধান করে দিতে পারে। চটপটি জানাল, আমরা লোকালয়ের বাইরের দিক দিয়ে বেশ কিছুটা ঘুরপথে যাব আর সেইসঙ্গে আমাকে বারবার সাবধান করে দিল যেতে যেতে অদ্ভুত কিছু দেখলে যেন কিছু জিগ্যেস না করি, অচেনা লোক দেখলে যথা সম্ভব এড়িয়ে চলি। মোট কথা কেউ যেন বুঝতে না পারে আমি এখানকার লোক নই। 
হঠাৎ কি যেন চিন্তা করে চকমকি বলল – দাদা, আমার মনে হয় ঐ সময় মাপার যন্তরটা তোমার কাছে না রাখাই ভাল। যদি ওদের কেউ তোমাকে ধরেও ফেলে, ওটা তোমার থেকে কেড়ে নেবার ভয় থাকবে না, আর তুমিও জোর দিয়ে বলতে পারবে ওরা যাকে খুঁজছে তুমি সে লোক নও। ওর কথায় যুক্তি ছিল। সত্যিই তো, ওটা কেউ আমার কাছে দেখে ফেললেই তার আর বুঝতে বাকি থাকবেনা যে আমিই সেই বহিরাগত লোক। আর সে যদি বাঞ্ছারাম বা ফোড়নদাসের চর হয় তাহলেই তো আমার হয়ে গেল। আমি ঘড়িটা ওর হাতে দিলাম। চকমকি খুব সাবধানে সেটা তার জোব্বার মতন পোশাকের ভেতরে কোথাও লুকিয়ে ফেলল।
আমরা বেরিয়ে পড়লাম। চকমকি আগেই রওনা হয়ে গিয়েছিল। বেরিয়ে তাকে কোথাও দেখতে পেলাম না। তবে চটপটি আশ্বস্ত করল সে ঠিক আগে আগে চলেছে।
যেতে যেতে চটপটির থেকে শিক্ষালয় সম্বন্ধে অনেক কথা জানা গেল। যা বুঝলাম, সেটা হোল আগডুম রাজ্যের একাধারে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছু। আর কি কি শেখানো হয় সেখানে? নামতা পড়ার থেকে তামাক সাজা, প্রাচীন পুঁথিপত্তরের মানে বার করার থেকে মাছ ধরার জাল ফেলার নিয়ম কানুন সব কিছু শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। যার যেটা পছন্দ সেটাই সে শিখতে পারে। মুশকিল মামা সেখানে বুদ্ধি খাটানোর কায়দা শেখান। চকমকি নাকি তার কাছে শিখে শিখে এখন থেকেই বেশ তাক মাফিক বুদ্ধি বাৎলাতে পারে। সেখানে প্রথম কিছুদিন পড়লে বিদ্যাগজ উপাধি পাওয়া যায়, তারপর আরো কিছুদিন পড়লে বিদ্যাগজগজ আর তারও পরে আরো আরো পড়লে বিদ্যাদিগগজ হওয়া যায়, তবে ততদিন সাধারণত কেউ পড়ে না। ঘটপটি চটপটি দুই ভাইই বিদ্যাগজ পর্যন্ত পড়ে কাজকম্মো ধরে নিয়েছে। তবে চকমকির বেজায় পড়াশুনোর শখ। ও এরই মধ্যে বুদ্ধি খাটানোর বিষয় নিয়ে বিদ্যাগজগজ শ্রেনীতে উঠে গেছে।
-আচ্ছ, এই বুদ্ধি খাটানোর ব্যাপারটা কি রকম? আমি জানতে চাইলাম।
-নানা ধরণের বিপদে আপদে বা কোন কিছুর দরকার পড়লে চট করে একটা উপায় খুঁজে বার করার বিদ্যে। চটপটি জানাল। - এই ধর, তুমি এখন একটা ভয়ানক বিপদের মধ্যে আছো। কঠিন সমস্যায় পড়েছো। এখন যদি তোমার বুদ্ধি খাটানোর ক্লাসগুলো করা থাকত তুমি নিজেই ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে পারতে। এই রকম আর কি। 
-তুমি বুদ্ধি খাটানোর ক্লাস করোনি? আমি জানিতে চাইলাম।
-নাঃ। চটপটি ম্লান মুখে জানাল। - আমি সেই সময়ে গুলতি ছুঁড়ে ফলপাকুড় পাড়ার কায়দা শিখতাম। জানো, গুলতি ছোঁড়ায় আমি সব্বার থেকে বেশি নম্বর পেয়েছিলাম।
ঠিক এই সময়ে আমাদের পেছন দিক থেকে একটা ‘ধর ধর – চোর চোর’ বলে দারুণ শোরগোল শোনা গেল। হঠাৎ শুনে প্রথমেই মনে হোল আমাকেই বুঝি কেউ ধরতে আসছে। টেনে দৌড় লাগাতে যাচ্ছি, চটপটি আমার হাতটা খামচে ধরে আটকাল। তখন ভয়ে ভয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি একটা লোক দুদ্দাড়িয়ে ছুটে আসছে আর তার পেছন পেছন চ্যাঁচাতে চ্যাঁচাতে তেড়ে আসছে জনা চারেক সেপাই। বুঝলাম আমাকে নয়, ওই লোকটাকে ধরার জন্যেই এত হৈ চৈ। চটপটি আমার হাত ধরে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে গেল।
এদিকে সেপাইগুলো লোকটাকে প্রায় ধরেই ফেলে আর কি, দু হাতের মধ্যে চলে এসেছে, ঠিক এমন সময়ে লোকটা ভারি অদ্ভুত এক কান্ড করল। হঠাৎ ঘুরে দাঁড়িয়ে মুখের সামনে একটা হাত তুলে চেঁচিয়ে বলল – আব্বা আব্বা আব্বুলিশ। সেপাইরাও তাই শুনে থমকে দাঁড়িয়ে গেল। সে তখন ধীরে সুস্থে রাস্তার একপাশে ঠ্যাং ছড়িয়ে বেশ নিশ্চিন্ত মনে বসে হাঁস ফাঁস করে হাঁফাতে লাগল। সেপাইরাও রাস্তার অন্য পাশে গিয়ে বসে নিজেদের ভেতর দিব্যি গল্পগাছা করতে লাগল।
-একেই বলে আব্বুলিশ লাগানো। চটপটি আমার কানে কানে বলল। - এখন বুঝলে তো? আমি ঘাড় নেড়ে বললাম – বুঝেছি। তবে এখন এখান থেকে চলো। সেপাই দেখলেই আমার কি রকম যেন ভয় ভয় করছে। যদিও বটোকেষ্ট এদের ভেতর নেই, কিন্তু কোনোভাবে যদি এরা বন্দীশালা থেকে পালানো চোর বলে আমায় চিনে ফেলে ভারি মুশকিল হবে।
চটপটি বলল – ঘাবড়িও না। সবটা দেখেই যাব। কিচ্ছু হবেনা। এদের ওপর আদেশ আছে ওই লোকটাকেই ধরতে হবে, এখন ওদের সামনে যদি দু একটা খুন খারাপিও হয়ে যায় ওরা কোনোদিকে তাকাবে না। আর তোমাকে তো ওরা চেনেই না। ভয় কিসের?
অগত্যা দাঁড়িয়ে রইলাম। তাড়া খাওয়া লোকটা বেশ কিছুটা দম নিয়ে হঠাৎ দাঁড়িয়ে উঠে দু হাত চোঙার মত মুখের সামনে নিয়ে – চলো চলো, খেল শুরু – বলেই ভোঁ দৌড় লাগাল। সেপাইরাও ধড়ফড় করে উঠে পড়িমড়ি করে ছুটল তার পেছন পেছন।
-বাঃ বাঃ। চটপটি চমৎকৃত হয়ে বলল। কেমন বুদ্ধি খাটাল দেখলে। - লোকটা নিশ্চয়ই মুশকিল মামার কাছে পড়েছে। 
একটু এগোতে না এগোতেই আর এক কান্ড। রাস্তার একধারে একজন লোক খুব দুঃখু দুঃখু মুখ করে বসেছিল। মনে হল চটপটির চেনা কারণ সে এগিয়ে গেল তার দিকে। সেই মুহূর্তে আমি দেখতে পেলাম অনেকটা দূরে রাস্তার বাঁকের থেকে চকমকি প্রানপনে হাত নেড়ে আমাদের এগিয়ে আসতে বলছে। চটপটি সেদিকে না তাকিয়েই লোকটার কাছে গিয়ে বলল – কি কেষ্টদাদা, অমন ব্যাজার মুখ করে বসে আছো কেন? কোনো বিপদ আপদ হল নাকি?
কেষ্টদাদা লোকটা মনে হল কেউ এরকম প্রশ্ন করবে এমনটা ধরে নিয়েই অপেক্ষা করছিল। চটপটির কথা শেষ হতে না হতেই ডুকরে কেঁদে উঠে বলল – বড় সব্বোনাশ হয়ে গেছে রে ভাই। হতচ্ছাড়া বিরিঞ্চিটা আমাকে বেজায় রকম ফাঁসিয়ে দিয়েছে। বলেই আবার কান্না।
চটপটি বলল – আহা কি হয়েছে, বিরিঞ্চিই বা কে একটু খুলে বলবে তো।
কেষ্টদাদা কাঁদতে কাঁদতে বলল – বিরিঞ্চি হল আমার মাসতুতো শালার বন্ধু। গতবার ঘুড়ি ওড়ানোর মাঠে হাপ্তা ধরা নিয়ে আমার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। সেই রাগেই হয়তো -। আচ্ছা ভাই তুমিই বলতো ওর কি উচিত ছিল না একবার আমাকে নিয়মটা মনে করিয়ে দেওয়া?
চটপটি বলল – কোন নিয়ম? খুলে না বললে বুঝব কি করে?
-গাছে তুলে মই কেড়ে নেবার ব্যাপারটা। ডুকরে উঠে কেষ্টদাদা বলল। - আমি রাস্তা দিয়ে আসছি। বিরিঞ্চি ঘাড়ে একটা মই নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ঐ ভুষো আমের গাছটার নিচে। আমায় বলল মইটা ও ধরছে, আমি যেন গাছে উঠে এক থলি আম ওকে পেড়ে দিই। আমার তো সাদা মনে কাদা নেই, সত্যিই ভেবেছি, অনেকেরই তো মই বেয়ে উঠতে গেলে মাথা ঘোরে, এরও হয়তো তাই। ও মা, যেই ওপরে উঠে একটা তেডালায় পৌঁছে মই ছেড়ে সরেছি অমনি দেখি মইটা সরিয়ে নেবার তাল করছে। আমিও তাই দেখে মই চেপে ধরলাম। বেধে গেল টানা হ্যাঁচড়া। নিচের থেকে বিরিঞ্চি টানছে, ওপর থেকে আমি। ও-ই হেরে গেল অবিশ্যি, আমার সঙ্গে গায়ের জোরে পারবেই বা কি করে? কিন্তু যাবার সময়ে শাসিয়ে গেল, আমার নামে বিচারসভায় নালিশ করবে। আমারও সেই নিয়মটা তক্ষুণি মনে পড়ে গেল, কেউ মই বেয়ে গাছে উঠলে তার মইটা কেড়ে নিতে হয়। প্রাচীন বইতে তেমনটাই লেখা আছে। সে কাজে বাধা দেওয়া খুব অনেয্য কথা।
এই অবধি বলে কেষ্টদাদা আবার ভেউ ভেউ করে কেঁদে উঠল। আর আমি ভারি অবাক হয়ে বলেই ফেললাম – কি আশ্চর্য্য! এ আবার কি অদ্ভুত নিয়ম?
বলতে বলতেই দেখি চটপটি আমার দিকে কটমট করে তাকাচ্ছে। আর কেষ্টদাদাও হঠাৎ কান্না টান্না ভুলে আমার দিকে তাকিয়ে খুব সন্দিগ্ধ গলায় বলল – তোমার সঙ্গে ইটি কে হে চটপটি? দেখে যেন মনে হয় বাইরের লোক।

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇


Post a Comment

0 Comments