জ্বলদর্চি

দেশান্তরী/শেষ পর্ব /হিল্লোল রায়


দেশান্তরী 

শেষ পর্ব

হিল্লোল রায় 

Ladies & Gentlemen!

I came from Calcutta, India as a student and on my way to the United States. - I came across Kuwait, Rome, France, London, New York and spent several hours in all those places. I am interested in writing a book on my travel experiences over different Places. We all know that different people have different languages, foods and clothes. It's not possible for me to get the detailed history of the different Countries and their people. Besides these, different places have different objects of attractions.

So, if any of you like to send a brief history of their countries and people, food etc. You may send it to my name- Dept of Civil Engineering , North Dakota State University, Fargo. North. Dakota 58102, and the names of all their persons who will be gratefully acknowledged . Thank you for your attention.

অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হল রাত ৯-৪০ এর কাছাকাছি। এরপর মিঃ ওয়ালিনের সংগে ওর বাড়িতে রাত দশটার কাছাকাছি পৌঁছালাম। ওঁর স্ত্রীর সংগে অনেক গল্প হল। আজকের দিনটা কেমন কাটলো জিগ্যেস করলেন। ওঁর বাড়ীতে একটা Guest Book আছে। ঐ বইতে আমার নাম-ঠিকানা লিখে দিতে অনুরোধ করলেন। আমিও সানন্দে লিখে দিলাম। মিঃ বব ওয়ালিনের সংগে যখন ওঁর এ্যাপার্টমেণ্টে ঢুকলাম তখন ওনার স্ত্রী কথা বলছিলেন নতুন অতিথি Lisa Erickson এর সংগে। খুব সুন্দর অমায়িক ভদ্রমহিলা। উনি Arizona State এ থাকেন। সম্প্রতি এখানে বেড়াতে এসেছেন। ওঁর বাড়ীতে যাবার জন্য নিমন্ত্রণ জানালেন খুব অনুরোধ করলেন ঠিক আমাদের দেশীর মতোই। যাই হোকসবার সংগে গল্পগুজব করলাম। সামাজিক প্রথা, Aristocracy ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা চললো রাত বারোটা পর্য্যন্ত। সবাই আশ্চর্য আমি কেমন করে ইংরেজিতে কথা বলি।

-How can you speak English so well?

আমিও খুলে বল্লাম আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে। রাত ১১-১৫ নাগাদ Good Night জানিয়ে শুতে গেলাম। ঘুম আসল প্রায় রাত একটার কাছাকাছি।

পরদিন অর্থাৎ রবিবার ফেব্রুয়ারি ২৯১৯৭৬ সকাল ৭-৩০ নাগাদ ঘুম থেকে উঠলাম। হাত মুখ ধুয়ে স্নান সেরে নিলাম। সকাল ৮-৩০ এর কাছাকাছি মিঃ বব ওয়ালিন ও তাঁর স্ত্রীর সংগে গেলাম নিকটবর্ত্তী Lutheran Church  চার্চে যাওয়াও আমার জীবনে এই প্রথম।

চার্চে প্রার্থনা পদ্ধতি সম্পর্কে আমার কোনই ধারণা কিংবা অভিজ্ঞতা নেই। তাই মিঃ বব ওয়ালিনকেই অনুসরণ করলাম । প্রার্থনা জানালাম ভগবানের কাছে। বেলা ১১টার কাছাকাছি চার্চ এর কাজ শেষ হল। মিঃ ওয়ালিন আমাকে পরিচ করিয়ে দিলেন চার্চের PASTOR এর সংগে। PASTOR জিজ্ঞাসা করলেনঃ

-“How do you like it?

-Really a new experience in my life-উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলাম।

তারপর আবার ফিরে এলাম মিঃ ওয়ালিনের সংগে ওঁদের এ্যাপার্টমেন্টে। লাঞ্চে উনি ভুরিভোজের ব্যবস্থা করেছেন। অনেক রকম খাবার নিজেই রান্না করেছেন। দুজন পাড়া প্রতিবেশীকেও তিনি নেমন্তন্ন করলেন লাঞ্চে। বেলা ১টা নাগাদ সবাই খেতে বসলাম। Dinning Table এ বসে গল্প ও খাওয়া চলছে। ভারতবর্ষ সম্পর্কে ওঁরা জানতে খুবই আগ্রহী। অনেক গল্প হল। তারপর দুপুর ১-৪৫ নাগাদ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিঃ ওয়ালিনের গাড়ীতে করে YMCA তে ফিরে এলাম। সবাই একে একে এসে জড়ো হচ্ছেন । ফার্গাস ফলস থেকে এবার ফার্গো অভিমুখে যাত্রা করতে হবে। কেউ কেউ ফটো তুলছেন। বেলা ২-৩০ নাগাদ সবাই গাড়ীতে চেপে বসলাম। বিদায় জানালাম সবাইকে । টা -টা ফার্গাস -ফলস!!

ফেব্রুয়ারি ২৯১৯৭৬ দিনটা একটা স্মরণীয় দিন হয়ে রইল। খুবই খারাপ লাগছে ফার্গাস ফলস থেকে ফিরতেকিন্তু তবুও ফিরতে হবে। চারিদিকে স্তূপীকৃত স্নো। আমি যে গাড়ীতে আসছি সেই গাড়ীতে জাপানজর্ডনের দুজন বন্ধুও আছেন। যে ভদ্রলোকের গাড়ীতে আমরা আসছি উনি হচ্ছেন J.C. Penny Departmental Store এর ম্যানেজার। সংগে ওঁর কন্যা Jane Hoppe (বর্ত্তমানে 7th Grade এর ছাত্রী)। বেশ গল্প করছি সবাই মিলে। কেমন সুন্দর আবহাওয়া ছিলঅনুষ্ঠান সমস্ত কিছুই উপভোগ করলাম।

গল্প করতে করতে কিভাবে সময় কেটে গেল টেরই পেলাম না। ফার্গো থেকে ফার্গাস ফলসের দূরত্ব ৬০ মাইলের কাছাকাছি। চারিদিকে ক্ষেত খামার। বাফেলো নদী অতিক্রম করলাম ব্রিজের উপর দিয়েই। বেশ সুন্দর আবহাওয়া-সূর্যের আলো চারিদিকে ঠিকরে পড়ছে।

MOORHEAD এসে পৌঁছালাম বেলা ৩-২০ । এরপর আমাদের চিরপরিচিত DAKOTA CLINIC ইত্যাদি দেখতে পাচ্ছি। আমাদের সকলে অর্থাৎ NDSU ফার্গোতে পৌঁছালাম বিকাল ৩-৩০ নাগাদ। সত্যিই আনন্দ পেয়েছি ফার্গাস ফলস -এ গিয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই রোটারী ক্লাব-কে। ওঁদের নিখুঁত ব্যাবস্থাপনা  সত্যি সত্যিই প্রশংসার্হ।

ফার্গোনর্থ ডাকোটা থেকে পোলকসাউথ ডাকোটা

!!শুক্রবার!!

এপ্রিল ১৬১৯৭৬

POLLOCK, SOUTH DAKOTA

আজ ঘুম থেকে উঠেছি এক নতুন পরিবেশেনতুন জায়গায় এসে। Good Friday এর জন্য নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি এপ্রিল ১৬ থেকে ১৯১৯৭৬ ছুটী। এই অবকাশ যাপনে এসেছি পোলক গ্রামে। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আমার বন্ধু DONALD VAN BEEK (যিনি Bacteriology তে B.S. করছেনওঁর গাড়ীতে করে আমাকে ওঁদের নিজের বাড়ীতে নিয়ে এসেছেন। ফার্গো থেকে পোলকের দূরত্ব ২৫০ মাইলের মতন। পোলক গ্রামের অবস্থান নর্থ ডাকোটা স্টেট এর সীমানা ঘেঁষে।

🍂

গতকাল স্কুলের কাজ সেরেছি বিকাল ৪-৩০ টের কাছাকাছি। তারপর বন্ধু DON (সংক্ষিপ্ত নামওঁর গাড়ীতে আমাকে বাড়ীতে নিয়ে আসে। আমার ব্যাগ গোছানোই ছিল। ব্যাগ গাড়ীতে তুলে নিলাম। তারপর ওঁর পাড়ারই একটি মেয়ে “ মিলিশিয়া” ওঁর সংগে গাড়ীতে যাবে ঠিক করেছে। কাজেই গাড়ীর যাত্রী আমরা তিনজন। ডনমিলিশিয়া ও শ্রীমান। বিকাল ৫-২৫ নাগাদ ফার্গো ত্যাগ করে আমাদের গাড়ী ছুটে চলেছে12th Avenue ধরে আমরা চলেছি। মিলিশিয়া আমার স্কুলে Photography তে B.S. করছে। চমৎকার গল্প বানাতে পারে। সবার মুখেই হাসি। চারদিনের ছুটী পেয়ে সবাই বাড়িতে যাচ্ছে। নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি পুরোপুরি Agricultural Land বলেই মনে হয়। জনবসতি ভীষণ কম। ফার্গো ত্যাগ করে আমরা চলেছিচারিদিকে বিরাট বিরাট Grain Elevator ( খাদ্য শস্য মজুত রাখার ঘরআর কৃ্ষিক্ষেত্র। সবুজ ঘাসের উপর বিন্দু বিন্দু শিশির জমে রয়েছে। জনহীন নিঃসীম প্রান্তর। পথে যেতে যেতে MAPLE RIVER চোখে পড়ল। নদী বলতে যা বোঝায়ম্যাপল নদী কিন্তু তা নয়। সরু খালের মতোস্বচ্ছতোয়া।

ইতিমধ্যে অর্থ্যাৎ সন্ধ্যা ৭-৪৫ নাগাদ সূর্য্যের আলো ক্রমশ:ই ক্ষীণতর হয়ে আসছে। অন্ধকার হতে আর বাকী নেই। রাত ৮-৩০ নাগাদ আমরা CRYSTAL SPRING নামক এক জায়গায় পৌঁছালাম। নিকটবর্তী পেট্রল স্টেশনে (এদেশে গ্যাস স্টেশন বলেগিয়ে জলত্যাগ করে হাতমুখ ধুয়ে কিছুটা সুস্থ হতে চেষ্টা করলাম। ইতিমধ্যে মিলিশিয়া অবশ্য গভীর ঘুমে মগ্ন। গাড়ীর দরজা খুলেতেই ওর নাক ডাকার শব্দে দুজনেই চমকে উঠেছি।।ওর কিন্তু হুঁশ নেই। ও টেরই পায় নি আমরা কিছুটা বাইরের হাওয়া খেয়ে এসে আবার গাড়ীতে চাপছি। রাস্তার দুধারে শুধুই কৃ্ষিক্ষেত্র। নতুনত্ব বিশেষ কিছু নেই।

BISMARCK এসে পৌঁছাতে রাত ৯-৩০ এর কাছাকাছি। অনেক দূরে এসে পড়েছি। আমাদের যেতে হবে POLLOCK গ্রামে। বিসমার্ক থেকে পোলক গ্রামের দূরত্ব ৫০ মাইলের মত। রাত হয়ে আসছে। বন্ধু DON সমানেই গাড়ী চালিয়ে যাচ্ছে। Speedometer দেখে বুঝলাম আমরা ঘণ্টায় ৭০ মাইল বেগে ছুটে চলেছি। মনে হচ্ছে ক্রমশঃই জনহী পল্লী অঞ্চলের কোনো রাস্তা দিয়ে আমরা চলেছি । চারিদিকে শুধু মাঠ আর মাঠ। লোকজন চোখেই পড়ছে না। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কৃ্ষিক্ষেত্র বিরাজমান।

STRAUSBURG এসে যখন পৌঁছাই তখন ঘড়িতে ১০ টা বাজে। মিলিশিয়া এখন ঘুম থেকে উঠে পড়েছে কারণ আমরা ওর বাড়ীর কাছে চলে এসেছি। চারিদিকে অন্ধকারআমাদের গাড়ীর আলোই একমাত্র সম্বল। মিলিশিয়ার বাড়ীতে মিনিট সাতেক পরেই পৌঁছালাম । উষ্ণ সম্বর্ধনা জানাতে এসেছেন মিলিশিয়ার মা ও বাবা। পেশায় ওঁরা কৃ্ষক। আমেরিকার কৃ্ষক -আমাদের দেশীয় কৃ্ষক থেকে আকৃ্তি-প্রকৃ্তি-আচার-ব্যবহারে ভিন্ন । এটা তাঁদের অভ্যর্থনা থেকে বুঝতে পেরেছি। স্যালুট জানাতে দুটো কুকুর (মনে হল মিলিশিয়ার খুবই অন্তরঙ্গলেজ তুলে দাঁড়াল। আমি একটু ভীত সন্তস্ত্র হয়ে ওদের ঘরে ঢুকে পড়লাম। আমার সংগী DON ও আমাকে অনুসরণ করল।

Glad to meet you, Ray বললেন মিলিশিয়ার মা-বাবা সমস্বরে। আমি ও যথাযথ ভদ্রতা জানালাম Thank you বলে। ওদের বাড়ীতে গিয়েছি-খাবার টেবিলে বসে পড়লাম আমরা সবাই। একটু অপ্রস্তুত মনে হচ্ছিল নিজেকে -সামলে নিলাম। অরেঞ্জ জুস ও কিছু বিস্কুট কোকাকোলা খেয়ে নিলাম তাড়াতাড়ি করে। বেশ খিদেও পেয়েছিল কারণ ফার্গো থেকে বিকাল ৫-৩০টায় রওনা হয়েছি। এখন রাত সওয়া দশটা। তাই যেন মনের আনন্দে ওগুলোর শ্রাদ্ধ করে কিছুটা সুস্থ বোধ করছি। তারপর মিনিট দশেক গল্প করে Good Night জানিয়ে আমি ও ডন বেরিয়ে পড়লাম। এবার আমাদের গন্তব্যস্থল ডন এর বাড়ীর দিকে। মিলিশিয়া ও ডনের বাড়ীর দূরত্ব ২৫ মাইল মত। ৭০ মাইল বেগে গাড়ী চালিয়ে আমাদের পৌঁছাতে বেশী সময় লাগল না। রাত ১০-৪৫ নাগাদ ডনের বাড়ীতে পৌঁছে গেলাম। ওদের বাড়ী পৌঁছাতেই ডনের মা -বাবা অভ্যর্থনা জানালেন। ডনের বাবাও পেশায় কৃ্ষক। বিশাল জমিজমাকৃ্ষিক্ষেত্র। ডনের বাবা হচ্ছেন Mr. FLOYD VAN BEEK এবং মা ESTHER VAN BEEK । ওর বাবা ১৯৪৪ সালে কলকাতায় চারঘণ্টা মত অবস্থান করেছিলেন। আমি কলকাতার ছেলে জানতে পেরে একের পর এক প্রশ্ন করতে শুরু করলেন কলকাতা সম্পর্কে । আমিও সোৎসাহে উত্তর দিয়ে চলেছি।

হাত মুখ ধুয়ে ফেললাম। ইতিমধ্যে খাবার টেবিলে সমস্ত খাবার রেডি। আমরাও প্রস্তুত। দুধরুটিমাখন স্প্যাগোটিকফিবিফ ইত্যাদি হরেক রকম খাবার। তার সাথে আপেল ও রয়েছে। গোগ্রাসে আমি ও ডন ডিনার সেরে ফেললাম। এতদূর গাড়ী ড্রাইভ করার ফলে ডনও বেশ ক্লান্ত। তাই ক্ষনিক গল্পগুজব করে আমরা শুতে গেলাম রাত ১১-৪৫ নাগাদ। পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার/এপ্রিল ২৩১৯৭৬ Easter উপলক্ষ্যে ছুটী। ঘুম থেকে উঠেছি সকাল ৯টা নাগাদ। তারপর ব্রেকফাস্ট সেরে আমিডন, Paul (ছোটভাই), Mirillis(ছোট বোনমিলে গেলাম চার্চে। বেশ ভালই লাগছিল। চার্চের প্রার্থনা শেষ হতে বেলা ১১-৩০। চার্চের Pastor এর সংগে আমার পরিচয় করিয়ে দিল বন্ধু ডন ও তার বাবা। উনি খুবই উৎসাহী আমার সম্পর্কে জানতে পেরে।

ডনের বাড়ী থেকে আবার আমরা ফিরে এলাম আমাদের ডেরায় ফার্গোতে। এবার আর কোনদিকে তাকাবার সময় পাই নি।।খালি সামনের ফাঁকা মাঠেভবিষ্যতের দিকে দৌড়েছি।

পেয়ে গেলাম আমার পরিশ্রমের উপযুক্ত পারিশ্রমিক। আগস্ট ১৭১৯৭৭ নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমি আমার মাস্টার্স ডিগ্রী পেয়ে গেলাম।

আরও পড়ুন 

বিজ্ঞাপনের বিকল্প বিজ্ঞাপনই || ঋত্বিক ত্রিপাঠী 

ফার্গো -কে টা -টা জানিয়ে উড়ে গেলাম হিউস্টনটেক্সাস!!

এনভায়রণমেন্টাল ইঞ্জিনীয়ারিং  মাস্টার্স ডিগ্রী পাবার সাথে সাথেই হিউস্টনটেক্সাস-এর প্রাইভেট কম্পানীতে( BROWN & ROOT, INC.) একটা প্রোফেসান্যাল চাকরীতে জয়েন করলাম।তারপর হঠাৎ করে ডালাসটেক্সাস থেকে আমাকে ফেডেরাল এজিন্সিতে অফার দিল। আমি এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। কারণ এনভায়রণমেন্টাল প্রোটেকশন এজিন্সি আমেরিকার খুব নামকরা এজেন্সি। তারপর গৃহজীবনেও নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করলাম। জীবন যে রকম সেইভাবে এগিয়ে চলল গতানুগতিকভাবে...

নুতন জীবন শুরু হল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায়ঃ

“ আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ..”.

আজ গারল্যান্ডটেক্সাস এ নিজের ডিজাইন দেওয়া বাড়ী “MILESTONE” -এর ঝুল বারান্দায় যখন বসি তখন অতীতগুলো আমার চারপাশে ভীড় করে...তাদের দিকে তাকিয়ে আমি বলি ...আমি করেছি...আমি পেরেছি...আমি জিতেছি। চেষ্টা করলে সবাই জিততে পারবে।

সমাপ্তি

!Iউল্লেখযোগ্য দিনপঞ্জীII

এপ্রিল ১১১৯৭৪ আমেরিকান কনস্যুলেট অফিসে সর্বপ্রথম পদার্পণইমিগ্রেশন ও স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কিত খোঁজখবর সংগ্রহ

জুন ১১১৯৭৪ কনস্যুলেট অফিসে ইমিগ্রাণ্ট ভিসা প্রসঙ্গে ফর্ম FS 497 জমা দিই

জুন ১৮১৯৭৪ঃ পুনরায় FS 497 জমা দিলাম

জুন ২৪১৯৭৪ঃ বি ই প্রভিশন্যাল সার্টিফিকেটের দরখাস্ত ও ফি (১০ টাকাকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা

জুন ২৯১৯৭৪ঃ বি ই প্রভিশন্যাল সার্টিফিকেট পেলাম। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগৃহীত।

জুলাই ৩১৯৭৪ ফর্ম FS 497(ডুপ্লিকেট) Submission সম্পর্কে কনস্যুলেট অফিসে চিঠি দিই

জুলাই ৩১৯৭৪ পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন ফর্মে সই করলেন মিঃ পি সি ব্যানার্জ্জীডেপুটি সেক্রেটারি

জুলাই ১১৯৭৪ ফর্ম 7-50A অর্থাৎ FS 497 অনুমোদিত হওয়ার পর দ্বিতীয় ফর্ম পেলাম

জুলাই ১৯১৯৭৪ পাসপোর্ট ফটো এ্যাটাস্ট করেন মিঃ পি সি ব্যানার্জ্জী,

জুলাই ২০১৯৭৪ আমার কর্মস্থল 'প্ল্যাকনলিমিটেড থেকে রেফারেন্স সার্টিফিকেট নিই

জুলাই ২১১৯৭৪ হাবড়া অঞ্চল পঞ্চায়েত প্রধান প্রভাতচন্দ্র রায়ের কাছ থেকে আমার বার্থ সার্টিফিকেট সংগ্রহ

জুলাই ২২১৯৭৪ পাসপোর্ট এ্যাপ্লিকেশন ও ফি (২৫ টাকাজমা দিলাম ব্রাবোর্ন রোড অফিসে

জুলাই ২২১৯৭৪ কনস্যুলেট অফিসে 7-50A ফর্ম ও অন্যান্য সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়

আগষ্ট ১৬১৯৭৪ ব্রাবোর্ন রোডস্থ অফিস থেকে আমার পাসপোর্ট ব্যক্তিগত ভাবে সংগ্রহ করি

সেপ্টেম্বর ৫১৯৭৪ প্রদ্যোৎ নিয়োগীর কাছ থেকে স্পনসরসীপ কাগজপত্র পাই (not notarized).

নভেম্ব ৭১৯৭৪ ফর্ম DSL 869 এবং DSP 70 (অর্থাৎ 7-50A অনুমোদনের পর তৃ্তীয় ফর্মপেলাম।

নভেম্বর ৯১৯৭৪ পুলিশ ক্লীয়ারেন্স সার্টিফিকেট ব্যাপারে আলিপুরে পুলিশ সুপারের সংগে সাক্ষাৎ করি

নভেম্বর ১৪১৯৭৪ ফর্ম DSP 70 কনস্যুলেট অফিসে জমা দিই

নভেম্বর ১৬১৯৭৪ প্লাকন লিমিটেড থেকে আমার ইনকাম সার্টিফিকেট সংগ্রহ

নভেম্বর ১৮১৯৭৪ আয়কর ভবন (এসপ্ল্যানেড)এ ইনকাম ট্যাক্স ক্লীয়ারেন্স সম্পর্কিত দরখাস্ত জমা দিই।

নভেম্বর ৩০১৯৭৪ ইনকাম ট্যাক্স ক্লীয়ারেন্স ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করি আয়কর ভবন থেকে

ডিসেম্বর ১৮১৯৭৪ স্পনসরশিপ সার্টিফিকেট (প্রদ্যো নিয়োগীর কাছ থেকে, Notarized ) পেলাম

ডিসেম্বর ২৬১৯৭৪ বারাসাত কোর্ট থেকে আমার বার্থ এফিডেভিট সার্টিফিকেট সংগৃহীত মায়ের উপস্থিতিতে

ডিসেম্বর ২৭১৯৭৪ ফর্ম DSL 869 কনস্যুলেট অফিসে জমা দিই বেলা ১-৩০ নাগাদ

জানুয়ারী ২০১৯৭৫ প্রদ্যোৎ নিয়োগীর ইনকাম ট্যাক্স ক্লীয়ারেন্স সার্টিফিকেট (স্পনসরসীপের ব্যাপারেপাই

ফেব্রুয়ারী ৩১৯৭৫ ফর্ম DSL 871 এবং FS 510 পেলাম ভিসার ইন্টারভিউ দিন স্থির হল।

ফেব্রুয়ারী ৫১৯৭৫ কনস্যুলেট অফিসের নির্দেশানুযায়ী পার্ক স্ট্রীটে ডাঃ বিজয় মেহতা কর্তৃক মেডিক্যাল চেক আপ এবং শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষা করা হয়

ফেব্রুয়ারী ৬১৯৭৫ বুকের X-Ray নেওয়া হয় রফি আমেদ কিদোয়াই রোডে, Central Diagnostics 

ফেব্রুয়ারী ১১১৯৭৫ মেডিক্যাল ও X-Ray রিপোর্ট সংগৃহীত দুপুর বারোটায়

ফেব্রুয়ারী ১৮১৯৭৫ ইমিগ্র্যান্ট ভিসা ইন্টারভিউ বেলা ১২টায়২০০ টাকা জমা দিই ভিসা পাবার জন্য

ফেব্রুয়ারী ২৪১৯৭৫ ইমিগ্র্যান্ট ভিসা বিকাল ৪-৫০ মিনিটে ব্যক্তিগতভাবে কন্স্যুলেট অফিস থেকে সংগৃহীত

মার্চ ৭১৯৭৫ প্লেনের টিকিট সংক্রান্ত ব্যাপারে এয়ার ইন্ডিয়া অফিসে খোঁজ খবরটাইমটেবল সংগ্রহ

মার্চ ৭১৯৭৫ ইনকাম ট্যাক্স ক্লীয়ারেন্স সার্টিফিকেট রিন্যুয়াল ব্যাপারে আয়কর ভবনে পুরানো সার্টিফিকেট জমা দিলাম

মার্চ ৯১৯৭৫ আমেরিকা পাড়ি দেওয়ার সংগী জিনিষপত্র কেনার তোড়জোড় শুরু করলাম

মার্চ ১০১৯৭৫ এয়ার ইন্ডিয়া অফিস থেকে প্যাসেজ বুকিং সার্টিফিকেট সংগৃহীতদুপুর বারোটায়

মার্চ ১০১৯৭৫ ইনকাম ট্যাক্স ক্লীয়ারেন্স (Renewed) সার্টিফিকেট পেলাম দুপুর ২টায়

মার্চ ১৩১৯৭৫ এ্যাম্বাসাডার জুতো কিনলাম৯১ টাকা ৯ পয়সা কলেজ স্ট্রীট বাটার শো রুম থেকে

মার্চ ১৪১৯৭৫ এয়ার ইন্ডিয়া অফিস থেকে প্রদ্যোৎ নিয়োগীকে Telex প্রেরণ বেলা ৩টেয়

মার্চ ১৯১৯৭৫ সকাল ১১টায় প্রদ্যোৎ নিয়োগী প্রেরিত টেলিগ্রাম পেলাম “Paid fare, Start as planned, confirm departure by cable:

মার্চ ১৯১৯৭৫ এয়ার ইন্ডিয়া অফিস থেকে পাইকপাড়ায় খবর পেলাম “PTA”(Prepaid Ticket Advice) O.K..

মার্চ ২০১৯৭৫ শিবপুর বি ই কলেজে অধ্যাপকদের সঙ্গে দেশ ত্যাগের আগে শেষ সাক্ষাৎকার

মার্চ ২০১৯৭৫ আর্গোসি ছবিতে শেষ রজনী যাপন

মার্চ ২০১৯৭৫ সকাল ৭-১২ র ট্রেণে হাবড়া ত্যাগঅশ্রুসজল দৃশ্যবিদায়কালীন মূর্চ্ছনা

মার্চ ২১১৯৭৫ সকাল ৯-৩০ এ পাইকপাড়ার শিশির নিয়োগীর বাসায় আগমন

মার্চ ২১১৯৭৫ এয়ার ইন্ডিয়া অফিস থেকে প্লেনের টিকিটভ্যাক্সিনেশান সার্টিফিকেট সংগ্রহ বেলা ১১-৪৫ মিঃভারতীয় মানক সংস্থার কলকাতা শাখায় বন্ধুবান্ধবদের সংগে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারউৎসাহ উদ্দীপনা বিতরণ

মার্চ ২১১৯৭৫ বেলা ২-৩০ টায় ক্লান্ত শরীরে পাইকপাড়া প্রত্যাবর্ত্তনবিশ্রাম গল্পগুজবরাত ১টা পর্য্যন্ত তল্পিতল্পা গোছানোশেষ রজনী যাপন।

মার্চ ২২১৯৭৫ বিকাল ৬-১৫ পাইকপাড়া ত্যাগসন্ধ্যা ৭-৩০ আত্মীয়স্বজনের সংগে শেষ সাক্ষাৎ। রাত ৯-১৫ দমদম বিমানবন্দর ত্যাগ

মার্চ ২৩১৯৭৫ নিউইয়র্ক অবতরণস্থানীয় সময় ৫টার মত।

দেশত্যাগকালীন বিমানপথের সময়সূচী (AIR INDIA)

মার্চ ২২১৯৭৫ শনিবার CCU(D)- 20.45

BOM(A)- 23.15

মার্চ ২৩১৯৭৫ রবিবার BOM(D)- 01.00

KUWAIT(A)- 02.35

KUWAIT(D)- 03.35

ROME(A)- 06.40

ROME(D)- 07.30

PARIS(A)- 09.25

PARIS(D)- 10.45

LONDON(A)- 10.50

LONDON(D)- 13.00

NEW YORK(A)-15.35

'A' means ArrIval ; CCU=CALCUTTA

'D' means Departure; BOM=BOMBAY

****

Post a Comment

0 Comments