কয়েকটি রম্য কবিতা-৫
শুভশ্রী রায়
মা-মিয়াও-কাব্যি
যেমন পুষির মা, তেমনি তার মিয়াও মিয়াও পুষি!
মোটা ভাতকাপড় আর অনেক কাব্য নিয়ে খুশি।
মায়ের চুলে চিরুনি পড়ে না, ভেতর ভেতর জট
ওই ভাবেই এ দিক সে দিক যায় চটিতে ফটফট,
ছড়াকাব্যি লেখা-শোনা-পড়া চাই, চাই অতিরিক্ত
মানুষ-মা আর বেড়াল-মেয়ে ছড়া-পংক্তির ভক্ত।
ভালোমন্দ কিচ্ছু না জুটুক, অমৃত লাগে কাব্যি
ছন্দ ভালোবাসতে কে যে এদের দিয়েছিল দিব্যি!
পুষি অন্ত প্রাণ
হয়নি কালকে পুষি নিয়ে কিছু লেখা
তাই সোনা বেড়াল করেছে অভিমান,
মুখখানা তার বড় দুখী, চঞ্চলতা নেই
হতভাগিনী মায়ের ফেটে যাচ্ছে প্রাণ।
আয় রে পুষি, মায়ের কাছে এসে বোস
তোকে অনেক অনেক আদর করবে মা,
জীবনভর ছড়াও লিখবে তোকে নিয়ে
একটা দিন বাদ যাওয়ায় রাগ করিস না।
পুষি, পড়া, শীত
পুষি তুমি পড়া করে নাও শিগগিরি
তারপরে অনেক গল্প করব আমরা,
কমলালেবুর মতো রোদে পিঠ দিয়ে
কথাবার্তায় ভরাব শীতের কামরা।
না পোষা কষ্ট
ওরে পুষি, কী দেখছিস চারতলার বারান্দা থেকে?
মাগো, দেখছি রাস্তার ওই বেড়ালটার কত না কষ্ট!
ঠিক বলেছিস, আসলে ওতো কারুর পোষা নয়
খাওয়া-শোওয়া ঠিক থাকে না, আস্তানা নেই স্পষ্ট।
0 Comments