বিনোদ মন্ডল ও দিলীপ মহান্তী-র কবিতা
পরীক্ষিৎ
বিনোদ মন্ডল
পঁচিশ তিরিশ তিরিক্ষি
বদলে যাচ্ছে আড্ডার খইফুল
নিয়নবাতির তলায়
শেয়ারিং হচ্ছে মৈথিলী মা।
আতিথেয়তা আজ বড়ো
করপোরেট চাকচিক্যমাখা
শূন্য থালা শুষ্ক মুখ দেবতারা
বৃক্ষতলে শর্বরী প্রতীক্ষায়।
মধ্যযুগের রাজসভারাঙা
কবি ও কাঙাল যশোধন
আজ দেখি টক শো'তে
পাঠে মত্ত বিকিনিআখ্যান।
অথচ কথা ছিল, কাব্য হবে
রবাহূত কল্পনাবিতান।
প্রাক্ আজান অনুভবমালা।
ধূলিধূসরিত শহর, ভালো আছো?
দিলীপ মহান্তী
খুব কান্না পায়! কাঁসাইয়ের চোরা স্রোতে স্মৃতি ভেসে যায়...
কত শত পোড়া ইঁট গেঁথে গেঁথে বাড়ির বাগান, আবছায়া মেস ও চায়ের দোকান মৃদু জ্বলে
আমাকে ডাকে ভাঙা পথের রাঙা ধুলোর প্রাসাদ!
সমস্ত বিকেলগুলি অস্ত যায় চোখের তারায়...
আর সারা রাত্রি ধরে কর্ণগড়, গোপগড়, স্টেশনের প্লাটফর্ম জাগে
জেগে থাকে কলেজের পরাগরেণুর মতো মায়াবী বাতাস!
সেগুনের ডালপালা, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সরস্বতী পুজোর সকাল
রাজাবাজারের রাস্তা জুড়ে পশলা পশলা হাওয়ার কীর্তনে
শরীরের কোষে কোষে বেহায়া ফাল্গুন নেচে ওঠে
উড়ে যায় কৃষ্ণের বাঁশি আর রাধাদের গীতি!
ওই ধুলোপথ দিয়ে হেঁটে যায় আমার অভাবী অক্ষর
আমাকে বিদ্রুপ করে মাদল বাজায়!
ব্যর্থতার পাণ্ডুলিপি আকাশ পোড়ায়!
🍁
বাড়িতে বসেই রেজি.ডাক মাধ্যমে জ্বলদর্চির বিশেষ সংখ্যাগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। যোগাযোগ হোয়াটসঅ্যাপ - ৯৭৩২৫৩৪৪৮৪
0 Comments