জ্বলদর্চি

সবার ঠাকুর পরমপুরুষ শ্রী রামকৃষ্ণ ও সর্বধর্মসমন্বয় /সীমা ব্যানার্জ্জী-রায়

সবার ঠাকুর পরমপুরুষ শ্রী রামকৃষ্ণ ও সর্বধর্মসমন্বয়

সীমা ব্যানার্জ্জী-রায়


ওঁ স্থাপকায় চ ধর্মস্য সর্বধর্মস্বরূপিণে
অবতারবরিষ্ঠায় রামকৃষ্ণায় তে নমঃ।।

প্রথম বেলুড় মঠে ঠাকুর রামকৃষ্ণের মন্দিরে যখন যাই তখন খুব ছোট, বেশ অবাক হয়ে দেখছি দেখে আমার দিদি আমাকে জিগেস করলেন ঠাকুরের মন্দিরের মাথায় কি আছে বল তো?

-বল্লামঃ চূড়ো ।

দিদি বললেন “ভাল করে দেখে বল”। পারিনি বলতে সেদিন।

বলতে না পারাতে সেদিন দিদি বলেছিলেনঃ “সর্বধর্মসমন্বয়"-এর প্রতীক চিহ্ণ। হিন্দুদের চূড়ো, মুসলিমদের গম্বুজ, আর খ্রীষ্টানদের ফলক আছে। আমি তো হাঁ হয়ে দেখছি। অনেক প্রশ্ন সেদিন মনে উঁকি মেরেছিল। কিন্তু চুপ করে গেছিলাম। পরে সুযোগ পেয়ে বেশ কিছু বই পড়ে ফেলেছিলাম। আজ সেই স্মৃতি থেকে যা মনে আছে লিখছি।

সর্বধর্মসম্বয় বলতেই মনে আসে ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের কথা। ধর্মের জগতে তিনি সর্বধর্মসমন্বয়ের প্রবর্তক। সেই প্রবর্তকের বাণীটিই কি একটি ছন্দে গাঁথা ধ্বনি নয় ?
“যত মত তত পথ”!
‘জল পড়ে পাতা নড়ে’-এই সামান্য চারি ছন্দোবদ্ধ শব্দে যেমন কালকল্লোলের চিরন্তন ধ্বনি সংহত হয়ে আছে। একটি হীরকখন্ডে যেন বিধৃত হয়ে আছে সপ্তসূর্যের প্রদীপ্তি।
তেমনি আবার কবিতায় গেঁথেছেনঃ ‘যেমন ভাব তেমন লাভ’। এ যেন ‘যেমন স্বাদ তেমন সাধ’।
এ যেন যেমন ক্ষুধা তেমন সুধা।
এই তত্ত্বটিই ঠাকুর ব্যাখ্যা করলেন উদাহরণ দিয়ে । সহজ রেখায় ছবি এঁকে।
‘‘তিনি অনন্ত, পথও অনন্ত । অনন্ত মত, অনন্ত পথ। যে কোন রকমে হোক ছাদে ওঠা নিয়ে বিষয় । তা তুমি পাকা সিঁড়ি, কাঠের সিঁড়ি, মই-দড়ি, আছোলা বাঁশ দিয়েও উঠতে পারো। কিন্তু এতে খানিকটা পা, ওতে খানিকটা পা দিলে হয় না। আমার কালীঘাটে যাওয়া নিয়ে কথা। কেউ আসে নৌকায়, কেউ গাড়িতে, কেউ পায়ে হেঁটে। নানা নদী নানা দিক দিয়ে আসে, কিন্তু সব নদী পড়ে গিয়ে সমুদ্রে। সমুদ্রে গিয়ে সব একাকার’’।

সর্বধর্মসমন্বয়। একক্ষেত্রসম্মিলন । বিশ্বভাবের পর আবার স্বভাব।

এই ভাবটিই আবার বলেছেন অন্যভাবেঃ
‘‘রাখালেরা এক-এক বাড়ী থেকে গরু চরাতে নিয়ে যায়। কিন্তু মাঠে গিয়ে সব গরু এক হয়ে যায় মিলে মিশে। আবার সন্ধ্যার সময় যখন নিজের নিজের বাড়ি ফেরে তখন আবার আলাদা হয়ে যায়। যার-যার নিজের ঘরে গিয়ে আপনাতে আপনি থাকে’’।
তেমনি সব ধর্মের সঙ্গেই মেলামেশা, সবাইকে ভালবাসা । তার পরে মাঠ ছেড়ে চলে আসবে অঙ্গনে । নিজের ঘরে গিয়ে পাবে নিজের স্বস্থা, নিজের স্বধাম-শান্তি ।
ঠাকুর বলেছেনঃ
-‘‘মানুষগুলো দেখতে সব একই রকম, কিন্তু ভিন্ন প্রকৃ্তি। কারু ভিতর সত্ত্বগুণ বেশি, কারু তমগুণ। পুলি গুলো দেখতে সব একরকম। কিন্তু কারো ভিতর ক্ষীরের পোর, কারু ভিতর নারকেল-ছাঁই, কারু ভিতর কলায়ের পোর।” আবার বলেছেনঃ
-"সত্বগুণ কি রকম জানো? বাড়ীটী এখানে ভাঙা, ওখানে ভাঙা। মেরামত করে না। ঠাকুরদালানে পায়রাগুলো হাগছে। উঠোনে শ্যাওলা পড়েছে তাই একখানা হলেই হল। হয়ত মশারির ভিতর ধ্যান করে। সবাই জানছে ইনি শুয়ে আছেন, বুঝি রাত্রে ঘুম হয়নি, তাই দেরি হচ্ছে উঠতে। শরীরের উপর আদর পেট চলা পর্যন্ত – শাকান্ন হলেই হল’’-


অদ্বৈতসাধন করতে গিয়ে ঠাকুর রামকৃষ্ণ ইসলাম ধর্মের একেশ্বরবাদ সম্পর্কে আকৃ্ষ্ট হয়েছিলেন। গোবিন্দ রায় নামে একজন হিন্দু ক্ষত্রিয় ইসলামের সর্বজনীন সাম্য ও ভ্রাতৃ্ত্বের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি সুফী সম্প্রদায়ভুক্ত সাধকের দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। গোবিন্দ রায় কিছুদিন দক্ষিণেশ্বরে এসে বাস করেন। তাঁর ঈশ্বরভক্তি অচিরে রামকৃষ্ণের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করে। ইসলামের পথও ঈশ্বরলাভের অন্যতম পথ, এই ধারণা রামকৃষ্ণের মনে জাগ্রত হওয়ায় তিনি ইসলাম সম্পর্কে কৌ্তূহলী হয়ে ওঠেন এবং তিনি ইসলাম ধর্ম সাধনা করে দেখতে কৃ্তসংকল্প হন। তিনি তাঁর অভিপ্রায় জানালে গোবিন্দ রায় সানন্দে তাঁকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা দেন। ঠাকুর তাঁর ইসলাম সাধন প্রসঙ্গে বলেন, “আমি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে আল্লার নাম করতাম, মুসলমানদের মতো পোশাক পরতাম, নামাজ পড়তাম । হিন্দু ধ্যান-ধ্যারণা সমস্তই আমি ত্যাগ করেছিলাম। আমি হিন্দু দেবদেবীকে প্রণাম করতাম না, হিন্দু দেবদেবীর মন্দিরেও যেতাম না”। ঠাকুরের ভাগনে হৃদয় বলেছিলেন, ইসলাম সাধনার সময়ে রামকৃষ্ণ মুসলমানদের খাদ্য গ্রহণ করতেও চেয়েছিলেন। মথুরবাবুর ঐকান্তিক অনুরোধে তিনি ঐ ইচ্ছা ত্যাগ করেন। তবে মুসলমানদের কায়দায় বহু খাদ্য তিনি ব্রাহ্মণদের দিয়ে পাক করিয়ে শ্রীরামকৃষ্ণকে খাওয়ান । এই সময়ে ঠাকুর কখনো মন্দির প্রাঙ্গনে আসতেন না। তিনি মন্দির –প্রাঙ্গনের বাইরে মথুরবাবুর বাড়ীতেই থাকতেন।
শ্রীরামকৃষ্ণের ইসলাম সাধনা বহু ধর্মের, বিশেষত হিন্দু-মুসলমানের দেশ এই ভারতবর্ষে একটি অভূতপূর্ব এবং অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ইসলামের পথ ও হিন্দুর বেদান্তের পথ যে একই ঈশ্বরে উপনীত হওয়ার ভিন্ন পথ মাত্র, রামকৃষ্ণ সাধনার দ্বারা তা উপলব্ধি করেন।

শম্ভুচরণ মিত্র হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে খ্রীস্টধর্ম গ্রহণ করেননি। তবে তিনি খ্রীস্টের অনুগামী ছিলেন। শম্ভুচরণের কাছে ঠাকুর বাইবেল শুনতে শুনতে যীশুখ্রীস্ট ও খ্রীস্টধর্ম সম্পর্কে জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে ঠাকুরের মনে খ্রীস্টধর্ম সাধনার ইচ্ছা হয়।
একদিন তিনি দক্ষিণেশ্বরে যদুনাথ মল্লিকের বাগানবাড়ির বৈঠকখানায় বসে ছিলেন। বৈঠকখানায় অন্যান্য চিত্রের সঙ্গে মেরী মাতার বক্ষে শিশু যীশুর দিকে ভাববিহ্বল নেত্রে তাকিয়ে ছিলেন। হঠাত তিনি বোধ করলেন, ছবিটি যেন সজীব হয়ে উঠলো এবং মেরী মাতার ও যীশুর দেহ থেকে তীব্র আলোকরশ্মি সমূহ বেরিয়ে তাঁর দেহে প্রবেশ করলো। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তাঁর মনের মধ্যে একটি পরিবর্তন অনুভব করলেন। বোধ করলেন হিন্দু দেবদেবী ও হিন্দু শাস্ত্র সম্পর্কে তাঁর যেমন ধারণা ছিল তা যেন একটি বন্যার প্লাবনে দ্রুত অপসারিত হয়ে যাচ্ছে। তিনি আর্তকন্ঠে বলে উঠলেন, “এ তুমি কি করছ মা”! কিন্তু তা বৃথা হলো। হিন্দু দেবদেবীর প্রতি তাঁর সকল অনুরাগ ভক্তি যেন বন্যায় ভেসে গেল এবং সেই স্থান পূর্ণ করে এলেন খ্রীস্ট, এলো খ্রীস্টধর্মের প্রতি অনুরাগ ও ভক্তি। তিনি যেন দেখতে পেলেন, খ্রীস্টান গির্জায় খ্রীস্টান ভক্তরা যীশু খ্রীস্টের পদতলে দীপ ও ধূপ জ্বালিয়ে দিয়ে খ্রীস্টের কাছে তাদের নিবেদন করছেন।

তিনি দক্ষিণেশ্বরে ফিরেও খ্রীস্টীয়ভাবে তন্ময় হয়ে রইলেন, মন্দিরে যেতেও ভুলে গেলেন। এইভাবে তিনদিন কেটে গেল। চতুর্থ দিনে তিনি যখন ভাবাবেশে পঞ্চবটীতে পায়চারি করছিলেন, তখন দেখলেন, অপূর্ব সুন্দরদর্শন একটি পুরুষ তাঁর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে এগিয়ে আসছেন। তাঁকে দেখে ঠাকুর বুঝলেন যে, তিনি বিদেশী । তাঁর সুন্দর আয়ত দুটি চক্ষু ; নাসিকা ঈষত চাপা হলেও তাঁর মুখের সৌন্দর্য তাতে এতটুকু কমেনি । ঠাকুর মুগ্ধ হয়ে ভাবতে লাগলেন, ইনি কে হতে পারেন। মূর্তি তাঁর কাছে এলেন । ঠাকুর বলে উঠলেন, “ইনি যীশু! ইনিই মানুষের মুক্তির জন্যে আপনার হৃদয় শোণিত দান করেছেন ও দুঃসহ দুঃখ ভোগ করেছেন । ইনি প্রেমাবতার যোগীশ্বর যীশু ছাড়া আর কেউ নন”। মূর্তিটি তাঁকে আলিঙ্গন করলেন এবং তাঁর দেহে বিলীন হয়ে গেলেন। ঠাকুর সমাধিস্থ হলেন এবং ব্রহ্মের সঙ্গে একাত্মবোধ করলেন। সমাধি ভঙ্গ হলে যীশু যে ভালবাসার অবতার, এ ধারণা তাঁর সুদৃঢ হলো।
পরে তাঁর ইংরেজী জানা শিষ্যদের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “তোমরা তো বাইবেল পড়েছ । তিনি দেখতে কেমন ছিলেন বলত”। তাঁরা বল্লেন, “যীশু দেখতে কেমন ছিলেন, তা বাইবেলে কোথাও পড়িনি। তবে যীশু ইহুদী জাতিতে জন্মেছিলেন। তাঁর রং নিশ্চয় খুব ফর্সা, চক্ষু আয়ত ও নাসিকা পক্ষীচঞ্চুর মতো তীক্ষ্ণ ছিল”। ঠাকুর বল্লেন, “কিন্তু আমি যে তাঁর নাক ঈষত চাপা দেখলাম। কি জানি , কেন বাপু”। শিষ্যারা তখন ঠাকুরের এই কথায় বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেননি। তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁরা জানলেন যে, যীশু দেখতে কেমন ছিলেন খ্রীষ্টান ধর্মশাস্ত্রে তার তিনটি বর্ণনা আছে। একটিতে বলা হয়েছে, তাঁর নাসিকা ঈষত চাপা ছিল।
“সব ঘর না ঘুরলে ঘুঁটে চিকে হয়ে ওঠে না”। একটি চমতকার উপমায় ব্যক্ত করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ।

শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব যে শুধু ঈশ্বরের অস্তিত্বই প্রমাণ করলেন তা নয়, তিনি আরও প্রমাণ করলেন, সকল ধর্মই সত্য, সব ধর্মই একই পদ্ধতিতে, অর্থাত প্রত্যক্ষ অনুভূতির মাধ্যমে ঈশ্বরোলব্ধি করিয়ে দেয়। রামকৃষ্ণের এই বাণী অতীব অর্থবহ। একমাত্র এই বাণী-ই ভিন্ন ভিন্ন ধর্মালম্বীদের সুসংহত করে এক মহত জাতিতে পরিণত করতে পারবে।
সমস্ত ধর্ম ভালবাসা, সত্য, বিশ্বাস, জ্ঞান, সততা, ও উতসর্গ দিয়ে একতারে বাঁধা।
“যত মত তত পথ” এই কথাটী বা “সকল ধর্মই সত্য” শ্রীরামকৃষ্ণ জীবনের সকল সাধনার শেষের বাণী, এ ক্ষেত্রে রয়েছে তার প্রকৃ্ত অনন্যতা। কারণ এমন কোনো মহাপূরুষ কে ইতিহাস থেকে আমরা দেখতে পারব না, যিনি এমন বাণী রাখার মত ভূমি-তে পৌঁছুতে পেরেছেন। সে দিক থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ একমেবাদ্বীতিয়ম! তাই নয় কি?
আর একটু বিশদে গিয়ে বলা যায় যে ঠাকুর কিন্তু ধর্মসমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখে, বুদ্ধি করে বা মতলব এঁটে এ কথাটি বলেন নি, তিনি সাধনার পথ দিয়ে এগিয়ে সর্বোচ্চ তত্ত্বে পৌঁচেছেন, এই ভাবে প্রধান প্রধান ধর্মগুলির পথ বেয়ে দেখেন যে ঈশ্বর-ই সত্য , মতগুলি এক-একটি পথ।
কিন্তু, এই থেকেই আমরা পাচ্ছি এক মহান সমাধানসূত্র, কারণ বিবর্তনের পথ বেয়ে মানুষ যত বেশী শক্তিমান হয়েছে, তত বেশি এগিয়েছে ধ্বংসের পথে।
শ্রেষ্ঠত্য লাভের সংকীর্ণতায় মানুষ এগিয়ে গেছে থার্মো-নিউক্লিয়ার ডিজাসটার-এর দিকে, অপর দিকে শ্রী রামকৃষ্ণদেবের উপলব্ধি কিন্তু জগতের সামনে এসেছে রক্ষাকর্তার ভূমিকা নিয়ে, চিনিয়ে দিয়েছে ধর্মের প্রকৃ্ত স্বরূপকে, দেখিয়েছে ধর্মে –ধর্মে বিদেহের অসারতাকে।

তাঁর বাণীর অমোঘ শক্তিকে অবলম্বন কোরে আসবেই আসবে মানবের গ্রহিষ্ণুতা, আসবে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, জাগবে [আত্মাটির] আত্মোন্নতির স্পৃহা, লাভ কোরবে দিব্যজ্ঞান, দিব্য-আনন্দ । একজন সাধক গেয়েছেন, “ ভবের হাট এ ভাব হারিয়ে সবাই করে কেনা-বেচা , হেঁকে বলে সব ঝুটা মাল, আমার মাল-এ শুধুই সচ্চা” –তাদের হাত-এ দিলেন ঠাকুর সমন্বয়ের গুপ্তধনঃ “রামকৃষ্ণ রামকৃষ্ণ এই নাম-এ মালা জপো রে মন”।

আবার দেখা যায়, শ্রী রামকৃষ্ণ জীবন এমন এক আদর্শ যেখানে পাওয়া যায় সকল আদর্শের পূর্ণ প্রকাশ, যে কেউ, তিনি যে ধর্মের-ই হোন না কেন প্রেরণা পাবেন তার ঈষ্ট লাভের পথে।

ঠাকুর তখন শৈশবে, গেছেন পাঠশালায়, গুরুমহাশয় দিলেন অংক কষতে, বালক গধাধর কিন্তু যোগটি কোরতে পারলেন, বিয়োগটি নয়। প্রশ্নের উত্তরে বালক ঠাকুর বল্লেন, “ আমি যোগ জানি পন্ডিতমশাই, বিয়োগ জানি না”, তো আমাদের ঠাকুর বিয়োগ জানতেন না। । আর তাঁর এই “যোগ” জ্ঞান-ই আগামী শতাব্দীগুলিতে সর্ব দেশের সকল শ্রেনীর সাধকের নিজ নিজ ঈষ্ট সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পথে পাথেয় হয়ে থাকবে।

“খন্ডন-ভব-বন্ধন জগ-বন্দন বন্দি তোমায়।”

ছবি সৌজন্যে ইন্টারনেটের উইকিপিডিয়া ।

পেজে লাইক দিন👇
জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে... 

Post a Comment

0 Comments