জ্বলদর্চি

কয়েকটি রম্য কবিতা-৭ /শুভশ্রী রায়

কয়েকটি রম্য কবিতা-৭
শুভশ্রী রায়


ছন্দধন্দ

কলম নিংড়োলেও বার হবে না ছন্দ
তবু ছড়াটড়া কী সব লেখা চাই মন্দ!
সে লেখা পড়েই বুঝদারের ঘুম বন্ধ
আদৌ কী কবি সে? মনে জাগে ধন্দ।


ইচ্ছা পুতুল

জান, আমার সখী ছিল একটা পুতুল!
তার মালিক ছিলাম, এই ধারণাও ভুল
সে ছিল অন্য কারো, কখনো দোকানে
নিজের ছিল না বলে লোভ ছিল মনে।

কোন উপায়ে পুতুল হল বন্ধুনী আমার?
সেও এক রহস্য, ছন্দ-কথায় জানাবার,
ইচ্ছা পুতুল সে, বলত "আমি তারই হই,
তীব্র ইচ্ছা নিয়ে যে চায়, আমি তার সই।"



মেঘ ভবন

হাল্কা ও সাদা বড় জমাটি মেঘ
বাপ রে, অস্বাভাবিক গতিবেগ!
মেঘের কত রকম রপের বাহার
কভু বাঘ, পরেই বিল্লির আকার।

এমন একটি খন্ড মেঘ যদি পাই
তারই মাঝে নিজের ভবন বানাই!
দিব্যি ভাসব ধরার মাথায় ফুরফুরে
মরূ, মেরু, নদীর 'পর বেড়াব উড়ে!


ভালো ভূত

কোনো দিন শুরুর পরেই সাত সকালে
দেখা হয় ভূতের সাথে বড় জোর কপালে!
আলোতেই সামনে আমার যায় সে এসে
আমরা অনেক গল্প করি হাসিয়ে হেসে।

কে বলেছে, সব ভূত দুষ্টু বড়, মারে ঢেলা?
আমি তো রোজ ভূতের সাথেই করি খেলা!
সে বুঝেছে আমি একা, তাই কাছে আসে 
বন্ধু সে উপকারী, প্রেত আমার নেই ত্রাসে। 


পক্ষী-বাই

আহা, সে ভদ্রলোকের আছে ভালো পক্ষী-বাই
প্রতি রবিবারেই তাঁর গ্যালিফ স্ট্রিট যাওয়া চাই।
গিয়ে কেনেন তিনি অনেক পাখী, অধিক টিয়া
পরে সুবিধা মতো ছেড়ে আসেন গভীর বনে গিয়া
কলকাতার কাছেই ঘন বন, যান সহায়ক নিয়া
পাখী ওড়ে যখন মুক্তি পেয়ে, বড় হর্ষে ডাকিয়া
পক্ষীরাজবাবু লাফাতে শুরু করেন হাততালি দিয়া
তাঁর মতে, মস্ত পাপ হয় পাখীদের খাঁচায় রাখিয়া।

ভদ্রলোকের নাম? এমন লোকের নাম বলতে নাই
শুভ কাজের পবিত্রতা বিনষ্ট হয়ে যাবে পুরোটাই
কোন বনে বিহঙ্গদের ছাড়েন তাও গোপন থাক,
কেন আমরা চাইব সেখানে চ্যানেল চলে যাক!
শুধু জানাই তাঁর অভিধা- মহৎ মহাশয় পক্ষীরাজ
টাকা খরচ করে পাখীদের মুক্তি দেওয়াই কাজ।

পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments