নুনে ও স্মৃতিতে ভরা আবেগ মুক্ত রাশি
এরপর blood test এবং X-Ray করার জন্য অন্য জায়গায় যেতে হবে। ডঃ মেহতা একটা স্লিপ দিয়ে দিলেন এবং ঠিকানাও উল্লেখ করলেনঃ
দি সেন্ট্রাল ডায়াগনোস্টিক্স
৪৫ এ, রফি আমেদ কিদোয়াই রোড
কলকাতা ১৬
এদের এখানে আমি ও সঞ্চয় গেলাম X-Ray এবং blood test এর জন্য। কিন্তু X-Ray machine খারাপ থাকায় X-ray হল না। শুধুমাত্র blood দিলাম। ওখান থেকে জানাল, আমাকে আগামীকাল অর্থাৎ ফেব্রুয়ারী ৬, ১৯৭৫ সকাল এগারটার মধ্যে আসতে হবে X-Ray-এর জন্য। Central Diagnostics এ আমার blood tst করতে দিলাম ফেব্রুয়ারী ৫, ১৯৭৫। ওখান থেকে বেরুলাম রাত ৮-৩০। বাইরে প্রচন্ড শীত। ক্ষিদেও পেয়েছে খুব। চা, মিষ্টি, দুধ খেয়ে আমরা দুজনে সুস্থ হলাম একটু। রক্ত দেবার পর শরীরটা একটু ক্লান্ত লাগছিল। হাঁটার জন্য আরও।
ক্লান্ত শরীরে হাঁটতে ইচ্ছা করছিল না। তবুও সঞ্চয় গল্প বলে আমাকে উৎসাহিত করছিল। পথচলার ক্লান্তিকে ভুলিয়ে দিচ্ছিল। পায়ে হেঁটে শিয়ালদায় এসে পৌঁছালাম রাত ৯-২০। শীতের রাতে এই সময় লোকজন খুব একটা বাইরে যায় না।
আর্গোসি থেকে আসবার সময় বলেই এসেছিলাম যে, মেডিক্যাল টেস্ট হতে রাত হয়ে যেতে পারে। কাজেই বাড়ী না ফিরলে কেউ যেন চিন্তা না করে। সঞ্চয় ও তাই করেছিল । এর পেছনে একটা কারণ ও ছিল।
গত জানুয়ারী ২৯, ১৯৭৫ বুধবার সন্ধ্যা ৬-৫২ মিনিটের হাবড়া লোকালের সংগে দার্জিলিং মেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় উল্টোডাঙা স্টেশনের কাছে, ফলে বহু লোক মারা যায়। শীতের কুয়াশায় ড্রাইভার সিগন্যাল ঠিক দেখতে না পারায় এই মারাত্মক সংঘর্ষ। কাজেই এর পর থেকে রাতের দিকে ট্রেণে চাপা স্বাভাবিক একটা আতঙ্ক সবার মনেই ছিল। কুয়াশা থাকলে তো কথাই নেই। এইসব ভেবে চিনতে আমি ও সঞ্চয় ঠিক করেছিলাম মেডিক্যাল টেস্টের পর রাত হয়ে গেলে ওদের মৌলালীতে যে অফিস আছে সেখানেই রাতটা কাটিয়ে দেব। শীতের ঠান্ডায় তখন কিছুই ভাল লাগছে না। মৌ্লালী অফিসের গেস্ট রুম আগে থেকেই ভর্ত্তি । কাজেই ওখানে আমাদের জায়গা হল না। গেলাম সেজমাসি মলিনা নিয়োগীর হোস্টেলে, নীলরতন সরকার হাসপাতালে।
আগে থেকে কোন খবর না দেওয়া থাকায় আমার ও সঞ্চয়ের অবস্থা গিয়ে দাঁড়ালো, “কে জানি তো আসবে তুমি গো অনাহূতের মতো।” বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা , বেশ কাঁপুনিও দিচ্ছে; তার উপর তখন রাত ৯-২০। সেজমাসির ওখানেও আমাদের জায়গা হল না। পাইকপাড়ায় বড়মামার বাসায় ফোনে চেষ্টা করা হল কিন্তু ফোনে লাইনই পেলাম না।
সারাদিনের ক্লান্তি , তার উপর কয়েকটা ঘন্টার জন্য রাত কাটানোই সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো। মেজাজ ঠিক রাখাই দুষ্কর হয়ে উঠলো। কোথাও শুধু রাতটুকু মাথা গুঁজাবার ঠাঁই পেলাম না। অগত্যা শিয়ালদা থেকে রাত ৯-৪৫ এর বনগাঁ গামী ট্রেন ধরার জন্য ব্যস্ত হলাম। ট্রেণ ও অত রাত্রে লেট করে ছাড়লো , প্রায় ১০-১৫ এয়। মেজাজ গেল আরো বিগড়ে। হাবড়ায় এসে পৌঁছালাম ঠিক বারোটায়। আজকের দিনটা যে কী পরিশ্রম করতে হল তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। বারোটায় বাড়ী পৌঁছে খাওয়া দাওয়া সেরে শুতে শুতে প্রায় একটা। পরদিন অর্থাৎ ফেব্রুয়ারী ৬, ১৯৭৫ বৃহস্পতিবার আমাকে আবার আসতে হবে X-ray করাবার জন্য দি সেন্ট্রাল ডায়গনোস্টিক্স, ৪৫ এ রফি আমেদ কিদোয়াই রোড, কলকাতা -১৬। রাত্রে ট্রেনে চলাফেরা নিরাপদজনক নয়। তাই আমার সমস্ত কাগজপত্র, ব্যাগ ইতাদি সেজমাসির কাছেই রেখে এসেছিলাম। পরদিন এসে ওগুলো নিয়ে যাব।
ফেব্রুয়ারী ৬, ১৯৭৫ সকাল সাতটায় বিছানা ছেড়ে উঠলাম। শারীরিক ক্লান্তি থাকায় উঠতেই ইচ্ছা করছিল না, তার উপর শীতের ঠান্ডা। আর্গোসি থেকে বেরিয়ে ৮-৩৬ এর হাবড়া লোক্যাল ধরে শিয়ালদায় এসে পৌঁছালাম ১০-৩৫ এ, তারপর ২০ নং ট্রামে চেপে গন্তব্যস্থলে যাবার পরিকল্পনা করার আগে সেজমাসির কাছ থেকে গত রাত্রে যে ব্যাগ, কাগজপত্র ইত্যাদি রেখে দি্যেছিলাম সেগুলি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
কিন্তু X-Ray করার জন্য Central Diagnostics এর সঠিক অবস্থান জানা না থাকায় ইতস্ততঃ ঘোরাঘুরি করে একে ওকে জিজ্ঞাসা করতে করতেই প্রায় এক ঘন্টা সময় নষ্ট হয়ে গেল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পেলাম। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর আমার X-ray প্লেট নিয়ে নিল। রিপোর্ট ফেব্রুয়ারী ১২, ১৯৭৫ নাগাদ পাব বিকাল ৬-৩০। আমার অফিসে একটা ফোন করলাম ১২টায় যে, আমার যেতে দেরী হবে। X-ray শেষ হবার পর ঘড়িতে দেখি ১২-১০। অফিস যাবার সিদ্ধান্ত বদলে ফেললাম কারণ আমার ব্যাগে ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে। অফিসের কেউ যে কোন একখানা কাগজ সরালেই আমার সর্বনাশ হয়ে যাবে। কিন্তু সঞ্চয়ের অফিসে ব্যাগ রেখে তারপর আমার অফিস যেতে গেলে আরও সময় নষ্ট হবে ... তাই অফিসে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
হাতে প্রচুর সময়, ঘড়িতে ১-২০ । কাজেই কি করবো খুঁজে পাচ্ছি না। ভেবেচিন্তে শেষ পর্যন্ত ২৪ নং ডালহৌসীমুখী ট্রামে চেপে বসলাম। সোজা সি এম পি ও র গার্সটিন প্লেস অফিসে। মিঃ অজিত ভুঁইঞ্যা এবং রনেন ব্যানার্জ্জী (দুজনেই এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার)। এঁদের দুজনের সংগে গল্প করা ছাড়া আর কোন উপায় খুঁজে পেলাম না সময় কাটাবার।
ইমিগ্রেশ্যান সংক্রান্ত ব্যাপারে এঁদেরও উৎসাহ কম নয় । কারণ এঁরাও চেষ্টা করছেন ভিসার ব্যাপারে। কিছুক্ষণের মধ্যে বড়মামাও এলেন। সবার সংগে আলোচনা করে বেশ সময় কেটে গেল। ঠিক ৪-৩৫ নাগাদ সি এম পি ও থেকে বেরিয়ে পড়লাম।
পায়ে হেঁটে সঞ্চয়ের অফিসে ঠিক পাঁচটায় পৌঁছে গেলাম। ওরও অফিস পাঁচটায় ছুটি হয়। কাজেই অফিস ছুটির পর আ্মি ও সঞ্চয় বেরিয়ে পড়লাম। তারপর ট্রাম -ট্রেণ ইত্যাদি করে হাবড়ায় পৌঁছাতে রাত ৮ টা। তারপর গল্পগুজব করে ৯-১৫ হল। রাত্রে খাওয়া -দাওয়া সেরে শুতে শুতে দশটা।
পরদিন অর্থাৎ ফেব্রুয়ারী ৯, ১৯৭৫ সকাল ৮-০৬ এর হাবড়া লোক্যালে বেরিয়ে মিঃ সিনহার সংগে আয়োনা ট্র্যাভেলসে দেখা করলাম। আমার FS 510 সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা হল। কাগজপত্র সবই ঠিক আছে উনি বল্লেন।
সিনহার অফিস থেকে বেরিয়ে আমার অফিসের গতানুগতিক কাজ সেরে বিকাল ৫-৪৫ এর ট্রেণ ধরে ৭-২৫ এ হাবড়া পৌঁছালাম। শারীরিক ক্লান্তি পুরোমাত্রায়।
সে শুধু পালিয়ে বেড়ায়, মুক্তি এড়ায়
আপাততঃ দুটো দিন অর্থাৎ ফেব্রুয়ারী ৯, ১০, ১৯৭৫ শুধুমাত্র অফিস যাওয়া ছাড়া আর কোন কাজ নেই। আমার মেডিক্যাল রিপোর্ট ডেলিভারী দেবে ফেব্রুয়ারী ১১, ১৯৭৫ মংগলবার। কাজেই ঐ দিন আমার অফিসের কাজের ফাঁকে ডঃ বিজয় মেহতা , ৬৭ পার্ক স্ট্রীট, কলকাতা -১৬। ফোন করে সুনিশ্চিত হলাম আমার মেডিক্যাল রিপোর্ট তৈরী হয়ে আছে। সঞ্চয়কেও জানিয়ে দিলাম এবং অফিস ছুটীর পর ওকে অফিসেই অপেক্ষা করতে বলে দিলাম। আমিও আমার অফিসের কাজ সেরে ছুটীর পর পায়ে হেঁটে ওর অফিসে পৌঁছালাম ৫-১০। তারপর ওখান থেকে সঞ্চয়কে নিয়ে পায়ে হেঁটেই ডঃ মেহতার চেম্বারে।
-এভরিথিং ও কে , মিঃ রে। ডোন্ট ওরি অ্যাবাউট এনিথিং !
ডঃ মেহতার কথা শুনে আশ্বস্ত হলাম। ডঃ মেহতার চেম্বার থেকে রিপোর্ট ডেলিভারী নিলাম ৬-৩০ নাগাদ। তারপর বাস- ট্রাম -ট্রেণ করে হাবড়ায় পৌঁছাতে, রাত ১০-৩০ । বেশ ক্লান্ত। বিশ্রাম করে খাওয়া দাওয়া সেরে শুতে গেলাম রাত ১১-১৫। এখন শুধুই দিন গুনছি। ভিসার ইন্টারভিউ-এর তারিখ ঠিক হয়েছে ফেব্রুয়ারী ১৮, ১৯৭৫ বেলা ১২টায়।
আমার সমস্ত ডক্যুমেন্টস রেডি। ফেব্রুয়ারী ১৪, ১৯৭৫ আমেরিকান কনস্যুলেট অফিসের হিতব্রত রয়-এর (বাচ্চুদা) সংগে দেখা করলাম ভিসার ইন্টারভিউ প্রসংগে।
-ডোন্ট বি নার্ভাস, -উৎসাহ দিলে আমাকে।
বাচ্চুদার উৎসাহ পেয়ে আমি সুনিশ্চিত হয়েই বসে আছি ভিসা পাবার ব্যাপারে। এ ছাড়া উনি আমার ফিলাডেলফিয়ার ঠিকানা লিখে রাখলেন। প্রয়োজন হলে ওঁর বন্ধুবান্ধবের (আমেরিকায় যারা আছেন) সাহায্য ও যাতে নিতে পারি বিশেষ করে চাকরী পাওয়া ও দু একদিন খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সে সম্পর্কেও বাচ্চুদা হেল্প করবেন বললেন। আমার উৎসাহ দ্বি্গুণ হয়ে গেল। বাচ্চুদার চেম্বার থেকে বেরুলাম ১১-১২ নাগাদ। তারপর আমার নিজের অফিস উপস্থিতি বারোটায় এবং গতানুগতিক পদ্ধতিতে হাবড়া প্রত্যাবর্ত্তন রাত-৭-৩০। বিশ্রাম-খাওয়াদাওয়া -বিছানায় শুতে যেতে রাত ১০-৩০। আজ ভীষণ ক্লান্তি অনুভব করছি।
শনিবার, ফেব্রুয়ারী ১৫, ১৯৭৫ আমি ও সঞ্চয় ৮-৩৬ এর হাবড়া লোক্যালে কলকাতা চলে এলাম।
আমার ভিসা পাবার আগে ইঙ্কাম ট্যাক্স সংক্রান্ত কয়েকটা ব্যাপারেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার পারমিশন সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা নেওয়ার জন্য সোজা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টপ ফ্লোরে চলে এলাম। ওদের ওখানে কি কি ডক্যুমেন্টস লাগবে -সমস্ত বিস্তারিত আলোচনা করলাম ঘন্টাখানেক ধরে। Sponsorship Certificates, Visa ইত্যাদির original এবং Photostat Copy ওদের প্রয়োজন। Original এর সংগে Photostat মিলিয়ে ওরা Original -টা আমাকে ফেরৎ দিয়ে দেবে এই কথা বল্লো। আমি পড়লাম মুস্কিলে।
আমার কাছে স্পনসশিপ সার্টিফিকেট দু কপি করাই আছে। কনস্যুলেট অফিসে আবার দু কপিই জমা নিয়ে নেবে।
রিজার্ভ ব্যাংকের জন্য এক্সট্রা কপি কোথা থেকে পাব, তাই ভাবছি। মিঃ সিনহার উপর তখন ভীষণ রাগ ধরছে। উনি আমাকে এতদিন বলে এসেছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কে এগুলো কিছুই লাগবে না। অথচ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলছে ওগুলো না হলে ক্লীয়ারেন্স দেবে না। হাতে সময় নেই একদম। কারণ আজ শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী।
আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারী , ১৯৭৫ মংগলবার দুপুর বারোটায় কনস্যুলেট অফিসে আমার ইন্টারভিউ। তখন তো স্পন্সরশিপের সব কাগজপত্র দু কপি করেই নিয়ে নেবে। আমার কাছে এক কপিও তো থাকবে না। পড়লাম মহা চিন্তায়। ফটোস্ট্যাট করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। তার উপর শনিবার হওয়াতে দোকানপাট সবই তিনটের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে, রবিবার দিনটা পুরো ছুটী।
মিঃ সিনহার উপরে ভীষণ রাগ হচ্ছে। ওর জন্যেই আমার এই দশা হল। সঞ্চয়ও আমাকে বকাবকি করছে সিনহার উপর নির্ভর করে থাকার জন্যে। আমার ও তখন মনে হচ্ছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে দিয়ে রোজই পায়ে হেঁটে অফিস গিয়েছি অথচ একটু খেয়াল করে জিজ্ঞাসা করে নিলে আজ এ বিপদে পড়তে হত না। কিন্তু কি করব? মাথা ঠান্ডা করার চেষ্টা করছি। সঞ্চয় ও বেশ উত্তেজিত। দুজনেই খুঁজছি ফটোস্ট্যাট করার জন্য।
আমার অফিস যাওয়া আজও পন্ড হয়ে গেল। সঞ্চয় বললো ওদের অফিসের নীচের তলায় অর্থাৎ “আনার চেম্বার” বিল্ডিং এর তেতলায় সিমেনেন্টেশান কোম্পানীতে ফটোস্ট্যাট করা যেতে পারে এবং সেখানে ওর জানাশুনা আছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ১১-০৫ নাগাদ বেরিয়ে সিমেন্টেশান কোম্পানীতে গেলাম ওঁরা বল্লঃ ওদের ওখানে ফটোস্ট্যাট কপি হয় না। ওরা বাইরে থেকে করিয়ে আনে। আমাদের কয়েকটা ঠিকানা দিয়ে দিল এর জন্য। শেষ পর্যন্ত অবশ্য HARICO, ও 3 Chowringhee Road, Calcutta -13 থেকেই করাতে হল চার্জ বেশী দিয়ে এবং আজই ডেলিভারী নেব বলে।
“হ্যারিকো” -তে সমস্ত ডক্যুমেন্টস ও ভিসা খানা সহ দশ টাকা এ্যাডভ্যান্স দিয়ে বিকালে কখন আসব সময়টা জেনে বেরিয়ে পড়লাম। প্রত্যেক সার্টিফিকেটের দু কপি, (নেগেটিভ সহ)- র জন্য চার্জ পড়বে ২৮ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু আমার ও সঞ্চয়ের কাছে অত টাকা নেই। কি করব ভাবছি।
চলে গেলাম পাশেই আয়কর ভবনের বিদেশ বিভাগের শান্তিমামার কাছে। সমস্ত কথা শুনেই উনি বল্লেন,
-কত টাকা চাই?
-তিরিশ হলেই চলবে।
শান্তিমামার ওখানে আমি ও সঞ্চয় চা খেয়ে গল্পগুজব করে বেরুলাম দুপুর ১-১৫। সঞ্চয়ের কিছু অন্যান্য কাজ ছিল। সেগুলো সেরে “হ্যারিকোয়” এলাম ২-১৫।
ক্রমশঃ
0 Comments