জ্বলদর্চি

বাগদি চরিত ( অষ্টাবিংশতি পর্ব ) /শ্রীজিৎ জানা

শিল্পী- আরাধ্যা জানা

বাগদি চরিত ( অষ্টাবিংশতি পর্ব ) 

শ্রীজিৎ জানা

ঢোলের কালিপূজা এলেই খগেন মাস্টারের মনের ব্যাথাটা চাগাড় দিয়ে ওঠে। পূজার দিনেই  ঘটেছিল তার প্রেমের বিপর্যয়। কৈশোরের প্রেমে প্রতাখ্যাত হয় খগেন মাস্টার। সেইথেকে প্রেম নামক অদৃশ্য বস্তুটির ত্রিসীমানা থেকে নিজেকে কয়েক যোজন দূরে সরিয়ে রাখে। তবে প্রেমে তার হৃদয় ভরপুর। নারী প্রেমের মাধুর্য তার কপালে নেই কিন্তু গ্রামের প্রতি,গ্রামের মানুষের প্রতি তার যে ব্যাকুলতা তাতে আশ্চর্য হতে হয়। গ্রামের কালিপূজা মানেই খগেন মাস্টারের দু'চোখের পাতা এক করার জো থাকে না। লোখা জানে খগেন মাস্টারের মনের অলিগলি। ভাবনার ওঠাপড়া। পূজার দেড় দু'মাস আগে থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ে তোড়জোড়ের কাজে। ঢোলের কালিপূজা বলে কথা! পূজার দিনে মায়ের থানে  থই থই করতে থাকে লোকজন। একদিকে একশ ঢাকের শব্দ অন্যদিকে মাইকের কান ফাটানো গানের আওয়াজ। আটচালায় কবিগানের আসর,লোকজনের চিলচিৎকার, মনোহারী দোকানে রেকর্ডের গান আর খদ্দের ঢাকার সুরেলা বিজ্ঞাপন সবে মিলে যেন কান ঝালাপালা করা ব্যাপার। আর কালিপূজা মানেই মা কালির কারণসুধা থাকবেই, থাকবে। বাগদির কালিপূজায় মদ যদি না থাকে তাকে পূজা বলা যায় না। খগেন মাস্টারের চিন্তা ওই একটা জিনিস নিয়ে। ভয়ের কারণ তার ভিড়ের চাপ নয়, হইহট্টগোল নয়,পূজার জোগাড়পাতি নয়, মদ নামক তরল পানীয় বস্তুটি। মুহুর্তে মন্ডপকে কুরু পান্ডবের কুরুক্ষেত্র  বানিয়ে দিতে পারে। মানুষের শরীরের রক্তে মিশে গিয়ে এমন লাভা উদগীরণ করতে পারে যে, ভিতরের সেই অগ্নুৎপাত বাহিরে মুষলপর্বের রক্তপাত ঘটাতে পারে নিমিষেই। ঢোলের কালিপূজা বিগত বছর গুলোতে এরকম অনেক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে। তবে খগেন মাস্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মার হাঙ্গামায় কিছুটা হলেও লাগাম দেওয়া গেছে। কেউ না মানলেও লোখা সেকথা যত্রতত্র বলে বেড়ায়।
—মাস্টার সেগরেটারি হইছিল বলে,নাইলে পোত্যেক বছর মন্দির তলায় যা কুঁদাকুঁদি হত! বাপরে!
—- তা ঠিকই বলেচু তুই।
পেত্যোবা লোখার কথায় সায় দেয়। 
— মেস্টার কম সময় দেয়! ইস্কুল থিকে এসা অব্দি পড়ে থাকে মন্দির তলায়। কুথাও একটা কিছু হলেই তুরিদ্দম ছুটে জিয়ে বুজি বাজিয়ে তাদের কে ঠান্ডা করে।
— আর ঠান্ডা করা। মাল পেটে পল্লে আর কে  কুন শালার ধার ধারে বল দিখি। সবাই তখন হাড়ের কায়দা দেখাবে বলে যেন থুড়িলাপ খেলবে! সেই জন্নেই ত পুজায় লাঠি খেলাটা উঠে গেল। নাইলে দেকতু…
—- তা আবার দেখিনি! তখন মোদের ছগরা বয়েস,মোদেরও হাত পা নিসপিস কোত্ত কিন্তু ছাতির জোর পেতম নি। চোখের সামনে দেকতম রাসু বাগদির লাঠি চালানা। ওরেব্বাস! চরকির মতো ঘুরায়ঠে গেঁঠা বাঁশের তেল মাখানা লাঠি। কার বুকের পাটা সেই লাঠির কাছে টাপে!
— সেই বছরই ত মারপিটটা হল। যেদিও পাঁঠা ছেদ লিয়ে গন্ডগোলের সুত্তুরুপাত। 
—-মোর পুরা মনে আছে ঘটনাটা। মোধা কামারের বাপ অমূল্যা কামার তখন বলি কত্তে এসত। পাঁঠা ধরত বিজাদা,মানে বিজা দিগার। সেবার পাঁঠাও পড়েছিল ঢের।  তা পেরায় শয়েক খান হবে। তার উবরে দেশের কৌলতি পাঁঠা ত ছিলই। হাঁড়িকাট পূজা হইগেছে। বিজাক্কার  অভিষেক করিয়ে কপালে তিকল আর গলায় শলার মালা পরি দিছে। দেশের কৌলতি পাঁঠার পথম ছেদ হবার পথা। মাইকে ঘনঘন কেনভাস করেঠে বোনা পাখর। মায়ের থানে গহগহ করছে লোকে। কৌলতি পাঁঠাকে উচ্ছুগ্গু করে দিছে। হলুদ জলে লাই করিয়ে গলায় তারও শলার মালা পরি দিছে। মুরুব্বিরা বোলত পাঁঠা ধরা অত সজা কাজ লয়।
— ঠিক বোলেচু। মোর বাবো বোলত বিজা দিগার নিরাকারন করে থাকে পুজার আগের দিন থিকে। নিরামিষ্যি খেতে হয় অকে। মদ হেড়া ছুঁয়াও চোলবেনি।লোতন বস্ত্র পরে উসব কাজ কত্তে হয়। কামারকেও তাই কত্তে হয়। নাইলেই মায়ের খুঁটে পড়ে যাবে। আর একবার খুঁটে পড়ে গেলে,পাঁঠার গদ্দানে চোট বসালেও এক চুলও কাটবেনি পাঁঠার ঘাড়। কাত্তান ডপার খেয়ে পালি এসবে। ওই যে খুঁত হল, আর ওই পাঁঠাকে বলি দেবা যাবেনি।
—-কুন্তুু সেবারে পুরাই দোষ ছিল বিজা দিগারের। পাঁঠা ধরার কাছেই কাটার কলন। হাঁড়িকাঠে গলাটা পুরে দিয়ে খিল গুঁজে দিতে হয়। তারপরে পা গুলানকে টেনে ধত্তে হয়। এই টানের উবরে অমূল্যা কামার চোট বসাবে। এগবার লোল পেলেই পাঁঠা নাকি ঘাড়টাকে এমন কোরে রেখে দিবে যে কাতানের চোটেও কাটবেনি। অমূল্যা কামার বলে, ছেদ তাড়াতাড়ি হবে টানের কাছেই। কুন্তুু বিজা দিগার সেবচ্ছর ঠিগমত টানেনি। ফলে অমূল্যা কামারের কাতানের চোট মিস করে যায়।
— ওরে! তারপরেই ত লাগল লেটকালড়াই। বিজা দিগারকে রাসু বগলদাবায় পুরে টেনে লি যায়। ততক্ষণে ঢাক বাজানা থেমে গেছে। বিজা দিগাের ব্যাটারা ছিল মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে,তারা লাফ খেয়ে পড়ে রাসুর উবরে।
— আমি ত দেকলম অমূল্যা কামার ভয়ে থরথর করে কাঁপেঠে। কাতানটা তখন তার হাতেই ধরা আছে। কথায় কি ছেদ! কথায় কি ছেনাছকরার লাচ। রাসুর সঙে বিজাদিগারের বেটাদের সেকি মারপিট! টিউলাইটের শূলা উবড়ি লিয়ে রাসু লাঠি ঘুরাতে থাকে। বিজাদিগারের বেটাও ছাড়বার পাত্র নয়। সেও একটা বাতাফালি লিয়ে ঘুরাতে অস্থির। 
– তারপরেই ত খবর পাবা মাত্রই দিগার পাড়ার মিয়া- ছেনারা দল বেঁধে ছুটে এসল মায়ের থানে। রাসুদের পাড়া থিকেও ভাগারি দিয়াজিরা চলে এল। ওরেব্বাস! সেকি রক্তারক্তি কান্ড!
— যা হোক কমিটির লোকেরা,দেশের মুরুব্বিরা ছুটে এসে টানা হিঁচড়া করে থামাতে হিঁচপিঁচ খেই গেল।
— আরে কেউ কি ভালো মুখেছিল নাকি! সবাই ত মালের ঘোরে ডেঙ্কার। রাসুকে যেই কিছু বোলতে যায় অম্নি দাঁত কিবড়সিড় করে বলে উঠে,উ শালার মেকান আজ ভেঙে দুব! শালা মোদের মায়ের পুজায় খুঁট করা!
উ দিকে বিজা দিগারের বেটারা বলে উঠে,মোর বাপের দোষ নাকি অমূল্যা কামারের দোষ সেটা না দেখে কেনে মোদের বাপের গায়ে হাত তুলবে। অরও আজগে পাব ঠ্যাঙকে লোটকি দুব। কত তেজান পুরুষ আজ দেখে লুব। কে কার মায়ের দুদ খেইচে আজ পোরীক্ষা হবে, থাইলে!
— যা বোলেচু। সেই বছরের কালিপূজার কথা সব্বার মনে থাকবে। তার পর থিকেই ত লাঠি খেলাও উঠে হেল। আর সেই সঙে অমুল্যা কামারের বদলে তার বেটা মোধা কামার বলি কত্তে লাগল।
– পরের দিন ত দেশ ষোল আনা মিটিং বোসল। রাসুও গলায় গামছা দিয়ে ক্ষমা চাইল। আর বিজা দিগারের বেটারাও খমা চাইল। বিজা দিগার কুন্তু তারপরেও ওই কাজ করে যাচ্ছিল।
— জানু,এগদিন এই লিয়ে খগেন মাস্টারের সঙে কথা হচ্ছিল। মাস্টারকে বোল্লম,আচ্ছা মাস্টার মোদের জাতের লোকেরা এই হুঁক কথায় এত কোঁকি যাই কেনে বল দিখি? যে কুনু বিষয়ে এত পোতিবাদী মানসিকতা কেনে? শুনবি, মাস্টার ত মোকে একটা লম্বা ইতিহাস শুনি দিল। কথার মধ্যে যে লোকটির নাম বোল্ল মোকে, তার নাম গোবরধন দিগপোতি।
— দিগপতি পদবিও মোদের জাতের?
—- তা আবার নাই! কাঁসাইপারের ধানখাল গেরামের দিগপোতিরা ত মোদেরই জাতের। আরো আশ্চজ্যের কথা শুন ওই দিগপোতি পাড়ার লোকই হোল জিয়ে গোবরধন দিগপোতি।
—- বোলু কিরে লোখদ্দো! থাইলে সেও কি মোদের রাসু কটালের মতো খাড়পাল্লা লোক। হেবি তেজান পুরুষ! কুনু শালাকে পরুয়া কোত্তনি।
— অই রকমই ত বোল্ল মোকে তার লিয়ে। 
— বল থাইলে মোকেও। দাঁড়া দিখি এট্টু বিড়ি ধরাই।
ট্যাঁক থেকে বিড়ি আর লাইটার বের করে পেত্তোবা। দোকানের বিড়ি সে কোনদিন খায় না। মশলা শুকাপাতা,বিড়িপাতা কিনে আনে। নিজে বিড়ি বাঁধে। পেত্তোবার বাঁধা বিড়িতে একটান দেওয়া সোজা নয়। শুকাপাতার সঙে পেত্তোবা দক্তা মেশায় অল্প করে। যারা টেনেছে,তারা জানে এক টানেই গলা বুক জ্বালি দেয় কেমন! বিড়িটা বের করে একটা সুখটান দেয় পেত্তোবা। ভুর ভুর করে নাক মুখ দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ে আর বলে,
— জানু লোখোদ্দো,মেস্টার মোদের হেবি কিছু জানে। কুন্তু কুনু গুমার চটক নাই।  গেরামের আর যে কটা শিক্ষিত আছে, তাদের দেকলে মোর পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায়। মুখ্যু বলে মোদের দিকে শালারা কেটায় নি। অই জন্নে মেস্টারকে সব্বাই ভাল পায়। বল দিখি মোদের জাতের লোকের কি গল্প বলেচে মেস্টার।
লোখা অন্য একটা কথা বলার জন্যে জুবুথুবু করতে থাকে। পেত্তোবা তার চোখমুখের ভাব দেখে বুঝে যায়। বলে,
— তুই দাদা হউ,তাতে কি আছে। নেশাভাঙের কাছে দাদা ভাই বাছবিচার কল্লে নেশাভাঙ করা জম্মেও হবে নি। লিবি একটান! ত লে। তবে মোর বিড়ি কুন্তু কড়া। ধুঁয়া সোলো করে টানবি। হেঁচাক করে টানিসিনি গলায় দম আটকে টাঁসকেলি যাবি থাইলে।
🍂

খগেন মাস্টার মনে করে ইতিহাস চিরকাল একচোখা। অতীত গাথায় সসম্মানে  জায়গা পেয়েছে রাজারাজড়ারা।  আর নিম্নবর্গের যারা, যাদের অর্থ প্রতিপত্তি, খ্যাতি কিছু নেই,যারা চিরকাল ঘাড়ে করে বয়ে বেড়িয়েছে ওই রাজাদের চতুর্দোলা, যাদের শক্ত পেশী লাঠি ধরেছে রাজত্ব রক্ষায়,যাদের দৃঢ় বাহুবল অন্ন জোগাড়ের জন্য সমর্পিত ছিল, যারা রাজ পরিবার রক্ষায় বন্দুকের নল কিম্বা কামানের মুখ কিম্বা তীক্ষ্ণ  তলোয়ারের সামনে সহাস্যে ছাতি পেতে দিয়েছিল,যাদের মেয়ে বউরা চিরকাল অন্তঃপুরের ইজ্জত রক্ষায়,শখ পুরণে আর গেরস্থালীর কাজে দাসীবৃত্তি করে প্রাণপাত করল তাদের জন্য দুটো শব্দ খরচের মতো উদারতা দেখায়নি ইতিহাস। এদেশে রাজা, জমিদারদের কথা যত ফলাও করে লেখা হয়েছে  তার একাংশ যদি লেখা থাকত ওইসব অন্ত্যজ মানুষজনদের কথা তবে সেটাই হত ইতিহাসের প্রকৃত নিরপেক্ষতা। এদেশে দেব মাহাত্ম্য প্রচারে ওইসব তথাকথিত নীচু জাতির মানুষরাই ছিল তো প্রথম সারিতে।  সমস্ত লৌকিক দেবদেবী তাদের হাতেই তো প্রথম পূজা পেয়েছে। এই নিসর্গ প্রকৃতির সকল উপাদানের ভিতর ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অনুভব করা আর তাদের আরাধনা করা শিখিয়েছে তো অরণ্যচারী, গুহাবাসী অন্ত্যজকূল। কিন্তু কালের গর্ভে চাপা পড়ে গেছে তাদের গৌরব। উচ্চজাতি ব্রাহ্মণ পুঁথি পাঠের ভেল্কিবাজি  দেখিয়ে, রাজতন্ত্রের মগজ ধোলাই করে মাঝখান থেকে হায়নার মতো থাবা মেরে ছিনিয়ে নিযেছে সমস্ত গরিমা। হায়রে মূর্খ অশিক্ষিত অন্ত্যজ জাত। তোমাদের অবস্থা ওই কলুর বলদদের মতো,  চিরকাল যারা খানিই টেনে গেলে। ওই বোকাহাবা গাধাদের মতো, যার চিরকাল শুধু চিনির বস্তা বয়ে গেলেও চিনির মিষ্টত্বের স্বাদ পেলে না। 
ইতিহাসের অলিন্দে শুধুমাত্র রাজতন্ত্র,ধর্মতন্ত্র নয় পরাধীন ভারতবর্ষের বুকে স্বাধীনতা আন্দোলনেও অবহেলিত থেকে গেছে অন্ত্যজ শ্রেণীর মানুষদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের কাহিনী। ব্রিটিশ বেনিয়াদের বিরুদ্ধে প্রথম গর্জে উঠেছিল ওইসব বনেজঙ্গলে থাকা,আধপেট খাওয়া, দাসত্ববৃত্তি করা গরীগুর্বো অশিক্ষিত ছোট জাতের, নীচু জাতের মানুষগুলোই। তাদের জাগরণই স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম জাগরণ। শহুরে শিক্ষিত মানুষদের ঘুম ভেঙেছিল অনেক পরে।  তার আগে তো রাজত্ব রক্ষার অছিলায়,জমিদারী রক্ষার লোভে, ক্ষমতা আর সুখ ভোগের লোভে,খেতাব পাওয়ার লোভে ব্রিটিশদের পদলেহন করতে কুন্ঠ বোধ করেনি শিক্ষিত সম্ভ্রান্তরা। শুধু তাতেই থেমে থাকেনি তারা। জাতির বিরুদ্ধে, জ্ঞাতির বিরুদ্ধে, ভাইয়ের বিরুদ্ধে,দেশের বিরদ্ধে চক্রান্ত করেছে গোপনে। চরম বিশ্বাসঘাতকতার ছুরি বসিয়ে দিয়েছে পিছন থেকে। দেশের অগুন্তি কুলিকামিনরা যদি দেশের সম্পদ আগলাতে চেয়েছে, তাদের পিঠে চাবুক কষিয়ে সেই মহামূল্য সম্পদের  দরজা খুলে দিয়েছে লুঠেরাদের কাছে ওইসব উচ্চবংশদ্ভূত অভিজাতরা। হে নিষ্ঠুর ইতিহাস, ওই সমস্ত কুলিকামিন,নীচু জাতিভূক্তদের প্রতি একটু প্রশংসা,একটু আদর একটু সম্মান কি তোমার দেওয়ার ঔদার্য হল না মনে। একি তোমার কৃপণতা নাকি উদাসীনতা নাকি কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করবার এক ঘৃণ্য নিষ্ঠুর মনোবৃত্তি!

Post a Comment

0 Comments