জ্বলদর্চি

নিমাই জানার পাঁচটি কবিতা

নিমাই জানার পাঁচটি কবিতা


মৎস্যগন্ধা চাঁদ ও পরকীয়া স্নানাগারের কথা

ল্যাসিক্স টেন এম জি জবা ফুলের গায়ে কোন রক্তের দাগ না থাকে না বলে সকলেই রক্ত বমি উগরে দেয় রেচন যন্ত্রের কাছে থাকা এক ময়ূরী রংয়ের হলুদ পুষ্পাগারের ভেতরে  , 
কোন এক ভৌতিক অর্ধচন্দ্রাকার পরকীয়া নিপুন বৈষ্ণবী জলাশয়ে নেমে আধ রমণীয় জলের স্নানাগার তৈরি করে নিচ্ছেন নিশুতি মধ্যমায়  , 

যৌগিক মৃত্যু কত কাল ভাগবত দর্শনে যায়নি আমাদের সাথে নির্লজ্জ ধূসর করিডোর ধরে , একটা দেবদারুর মৎস্যগন্ধা লিঙ্গ পিরাসিটাম সেবিকার মতো পিচ্ছিল হতে ১৩ সেকেন্ড সময় নেয় মাত্র , 
ব্রহ্মাস্ত্র রঙের বানপ্রস্থ পাথরকুচি ফুলেরা একটা অমৃত প্রায় জ্যোৎস্নার বুকের ৮ ইঞ্চি নিচে থাকা এক বিপাশার তলদেশের 'ম' বর্গীয় জলপ্রপাতে সারারাত আদিভৌতিক স্নান করে গেল
আসলে প্রতিটি মানুষ নাভিমন্ডলের ৩৭ বর্গ সেন্টিমিটারের উপবৃত্তাকার এক নাবিক তীরন্দাজের অশ্বক্ষুরাকৃতি চাঁদকে নিয়ে কোন এক মৃতপ্রায় হরিণীকে হত্যা করে যায়

স্ত্রীলিঙ্গের অযৌন ভূমধ্যের শরীর জুড়ে গোলাপি রঙের অন্তর্বাসের গুঁড়ো গুলো বাইপাস হাওয়ায় উড়তে উড়তে আমাদের মোক্ষ তন্ত্রের অবনমন সমান্তরাল রেখা গুলো নিয়ে সারারাত আকাশের দিকে উড়ে গেছে পালকহীন ব্রহ্মচর্য শিখা মন্ত্র নিয়ে , উত্তরা এই গোপন কথাটি জানতেন

আগুনের থেকে ও চতুর্থ গুণ প্রহেলিকা শক্তির কোন আগুনের আত্মা খণ্ড নিয়ে আমি নিজেকে মৈথুন স্নানে শান্ত করি রাতের দ্বিপ্রহরে দাঁড়িয়ে  , শৈলৎক্ষেপ বৃষ্টি আসুক আমার পঞ্চম শিখরের কাছে
মহা শিব আরো একবার কৈলাসের মায়াকেশর আঁকবেন চতুর্ভুজ দ্রাঘিমায়


বিসর্গ সাইট্রাস ফল ও কিছু সামন্তরিক রঙের অমরাবতী

চাঁদ তার ল্যাক্টুলোজ সলিউশনের মতো শিরদাঁড়ার ভেতরে গজিয়ে ওঠা যক্ষাতন্ত্র দিয়ে মোমবাতি রংয়ের আদিভৌতিক সরলবর্গীয় কম্পাঙ্কহীন ধারাপাতের অযোগবাহ অক্ষরের বিসর্পিলাকার রক্তাক্ত কথা শিখিয়ে যাচ্ছে নাভিলম্ব দৈর্ঘ্যের অন্তরিত মানুষগুলোকে

মৃতজীবী মোমবাতিরা সারারাত বিপাশা নদীর অন্তর্বাহিনী গিরিখাতে এসে হলুদ রক্তের দাঁতে অযৌনপুরের স্তবক গুলোকে বিছানার তলদেশে লুকিয়ে রাখার পর অমরাবতীর পাখিরা কখনো কখনো পূর্ণবর্গ সংখ্যা হয়ে যায় 
আমার বাবার মতো অযুত ঈশ্বর আর আমার কোন নীল ছায়ার মৃতপ্রায় ঈশ্বরীরা শূন্য প্রহরে মিলিয়ে যাওয়ার পর কখন উপপাতালিক হয়ে গেছে অবতল নৌকার নিচে থাকা বালি দানা মুখে রাখার পর  , বৃষ্টিকে আজ কেমন হিমোসায়ানিন মনে  হল আমার 

অ- সহগের মতো ব্রহ্মাস্ত্রের উলঙ্গবাহার পোশাক পরে যারা মাথার ভেতরে একটি নপুংসক চারা গাছ পুঁতে দেয় আমি তাদের পাশে থাকা হরগৌরী রঙের এক দ্রৌপদী নারীর আবক্ষ বৃত্ত রচনা করি
আমার পোশাকে কোন সাইট্রাস ফলের মতো পানকৌড়ির অধাতব পুংজননতন্ত্র ছিল না দ্বাপর কালের প্রতিটি সন্ধ্যাবেলায় ,  

অসংখ্য লোমছিদ্রে বেড়ে ওঠা সামন্তরিকের নদী বারবার মাংসাশী হতে হতে কালো রঙের সরীসৃপ হয়ে গেছে ক্লিভেজহীন নিউক্লিওলাসের মতো , একটা রঙিন ফুলকার মাছ আমাকেও মধ্যরাতে উঠে ক্ষয়জাত পর্বতের রক্তাক্ত গুহার মুখ দেখিয়ে গেছে তৃতীয় বন্ধনীর ক্ষয়ে যাওয়া আঙ্গুল দিয়ে ,  আর আমার কোন আঁশটে গন্ধ ছিল না গ্রাফাইটিস ৩০ খাবার পর


সরলবর্গীয় ঘোড়া ও লাল পিপাসার সেন্ট্রিওল

বাই সালফাইডের মতো যারা সারারাত অপরাজিতার চতুর্থ দলমণ্ডল নিয়ে একটা যোনীময় মুখের গর্ভকেশর রচনা করে তারা আমার মেসোপটোমিয়া যুগের চতুর্থ পূর্বজন্মের গোলাপি লিঙ্গ পুরাণের সৌষ্ঠব দেহ ছিল , 

আমি বারবার অসুখের চাঁদ , চাঁদহীন রাতের দেড় প্রহর , কেরোসিনের অধাতব চোখ , চাঁদের ক্যালাইডোস্কোপে গজিয়ে ওঠা লজ্জাবতীর ত্রিশূল শরীরের জ্যামিতিক সাংখ্যমানকে আমার সেন্ট্রিওল পারদে লুকিয়ে রেখেছি একাকী কোন অন্ধকারে নেমে নির্জন ঘনত্বের সাথে ভক্ষণ করব বলে

আমি শুধু হিজল গাছের মতো অদৃশ্য অম্লরাজ ঠোঁট নিয়ে বিলীয়মান পাথরকুচির গ্রানাইট কথা আকাশের দিকে উড়িয়ে দেই , বৃষ্টির কোন গর্ভাশয় নেই বলে ক্ষিতি পুরুষ হয়ে আমরা সহবাস কেন্দ্র থেকে ফিরে আসি নিঃস্ব রক্তকণিকার মতো 
আমার বুকের রক্ত তঞ্চনের জমাট লৌহ কণিকা দিয়ে যে ঘোড়ারা বারবার সর্বনাম পদের রক্ত ঋতুর খন্ড ছিঁড়ে খায় ,  তারা শুধু মৃত ঘোড়াদের সরলবর্গীয় পিঠের উপর চড়ে সহস্র উপবন কুড়িয়ে রাখে বিচিত্রবীর্যের মতো

মৃত্যু কেমন লাল পিপাসা ছড়িয়ে রাখার পর আমার কালো রঙের চোয়ালে ঝুলে আছে পৃথিবীর অভ্যন্তরের ম্যাগমা , নিশুভ বিষুব
এসো ঈশ্বর তোমাদের তৃতীয় অপুঃজনি সন্ধ্যাকালে ফেরোমেন চোখগুলো উপড়ে কমন্ডুলেতে ভরে রাখি পঞ্চম প্রহর আচমনের জন্য

পান্থপাদকের ঠোঁট থেকে লাল রক্ত রসের প্লাজমা , মাইনাস জিরো ডিগ্ৰীর শিথিল শুক্রাণু ,  বীর্যপত্র , ভূর্জপত্র আর গলিত মাংসের নিশুতি ধূপগন্ধ গড়িয়ে পড়ছে দাউ দাউ আগুনের মতো , 
আমার দশম কর্ম মন্দিরের উপর এক নৈঃশব্দ্যের কাপালিক বসে আছেন 


তিন হরিণের ষড়ঋতু ও অদৃশ্য নৌকাবিহার

হিরণাক্ষ্যের মতো অযুত মহাকালের দিকে আমার তৃতীয় উর্ধ্ব বাহুগুলো প্রসারিত করে রাখার পর এক জলজ পুরুষ মৃত শরীর থেকে নির্গত অদৃশ্য নৌকাবিহার সেরে ফিরে যাচ্ছে অষ্টম মন্বন্তর কালের দিকে

লৌহ বলয়ের মতো এক একটা ষড় রিপুর চক্র আমার মস্তক ছেদন করে যাওয়ার পর আমার তিন সেকেন্ড মাত্র সূক্ষ্ম দেহের জ্ঞান ছিল , আমার অলৌকিক নারী সঙ্গম শেষের অশৌচ পরিচ্ছদ উল্টো মুখে মিলে রাখলে আমি সন্তানের মনো ইরেজার দিয়ে বিলিরুবিন বমি উগরে দেই কার্বলিক পেপারের উপর
আমার সারা শরীরে সতীচ্ছদের পর্দা জড়িয়ে আছে শাঁখের মতো , 

আমি সারারাত দ্রৌপদী রঙের মৃত মাছের আলখাল্লা পরার পর হেমাটাইট সুনন্দন পুরুষের সাথে নৌকার তলদেশে গিয়ে নিজের শুক্রস্খলনের তৃতীয় কক্ষের ঋণাত্মক স্থাণাঙ্কটি নির্ণয় করি
সাদা রঙের শ্বেতপ্রবাল তার বিদেহী শেকড় গজিয়ে ওঠে ফেনোথেলিন অন্ধকারের অদৃশ্য পাঁজরে পাঁজরে 
আমার বাবার জিভের তলায় কিছু বরফের গলে যাওয়া ওষুধ পালক জুড়তেই আমাদের সমাপতন ঘটে গেল মহাপৃথিবীর চতুর্থ গোলকের আদিম গর্ভকোষের কার্বনেটেড ডিম্বক খোলকের উপর

তৃতীয় পৃষ্ঠার গাণ্ডীব পাখিরা প্রতিদিন ১০৮ বার মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রের পর লাল কমলালেবু গাছের গোড়ায় এসে পুংকেশর খসিয়ে রাখে 

আমি শুধু একটি স্বর্ণালংকার দোকানের ক্যাডমিয়াম জনিত সব অসুখের উপর স্বর্গ সুখগুলো জমা করেছি একটি সোনা গলানো জলের ক্ষারীয় বিন্দুতে , মৃত্যুর চতুষ্পদ বিগ্রহ বানাতে ভালো লাগছে আজকাল 


অজুত মাংসাশী গন্ধা ও  নীল আপেল ফলের কনিষ্কেরা

এক চতুর্থাংশ কবিতার সমাঙ্গদেহী নয়নজুলিতে নেমে নঙ্গর্থক পুরুষতন্ত্র নিয়ে কনিষ্ক বারবার লাল ল্যাটেরাইট পথ ধরে নেমে যেতেন আমাদের মৃত্যু সংক্রান্ত কোন নিকোটিন শ্মশান চুল্লির দিকে , 
কাঁটাখালির প্রতিটি মানুষ বাবলা গাছের মতো হলুদ নাব্যতায় নেমে অদৃশ্য পিতাদের শরীর খুঁজে নিচ্ছে নদীর দুইটি বুকের কাছে


উপনিষদ পড়তে ভয় লাগে বারবার , আমি শুধু ৬৪ বর্গ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যে দাঁড়ানো অক্ষম নারীদের দেখি অজর চিহ্নের এক স্থাপত্যের কাছে গর্ভবতী চাঁদ পৃথিবীর শক্তিস্তরে হারিয়ে যাচ্ছে বারবার , 
কোন এক মাংসাশী গন্ধা নারী আমাকে সিলিকন জলে ভেজা স্তনবৃন্ত দেখিয়ে গেল মিথুন সরোবরের দিকে মুখ করে , আমার উন্মত্ত সিডেটিভ ওষুধের তলায় লাল রঙের ছত্রাক প্রতিদিন অসংখ্য ডিম্বকোষ রেখে যায় , আমি দুই হাতে হাতড়ে হাতড়ে শুধু চতুরাশ্রম খুঁজে যাচ্ছি কেবল 

আমি কতোকাল অধম , অব্যয় আর অচল সংসারের সংখ্যাগুলোকে অহেতুক অশৌচ করে গেছি রক্তাল্পতায় ভোগা বায়বীয় দেব শিশুর মতো 

১৫৩ টি হাড়ের ভেতরে জমে থাকা ভিটা ডি থ্রি দেবদারু ফলের নিচে অগাধ সমাপতন গণিত নির্ণয় করছে আকাশ জুড়ে , 
সব পালকহীন পাখিরা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করছে ১০৮ বার , আমাদের মতো বিনিদ্র ঈশ্বরীরা গোলাপি অ্যালকোহলিক হয়ে যাওয়ার পর সরলবর্গীয় আকাশমনি তলায় মোক্ষমন্ত্র পাঠ করছে আদিম ব্রহ্মচর্য আশ্রমের ঊর্ধ্বপাতন বিশুদ্ধ অগ্নিশিখায় , 
আমাদের জিভে আর কোন প্যারাসিটামলের গন্ধকদ্রব্য নেই সারারাত এক নীরাভরণ ঈশ্বরীর আদিরূপ ফেলে নীল আপেল ফলের মতো একাদশ রজঃচক্রের ক্ষয়জাত আরাবল্লী গুঁড়ো মাথার তৃতীয় গুণিতক প্রহরে মিলিয়ে দিয়ে আসি 

আজ সব স্বেদগ্রন্থি জুড়ে রুদ্রাক্ষের বৈধব্য প্রহর শুরু হয়েছে ,  সিফিলিস মানুষেরা চাঁদের দিকে তাকিয়ে কখন আত্মহত্যা করে নেয় , পেন্ডুলামের ঋণাত্মক দাঁতগুলো সরলবর্গীয় হরিণীর মতো নিজের স্ত্রী লিঙ্গ কামড়ে খায়
অজস্র শ্মশানের শিরদাঁড়া দেখবো বলে মধুসূদনের শরীর , পাঁজর , অস্থি খন্ডক ছুঁয়ে যাই প্রতিটি দৈবিক ভোরবেলায়
 
পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments