জ্বলদর্চি

রবীন্দ্রগবেষক অমিত্রসূদন ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎকার নিলেন অনুপ মাহাত

রবীন্দ্রগবেষক অমিত্রসূদন ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎকার নিলেন অনুপ মাহাত


অনুপ মাহাত: সুদীর্ঘ সময় আপনি জ্ঞানচর্চায় নিমগ্ন আছেন। আপনার জ্ঞানচর্চার অনেকটা ক্ষেত্র জুড়ে আছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এর কারণ কী?

অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য : আমি জ্ঞানচর্চা কিছু করিনি। অল্পস্বল্প লেখাপড়া করেছি -- একজন সাহিত্যের শ্রমিক‌‌ --একজন গবেষক হিসেবে। আমার পিতৃদেব রবীন্দ্র-সান্নিধ্যধন্য--তাঁর সঙ্গে আমি প্রথম শান্তিনিকেতনে এসেছিলাম রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষে। আমি ১৯৬৬তে এখানে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিই। শান্তিনিকেতনে পেলাম রবীন্দ্রভবন-মিউজিয়াম। যাবতীয় বই, রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় মূল পাণ্ডুলিপি, রবীন্দ্রনাথের হাতে আঁকা সমস্ত ছবি -- সব মূল মূল বিষয়গুলো, নোবেল পুরস্কার চুরির আগে পর্যন্ত আমরা হাতে নিয়ে কাজ করেছি। সুতরাং রবীন্দ্রনাথকে এতটা কাছে পাওয়ার যে সৌভাগ্য--সেই সৌভাগ্যকে আমি অপচয় করতে চাইনি।

অনুপ : রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আপনার সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রগুলি যদি আমাদের একটু জানান।

অমিত্রসূদন : প্রথম আমলে আমি বঙ্কিমচন্দ্র নিয়ে কাজ করেছি--বঙ্কিমচন্দ্রের জীবনীও রচনা করেছি। আমার জীবনে যেটা প্রথম বই সেটা প্রাচীন সাহিত্য নিয়ে--বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন। তারপর আমি চৈতন্যদেব নিয়ে কাজ করেছি --মালাধর বসুর শ্রীকৃষ্ণবিজয় নিয়ে কাজ করেছি। নাইনটিন সেঞ্চুরি নিয়ে অনেক কাজ করেছি। আমার একটা বই হচ্ছে 'প্রবন্ধ পঞ্চাশৎ : সাহিত্য ও সংস্কৃতি'-তে পঞ্চাশটি প্রবন্ধ আছে যা রবীন্দ্রনাথ বা বঙ্কিম নিয়ে নয়। 

অনুপ : রবীন্দ্রনাথ থেকে আমরা কোন শিক্ষা লাভ করতে পারি?

অমিত্রসূদন : রবীন্দ্রনাথ আমাদের শিক্ষা দেয় যে আমরা কী হতে পারি! প্রত‍্যেকের সেই ক্রিয়েটিভ সৃষ্টিশীল প্রতিভা না থাকতে পারে কিন্তু তাঁর মতো তো আমি শ্রম করতে পারি -- তাঁর মতো তো আমি সাধনা করতে পারি। শুধু সেইটুকু করলেও আমরা অনেকটা মানুষ হতে পারি। কারণ তিনি পূর্ণ মনুষ্যত্বে বিশ্বাসী ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ একই সঙ্গে কবি-গল্পকার-ঔপন্যাসিক-নাট‍্যকার-অভিনেতা-শিক্ষক -প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আরও কত কী -- সব মিলিয়ে বিস্ময়। শুধু তাঁর শ্রম-- তাঁর সাধনা -- এই যদি আমরা অনুসরণ করতে পারি তাহলেও আমরা অনেকটা এগিয়ে যেতে পারি।

অনুপ : আমাদের ব‍্যবহারিক জীবনে রবীন্দ্রভাবাদর্শের প্রতিফলন আপনি কতখানি প্রত‍্যক্ষ করেন?

অমিত্রসূদন : ভাবাদর্শের প্রতিফলন এখন শূন্য বলা যায়। কারণ লেখাপড়া যদি কেউ না করে তাহলে রবীন্দ্রনাথের ভাবাদর্শের প্রতিফলন ঘটবে কী করে? যারা ঘরে বসে রবীন্দ্রনাথ ভালোবেসে পড়ে তারা রবীন্দ্রনাথকে অনুভব করে -- তারা রবীন্দ্রনাথকে দেবতা বলে মান‍্য করার আবেগ রাখে। কারণ রবীন্দ্রনাথ আমাদের সমস্ত অনুভূতিগুলোকে স্পর্শ করে গেছেন। 

অনুপ : একালে রবীন্দ্র ভাবাদর্শ কীভাবে আমাদের পথ দেখাতে পারে?

অমিত্রসূদন : রবীন্দ্রনাথের ভাবাদর্শ তো পথ দেখাবেই। বিশ্বভারতী তো তৈরিই হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের আদর্শে --রবীন্দ্রনাথই তাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এ সব প্রশ্ন তখনই প্রযোজ্য যখন সমস্ত দেশ-কাল যথাযথ এ কথাগুলোর উপলব্ধি করতে পারবে। ওই যে বললাম যদি লেখাপড়া না হয় তো রবীন্দ্রনাথ পড়বে কে? রবীন্দ্রনাথের ভাবাদর্শ শান্তিনিকেতনেই রক্ষিত হচ্ছে না, তাহলে অন্য জায়গায় তার আর কী প্রতিফলন ঘটবে?

অনুপ : রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে অজস্র গবেষণা হয়েছে, হচ্ছে এবং আগামী দিনেও হবে এই ব‍্যাপ্ত রবীন্দ্রচর্চার ফলাফল সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

অমিত্রসূদন : রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে দেশে বিদেশে বিপুল কাজ হয়েছে। যাঁরা লেখাপড়া করছেন, যাঁরা গবেষক তাঁরা কাজ করছেন -- নিয়ত কাজ করছেন। বিভিন্ন ভাষায় কাজ চলছে। সুতরাং এর ফল হল যাঁরা রবীন্দ্রনাথ ভালোবাসেন রবীন্দ্রচর্চাতেই তাঁদের আনন্দ -- রবীন্দ্র অনুশীলনে আনন্দ -- রবীন্দ্র পঠনপাঠনে আনন্দ।

অনুপ : রবীন্দ্র-ভাবনার প্রচারপ্রসারে গণমাধ্যমগুলির ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?

অমিত্রসূদন : সত্যি কথা বলতে কী রবীন্দ্রনাথ এখন হৃদয়ের জায়গায় না পৌঁছে প্রচার আত্মপ্রচারের জায়গায় পরিণত হয়েছে। শুধু রবীন্দ্র-ভাবনার প্রচার গণমাধ‍্যমের দায়িত্ব নয় -- গণমাধ‍্যমের দায়িত্ব সংবাদ প্রকাশ করা -- প্রচার করা। এই দায়িত্ব হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। গণমাধ্যমে যে যাচ্ছে সেও তো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করে যাচ্ছে। সুতরাং দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মজবুত হতে হবে। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যদি কেউ চোর হয় -- কেউ ডাকাত হয় -- উপাচার্য যদি জেলে যায় -- শিক্ষামন্ত্রী যদি কারাগারে যায় তাহলে শিক্ষাজগৎ কোথায় যাচ্ছে! শুধু গণমাধ্যম কেন এখন দেশটাই সত‍্যে ততটা আগ্রহী নয় যতটা বেশি আগ্রহী জনপ্রিয়তায়। আজকের বাঙালি তাতেই উৎসাহ পাচ্ছে।

অনুপ : রবীন্দ্রনাথ ছাড়া সম্ভব ছিল না -- কোন কোন বিষয়ের কথা আপনার মনে হয়?

অমিত্রসূদন : রবীন্দ্রনাথের কবিতা -- রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প, রবীন্দ্রনাথের গান, রবীন্দ্রনাথের ছবি -- রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর কে সৃষ্টি করবে? সুতরাং রবীন্দ্রনাথ এক অসাধারণ মহামানব। একশ বছর, পাঁচশ বছরেও পৃথিবীতে কেউ আসবেন কিনা সন্দেহ।

অনুপ : রবীন্দ্রনাথের কোন রচনা বা সৃষ্টি আপনার সবচেয়ে প্রিয়?

অমিত্রসূদন : রবীন্দ্রনাথের সব রচনায় আমার প্রিয়। তবে রবীন্দ্রনাথের গান অতুলনীয়। রবীন্দ্রনাথ নিজেও সেটা জানতেন -- তাঁর গানই বেঁচে থাকবে -- গানই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে। তাঁর হৃদয়ের অনুভূতি নিংড়ে বেরিয়েছে তাঁর গানের মধ্যে।

অনুপ : রবীন্দ্র জীবনের কোন ঘটনা আপনাকে বেশি আলোড়িত করে?

অমিত্রসূদন : রবীন্দ্রনাথের প্রেম -- রাণুর প্রতি তাঁর যে ভালোবাসা -- পরিণত বয়সে রাণুর ওপর তাঁর যে নির্ভরতা -- সেটা আমাকে খুব বেশি আকর্ষণ করে।

 অনুপ : পারিবারিক দায়-দায়িত্বের ব‍্যাপারে রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?

অমিত্রসূদন : সে চমৎকার! জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পুত্র কন্যাদের জন্য তাঁর যে ভাবনাচিন্তা, ব‍্যাকুলতা, আবেগ --সে কল্পনা করা যায় না। হয়তো পারিবারিক জীবনে কিছু জিজ্ঞাসা আছে এবং সেও হয়তো অস্বীকার করা যাবে না।

অনুপ : শান্তিনিকেতনের সেকাল ও একালের কী বৈপরীত্য চোখে পড়ে?

অমিত্রসূদন : সে তো অসম্ভব তফাৎ। সেটা অনিবার্যও হতে পারে -- চারিদিকেই পার্থক্য ঘটছে সুতরাং শান্তিনিকেতনে পার্থক্য ঘটবে না কেন? পার্থক্য তো ঘটবে সেটা অনিবার্য কিন্তু তার অবক্ষয় ঘটলে -- যদি ঐতিহ‍্যের অনুসরণকে তোয়াক্কা না করা হয় তাহলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক -- যা অনেক ক্ষেত্রে এখন ঘটছে। তবুও আমি যেহেতু শান্তিনিকেতনে পঞ্চাশ বছর আছি আমার মনে হয়েছে যে, যা কিছু দুর্যোগ ঘটছে তা বিশ্বভারতীতে ঘটতে পারে কিন্তু শান্তিনিকেতন শান্তিনিকেতনেই আছে -- তার আকাশটাকে কেউ পাল্টাতে পারবে না -- তার প্রকৃতিকে কেউ পাল্টাতে পারবে না এবং তার কোনায় কোনায় যে রবীন্দ্র ঐতিহ্য রয়েছে তার কখনও মৃত্যু ঘটবে না।

অনুপ : রবীন্দ্রনাথকে উপলব্ধি করতে গিয়ে আপনি প্রবন্ধ থেকে শেষে উপন্যাসে আশ্রয় নিলেন। কেন এই প্রয়াস? উপন্যাস ছাড়া কি তা সম্ভব ছিল না?


অমিত্রসূদন : আমি রবীন্দ্রনাথকে খুঁজছি এটা ঠিকই -- আজীবন ধরে খুঁজছি রবীন্দ্রনাথকে। শান্তিনিকেতনকে আমি গত ষাট বছর ধরে দেখছি -- আমি এই মুহূর্তে একটা লেখা লিখছি 'শান্তিনিকেতনে ষাট বছর'। সেই থেকে রবীন্দ্রনাথকেও খুঁজে যাচ্ছি। রবীন্দ্রনাথ যেমন বলেছিলেন -- "তখন স্মরিতে যদি হয় মন/ তবে তুমি এসো হেথা নিভৃত ছায়ায়/ যেথা এই চৈত্রের শালবন"। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ বলেছেন যে আমার জীবনী ওই সন তারিখের জীবনী নয়। রবীন্দ্রনাথ আরেকটা জায়গায় বলেছেন সত‍্যিকারের কোনও মানুষের যথার্থ জীবন যদি লিখতে হয় তাহলে সেটা কবিতাতে লিখতে হবে। তা আমি তো কবিতা লিখতে পারি না। আমি কিছু গদ‍্য চর্চা করি। রাণু আর রবীন্দ্রনাথ নিয়ে অনেক দিন ধরে আমার কৌতূহল --গবেষণা চলছিল -- চলছিল। আমার মনে হয় রবীন্দ্রনাথ রাণু নিয়ে যতকিছু লেখা হয়েছে সেগুলো একটা কাল্পনিক উপন্যাস মাত্র। রচয়িতারা নিজেরাও সেকথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের বাঙালি পাঠক সেটাকেই সত্য বলে মনে করছে এবং রবীন্দ্রনাথের অপব‍্যাখ‍্যা ঘটছে। সত‍্যকে নির্ভর করে রবীন্দ্রনাথ ও রাণুর যে সম্পর্ক আমার মনে হয়েছে কল্পনার চেয়েও সেই সত্য অনেক রঙিন -- কল্পনার চেয়েও সেই সত্য অনেক রোমাঞ্চকর -- কল্পনার চেয়েও সেই সত্য রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কারের পক্ষে মস্ত বড় একটা প্লাটফর্ম। আমার ওই উপন্যাসে জীবন্ত রবীন্দ্রনাথকে আমি স্পর্শ করতে চেয়েছি --সত‍্য রবীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রনাথের প্রেম যদি প্রেম হয় তো প্রেম -- যদি প্রেম না হয় তো প্রেম নয় -- রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে রাণুর সম্পর্ক যদি অন্তরঙ্গ হয় তো অন্তরঙ্গ। আমি সত‍্যকে আবৃত করতে কখনো সচেষ্ট হয়নি।

অনুপ : প্রমথ চৌধুরী, রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পুলিন বিহারী সেনের উত্তরসূরী হিসেবে বিশ্বভারতী পত্রিকা সম্পাদনার অনুভূতি কেমন?

অমিত্রসূদন : ঐতিহ‍্যপূর্ণ পত্রিকা -- সেই ঐতিহ্য যাতে রক্ষিত হয় সেই চেষ্টা করেছি। এই ধরনের একটা জ্ঞানানুশীলন পত্রিকা খুব প্রয়োজন ছিল বাংলা সাহিত্যের -- যা ১৯৪২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। আমি প্রায় দীর্ঘ চোদ্দ-পনেরো বছর ছিলাম।

অনুপ : রবীন্দ্রচর্চার কোন কোন দিক আরও আলোচিত হওয়া প্রয়োজন এবং কোনদিকগুলি আজও তেমন আলোচিত হয়নি?

অমিত্রসূদন : রবীন্দ্রনাথের সবদিক নিয়েই আলোচনা হওয়া প্রয়োজন এবং সবচেয়ে বড় কথা হল রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি নিয়ে তেমনভাবে কোনো কাজ হয়নি। রবীন্দ্রনাথের চিঠিপত্র নিয়ে সেরকমভাবে কোনও কাজ হয়নি। 'রক্তকরবী' ন'বার লিখেছেন -- পরিবর্তন -- পরিবর্তন  আর পরিবর্তন। এই রবীন্দ্রনাথকে তো তেমনভাবে জানা যায়নি। 

অনুপ : আপনার ছোটবেলার কোনো স্মৃতি যা আপনাকে আজও নাড়া দেয়।

অমিত্রসূদন : যেহেতু আমি বিজনবিহারী ভট্টাচার্যের পুত্র সেইজন্য পরিবারে সর্বদাই একটা শান্তিনিকেতনের আবহাওয়া বইত। আমার জ্ঞান হওয়া থেকে দেখছি বাবা রবীন্দ্ররচনাবলির প্রুফ দেখছেন।

অনুপ : জ্বলদর্চি পত্রিকা তিরিশ বছর অতিক্রম করলো। এই লিটল ম‍্যাগাজিন সম্পর্কে আপনি কী বলবেন?

অমিত্রসূদন : বঙ্কিমচন্দ্র বলেছেন সম্পাদকের দায়িত্ব খুব কঠিন। জ্বলদর্চি ঐকান্তিক নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায়  লেখকদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলেছে -- যার ফলে 'জ্বলদর্চি'র পাতায় বহু বিখ্যাত মানুষের সংযোগ ঘটেছে। জ্বলদর্চি এমনভাবে লেখকদের অনুরোধের তির ছুঁড়ে দেয় সম্পাদকের আসন থেকে যে সেই তির তাঁদের আহত না করে উৎসাহ দেয় 'জ্বলদর্চি'তে লেখাটা পাঠিয়ে দেওয়ার জন‍্য। জ্বলদর্চি আমাদের বহু মানুষের প্রিয় পত্রিকা। জ্বলদর্চি আরও সুদীর্ঘকাল জীবিত থাকুক। কারণ একটা পত্রিকার প্রথম কাজ হচ্ছে তার আয়ু যেন দীর্ঘ হয়। 'জ্বলদর্চি'র সম্পাদক আন্তরিক নিষ্ঠায় সেই সাধনা করে চলেছেন।
----
জ্বলদর্চি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন।👇

Post a Comment

1 Comments

  1. AnonymousMay 29, 2023

    অসাধারণ সাক্ষাৎকার

    ReplyDelete