জ্বলদর্চি

পদ্মপাতায় শিমুল-১৬/সীমা ব্যানার্জ্জী-রায়

পদ্মপাতায় শিমুল-১৬

সীমা ব্যানার্জ্জী-রায়


আবার ঝাড়গ্রাম,  মেদিনীপুর

এ যেন পাড়হীন সমুদ্রের আলেখ্য। সমস্ত অভিজ্ঞতা বড়ো হয়ে বিস্তৃত হয়ে গভীর ঘন স্রোতধারার মতন এগিয়ে চলেছে।

কলকাতায় মা -এর কাজ শেষ হলে দিদিয়ার সাথে আমরা ঝাড়গ্রাম এ আবার ফিরে এলাম। মাকে ছাড়া ঝাড়গ্রামে মেজদাদার কাছে রয়ে গেলাম ও শৈশব থেকে কিশোরীজীবন কাটাতে লাগলাম। বাবার নির্দেশে মেজদাদার বিয়ে দেওয়া হল। বৌদি খড়গপুরের মেয়ে। বিয়ে হয়ে বৌদি আসলে বাড়ির পরিবেশ অনেকটা স্থিতিশীল হল।

মনে আছে সংস্কৃতে ননীবালা স্কুলে এইট থেকে নাইনে উঠবার সময় জেলা পরীক্ষায় আমিই একমাত্র মেয়ে যে হায়েস্ট পেয়েছিলাম। তার জন্য আমি রূপার মেডেল পেয়েছিলাম। এখনও আছে সেই মেডেল। অথচ আমি ক্লাস এইট এ সংস্কৃত পরীক্ষায় হাফ-ইয়ার্লিতে তিরিশ পেয়ে ফেল করেছিলাম। কারণ অবশ্য একটা ছিল, ছোদ্দির বিয়েতে গেছিলাম জব্বলপুর। আমার দেখা প্রথম বিয়ে, তবে মনে নেই কিছুই। মুম্বাই থেকে ছোদ্দির ননদ/দেওর এসেছিল বরযাত্রী। ওরা আমার কাছে জল চায় ফ্রেঞ্চ ভাষায় আর এদিকে আমি তো কিছুই বুঝি নি। যথারীতি ঘরের কোণে। ছোদ্দি দেখতে পেয়ে বলেঃ ' এই শিমু, কি হয়েছে?' আর শিমু? শিমু তখন কোণে।

বড়দির বড় মেয়ে তনা বুনঝির ও বিয়ে হয়ে গেল হুড়মুড় করে। আমরা যখন বড়দির বাড়িতে ছিলাম তখনই তনা বুনঝির বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। কাজেই জন্মের আগে থেকেই আমি দিদিমা হয়ে গেছিলাম-বুঝলে মশাই? তনা বুনঝির ছেলে সোনা স্কুল ফাইনাল-এ সেকেন্ড আর হাইয়ার সেকেন্ডারীতে প্রথম হয়েছিল। গেছিলাম তো তনা বুনঝির সাথে হিন্দু স্কুলে। সেই সোনা এখন ডাক্তার। আর ছোদ্দির ছেলে মহারাষ্ট্র থেকে ফার্স্ট হয়েছিল। সে এখন ওয়াশিংটন এ ডাক্তার। এদিকে ছোট ভাইয়ের ছেলে আর ছোদ্দার মেয়েও ডাক্তার। মা নাকি বলেছিলেন, “বাড়িতে একজন ডাক্তার থাকলে জানতে পারতাম আমার কি অসুখ করেছে।” এত কথা বলার উদ্দেশ্যঃ আমি এখানে চান্স পেয়েও পড়ি নি কারণ আর কিছু না -বড্ড নার্ভাস। প্রথম বছরে ল্যাবে গিয়ে কঙ্কাল-এর পরীক্ষার সময়ে কেঁপে টেঁপে একসা। সেই যে হল থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম -আর ওই দিক মুখো হই নি।

-এ বাবা। তাই নাকি?

যখন তনা বুনঝি আমার এক হাত আর সোনার অন্য হাত ধরে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল- কারা যেন বলেছিল, “গোবরে পদ্মফুল”। তনা বুনঝি উত্তর দিয়েছিল, “ফোটাতে জানতে হয়।”

-হা হা হা -দারুন জবাব তো।

--তোমাদের ঝাড়্গ্রামের বাড়িটা দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। এবার গেলাম তো বললে সব বদলে গেছে। চিনতেই পারলে না তো।

--একদম ঠিক। চিনতেই পারলাম না। যাদের দেখলাম আশেপাশে জিজ্ঞেস করলাম, তাঁরা বলতে পারলেন না। কত খোলামেলা ছিল তখন।

ভাড়াটে চারটি বাড়ীর মাঝখানে ছিল একটা পাতকুঁয়ো। একটা সাঁওতালি মেয়ে মুংলি জল দিতে আসত। ভোরবেলা। আমি ওদের বাড়িঘর ও দেখেছি। মুংলি আর মুংলির মা আমাকে খুব ভালবাসত। মুংলি যখন জল দিতে আসতে পারত না, আমার বৌদি আমাকে পাঠাত ওদের বাড়ি থেকে ওকে ডেকে আনার জন্য। বৌদিও সাথে আসত আর আমি ভেতরে ঢুকতাম মাথা নিচু করে। একটা খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘর, তার সামনে একটা উঁচু করা সরু বারান্দা। ঘরের মধ্যে একটাই উঁচু ছোট জানলা। ওর মা বলত “মুংলি শুয়েছে বটেক।” আমি দেখতাম, সে মাটিতে একটা মাদুর পেতে ঘুমাচ্ছে। সারা রাত নাকি উৎসব গেছে ওদের।

ওদের ঘরের এক কোণে গর্ত করা, তার মধ্যে থেকে পচা ভাতের গন্ধ আসছে। বিহারে এই পচা ভাতকেই বলা হত “তারি”। এখনও মনে আছে বন্ধুদের মধ্যে ঝগড়া হলেই যদি বলা হত 'রীতা তারি পিবা হো'। একেবারে ধুন্ধুমার লেগে যেত তাহলে।

এই মুংলি আমাকে বলেছিল, “বড়লোকের বিটিরা, বড্ড চাপ চাপ জামা পরে কেনে। আমাদের বুকে ব্যথা লাগে বটেক।” আজ এসব কথা মনে আসলে খুব দুঃখ লাগে। যদিও এখন সাঁওতালিরা অনেকে শিক্ষিত হয়ে গেছে। আমার স্কুলের বান্ধবী বকুলতা হোতা এখন জার্মানীতে নামকরা ডাক্তার, বোঝো। হস্টেলে থাকত অবশ্যই।

ঝাড়গ্রাম এর বাছুরডোবা শহরে আমাদের বাড়িতে ছিল তিনটে ঘর আর একটা বাইরের ঘর, রান্নাঘর আর ছিল লাল রঙের মেঝে ...। সামনের দিকে একটা রেলিং দেওয়া অর্ধচন্দ্রাকৃতি বারান্দা ছিল। চকচকে লাল মেঝে। চারখানা সিঁড়ি ভেঙ্গে তবেই উঠতে হত বারান্দায়। বাড়ির ডানদিকে ছিল একটা মাঠ । পেছনের দিকের বারান্দা থেকে তিনটে সিঁড়ি ভেঙ্গে নিচে নামলে বাঁদিকে একটা ঘর ছিল। ওখানে কয়লা, ঘুঁটে রাখা থাকত। ঐ ঘর থেকে একটু দূরে কোণের দিকে ছিল বাথরুম। বাথরুমের পিছনেই দেওয়ালের বাইরের দিকে ছিল একটা শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে বিশাল বটগাছ। সেই গাছের পাতাগুলো যখন হাওয়ায় নড়ত-খসখস আওয়াজ হত আর ভয়ে একেবারে কাঠ হয়ে যেতাম।

আমাদের বাড়ির লাগোয়া ছিল পরিতোষবাবুর (উড়িষ্যা বাসী) বাড়ি। উনি ছিলেন ননীবালা বয়েজ স্কুলের শিক্ষক। ওনার দুই ছেলে ছিল পীযুষ আর পিনাকি। মাঝখানে ছিল ধু ধু মাঠ। মাঠের আরেক দিকে ছিল বন্ধু সন্ধ্যাদের বাড়ি ঠিক আমাদের বাড়ির পাশেই। মাটির বাড়ি আর খড়ের ছাউনি হলেও বেশ বড় আকৃতির।

সন্ধ্যারা ছিল জয়েন্ট ফ্যামিলির। কি সুন্দর বাড়িতে ওরা থাকত। মাটি থেকে একটু উঁচুতে ওদের তিনখানা শোবার ঘর। ওই ঘরগুলোর সামনে ছিল রান্নাঘর আর বাথরুম। জ্যাঠামশাই, বাবা, কাকু, আর এক ছোট পিসি নিয়ে ওদের পরিবার ছিল। ওর ছোট কাকুর তখন বিয়ে হয়নি। ওদের কাঠের আর মাছের ব্যবসা ছিল। মেজবৌদি ওদের বাড়ি যেতে বারণ করত, কারণ ওরা মাটির বাড়িতে থাকত তাই। খুব দুঃখ পেতাম মনে। কিন্তু আমি আর বাবু তাও যেতাম। একদম মা-এর স্নেহ দেখতে পেতাম কাকিমার(বন্ধু সন্ধ্যার মা-এর ) চোখে। আমাদের খুব আদর করতেন। আমার ঝাঙড়ি চুল বেড়া বিনুনী করে সুন্দর করে বেঁধে দিতেন ।

সন্ধ্যাদের ঠিক পিছনদিকে ছিল আমার আর একবান্ধবী খুকুদের বাড়ি। ও একটু মানসিক রোগগ্রস্ত ছিল। সব সময় গাইত, “শোন শোন মজার কতা ভাই...”। যখনই পাড়ার স্কুলে ওকে ভর্তি করতে নিয়ে যেত ওর দিদিরা, “ওকে হয়ত বলে দিচ্ছে উত্তর- ও তখন বলত, “নিজেরা ফেল করি মরিছে আবার আমারে বলে দিতেছে...” কি অবস্থা বোঝো। ওর ভাষা শুনে হাসলে মা বকতেন খুব।

বৌদি আসার পর দিদিয়া মাস্টার্স কোর্স শেষ করার জন্য আবার জব্বলপুর ফিরে গেল ।

বৌদি যখন খড়গপুরে মা বাবার কাছে প্রথম ভাইপো হবার জন্য যেত, সেই সময় সাবিত্রী নামে একজন মহিলা রান্না করত। এখনও মনে পড়ে স্কুল থেকে এসে হাঁড়িতে খালি ভাত রাখা থাকত। আমার মেজদাও মাঝে মাঝে খড়গপুরে যেতেন। বাবা বুঝতে পারতেন না এমন ভাবে হাঁড়ির ওপর এক এক করে বাটি ঢাকা দিয়ে রাখা থাকত যেন, কত রান্না করে রেখেছে। স্কুল থেকে বাড়ি আসার পর সেইগুলো খুলে দেখলে দেখা যেত খালি ভাত আর তার ওপরে পর পর সব খালি বাটি উপুড় করা। কী খাব তখন-ক্ষিদেতে পেটে ডন বৈঠক মারছে। আমরা দুই ভাই বোন 'দুর্গা-অপু' হয়ে তখন মুড়ি, দুধ আর কলা খাচ্ছি দেখে বাবা আমাদের বকতেন যে, "এখুনি তো ভাত খেলে। এইজন্য তোমাদের হজম হয় না।" আমরা সব বলাতে পরের দিন নিজে দেখেন, “তাই তো। এতদিন কেন বলিস নি”- বাবা জানতে চাইলেন। সেই প্রথম বাবার চোখে জল দেখেছিলাম।

আরো একদিন বাবা আমাদের মুখ শুকনো দেখে জিজ্ঞেস করলেন। আমরা দুজনে বলি -“আমরা খাই নি।” বাবা নিজে দুধ কলা আর মুড়ী খেতে দিয়েছিলেন।

আমার বান্ধবী সন্ধ্যাদের মাছের ব্যবসা ছিল। মলিনা কাকিমা (সন্ধ্যার মা) আমাদের স্কুল থেকে আসার পরেই ডেকে পাঠাতেন। আমাদের বাড়ির পাশেই থাকত সন্ধ্যারা। মাঝে একটা মাঠ দুটো বাড়িকে ভাগ করেছিল। আমি মাছ খেতে খুব ভালবাসতাম। কিন্তু ভাই তো ভালবাসত না। তখন তাকে হাঁসের ডিমের তরকারি করে দিতেন কাকিমা। সেইদিন থেকে পাড়াতুতো কাকিমা আমাদের দুই ভাই বোনকে নিজের স্নেহের ছায়ায় রাখতে শুরু করেছিলেন। সবই আমার মা-এর আশীর্বাদে পেয়েছিলাম।

ওনারাই ঠিক করে দিলেন শক্তির মাকে। মাসীরা ভাল ঘরের ছিল। অভাবের জন্য কাকিমা ওনাকে আমাদের বাড়িতে রান্নার জন্য ঠিক করে দেন। আমার এখন সবজির মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় সবজি হল “কুঁদরী”। কি সুন্দর করে মাসি রান্না করত পেঁয়াজ আর রসুন দিয়ে ভেজে। কালনায় জ্যাঠামশাই এর বাড়ি গেলে বলেছিলাম দুই ভাইবোনে যে কুঁদরী খেতে ভালো লাগে। জ্যেঠিমা শুনে বলেছিলেন,- “আহা রে! মা নেই বাচ্চাদুটো গরুর খাবার খায়?”

--আমারও তো খুব ভালো লাগে তোমার হাতের কুঁদরী খেতে। আমি দেশে খাই নি কোনদিন। নামই শুনি নি, তো খাওয়া। তবে শুনেছি খুব উপকারী সবজি। দারুন লাগে খেতে।

-মাসির মেয়ে শক্তি থাকত আমাদের বাড়িতে। ও আমার চেয়ে এক বছরের ছোট ছিল। ঠিক নিজের বোনের মত আমরা খেলা করতাম। পাশাপাশি শুতাম। পুজোর সময়ে আমরা জব্বলপুর গেলে শক্তিও আমাদের সাথে জব্বলপুর যেত। বাবা ওকে আমাদের সাথেই ফার্স্ট ক্লাসে নিয়ে যেতেন।

একবারের ঘটনা: বম্বে মেল-এ আমরা যাচ্ছি জব্বলপুর। গার্ড উঠেছে। বাবা আঠারো বছরের নিচে ছেলে মেয়ে, অবিবাহিতা মেয়ে আর একজন কেয়ার টেকারের জন্য ফার্স্টক্লাস পাস পেতেন। বছরে দুবার। গার্ড উঠেছেন। শক্তিকে দেখে গার্ড বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন, "আপনার তো আঠারো বছরের নিচে দুই ছেলে মেয়ে যাচ্ছে, তাহলে এটি কে?” বাবা যত বলছেন: "ও আমার কেয়ার টেকার। গার্ড তো কিছুতেই বিশ্বাস করবেন না। তখন বাবা বল্লেনঃ “ওর নাম শক্তিরানি দাস।” তখন বিশ্বাস করলেন। এত সুন্দর ছিল মেয়েটা ।

আমাদের ননীবালা স্কুলের সংস্কৃত মাস্টারমশাই এর নাম ছিল রামবাবু। পদবী এখন আর মনে নেই। তিনি পরতেন সাদা ধুতির ওপরে হালকা গেরুয়া রঙের ফুলহাতা শার্ট আর জামার হাতাটা গোটানো থাকত। আর পায়ে থাকত চামড়ার চটি। খুব লম্বা ছিলেন। পাটে পাট চুল আঁচড়ানো থাকত।

পিছনদিকের মেয়েরা পড়া মুখস্থ করে না আসলে যতটা পারত মাথা নিচু করে রাখত, কিন্তু উনি ঠিক ওদের ধরে ফেলতেন। মাঝে মাঝে সারপ্রাইজড টেস্ট নিতেন, আর সেই সময় ঘুমোতেন। দু একজন দুষ্টু মেয়ে তখন নিজেদের নাকে কাগজ সরু করে পাকিয়ে হাঁচি দিত। তখন রামবাবু্র ঘুম ভেঙ্গে যেত আর উনি রেগেমেগে জিজ্ঞেস করতেন “ কে এ এ রে?”

আমরা কিন্তু কেউ কিছু বলতাম না। কারুর নাম বলতাম না। তখন রেগে গিয়ে পুরো ক্লাসকে বলতেন, “ নর নরৌ নরা:/বেঞ্চির ওপর দাঁড়া”। সারে সারে সব বেঞ্চির ওপর দাঁড়িয়ে পড়তাম। সেই আমি কম্পিটিটিভ ফাইনাল পরীক্ষায় সংস্কৃতে একেবারে হায়েস্ট। একশো তে নিরানব্বই। সবার আগে লেখা হয়ে গিয়েছিল বলে খাতা দিতে গেলে রামবাবু আমার পিঠে হালকা চাঁটি মেরে বলেছিলেন, “এবার লাড্ডু পেলে কিন্তু আর পরের ক্লাসে ওঠা না। এই ক্লাসেই লাড্ডু লোফালুফি খেলতেই থাকবে আরো এক বছর।”

আমার বাজে অভ্যাস ছিল কিছুতে লজ্জা পেলেই জিভ কাটতাম। তার জন্য আরও বকুনি খেতাম। কবিতা বলতে গিয়ে ভুলে গেলে আবার জিভ বেড়িয়ে আসত...কিন্তু বাংলার সুজাতাদি বকতেন না। বলতেন মিষ্টি করে, “ঠিক আছে, মনে আসলে আবার বোলো।” এখন এসব মনে আসলে অদ্ভুত লাগে। ঘড়ির কাঁটা যদি ওলটানো যেত, বেশ হত তাই না? আগেকার স্কুলের দিদিমণিদের স্বভাব খুব মিষ্টি ছিল।

বাবা তারপর ছোট পিসিমাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এনে রাখলেন। কারণ বৌদি কে মাঝে মাঝে ডাক্তার দেখাতে খড়গপুর বৌদির বাপের বাড়িতে যেতে হত। আমি খুউব ভীতু ছিলাম। সব সময় রাত আমার কাছে ভীষণ রহস্যময়। যত রাত বাড়তে থাকত, বাড়ির নিজের ঘরটা ছাড়া অন্য সব ঘর কেমন যেন অচেনা হয়ে উঠত। এমনকি খাটের তলাটাও আমার কাছে অদ্ভুত লাগত। খাট থেকে পা নামাতে হলে মনে হত, এই বুঝি কেউ খপ করে ধরে ফেলল আমার পা দুটো। আর নয়ত চোখ রাঙ্গিয়ে তাকাচ্ছে।

সবই তিলপরিণাম স্মৃতির গুঞ্জন। প্যারাসাইটের মতই একাগ্র কি জীবনবাসনা আমার?

(চলবে)

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments