জ্বলদর্চি

হিজলী জেলবন্দীদের ওপর নির্মম গুলিচালনা /সূর্যকান্ত মাহাতো

জঙ্গলমহলের জীবন ও প্রকৃতি
পর্ব - ৭২

হিজলী জেলবন্দীদের ওপর নির্মম গুলিচালনা

সূর্যকান্ত মাহাতো


"১৯১৯ সালে পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগে নিরস্ত্র মানুষের উপর নির্দ্বিধায় ইংরেজরা গুলি চালিয়েছিলেন। ভারতের ইতিহাসে সেই রক্তাক্ত ঘটনা 'জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড' নামে পরিচিত। সেই বর্বরোচিত ঘটনা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের হৃদয়কে প্রবল ভাবে নাড়া দিয়েছিল।"

"তিনি তো এই ঘটনার প্রতিবাদে ইংরেজদের দেওয়া 'নাইট' উপাধি পর্যন্ত ত্যাগ করেছিলেন। এবং এই ঘটনার  তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন?"

"হ্যাঁ। যদি ইংরেজদের দেওয়া আরও একটি অন্য কোন উপাধি তিনি পেয়ে থাকতেন, তাহলে বোধহয় আমাদের মেদিনীপুর জেলার হিজলীর ঘটনার প্রতিবাদে সেটাও যে তিনি ত্যাগ করতেন এ কথা আমি নিশ্চিত রূপে বলতে পারি।"

"'হিজলী!' সেখানে আবার কবে কী ঘটেছিল?"

"দেখছো তো, যতজন মানুষ জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনা জানে তার অর্ধেক মানুষও হিজলীর ঘটনাটা জানে না। খড়্গপুরের কাছে হিজলীতে রাজনৈতিক বন্দীদের রাখার জন্য একটি অস্থায়ী শিবির বা বন্দী নিবাস গড়ে তোলা হয়েছিল। ১৯৩১ সালের ১৬ই আগস্ট সেই বন্দী নিবাসে নিরস্ত্র বন্দীদের উপর জালিয়ানওয়ালাবাগের মতোই 'হাবিলদার রহমান খান'-র নেতৃত্বে ৫০ জন সৈনিক ও লাঠি হাতে ২৪ জন সিপাই অতর্কিতে আক্রমণ শুরু করেছিল। এবং নিরস্ত্র বন্দীদের উপর গুলি বর্ষন শুরু করেছিল (জিলা মেদিনীপুর: স্বাধীনতার সংগ্রাম, পৃষ্ঠা ৪৮)। মধুমন্তী সেনগুপ্ত তার গ্রন্থে ঘটনাটা এইভাবে বর্ণনা করেছেন, রাত তখন সাড়ে নটা। বেশিরভাগ বন্দীই রাতের খাবার শেষ করে শুয়ে পড়েছে। কেউ হয়তো তখন মশারি টাঙাচ্ছে কেউ তখনও খাবার খাচ্ছে। এমন সময় পঞ্চাশ জন পুলিশ আর ২৪ জন সিপাই বন্দী শিবির ঘিরে ফেলেছিল। তারপর বন্দী নিবাসের আটটি জায়গা থেকে গুলি চালাতে শুরু করেছিল। (বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স পৃষ্ঠা ১৬৯) একে তুমি ঠিক কি বলবে? জালিয়ানওয়ালাবাগেরই ক্ষুদ্র সংস্করণ? নাকি আরও একবার হিজলীতে জালিয়ানওয়ালাবাগের কায়দায় রক্তাক্ত ইতিহাস তৈরি করা?"

"খুবই নির্মম ঘটনা। কিন্তু আমি বলছি যে আপনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন যে হিজলীর ঘটনার প্রতিবাদে কবিগুরু 'নাইট' উপাধির মতো কোন কিছু  ত্যাগ করতে পারতেন?"

"দেখো, জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের পর আবারও একবার কবিগুরুর হৃদয় যদি উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিল তা এই হিজলীর ঘটনায়। অত্যন্ত ব্যথিত ও মর্মাহত কবির কলম থেকে তাইতো পরবর্তীকালে নিংড়ে বেরিয়ে এসেছিল একের পর এক প্রশ্নমালা। সেগুলোকেই কবিতার রূপ দিয়ে রচনা করলেন 'প্রশ্ন' কবিতা---
"আমি যে দেখেছি গোপন হিংসা কপট রাত্রিছায়ে
হেনেছে নিঃসহায়ে,
আমি যে দেখেছি প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে
বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।"
আবারো বললেন,
"যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো।"

"কবির এই 'প্রশ্ন' কবিতাটা পড়লেই দেখবে কবিতার ছত্রে ছত্রে কী পরিমান কষ্ট ও বিদ্রোহ প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয় হিজলীর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতায় লক্ষাধিক মানুষের একটি প্রতিবাদ মিছিল বেরিয়েছিল ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৩১ সালে (জিলা মেদিনীপুর: স্বাধীনতার সংগ্রাম, পৃষ্ঠা- ৫০)। সেই বিরাট জনসভা বৃদ্ধ কবির  পক্ষে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যন্ত ক্ষতিকর জেনেও তিনি গিয়েছিলেন এবং সভাপতির পদ অলংকৃত করেছিলেন। তার দেওয়া সেই দীর্ঘ ভাষণের শুরুতে তিনি সে কথা নিজেই বলেছেন,
"এত বড় জনসভায় যোগ দেওয়া আমার শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, মনের পক্ষে উদ্ভ্রান্তিজনক। কিন্তু যখন ডাক পড়ল থাকতে পারলুম না। ডাক এল সেই নিপীড়িতদের কাছ থেকে রক্ষক নামধারীরা যাদের কণ্ঠস্বরকে নরঘাতক নিষ্ঠুরতা দ্বারা চিরদিনের মতো নীরব করে দিয়েছে।"
শুধু তাই নয় ওই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "ভারতে ব্রিটিশ শাসনের চরিত্র বিকৃত হয়েছে এবং এখন থেকে আমাদের ভাগ্যে দুর্দাম দৌরাত্ম্য উত্তরোত্তর বেড়ে চলবার আশঙ্কা ঘটল।"
শেষে বলেছিলেন, "ঘটনাটা স্বতঃই আপন কলঙ্ক লাঞ্ছিত নিন্দার পতাকা যত ঊর্ধ্বে ধরে আছে, তত ঊর্ধ্বে আমাদের ধিক্কার বাক্য পৌঁছাতে পারবেনা।" (পৃষ্ঠা- ১৯৯, আমি সুভাষ বলছি/শৈলেশ দে) এই রবীন্দ্রনাথই আবার পরবর্তীকালে যখন কিছু সরকারি সংবাদপত্রে সৈনিকদের পক্ষ নিয়ে লিখছিল তখনো তিনি গর্জে উঠেছিলেন। এতেই কী বোঝা যায় না, হিজলীর ঘটনায় মানুষটা কত আহত ও প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিলেন?
জ্বলদর্চি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন।👇
"শুধু কি তাই! ঘটনার খবর শোনা মাত্রই সুভাষচন্দ্র বসু এবং যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত ছুটে এসেছিলেন হিজলীতে। তুমি কী জানো, এই সুভাষচন্দ্র বসু এবং যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত এর আগে দুটো বিরোধী ধারায় বিভক্ত ছিল। সুভাষপন্থী ও সেনগুপ্তপন্থী এই দুই পন্থীর দলাদলি ছিল তখন বেশ চরমে। কিন্তু হিজলীর ঘটনায় তারা সেই দলাদলি ভুলে পরস্পর হাতে হাত ধরে এগিয়ে এসেছিলেন। (আমি সুভাষ বলছি/শৈলেশ দে, পৃষ্ঠা- ১৯৯) হিজলীর এই মর্মান্তিক ঘটনা তাদেরকে এক করতে পেরেছিল। তাহলেই বুঝতে পারছ হিজলীর ঘটনাটা কতটা ভয়াবহ ছিল। সুভাষচন্দ্র বলেছিলেন, "এই মর্মান্তিক ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা প্রয়োজন নেই।"

"আরো আছে, বীরেন্দ্র শাসমল এই ঘটনার পর ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে জানিয়েছিলেন, "What would have happened to his excellency Sir Stanley Jackson if he was the premier of England and such an occurance had taken place in British jail and he was coolly moving about Downing Street and Westminister? I believe he would have been torn to pieces by the English mob." (History of Midnapore, PT- II, PP- 181)

"এদিকে জহরলাল নেহেরু বললেন,
The Hijli firing had shaken Bengal from end to end. There in a camp was detained a band of educated and respectable young man whose only fault was patriotism. They are not charged with any definite offence and had not been convicted of any crime. The shoot down such people is unchivalrous and unpardonable.""(জিলা মেদিনীপুর: স্বাধীনতার সংগ্রাম, পৃষ্ঠা- ৫১)

"ঘটনার কারণ সম্পর্কে কিছু জানা গেছে? মানে কী এমন হয়েছিল যে ইংরেজরা এমন বিভৎস হত্যা লীলা চালিয়েছিলেন?"

"'মাখন গুপ্ত' বলছেন যে, বন্দীদের দৈনিক খরচের টাকা নিয়েই নাকি প্রথম ঝামেলা তৈরি হয়েছিল। ফলে জেল কর্তৃপক্ষ বন্দীদের অসুখ ও অসুস্থতাকেও নানাভাবে উপেক্ষা করতে লাগল। বন্দীদের মধ্যেও তখন অসন্তোষ দানা বাঁধতে লাগল। এতে জেল কর্তৃপক্ষও ক্ষুব্ধ হচ্ছিলেন। সবশেষে আগুনে ঘি পড়ল যখন জজ সাহেব গার্লিককে কানাইলাল হত্যা করার পর বন্দীরা জেলখানায় আলোর রোশনাই সাজিয়ে তুলেছিলেন। এই ঘটনার পর ১৫ই সেপ্টেম্বর দীনেশ সেনকে বক্সা পাঠিয়ে দেওয়ার সময় সমস্ত বন্দীরা বিপুল অভ্যর্থনায় বিদায় দিয়েছিল। বন্দীদের এই আচরণে সিপাইরা রুষ্ট হয়েছিলেন। এবং ঠিক তার পরদিনই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলেন। ( মুক্তি সংগ্রাম/মাখন গুপ্ত, পৃষ্ঠা- ১১৫-১৬)

"মাখন গুপ্তের বর্ণনার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন গোকুলচন্দ্র ভট্টাচার্য। তবে তার বর্ণনায় যেটুকু বাড়তি অংশ পাই তা হল, দুই পক্ষের একটা ক্ষুব্ধ মনোভাব তো আগে থেকেই ছিল, ১৬ তারিখ রাত্রি আটটা থেকে নটার মধ্যে সামান্য কিছু গোলমাল বাঁধতেই প্রহরীরা বন্দীদের ভয় দেখাতে ফাঁকা গুলির আওয়াজ করেন। তারপরে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে গুলি চালাতে শুরু করেছিলেন। (স্বাধীনতার রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম/গোকুলচন্দ্র ভট্টাচার্য, পৃষ্ঠা- ১৬৫)

"এছাড়াও আরো একটি উল্লেখযোগ্য কারণের কথা উল্লেখ করেছেন বিমল দাশগুপ্ত। ১৯৩০ সাল থেকেই কিছু বণিক গোষ্ঠী এবং কিছু ইংরেজি কাগজ প্রচার চালাচ্ছিল যে জেলবন্দীরাই নাকি সব রকমের বৈপ্লবিক কাজকর্ম চালাচ্ছেন। তাই এক একজন ইংরেজের প্রাণ হরণের বিনিময়ে এক একজন বিপ্লবীকে জেল থেকে বের করে প্রকাশ্যে গুলি করে মারা উচিত বলে তারা মনে করে। হিজলীর ঘটনা নাকি তারই পরিণতি।" (পেডি নিধন ও ভিলিয়ার্সের উপর আক্রমণ/ বিমল দাসগুপ্ত।)

"এই ঘটনায় হতাহতের খবর কী ছিল?"

"সঙ্গে সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছিলেন দুজন। একজন 'তারকেশ্বর সেনগুপ্ত' এবং অন্যজন 'সন্তোষ মিত্র'। এই সন্তোষ মিত্র আবার সুভাষচন্দ্র বসুর খুব ভালো বন্ধুও ছিলেন। তারকেশ্বরের বাড়ি ছিল গৈলাতে( পূর্ববঙ্গ)। সুভাষচন্দ্র তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে গিয়ে খুব কঠিন কন্ঠে বক্তব্য রেখেছিলেন। আনন্দবাজার পত্রিকায় সে বক্তৃতা প্রকাশিত হয়েছিল-"হিজলীর গুলিবর্ষণের ঘটনায় এই সত্যই আমাকে প্রবোধ দান করিয়াছে। হিজলী চট্টগ্রামের ব্যাপার বাংলা কখনও নীরবে সহ্য করিবে না। এক বাক্যে ইহার প্রতিকার দাবি করিবে।""(আনন্দবাজার পত্রিকা- ২৮/১০/৩১)

"এত বড় মাপের ঘটনা যখন, কোনো তদন্ত হয়নি?"

"হয়েছিল তো। সরকার একটি 'তদন্ত কমিটি' গঠন করেছিল। বিচারপতি মিস্টার এস. সি. মল্লিক ছিলেন সেই কমিটির চেয়ারম্যান। এবং মিস্টার জে. জি. ব্রমণ্ড সেই কমিটিতে ছিলেন।" (আনন্দবাজার পত্রিকা-৩০/১০/৩১)

"'কমিটি' তদন্তে কী রায় দিয়েছিলেন?"

"৩০.১০.৩১ এ আনন্দবাজারের হেডলাইনটা একবার ভালো করে পড়ে দেখো। তাহলেই এর উত্তর পেয়ে যাবে। হেডলাইনে লেখা: "হিজলীতে গুলি চালাইবার কোন সঙ্গত কারণ ছিল না।" সরকারি তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট পেশ করেছিলেন সেখানেও বলা হয়েছে, মোট ২৯ বার গুলি ছোঁড়া হয়েছিল। সিপাইরা যে দুজন রাজবন্দীকে নিহত ও কয়েকজনকে আহত বা জখম করেছিলেন তার কোন সঙ্গত কারণ ছিল না। (আনন্দবাজার পত্রিকা- ৩০/১০/৩১) বিষয়টা এখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু হল না।"

"কেন? আবার কী হয়েছিল?"

"সরকারি কাগজগুলো বরং উল্টোটাই প্রচার করতে শুরু করেছিল। তারা লিখল, প্রহরীরা অন্যায় কিছু করেনি। সরকারি কাগজগুলোর এমন রিপোর্টে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তীব্র বিরোধিতা করলেন। একটি অ্যাংলো ইন্ডিয়ান কাগজের এরকমই একটি খবরের তীব্র বিরোধিতা করে তিনি ২ই নভেম্বর দার্জিলিং থেকে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। আনন্দবাজার পত্রিকা ৪ নভেম্বর ১৯৩১ তারিখে সেটি প্রকাশ করে। সেখানে কবিগুরু বলেছেন,"হিজলী বন্দীশালার বন্দীদের ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ডারগণের প্রতি খ্রীস্টানসুলভ মনোভাবের দ্বারা বারবার সহানুভূতি প্রকাশ করা হইয়াছে। সম্প্রতি একখানি এংলো ইন্ডিয়ান কাগজে আমরা ইহা লক্ষ্য করিয়াছি। ঐ সব ওয়ার্ডারগণই তাহাদের রক্ষাধীন বন্দীদিগকে হত্যা করিয়াছিল। এই অপরাধের অনুষ্ঠাতাদিগের প্রতি গুরু কার্যভারের দোহাই দিয়া অনুকম্পা প্রদর্শন করা হইয়াছে।"" (আনন্দবাজার পত্রিকা- ৪/১১/৩১)

"সরকারি তদন্ত কমিটির রায়। অথচ তারপরেও এমন বিরোধিতা কেন?"

"আমার মনে হয় ব্রিটিশদের অন্দরমহল থেকে প্রবল চাপ তৈরি হচ্ছিল। না হলে কমিটি গঠনের দু'মাস পরেই কলকাতা গেজেটের এক অতিরিক্ত সংখ্যায় কেন প্রকাশ করা হল, হিজলীর ঘটনার জন্য রাজবন্দীরাই উপদ্রব সৃষ্টিকারী।" (আনন্দবাজার পত্রিকা- ৬/১২/৩১)

"সে কি কারা এমন কথা লিখেছিল?"

"সপারিষদ লাটবাহাদুর নাকি সরকারি তদন্ত রিপোর্টটিকে বিবেচনা করে দেখেছিলেন যে ১৫ তারিখ (ঘটনার আগের দিন) রাজবন্দী এবং সিপাহীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল এবং তিনি এ কথাও বলেন যে, সমস্ত ব্যাপারে রাজবন্দীরাই ছিল উপদ্রব সৃষ্টিকারী।" (আনন্দবাজার পত্রিকা- ৬/১২/৩১) ব্যাস তার কথার উপর তো আর কোন কথা হতে পারে না। তবে এই বিরোধিতা পরবর্তীকালের আরো একটি ভয়ঙ্কর ঘটনার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছিল।"

"কোন ঘটনা?"

"জেমস পেডির পর পরবর্তী জেলাশাসক ডগলাস হত্যা।"

"কেন?"

"কারণ হিজলীর ঘটনার যে 'বিরুদ্ধ রিপোর্ট' তৈরি হয়েছিল তাতে ডগলাসের বড় রকমের ভূমিকা ছিল বলে বি.ভি.-র(বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স) সদস্যরা মনে করেছিলেন।
চলবে...

Post a Comment

0 Comments