জ্বলদর্চি

রাখহরি পাল ও মঙ্গলপ্রসাদ মাইতি-র কবিতা

রাখহরি পাল ও মঙ্গলপ্রসাদ মাইতি-র কবিতা 

মেঘ পেয়েছি হাতের কাছে
রাখহরি পাল


মনের মধ্যে বয়ে বেড়াই বিঘ্নিত এক ছবি
রৌদ্র পোড়া মাঠের বুকে আকাশ রঙা শাড়ি 
হেলতে-দুলতে, ডুবছে যখন নীলকান্ত রবি
বুকের ভার সামলে রেখে ফিরছে নদী বাড়ি।

এমন ছবি বাঁধিয়ে রাখি শক্ত দেওয়াল কোথা?
তাসের দেশের নিয়ম ছিল সংশোধনের ছড়ি
বুক পকেটের গোলাপ কুঁড়ি তপ্ত বুকে শুকায়
ভয়ের মধ্যে বাড়তে থাকে প্রাচীর ঘেরা পরী

তবু নদী কূল ছাপাল। খাতায় ভরা ফাঁকি
নীলের ছোপে অঙ্কগুলো বড্ড বোহেমিয়ান
বখাটে ছোপ লাগিয়ে যখন নদীর শব্দ আঁকি
প্রাণ ফোয়ারায় মৎস্যগন্ধা করল তিথি স্নান।

সেই যে ছোটা তোয়াক্কাহীন নদীর স্রোতে বাড়ি
মেঘ পেয়েছি হাতের কাছে জোয়ার ভাটার চর
স্কুল পালানো ঘর ছেড়েছি জ্যোৎস্না রাতে পাড়ি
এখন আমার নোঙর বিহীন অগাধ পরিসর।

জ্বলদর্চি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন।👇



বাসন্তী সাজ 
মঙ্গলপ্রসাদ মাইতি 

প্রকৃতিতে তখন ভরা বসন্ত। শিমুল 
হাসছিল, ডালে ডালে তার লাল আলোর 
আগুন-একই আলোর দীপ্ত ছটায় 
অদ্ভুতভাবে রঙিন পলাশের বন, 
অশোক-পারুলের অঙ্গেও অপরূপ শোভা,
কৃষ্ণচূড়ার বুকে রাঙা আবিরের ঢল- 
সারা বছর যারা দৃষ্টির বাইরেই ছিল 
তারাও ফুল ফুটিয়ে একযোগে জানান 
দিচ্ছে – আমি আছি, আমি আছি। 
চরাচর জুড়ে অনবদ্য এক মাদকতা-
আপনা থেকেই হৃদয় তোলপাড় হল,
মন কেমন করা গানের কলি ছুঁয়ে 
গেল আমাকে। এরই মাঝে তুমি এলে
স্পষ্ট অনুভব করলাম বসন্ত শুধু 
প্রকৃতিকেই রাঙায়নি- বড়ো সুন্দরভাবে 
রাঙিয়েছে তোমাকেও, যার মিষ্টি দোলে 
দোল খাচ্ছো তুমি, দোল খাচ্ছে তোমার 
অঙ্গের ভূষণখানি।  
বাসন্তী সাজে তুমি ছিলে অপরূপা!

🍁
বাড়িতে বসেই রেজি.ডাক মাধ্যমে জ্বলদর্চির বিশেষ সংখ্যাগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। যোগাযোগ  হোয়াটসঅ্যাপ - ৯৭৩২৫৩৪৪৮৪

Post a Comment

0 Comments