বাগদি চরিত ( দ্বাত্রিংশতি পর্ব )
শ্রীজিৎ জানা
খগেন মাস্টার সেই থেকে সবার চক্ষুশূল। কোন দলই তাকে সহ্য করতে পারে না। পার্টি অফিসে সেই রাতে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে। খগেন মাস্টারের রাগ সেদিন দেখে গোটা ঢোল। চিৎকার শুনে ক্রমে পার্টি অফিসে লোকজন জড়ো হতে থাকে। বাগদিদের চিল্লাচিল্লি বলে কথা! বোলতা চাকে ঢিল পড়লে যেরকম রাগে বোলতারা ভোঁ ভোঁ করে তেড়ে আসে, ঠিক সেভাবেই ছুটাছুটি শুরু হয়ে যায়। এই সুযোগে ঝন্টু কটাল তার দলবল নিয়ে হাজির হয। আরো আশ্চর্যের বিষয়,কোথা থেকে খবর পেয়ে সুধা ঘোষও বাজার পাড়ার দু'চার জন লোক নিয়ে ঝন্টুর সঙ্গে যোগ দেয়। সাহস পেযে ঝন্টু গলা তাড়তে শুরু করে,
—শালা সব অরাজকতাপুরী পেইচো! নেংটামির হাটবাট! আমরাও আছি ইখিনে দাঁড়িয়ে,দেখব কুন দিকের জল কুন দিকে যায়!
চিত্ত কালসারের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল উদো। পার্টি অফিসের দুয়ারের খুঁটিতে বাঁধা ছিল পতাকা সমেরত একটা মোটা ডান্ডা। সেটাকে এক চটকায টেনে নিযে তেড়ে আসে।
—তুই কে হে লাটের বাঁট! মোদের পার্টি এখন সরকারে আছে। আমরা যা ইচ্ছা কোরব। তোদের কি? বেশি এখিনে নেতাগিরি ফলাতে এসবিনি। কেলিযে বাঠাম করে দুব।
—গায়ে একবার হাত তুলে দেকনা! মাযের দুদ আমরাও খেইচি। তোদেরো নাম লুকি দুব এখিনে!
এবার আর চুপ থাকতে পারে না সুধাকর। ভিড় ঠেলে সে সামনে আসে। ঝুন্টুর দিকে না তাকিয়ে সোজাসুজি ভবতারণের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়-
— ই সব কি হচ্ছে বল দেখি ভবদা। আমাদের পার্টিকে চরম অপমান করেছে লোখা। তাকে পার্টি অফিসে ডেকে আমরা জানতে চাইছি,কেন সে উচ্চবাচ্য করেছে? এটা কি অন্যায?
—-লোখা যেদি তোমাতের পার্টিকে পচলাপচলি করে থাইলে তোমরা একশবার তার কৈফেত চাইকে পার। কিন্তু এত রাতে একটা লোককে গলায় গামছা দিয়ে টেনে আনাটা কি তোমাদের ঠিক হইচে!
ভবতারণ কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল কিন্তু তার আগেই উদো ঝাঁপ খেয়ে পড়ে।
—মোদের পাটিকে পচাল পেড়েচে লোখা। তাকে আমরা এনেচি। তোমার পঁদে হিং লেগেছে কেন?
—ভাষা ঠিক করে কথা বল,উদা
ঝন্টু চোখ লাল করে তর্জনি তাক করে উদোর দিকে তেড়ে যায়।
—ভাষা ঠিকের কি আছে! মোদের পাঁঠা মুড়ার দিকে কাটব না নেজার দিকে কাটব আমরা বুজব। মোদের পাটিকে অসম্মান করেচে। তোরা পায়ে পা তুলে ঝগড়া কত্তে এসচু কেনে?
—তা বলে তরা নেংটালাচ করবি, যাকে তাকে বিনা দোষে পাটি অপিসে তুলে লিয়ে এসবি, আর কেউ কিছু বোলবেনি। কি মোর বাবলাফুরা বিচার রে!
—- তা বলে তোদের দবদবানিয়ে অকে ছেড়ে দুব নাকি! এর একটা হেস্তনেস্ত কোরে ছাড়ব। তোরা কি কোরু দেখে লুব। ভবদা তোমাদেরকে বোলিঠি মোদের দিকে কুনু বাধা দিবে নি। আর চিত্তদো তুই যেদি মোদেরকে থামিচু ত তোরও বাঁচুয়া নাই।
— থাইলে দেখি তোদের কত হিম্মৎ লোখার গায়ে হাত দেউ কি মোদের গায়ে। পুরু রক্গঙ্গা বইয়ি দুব ঢোলে।
— বোলু কিরে ঝোন্টা! সরকারে মোদের পার্টি আছে রে। দেখবি,এমনি এমনি উল্টি পড়ে যাব, সঙ্গে সঙ্গে দুভ্যান পুলিশ চলে এসবে। তখন তোদের কুনু বাপ টেনে ছাড়াতে পারবেনি।
এতক্ষণ চুপ মেরে সবার কথা শুনছিল খগেন মাস্টার। আসলে প্রথমেই এতটা রেগে গিয়েছিল যে পরে নিজেকে নিজেই সংযত করে। যদিও রাগে তখনও তার ভেতরটা টগবগ করে ফুটছিল। তবু নিজেকে সামলে নিয়ে ভব মন্ডলের দিকে ঘুরে দাঁড়ায়। বলে,
— দেখুন, ভব বাবু আপনাকে আমি অসম্মান করতে চাই না। সত্যিই যেদি লোখা আপনাদের পার্টিকে অসম্মান করে থাকে,তবে তার বিচার নিশ্চিত করুন। তবে এই এত রাতে হাঙ্গামা না করলেই পারতেন। যাই করুক লোখা চুরিডাকাতি করেনি। কাউকে খুনও করেনি।
— তাহলে তোমাদের কথায় কি আমাদের চলতে হবে।
— তোমাদের বলে আমার সঙ্গে আর কাউকে জড়াতে যাবেননি। আপনাদের প্যাঁচের কথা আর কেউ না বুজুক,এই খগেন ঠিকই বুঝে। আমি না আপনাদের, না ঝন্টাদের। খগেন মাস্টার চিরকাল ন্যায়ের পক্ষে। সামান্য একটা কারণে রাতবিরাতে যে কারো বাড়িতে হামলা করাটা কোন পার্টির নীতির মধ্যে পড়েনি। এখন আমি লোখাকে নিয়ে যাচ্ছি।কাল যা করার করবেন। চল লোখা–।
বলেই খগেন মাস্টার লোখার বাঁ হাতটা ধরে এক টানে পার্টি অফিস থেকে বাইরে নিয়ে আসে। অত লোকের মাঝখান থেকে একপ্রকার লোখাকে সেদিন উদ্ধার করে খগেন মাস্টার।
আজকাল ঝন্টু কটালের রাজত্ব ঢোলে। পার্টি হেরে যাওয়াতে ভবতারণের আর তেমন প্রভাব নেই ঢোলে। সবুজ পার্টির বড় নেতা সুধা ঘোষ। ঝন্টুর দাদাগিরি দেখানোের মূলে তারই মদত বেশি। মিটিং মিছিলে জমায়েত থেকে চমকানি ধমকানি সব কাজেই লোকের জোগান দেয় ঝন্টু। ঢোলের বাগদিদের হাতে রাখলে পুরো অঞ্চলটাই পার্টির হাতে থাকবে। এই সহজ অঙ্কটা সব পার্টিই বেশ বুঝে গিয়েছে। সেই কারণেই যখন যে পার্টি ক্ষমতায় সে-ই তখন ঢোলকে একটু বেশিভ তেল মেরে চলে। ঝন্টু এখন সুধা ঘোষের হাতের লোক। পেটে তারও বিদ্যা খুব বেশি নেই। এইট অব্দি পড়াশুনা। ফেল করে গেলে আর বইয়ের ব্যাগ কাঁধে নেয়নি। কিন্তু হাবভাবে তার ডিগ্রি ধরতে পারা বেশ মুশকিল। দিনরাত পড়ে থাকে পার্টি অফিসে আর চেতলা বাজারে। হাতে একটা ঘড়ি চব্বিশ ঘন্টাই বাঁধা থাকে। সবুজ পাঞ্জাবি আর চোস্তা ছাড়া কিছু পরেনা। দলের রঙ সবুজ বলে সবুজ রঙ তার বেশি প্রিয়। মাঝে মধ্যে প্যান্ট- জামা যদি পরে থাকে, তখন গলা থেকে একটা সবুজ ওড়না ঝুোলায়। মাঝারি উচ্চতার গড়ন। বেশ গোলগাল বপু। ইদানীং মধ্যপ্রদেশ একটু বেশিমাত্রায় স্ফীত হয়েছে। গ্রামে আড়ালে আবডালে সবাই বলে ঝন্টার সুখের নাদ। আগে মাছ ব্যাবসা করত হাটে হাটে। এখন আর করে না। সংসার তার অভাব নেই। কান পাতালে তাকে নিয়ে অনেক কথাই শোনা যায়।
—পার্টি কি উ এমনি করেঠে। সংসার চালাতে মোদের স্যাঁকা হউ যায়ঠে। আর অর জবাব চাই জবাব দাও বলে চিল্লিয়েই তিব্বি চলে যায়ঠে!
—-কম টাকা পঁদ মারেঠে তুই জানো। গেরামে কুনু একটা কাজ হবা মানেই উ ঠিক তা থিকে কমিশন খবেই, খাবে।
—তাবাদে ত ঘরের সবার নামে জবকাট। ঘরে বসে বসেই তাতে টাকা ঢুকে যায়ঠে। আবাসের ঘরের টাকারও উ মারানিটা পঁদ মারে।
—- আরো গল্প কত আছে তা কি জানু? অর অনেক পীরিতের লোক আছে। তাদের জবকাটেও টাকা ঢুকে। তারা অকে টাকা তুলে এনে দেয়। মানে বিশটার টাকা ঢুকলে পাঁচটার দাম তারা পায় বাকিটা অকে দিতে হয়।
—অই জন্নেই ত কদিনেই ঘরবাড়ি করেচে দেখেচু! মটা সাইকেল ছাড়া এক পাও হাঁটেনি।
গ্রামে সবাই জানে ঝন্টুর গুণের শেষ নাই। মদে তার খুব একটা নেশা নেই। নেশা তার মেয়ে মানুষে। ঝন্টুর জীবনে উসুল হল ভগবান একবার জীবন দিয়েছে টাকা রোজগার আর ফূর্তি করার জন্য। এই দুটো জায়গায় কোন সতীপনা দেখানোর মানে হয় না। ঝন্টু তাই কোনকিছু মানে না। তবে গ্রাম ঘরের ব্যাপার বলে ঝন্টুকে খুব কায়দা করে খেলতে হয়। গ্রেমার কাউকে জানতে দেয়না দাসপুরে তার ভাড়া ঘরের কথা। একবারে বিডিও অফিসের অল্প দূরেই সেই ভাড়াবাড়ি। অথবা ঝন্টুর ফূর্তির ঠেক বলাই ভালো। তবে এখানে যাকে তাকে সে আনে না। অল্পবয়সী বিধবা যারা,যারা ভাতা পেতে তার শরণাপন্ন হয়, ঝন্টু তাদের সমস্যা সমাধানে ত্রাতার ভূমিকা নেয়। বাইকে করে এখানে আনে। তারপর নিজমূর্তি ধারণ করে। অসহায় বিধবারা অর্থের কাছে, ক্ষমতার কাছে, লোকলজ্জার কাছে চুপ খাকতে বাধ্য হয়। ঝন্টুর এই কীর্তি তার পার্টির উচ্চ নেতাদের কানে পৌঁছায় না যে তা নয়। কিন্তু হাতেনাতে কোন প্রমাণ পায় না বলে ঝন্টুর বিরুদ্ধে কোন স্টেপ নিতে পারে না। তারচেয়েও বড় কথা হল এই মুহুর্তে ঝন্টুকে খ্যাপানো মানে নিজেদের পায়ে নিজেদেরই কুগুল মারা। অতএব চোখতোলা থাকাটাকেই পার্টি সঠিক পন্থা মনে করে।
তবে ঝন্টুর উপর খগেন মাস্টারের রাগ এবং বিরক্তি অন্য কারণে। একে ত ভুলভাল ইংরেজি বলে তার উপর ঝন্টু মনে করে সরকারি ব্যাপারস্যাপার তার সব জানা। অফিস আদালতের নিয়ম-কানুন তার নখদর্পনে। তার জানার বাইরে আরো যে অনেক কিছু আছে অথবা সে যেটুকু জানে তা আদৌও যে সঠিক নয়, সেইকথা কোনমতেই মানতে চায় না। গ্রামের মিটিং ঝন্টু না আসা পর্যন্ত শুরু করা যাবে না। যদিও তার ডেট নিয়েই ঢোলের গ্রাম কমিটি মিটিং ডাকে। একনমি পাড়াগত সমস্যা হলে, তাতেও ঝন্টুর ডেটে ডেট করতে হয়। ঝন্টু রাত আটটার নীচে সভায় হাজির হবে না কোন মতে। কিন্তু পার্টির কোন মিটিং হলে ঝন্টু সকাল থেকে নিজের সঙ্গে গোটা গ্রামকে ব্যস্ত করে ছাড়বেই। ত্রিপল পাতা থেকে ত্রিপল গুটানো অব্দি তার তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। তবে এখানো দুটো ব্যাপার ঘটা চাই-ই চাই। নইলে ঝন্টুর মটকা গরম হয়ে যাবে। ঝন্টুর এই ধাত সম্পর্কে সুধা ঘোষ ওয়াকিবহাল। আর সুধা ঘোষের মাধ্যমেই ব্লক স্তরীয়, এমনকি জেলাস্তরীয় নেতার কাছ অব্দি পৌঁছানো আছে খবর। সভা শুরুর আগে ঘোষককে বারকয়েক ঝন্টুর নাম ডাকতে হবে। আর নেতারা ভাষণ দেওয়ার সময় তার নাম এক দু'বার নিলেই হল। একবার বিধানসভা ভোটের আগে এই নিয়ে তুমুল ক্যাচাল হয়। ঝন্টুর রাগ ভাঙাতে জেলা নেতৃত্ব পর্যন্ত ছুটে আসে। সেবার ঢোলের মাঠে ভোট প্রচারের বিরাট সভা হয়। বিধায়ক প্রার্থী শ্রীনিবাস ভূঞ্যা ছিলেন প্রধান বক্তা। সুধা ঘোষ হন সেদিনের সভাপতি। মাঠে ৰোক গিজগিজ করতে থাকে। কদিন ধরে ঝন্টু খেতে মাখতে সময় পায় না। তার উপরেই সব দায়িত্ব ছিল। সবটাই ঠিকমতো সামলেছে সে। কিন্তু ফ্যাসাদ বাঁধে ওই এক জায়গায়। শ্রীনিবাস ভূঞ্যা বক্তৃতা দেওয়ার সময় ঝন্টুর নাম একবারও মুখে নেয় না। জনসমাগমের আবেগে সব নেতারাই ঝন্টুর নাম মুখে নিতে ভুলে যায়। সুধা ঘোষের নাম দু'একবার মুখে নিলেও ঝন্টু একেবারে সেদিন চাপা পড়ে যায়। ব্যস্! আর যায় কোথায়। সভা ভাঙতে না ভাঙতেই নিজ মুর্তি ধারণ করে ঝন্টু।
— তোর লিকুচি করেচি পাটি করাকে। লাটসাহেবরা কাজ ফুরি যেতে আর ঝন্টা কটালকে চিনে নি। শালা,হদ টানব আমরা আর কই খাবে তমরা। উ মারাতে হবে নি। খুল্ সব পতকা টতকা খুল্।
বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়- এতো সবদিনের কথা। ঝন্টা যত রাগে তারচে দশগুণ রাগ দেখায় তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
– একদম ঠিক বোলেচ ঝোন্টাদো। ই ত মোদের বিরাট অসম্মান। মোদের গেরামে সভা হচ্চে কুুন্তু মোদের নেতার নাম মুখে এগবারও লিবে নি।
—বিরোধীরা কি ভাবেঠে বল দিখি এখন! যতক্ষণ না এর মীমাংসা হয়,মোর বেক্তিগত মত পাটি অপিস এখন বন্ধ থাউ। একটা হেস্তনেস্ত হউ।তারপর খুলা হবে। ইবার ঝোন্টাদো যা বোলবে..।
🍂
পরের দিন সকালেই সুধা ঘোষ বাজারের চার- পাঁচজন সমর্থক সঙ্গে নিয়ে ঝন্টুর কাছে হাজির হয়। অনেক করে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে।
– দেখ ঝন্টু,ঘটনাটা অনিচ্ছাকৃত ভাবেই হয়ে গেছে। তুই কিছু মনে করিসিনি। আঞ্চলিক পার্টিতে তোর অবদান সবাই স্বীকার করে। কিন্তু এই ভোটের মুখে পার্টি অফিস বন্ধ রাখলে পাবলিকের কাছে একটা খারাপ বার্তা যাবে। তুই ত সবই বুঝু।
— সব বুঝি বোলেই এখনো বাড়তা কুনু একশান লেয় নি,ঝন্টা কটাল। এটা তুমি ভাল করেই জান। আর এটাও জান ঢোলের বাগদি যেদিকে, অঞ্চল সেদিকে। কিন্তু তমাদের বেবহারটা দেখে সবাই খঁচে আছে।
—ব্লক নেতৃত্বও অনুতপ্ত। তোকে লিয়ে কালকেই বসবে বোলেচে। তুই এখন মাথাটা ঠান্ডা কর ভাইটি।
— মাথা মোর ঠান্ডাই আছে। মোদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করবে আর মোদেরকেই চিনবেনি। ইটা চলবেনি ঝন্টা কটালের কাছে।
অনেক সাধাসাধির পর, ব্লক নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ঝন্টুর রাগ কমে। পার্টি অফিসের তালা আবার খোলা হয়।
সেই ঝন্টু,সুধা ঘোষ, ভব মন্ডল আর চিত্ত কালসারের সঙ্গে এক আসনে বসে মিটিং করতে কিছুতেই মন চাইছিল না খগেন মাস্টারের। সে আগেই জানে মিটিংয়ের রায় কোনদিকে যাবে। লোখাও তাকে একটা প্রস্তাব দিতে অনুরোধ করে-
– মাস্টার,আসি জানি দাদার মন্দির হবে। তাতে মোর কুনু আপত্তি নাই। আমি বোলেছিলম ভিটার অন্য দিকটায় কোরতে। কুন্তু যা শুনিঠি তাউ হবেনি। ঝন্টাকে অরা হাত করেচে। ভব মন্ডলকে অনেক করে বলেচি কুন্তু জানি সে এসবেনি। সেই থিকে মোর উবরে শালার এখনো রাগ আছে। তার উবরে দাদো আরো দু'চার জনকে ঠিক মাল খাইয়ে আনবে।
— থাইলে মোকে কি কোত্তে হবে বল। তোর বড়দ্দা ত থাকবে।
— সে থেকেও কি না থেকেও কি। ভিজা বিড়ালের মত বোস থাকবে। মোর একটাই দাবী তমরা সবাই থেকে আগে ভিটা ভাগ করে দাও। তারপর যে যা পারে কোরু। এইটুকুই তুমি ববস্থা কর।
0 Comments