Posts

Showing posts from October, 2022

চলার পথের দিনলিপি /তড়িৎ ভট্টাচার্য

Image
চলার পথের দিনলিপি তড়িৎ ভট্টাচার্য  আজ সোমবার। ঘড়িতে ২-৩০মিনিট।আমি টিফিন খেয়ে এসে বিশ্বনাথ চ্যাটার্জীর চেয়ারটা নিয়ে দক্ষিণ দিকে মুখ করে বসলাম। তপনের পেছনের যে জানালা, সেই জানালা দিয়ে সোজা চোখ এবং মন চলে গেল দক্ষিণ আকাশের অপূর্ব মেঘ স্তুপের ওপর। কি যে বিরাট শোভা আর কি অসাধারণ চলমান দৃশ্যের সৃষ্টি হচ্ছে তা বলার নয়। ধবধবে সাদা মেঘের পর মেঘ আর তার ওপর প্রখর সূর্যের আলো। মাঝে মাঝে নীল আকাশ ঘন নীল। এক অদৃশ্য আহ্বান। অনেক নীচে জলভরা আষাঢ়ের মেঘ তারও নীচে আবার আলোয় ভরা দিগন্ত। সব মিলিয়ে প্রকৃতির চিত্রপটে এক অনবদ্য চিত্র। আমি একমনে তাকিয়ে আছি আর দুচোখ দিয়ে এই শোভাকে একেবারে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছি। মাঝে মাঝে কৃষ্ণাকে, তপনকে বলছি কি অপূর্ব শোভা দেখুন। কিন্তু ওদের দেখার সময় কোথায়। এই চলমান দৃশ্যপটের ওপর আবার ইতস্তত উড়ে বেড়াচ্ছে চিল শকুনের দল। এখানে থেকে ওদের ঠিক এক-একটা বিন্দুর মতো দেখাচ্ছে। সেও এক দৃশ্য। আষাঢ়ের ভরা আকাশের তলায় এই যে পৃথিবী , তার বাসিন্দা আমরা। কতটা কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু কজন এই অপূর্ব শোভা দেখছি।  বর্ষা এমনই ঋতু যে সময় যারা সারা সময় আকাশ জুড়ে অহরহ পরিবর্তন। এই জলভরা

শ্রীরামকৃষ্ণের সন্ন্যাসী সন্তানেরা-৪৯/প্রীতম সেনগুপ্ত

Image
পর্ব ৪৯ শ্রীরামকৃষ্ণের সন্ন্যাসী সন্তানেরা প্রীতম সেনগুপ্ত  অদ্বৈতানন্দজীর সমগ্র সাধক জীবন কয়েকটি কথায় চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছেন লাটু মহারাজ। মিশন যেদিন রেজিস্টার্ড হয় সেদিন খবর আসে যে বুড়োগোপালদাদা ( স্বামী অদ্বৈতানন্দ ) পরমধামে গমন করেছেন ( ২৮ ডিসেম্বর, ১৯০৯ )। লাটু মহারাজ এই সংবাদ প্রাপ্তির পর সারাটা দিন কেবল তাঁর প্রসঙ্গই করতে থাকলেন। অনেক কথাই বলেছিলেন। তার স্বল্পাংশটি এইরূপ --“আরে! বুড়োগোপাল দাদা না থাকলে মঠের ব্রহ্মচারীদের ভাতের উপর তরকারী জুটতো না। সেই ত মঠে সব্জীবাগান লাগিয়ে দিলো। সব্জীবাগান করতে বুড়োগোপালদাদাকে কত না খাটতে হয়েছে!... তাঁর মতন ধীরভাবে জপে লেগে থাকতে ক'জন পারে? অনেকেই ত দু-চার দিন জপ করে ফল না পেয়ে জপ ছেড়ে দেয়, বাকী গোপাল দাদা বুড়ো বয়স পর্যন্ত ধৈর্য ধরে জপে লেগেছিলো; তাঁর ধৈর্যের তুলনা নেই। রাখালভাই ত সেই কথাই বলে।” (শ্রীশ্রীলাটুমহারাজের স্মৃতিকথা, শ্রী চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, উদ্বোধন কার্যালয়)   বস্তুতপক্ষে ঠাকুরের দেহত্যাগের পর গোপাল-দার কোনও নির্দিষ্ট বাসস্থান থাকল না। কেননা ইতিমধ্যেই তিনি স্বজনসংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন চিরতরে। বরানগর মঠ স্থাপন হ

ক্যুইজ-২৩/ সাগর মাহাত

Image
ক্যুইজ-২৩/ সাগর মাহাত ১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসটি হল— পথের পাঁচালি আগুনপাখি সুচাঁদের স্বদেশযাত্রা উপরের কোনোটিই নয় ২. গরু খুঁটান যে পরবের সঙ্গে যুক্ত— মকর টুসু বাঁদনা ভাদু ৩. দীঘা পর্যটনকেন্দ্র অবস্থিত যে জেলায়— পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর হুগলি ঝাঢ়গ্রাম ৪. দেশের বৃহত্তম কোভিড-১৯ হাসপাতালটি রয়েছে— ওড়িশা ব্যাঙ্গালোর দিল্লি মুম্বাই ৫. পি.ভি. সিন্ধু যুক্ত যে খেলার সঙ্গে— টেনিস ক্রিকেট ফুটবল ব্যাডমিন্টন ৬. বিহু লোকনৃত্য হল— পশ্চিমবঙ্গের আসামের ঝাড়খণ্ডের মহারাষ্ট্রের ৭. ভারতের সবচেয়ে পরিস্কার গ্রামটির নাম— কংথং মাওলিনং তুরা নংপো ৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চণ্ডালিকা' যে শ্রেণির নাটক— ঋতুনাট্য কৌতুকনাট্য নৃত্যনাট্য কাব্যনাট্য ৯. কেঁচোর গমনাঙ্গ হল— সিটা ফ্লিপার ফ্লাজেলা প্যাটাজিয়াম ১০. পল্লি কবি বলা হয়— জসীমউদ্দীন মধুসূদন দত্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ১১. পশ্চিমবঙ্গের যে জেলাতে বৃষ্টিপাত কম হয়— শিলিগুড়ি কলকাতা পুরুলিয়া ঝাড়গ্রাম ১২. ওয়াল্ড ব্যাঙ্ক (WB) প্রতিষ্ঠা হয়— ১৯৪৪ ১৯৪৫ ১৯৪৬ ১৯৫৫ ১৩. নোকরেক ন্যাশনাল পার্ক অবস্থিত— সিকিম পশ্চিমবঙ্গ মেঘালয় নাগাল্যাণ্ড

সান্ধ্য আড্ডায় প্রকাশ পেল 'জল ও মাটি' বিষয়ক বিশেষ সংখ্যা, কবিতা ইস্তেহার

Image
সান্ধ্য আড্ডায় প্রকাশ পেল 'জল ও মাটি' বিষয়ক বিশেষ সংখ্যা, কবিতা ইস্তেহার রবিবার (৩০ অক্টোবর ২০২২) মেদিনীপুর শহরের জেলা পরিষদের কাছে ভি আই এডুকেশনে সাহিত্য আড্ডায় প্রকাশ পেল 'গঙ্গা আমার মা' পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা। এবারের বিষয় : জল ও মাটি। সেই সঙ্গে প্রকাশ পেল জেড কবিতার ইস্তেহার। উল্লেখ্য, সম্পাদক অভিজিৎ দে-র 'গঙ্গা আমার মা' পরিবেশ সচেতনতামূলক পত্রিকা। জল ও জলাশয় সংরক্ষণের জন্য দীর্ঘ লড়াই করে চলেছে এই পত্রিকা গোষ্ঠী। বর্তমান, পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের সচেতনতার অভাবে। সমগ্র পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা বারবার নানা ভাবে সচেতন করছেন। সামাজিক দায়বোধ থেকেই তাই এই সংখ্যার পরিকল্পনা। ভাস্করব্রত পতি লিখেছেন - 'জল মাটির কৌমার্য রক্ষায় বাঁচবে ভবিষ্যতের পৃথিবী'। তাঁর লেখায় উঠে এসেছে পরিবেশ রক্ষায় 'মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র'-র নানা উদ্যোগের কথা। তথ্যনির্ভর গদ্য লিখেছেন বিজয় চক্রবর্তী। তাঁর লেখার বিষয় - 'আদি মানুষের খোঁজে'। সুমিত্রা ঘোষের প্রবন্ধে উঠে এসেছে পরিবেশ রক্ষায় জল ও মাটির ভূমিকা। এছাড়াও প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধ ল

Z - প্রজন্মের কবিতা আন্দোলনের ইস্তেহার/ অরুণ দাস

Image
Z - প্রজন্মের কবিতা আন্দোলনের  ইস্তেহার অরুণ দাস ১. Z - প্রজন্মের কবিতা 'পরমচেতনার'-র কবিতা।  ২. শব্দ নয় , বর্ণ-ই ব্রহ্ম। ৩.  বর্ণের মধ্যেই থাকে বস্তু - প্রাণী - বিষয়ের অন্তর্নিহিত  বর্ণময় জগৎ, সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সত্তার অন্বেষণ, উপলব্ধি।  বর্ণের মধ্যেই ব্রহ্মাণ্ড।  ৪. বস্তু বা দৃশ্যের বহুরূপ আমাদের মনেরই সৃষ্টি।  ৫. আমাদের অনুভূতি কোনও ইন্দ্রিয় বা কারণ সাপেক্ষ নয়। ৬. আমাদের অনুভূতি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও অনন্ত স্বরূপ।  ৭. বর্ণ - শব্দ - বাক্যের সুর-ধ্বনির ভিন্নতা, দৃষ্টিকোণের পরিবর্তন কবিতায় বহুরূপতার সূচক৷ ৮. বর্জন নয়, মহাবিশ্বের বিভিন্ন উপাদান ও অনুভবের যোগ-ই কবিতায় নিত্য নতুন রূপের প্রকৃত সত্য৷ ৯. মানব মননের বিভিন্ন অনুভবের সুষ্ঠু সংমিশ্রনে গড়ে ওঠে পরমচেতনার পথ৷ Z - কবিতা আন্দোলনের পথ।  ১০. ইন্দ্রিয়ের উপর কবির সুনিয়ন্ত্রণ বা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ঘটলে জ্ঞানের উপলব্ধিও যথার্থ হয়। Z - প্রজন্মের কবিতা আন্দোলন এই উপলব্ধির প্রকৃত রূপ।  ১১. বিভিন্ন ইন্দ্রিয়ের সক্রিয়তা বৃদ্ধি ও সুনিয়ন্ত্রণই কবিতার ভিন্ন ভিন্ন পথ ও দর্শন গড়ে তোলে।  ১২. এই কবিতা আন্দোলনে কবির ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়

গুচ্ছ কবিতা /দালান জাহান

Image
গুচ্ছ কবিতা  দালান জাহান পোস্টার আজই দেখলাম একটি কালো সকাল দিগন্ত উপচিয়ে এগিয়ে আসছে একটি পাখি লাঙলের ফলা ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে একটি আস্ত মহাদেশ। আজই দেখলাম একটি শীর্ষ নদীর ছায়া চাঁদের মতো মিশ্র মায়ায় কেঁদে কেঁদে মিশে যাচ্ছে সমুদ্রে! সমুদ্রে! পাহাড়ে! পাহাড়ে! আজই দেখলাম একটি বিমান বন্দর রাসায়ানিক গন্ধ নিয়ে ডানা মেলেছে দৃষ্টি নিয়ে ওড়ে যাচ্ছে লজ্জা প্রতিজ্ঞা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে লিফলেট পোস্টার! পোস্টার! পৃথিবী সমমেঘ ভেজা মাটি ভেজা বুকসেলফ অঝোরে কাঁদছে কম্পোজারের পালিশ করা আঙুল জানালারা এতিম শিশু বয়সী রাত সমান নিম্নচাপ অনন্তকাল! অনন্তকাল তাকিয়ে আছে। ভালোবাসা ও জলবায়ু এক ফোঁটা জল আগুনে পড়ে জ্বলতে জ্বলতে পাখি হয়ে ওড়ে যায় আকাশে অক্সিজেনে ছড়িয়ে যায় তাপ স্মৃতিপুড়া ওজোনস্তরে হাতুড়ি বিকট শব্দ করে। মানুষবেশী ছদ্মরাত পৌঁছে যায় ঘরে ঘরে নীরবতা! নীরবতা! কী নিষ্ঠুর আহারে! শরীরের সবকটা হাড় তোমার জন্য চিৎকার করে দুরত্ব সমান নক্ষত্রবর্ষ সম্পর্ক সমান পাগলামি পাপ ভালোবাসা সমান জলবায়ুর স্বাস্থ্য খারাপ। অবিশ্বাস্য উপস্থিত কেউ আমার কথায় কান দেবেন না আমি অস্তিত্বহীন। দ্বিখণ্ডিত মানুষের কথা বলতে পারি আম

ছোটোবেলা উৎসব সংখ্যা ১০৬

Image
  ছোটোবেলা উৎসব সংখ্যা ১০৬ সম্পাদকীয়, কলকাতার দুর্গোৎসবকে "Intangible Cultural Heritage of Humanity" হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে UNESCO।  সেই আনন্দে বাংলার দিকে দিকে আনন্দ অনুষ্ঠান হয়েছে। পুরুলিয়ার একটি বিদ্যালয়ে তেমনই একটি অনুষ্ঠানে ছৌ শিল্পীগণ দুর্গা রূপে নৃত্য পরিবেশন করছে সেই ছবি তুলে পাঠিয়েছে সুদীপ আঙ্কেল। উৎসব মানে শুধু মায়ের মৃণ্ময়ী মূর্তি দর্শন তা তো নয়। এই উৎসবের পিছনে আলো শিল্পী, মৃৎশিল্পী, প্যান্ডেলের কারিগর, সকলের অবদান অনস্বীকার্য। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল ঐতিহাসিক শ্রীমতী তপতী গুহঠাকুরতা এবং তাঁর সহযোগীদের গবেষণা। কারণ তাঁদের গবেষণার ফল স্বরূপ এই স্বীকৃতি। যুগে যুগে তপতী গুহঠাকুরতার মতো মামুষরা ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে চলেছেন। আজ থেকে ৭৫ বছর আগে তেমন একটি কৃষক আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল যার নাম তেভাগা আন্দোলন। সেই আন্দোলনের কথা আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে সৌগত দাদা। মনে করানোর কথা কিন্তু এখানে শেষ নয়। শ্রীকান্ত জেঠু মাঝে মাঝেই আমাদের ছোটোবেলার বন্ধুদের রাঙা পিসির গল্প বলেন। আজ আবার তোমরা রাঙা পিসির গল্প শুনে নাও। আর বিশ্বদীপ আঙ্কেলকেও বলেছিলাম তোমাদের আবার

আকাশপ্রদীপ বা স্বর্গবাতি /ভাস্করব্রত পতি

Image
পশ্চিমবঙ্গের লৌকিক উৎসব, পর্ব -- ৪৪ আকাশপ্রদীপ বা স্বর্গবাতি                 ভাস্করব্রত পতি গ্রামবাংলায় কার্তিক মাস জুড়ে আকাশপ্রদীপ বা আকাশদীপ বা স্বর্গবাতি বা স্বর্গপ্রদীপ দেওয়ার তথা জ্বালানোর রীতি চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। সৌর কার্তিক মাস হোলো এই আলো জ্বেলে রাখার মাস। আশ্বিনের সংক্রান্তি থেকে কার্তিকের সংক্রান্তি পর্যন্ত একমাস ধরে প্রতি সন্ধ্যায় এই আকাশপ্রদীপ দেওয়ার রীতি এখনও দেখা যায়। হাওড়া, হুগলী, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত কিছু গ্রামে আজও কিছু মানুষ টিমটিম করে বাঁচিয়ে রেখেছেন এই লুপ্তপ্রায় লৌকিক প্রথাটিকে। মানুষের বিশ্বাস, এই আকাশবাতি অমঙ্গল এবং অতিপ্রাকৃত দুষ্ট শক্তিকে প্রতিহত করে থাকে। যদিও আজ আর তেমন চোখে পড়েনা আকাশপ্রদীপ দেওয়ার রেওয়াজ। নিয়ন আলো আর রঙবেরঙের এল ই ডি আলোর চোখ ধাঁধানো রোশনাইতে হারিয়ে গিয়েছে প্রাচীন এইসব রীতিনীতিগুলো।  কবিগুরুর লেখাতেও পাই আকাশপ্রদীপের ছোঁয়া।১৯৩৮ এর ২৮ শে সেপ্টেম্বর 'আকাশপ্রদীপ' নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন কবিগুরু। ১৯৩৯ সালে তা প্রকাশিত হয় 'আকাশপ্রদীপ' কাব্যগ্রন্থে। রবীন্দ্রকাব্যের "অন্ত্যপ

সর্বজয়া আচার্য নন্দের 'স্মৃতি কুসুমাঞ্জলি' নিয়ে আলোচনা করলেন কবি অনিন্দিতা শাসমল

Image
সর্বজয়া আচার্য নন্দের 'স্মৃতি কুসুমাঞ্জলি' নিয়ে আলোচনা করলেন কবি অনিন্দিতা শাসমল পত্রিকার পাশাপাশি জ্বলদর্চির প্রকাশনায় এত ভালো ভালো বই প্রকাশিত হয় প্রতি বছর, সেগুলো উল্টে পাল্টে দেখে ,কিছুটা পড়ে আলোচনার লোভ সামলাতে পারি না। সঙ্গে কিছু উপহারও থাকে -- জ্বলদর্চি দপ্তরের নাম ঠিকানা লেখা সুন্দর খাম ,প্যাড  আর  জ্বলদর্চি প্রকাশনার কাব্যগ্রন্থ ; হয় কবি ঋত্বিক ত্রিপাঠীর অথবা অন্য কোনো কবির। এবারে সেই প্রাপ্তির ঝুলিতে জমা হল, জ্বলদর্চি থেকে প্রকাশিত কবি সর্বজয়া আচার্য নন্দের কাব্যগ্রন্থ --স্মৃতি কুসুমাঞ্জলি। প্রকাশকাল--শুভ অক্ষয় তৃতীয়া , ১৪২৯।  কবির সঙ্গে আমার পরিচয় নেই , তবুও কাব্যগ্রন্থের নামটি পড়েই মনে হল-- কুসুমের অঞ্জলি দিয়ে  কবিতার পরতে পরতে যে স্মৃতিচারণা, তা নিশ্চয়ই হৃদয় স্পর্শ করবে। পাতা উল্টে উৎসর্গ পত্রের লেখাটিতে এসে স্তব্ধ হলাম।খুব কাছের মানুষের বিয়োগব্যথায় , হৃদয় উৎসারিত কথাগুলো এইভাবেই মনের মাধুরী মিশে কবিতা হয়ে যায় বুঝি!  "অন্তহীন যাত্রাপথে  ‌     ক্ষণিকের সংসার বন্ধন-- প্রীতির সুবাস ল'য়ে         হবে কালজয়ী চিরন্তন; স্মৃতির শিশিরে