তিনটি কবিতা
বিমান কুমার মৈত্র
সব আালো নিভে গেলে.......
নিদ্রিত পলকের বাইরে
রাত্রি অপেক্ষা করে
অনঙ্গ ভাষ্কর্য নিয়ে
আমরা শহরের পথে পথে
হাঁটি --- দুপাশে সার দেওয়া
টিউমার টিউমার.....টিউমার
সেখানে কান পাতলে
অন্ধকার নারীর শীৎকার...
আর গরিলার অট্টহাস শোনা যাবে
আমাদের মনে কোন হেলদোল নেই
আমরা আবার ঘুমোব এবং
আজ রাতে শহর পরিক্রমণ করব ।।
মা
তোমার আরোপিত বীজবৃক্ষ থেকে
অনবরত মূহুর্তেরা খসে পড়ে আর
অদৃশ্য উড্ডীন হয়ে আকাশগঙ্গায়
স্রোতস্বিনী হয়
মা আমার, তুমি কিন্ত সেই
মূহুর্তগুলিকে কুড়িয়ে নিয়ে
জাদুকাঠির ছোঁয়ায় আবার একটি
নবতর আমিকে নিয়ে মহকালের
বালুতটে অপেক্ষা কোরো যতক্ষন না
অভিকর্ষের নাগাল পাওয়া যায় ।।
আকাশ ও বৃষ্টি
তোমার ব্রহ্মতালুর ইটপাজার
পাটল ঘণকের উপর বসে
একটি দেবশিশু বল খেলে
দুর্ভিক্ষ ঠাকুরাণী পান্তা খায়
আর একজন হাড়িয়া খেয়ে
মঙ্গলে পাড়ি দেয়
এই ইটপাজার উপরেই তোমার
শনিবারের হাটে তড়িঘড়ি কাচের
চুরির দোকানে ছোটা আর
নাগরের দোলনায় চড়ে
ছন্দের অশ্বারোহী হবার স্বপ্ন
এই ইটপাজার শারীরিক বিভঙ্গের
পাললিক উথাল পাাথালে লবনাক্ত
শিশিরের যে ধাতব স্বাদ সেটা
প্যাথলজিকাল টেস্টে লোহিত
কণিকার আধিক্য বলে স্বীকৃত।।
0 Comments