জ্বলদর্চি

কয়েকটি রম্য কবিতা - ১৯ / শুভশ্রী রায়

কয়েকটি রম্য কবিতা - ১৯ / শুভশ্রী রায়


ঘাটশিলা ও সোহম

সোহম তখন ছেলেমানুষ, সোহম তখন ক্লাস থ্রি,
তারই মধ্যে বেড়াতে যাচ্ছে ওপরের মৌ পিসি,
শিশুমন ভাবে, পিসি আমার জন্য আনবে কী?
ঘাটশিলায় যাচ্ছে ওরা, শিশুর বড় আফসোসই।

সোহম, আমরা ঘাটশিলায় ভালো মতন ঘুরছি
দেখছি সোনার তীরে মস্ত নীল ব্যস্ত প্রজাপতি,
অপুর পথ আর টিলা ও হ্রদ যার নাম বুরুডি,
চোখের পাতায় করে তোর জন্য দৃশ্য আনছি।


সোহমের জন্য গল্প

আজ নীল প্রজাপতির গল্প শুনবে বালক সোহম,
যাকে আমরা দেখেছিলাম সুবর্ণরেখার তীরে;
তারপরে আফসোস করবে, কেন যাইনি আমি-
তেমন প্রজাপতি চোখে পড়বে নাকি এই ভীড়ে!

সোহম সেই অদ্ভুত গেরুয়াপথের কথা শুনবে,
যে পথ ঘাটশিলার ভেতর দিয়ে হাঁটে আনমনে,
আট বছর কল্পনা করে আর ভাবে- পরে যাব
শিশু সোহম সাগ্রহে ভারহীন হওয়ার দিন গোনে।
🍂

সূর্যের পাশে চাঁদ হাসে

ধরো কোনো দিন আকাশটা উল্টেই গেল 
সূর্য নেমে এল একেবারে পৃথিবীর মাটিতে!
তখন কী করবে তোমরা, ভেবে দেখেছ?
পারবে না তো চরম উত্তাপে মোটে হাঁটিতে।
অনেক ভেবে একটা সমাধান পেয়ে গেলাম,
আমি নিজের হাতে উল্টে দেব পূর্ণিমারাত,
সূর্যের পাশাপাশি থইথই করবে কৌমুদী;
হাঁটাচলা মসৃণ হয়ে উঠবে ভাই, কেয়া বাত!


অনামী       

একটা লতা অনামী, চমৎকার তার ফুল নীল,
তার দিকে সারা জীবন থাকতে চাই তাকিয়ে,
এমন একটা অনাদরের অসামান্য মায়ালতা
মনের ভেতর নিতেই হবে স্থায়ী রঙে আঁকিয়ে।

ছোট্ট একটা বুনো ফুল, কেউ জানে না তার নাম,
কি সুন্দর মোহগন্ধ ছড়ায়, হলুদ আভায় ফোটে, 
নাই বা জানতে পারলাম তার জংলি পরিচিতি,
মন্দ কী, বিনা নামেই যদি এত অপূর্বতা জোটে!

Post a Comment

0 Comments