জ্বলদর্চি

যেতে যেতে পথে-৮৮/রোশেনারা খান

যেতে যেতে পথে
রোশেনারা খান

পর্ব ৮৮

সন্ধ্যাবেলা বসে একটা লেখা তৈরি করছিলাম, অনেকটাই লিখে ফেলেছিলাম, কিন্তু  সেভ করতে ভুলে গেছলাম। সব মুছে গেছে। আজ ওনাকে ব্লাড দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পাওয়া গেল না। সামনের শনিবার যেভাবে হোক ব্যবস্থা করতেই হবে। সুদীপকে বলে রাখলাম। ওর কথামত শনিবার ওনাকে নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে ব্লাডের স্যাম্পেল নিয়ে হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কে জমা দিয়ে এলাম।১১টায় যেতে বলেছেন, তবে পাওয়া যাবেই এমন কথা দিতে পারেননি। চন্দ্রিমা সময়ে গিয়ে ব্লাড নিয়ে নার্সিংহোমে জমা দিয়ে এসেছে। ডায়ালিসিস আছে বিকেল ৩ টেতে।  

     ‘আওয়াজ’ এর মিটিং চলছিল, তখনই তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক অনন্যা মজুমদার ফোন করে বলল, ‘দিদি আজকের অনুষ্ঠানে সময় করে একবার  আসুন না’। ওর সঙ্গে  সম্পর্কটা আত্মিক। আমি ওকে মেয়ের চোখেই দেখি। সেদিন বলল, দাদাকে একদিন দেখতে যাব। আসলে স্বামী সংসার ছেলে ছেড়ে দূরে চাকরি করা। ছেলেটি বেশ ছোট। তাই ফুরসৎ পেলেই বাড়ি(হাওড়া) চলে যায়। ওদের অনুষ্ঠানে গেছলাম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভাল লাগছিল। যদিও নাসিমা আছে,  তবুও  উনি ফোন করায় উঠে পড়লাম। LIC মোড়ে ৩০০টাকা কেজি দরে আতা নিলাম, খুব বড় বড় আতা। শুনলাম শালবনীতে জিন্দালরা এই আতার বাগান করেছে। এরপর সিপাই বাজারে এসে দাসেদের দোকান থেকে ওনার ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরলাম। কবে যেন চন্দ্রিমার মেয়ে ডলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে  ফয়জলের   ‘শিশু  বিকাশ কেন্দ্র’ তে গেছলাম বাচ্চাদের কম্বল দিতে। ‘দিদি, আপনার জন্যই  আজ এসব হচ্ছে। আমি ১৯ বছর স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছি, না ডাকলে কেউ-ই আসতেন না। আপনি আসার পর থেকে কত লোক আসেন বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে। এদের সঙ্গে ছেলে  মেয়ের জন্মদিন পালন করতে ।কোন খুশির খবর থাকলে বা এমনিই অনেকেই বাচ্চাদের খাওয়ান, নানা রকম পড়াশোনা বা খেলার সামগ্রী উপহার দিয়ে যান’। 

    আমি  ডলকে  হাতে বানিয়ে একখানা মাফলার ও একটি ফুলদানি দিলাম। আসলে আমি কোন সময় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। কিছু না কিছু করতেই হবে। নার্সিংহোমেও বসে বসে উল বুনি, বেশ কয়েকটা সোয়েটার মাফলার বুনে ফেলেছি। সাহাবাজের বাবা বড় বউ-ছেলের বিয়ের রিসেপ্সন পার্টিতে নিমন্ত্রণ করে গেছে।সাহবাজ চন্দ্রিমাকেও নিমন্ত্রণ করেছে। আমি একজোড়া সোনার দুল দিলাম। চন্দ্রিমা রূপোর চাবির রিং দিল. ২৮০০শ টাকা দাম নিয়েছে।

    ডায়ালিসিস ছিল আজ, ব্লাড নিতে গিয়ে শুনি, ডোনার লাগবে। এই মুহূর্তে ডোনার কোথায় পাব? প্রতিবেশীদের বাড়িতে ভাড়া থাকে ‘সরিফ’ ছেলেটিকে প্রকৃত অর্থেই সরিফ বলে মনে হয়। ওর সঙ্গে কথা বল্লাম। ওর আর খান সাহেবের ব্লাড গ্রুপ এক। পরেরদিন ডায়ালিসিসের জন্য ওনাকে নার্সিংহোমে পৌঁছে দিয়ে সরিফকে  নিয়ে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে যাব। আজ সাহবাজকে ডেকেছিলাম, ওরা বিয়ে  নিয়ে কী ভাবছে? জানার জন্য। ও বলল, ‘ দাদা বলছে অ্যান্টিকে একটু থেমে যেতে বল। আমার তো আর ভাইবোন নেই, তোদের বড় করে এনগেজমেন্ট পার্টি দেব’।– ‘পার্টি দেবে ঠিক আছে, কিন্তু রেজিস্ট্রিটা আগে করে নিতে হবে’।তখন  বলল, ‘পাপা কয়েকদিনের মধ্যে কথা বলতে আসবেন’।  

   সরিফকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে, ওরা আজ ডোনার লাগবে না বলল। ১১টা ৩০ শে আসতে বলল, আজ দেরিতে ডায়ালিসিস শুরু হলেও চলা কালে ব্লাড না পেলে দেওয়া যাবে না। চন্দ্রিমা আমাকে টিফিন করাতে এলে ATM এ টাকা তুলে ওখান থেকেই হাসপাতাল চলে গেলাম, যদি একটু আগে পাওয়া যায়। পেয়েও গেলাম। তখন ১ ঘণ্টা বাকি আছে। গোপাল সঙ্গে সঙ্গে ব্লাড দেওয়া শুরু করল। চন্দ্রিমা কয়েকদিন থাকবে না, ওর স্বামীর কর্মস্থলে বেড়াতে যাবে। তাই আমাকে নিয়ে চিন্তায় আছে। আমিও আছি, ওই তো আমার সমস্ত মুশকিল আসান করে। আজ অশোক গাঙ্গুলি স্যার একটা কথা বললেন, ‘তুমি যা করছ, তাকে সাধনা  বলা যায়। ক’টা মেয়ে পারে’?   

    এদিকে NRC নিয়ে সারা দেশ জুড়ে অশান্তি ও অনিশ্চয়তার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মূল উদ্দেশ্য এ দেশ থেকে যেন তেন প্রকারেণ মুসলিমদের  থেকে উৎখাত করা। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে মোদী সরকার ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর একটি বিল পাশ করিয়ে নেয়। সেখানে প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে বিতাড়িত হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি খৃষ্টান  অবৈধ অভিবাসীদের  এদেশে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুসলিমদের সেই সুযোগ দেওয়া হয় নি। এর পরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।ভারতে নতুন নাগরিকত্ব আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক, তাই তা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর। এই বিলের কারণে আসাম ও আরও কিছু রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। অমুসলিমরা নাগরিকত্ব পাওয়ার কারণে এইসব রাজ্যে বাঙ্গালিদের সংখ্যা বেড়ে যাবে। এই সমস্ত রাজ্যের নিজস্ব সংস্কৃতির ওপর বাংলার সংস্কৃতি প্রভাব বিস্তার করবে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়। এই সময় মোদীর পুলিশ আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ও  জামিয়ামিলিয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালায়। NRC প্রতিবাদকে এক অন্যমাত্রা দিয়েছিল দিল্লির সাহিনবাগে মুসলিম মহিলাদের অবস্থান প্রতিবাদ। যেখানে শীতের কনকনে ঠাণ্ডায় ১৮ বছরের কিশোরী থেকে আশি বছরের বৃদ্ধারা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন। আসমা খাতুন, বিলকিসজি ও সরবরিজি, এই তিন দাদির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।তখন অনেকেই ভেবেছিলেন ভারতের মুসলিমদের অবস্থা রহিঙ্গাদের মত হবে।

    রোহিঙ্গাদের ইতিহাস আরও নির্মম ও কলঙ্কজনক। নাগরিকত্ব আইনকে হাতিয়ার করে ২০১৬ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে রহিঙ্গাদের সেনাবাহিনী  দিয়ে নির্যাতন ও গণহত্যার মাধ্যমে বিতাড়ন প্রক্রিয়া চালানো হয়।রহিঙ্গাদের মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে মোদী সরকার এদের প্রতি বিরূপ ব্যবহার করেছে। জাতিসংঘ রহিঙ্গাদের বিশ্বের নির্যাতিত একটি জনগোষ্ঠী বলে উল্লেখ করেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর সংখ্যাগুরুদের শোষণ পীড়ন সব দেশেই হয়ে থাকে। এটা রোখা যাবে বলে মনে হয় না। এটা যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তখনই বিভিন্ন রাষ্ট্র, সম্প্রদায় প্রতিবাদে মুখর হয়। জাতিসংঘ বাধ্য হয় হস্তক্ষেপ করতে।

      ২০১৯ সাল শেষ হয়ে গেল। কীভাবে যে বছরটা কাটালাম, তা আমিই জানি। খান সাহেবকে তিনবার স্পদনে ভর্তি করতে হয়েছে। একবার প্রাণ সংশয় দেখা দিয়েছিল। সবটা একা লড়েছি, তবে চন্দ্রিমা, সুদীপ, সৌনক পাশে থেকেছে। এই বছরই দুজনের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করতে বাধ্য হয়েছি। সুন্দর মুখের আড়ালে ওদের যে বীভৎস চেহারা দেখেছি, তারপর একজনের সঙ্গে তো কোনও মতেই সম্পর্ক রাখা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না।

    ওয়েদার ভাল নয়, এরকম ওয়েদারে ওনার খুব কষ্ট হয়। আমারও মনখারাপ লাগে।গত রবিবার ব্যাঙ্কের পেন্সনারদের একটা সম্মেলন ছিল মোহনানন্দ  স্কুলে। আমি ভুলে গিয়েছিলাম। আমার যাওয়া উচিত ছিল। সারদা কল্যাণ ভাণ্ডার থেকে তপতীদি ফোন করে ছিলেন। জিজ্ঞেস করলেন, ৫ জানুয়ারি আমার কোনও প্রোগ্রাম আছে কি না? নেই বলাতে, উনি বললেন, ওইদিন পোর্টস কম্পিটিশন আছে। আমাকে প্রধান অতিথি করতে চান। আমি রাজি থাকলে চিঠি পাঠাবেন। আমি ফ্রি ছিলাম, তাই রাজি হয়ে গেলাম।

     বাবলি ফোন করে জানতে চেয়েছিল রাতে দমদম পৌঁছালে  ড্রাইভারের সঙ্গে আর কেউ যেতে পারবে কি না। আমি বলেছি, কাউকে না পাওয়া গেলে  আমি নিজেই যাব। তবে সৌনক এয়ারপোর্ট যাবে বলেছে। এদিকে সাহবাজ জানাল, অর পাপা আগামিকাল আমাদের বাড়ি আসবে। আমি ওকেও সঙ্গে আসতে বলেছি। ওরা না আঁচালে বিশ্বাস করা যাবে না। যা কথা হবে সাহবাজের সামনেই হবে। এই বিয়েটা দেওয়া আমার কাছে মস্ত লড়াই।

      ফয়জলের ছেলের অন্নপ্রাশনে যাব বলে রাজু ড্রাইভারকে আসতে বলে ছিলাম, ও আসেনি। কাছেপিঠে যাওয়ার কথা বললে প্রায়ই ও এরকম করে। অন্য ড্রাইভার নিয়ে যেতে হল। সন্ধ্যাবেলা সাহবাজ, ওর বাবা ও ওদের ম্যানেজার  এসেছিলেন। মোটামুটি কথাবার্তা হয়ে গেছে। বাবলি ফেব্রুয়ারিতে এলেই আশীর্বাদ, কাবিলনামা ও বিয়ের ডেট ফ্যাইনাল করা হবে। পরে আমি ওদের জানিয়ে দিয়েছি,বাবলি ১২ ফেব্রুয়ারি আসছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি কাবিলনামার ডেট করা হোক।

     আজ ৩০ ডিসেম্বর, আগামিকাল পিঠেমেলা আছে। বিকেলে চিন্ময়দা ফোন করে মনে করিয়ে দিলেন্‌, বিচারক থাকার কথা। প্রতিবছরই এই দায়িত্ব পালন করে থাকি। আজ বছরের শেষদিন, বিকেলে পিঠেমেলা থেকে চার্চের মেলা গেলাম। শেষ হয়ে গেল ২০১৯ সাল।

      ইংরেজি বছরের নববর্ষ আজ, মানে পয়লা জানুয়ারি। আমার জীবনে নতুন পুরনো বলে কিছু নেই, সবদিনই সমান। যারা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, আমিও তাঁদের জানাতে বাধ্য হচ্ছি। না হলে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে, সেটা আমি চাইনা। আজও ওনাকে ডায়ালিসিসের জন্য নিয়ে গেছলাম। রান্নাও হল রোজ দিনের মত। রাতে ভাল ঘুম হল না। কোনদিনই হয়না। তবে ভিতরে একটা চাপা  কষ্ট চোখে ঘুম আসতে দায়নি। আজ ওনাকে নিয়ে গিয়ে চোখের পাওয়ার চেক করিয়ে নতুন চশমা বানাতে দিলাম।
     রেখাদি ফোন করে জানালেন, মাঠে জল জমে আছে। তাই ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠানটি হবে না। ১৯ তারিখটা ফাঁকা রাখতে বলেছেন। তবে ফাইনাল ডেট পরে জানাবেন। বাবলি ফোন করে জানতে চেয়েছে রানীর রেজিস্ট্রির দিন কেমন খরচ হতে পারে। ওরা বারবার মত পাল্টাচ্ছে। কখনো বলছে আপনাদের বা্ড়িতে হবে, কখনো বলছে আমাদের বাড়িতে হবে, তাই কিছু বলতে পারলাম না।  

      আকাশ কিছুটা পরিস্কার আজ, কাজের মেয়েটা অনেক বাহানা দেখিয়ে  শেষপর্যন্ত এসেছে। ওর আশা ছেড়ে দিতে হবে, বাবলির এসে ফিরে যাওয়া পর্যন্ত  ওকে রাখব। এর মাঝে রানীর কাবিলনামাও( সরকার অনুমোদিত কাজির দ্বারা লিখিত বিয়ে) হয়ে যাবে। আজই রেখাদি ফোনে জানালেন, পোর্টস ২৩ জানুয়ারি হবে।আমি যেন ওইদিন প্রোগ্রাম না রাখি।

     এর মধ্যেই বাবলির ছোটবেলার বন্ধুর বাবা কাঁথির চাতক মাইতি মারা গেছেন। কাঁথিতে ওঁদের পাশের বাড়িতে ভাড়া থাকতাম। ওঁদের সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।বনেদি পরিবার, হ্যাচারি ছিল, আরও অন্যান্য ব্যবসা ছিল।নাচনের স্কুলের নাম ছিল আত্রেয়ী, মায়ের নাম হিমানি মাইতি।ইনিই এখানকার ব্যবসা সামলাতেন। বাবলি বকুলের অবারিত দ্বার ছিল। আগেই এঁদের কথা লিখেছি। এখন ওনারা সম্ভবত পুনেতে থাকতেন। যাই হোক মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। কত কথা মনে পড়ছে, খুব সহজ সরল মানুষ ছিলেন। খান সাহেবের মতই বয়স হবে।

🍂

    দুপুরে ওনার চশমা এনে দিয়েছি, উনি খুব খুশি। আমি তো ওনাকে খুশি রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছি। যথারীতি সন্ধ্যায় আবার ওনার শ্বাসকষ্ট সুরু হল। নার্সিংহোমে নিয়ে যাব বলে সাহবাজ গাড়ি নিয়ে এসে ছিল। আমি অক্সিজেন দিয়ে একটু সময় নিলাম। দেখলাম ধিরে ধিরে কষ্টটা কমেছে। রাতটা থাক, সকালে  দরকার হলে নার্সিং হোমে নিয়ে যাব। সাহবাজ বলে গেল দরকার হলেই যেন ওকে ফোন করি।  

      ভাল কিছু আমার জীবনে আর হবে না। এই বছরটা কেমন কাটবে জানি না।এখন ভালর আশা আর করি না।ভাবি, খারাপ যেন কিছু না হয়। এমন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে ঘরে বাইরে কোনদিকে তাকাতে পারছি না।ওসব চুলোয় যাক, যে মানুষটাকে আমার জীবন থেকে বাদ দিয়ে একা বেঁচে থাকার কথা ভাবতেই পারিনা, আমার সব মনোযোগ তাঁর প্রতি হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। জীবনের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে আমাকে যেতেই হবে।

     আজ সাহবাজের জন্মদিন, তাই ওকে খেতে ডেকেছিলাম। রানীই পোলাও মাংস রান্না করেছে। বিকেলে ওরা ফয়জলের স্কুলে গিয়েছিল বাচ্চাদের জন্য ফল মিষ্টি নিয়ে। ফয়জল ওদের খুব প্রশংসা করছিল। আজ ডায়ালিসিসের সময় সুদীপ ব্লাডের জন্য কার্ড দিতে এসেছিল। সুদীপ সৌনক শুধু নয়, শহরের বিভিন্ন  সংগঠনের ছেলে মেয়েরা, বিশেষ করে মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের ছেলেরা প্রয়োজনে পাশে আছে। রাজনৈতিক পরিচয় সরিয়ে রেখে অনেকেই পাশে থাকার ভরসা দিয়েছেন।

                                       ক্রমশ

Post a Comment

1 Comments

  1. ...... এই যাত্রা পথে চেয়ে আছি......

    ReplyDelete