জ্বলদর্চি

কুমারী পূজা /ভাস্করব্রত পতি

পশ্চিমবঙ্গের লৌকিক উৎসব, পর্ব -- ৯৪
কুমারী পূজা

ভাস্করব্রত পতি

একসময় ব্রম্ভা দেবতাদের সঙ্গে মর্ত্যে এসে একটি বেল গাছের তলায় পাতা দিয়ে আচ্ছাদিত তপ্তকাঞ্চনবর্ণা নিদ্রিত এক নবজাতক বালিকাকে দেখতে পান। সেই বালিকার নিদ্রা ভঙ্গের জন্য দেবতারা স্তব করলে তিনি নিদ্রাভঙ্গ করে ওঠেন। বাল্য মূর্তি ছেড়ে উগ্রচণ্ডী দেবীতে রূপান্তরিত হন। তিনি দেবতাদের তেজ সম্ভূতা। শাস্ত্রানুযায়ী বানাসুর নামে এক অসুর খুব অত্যাচার শুরু করেছিল একসময়। স্বর্গ মর্ত্য দখল করে অধিপতি হয়ে ওঠে সে। তাঁর জ্বালায় চূড়ান্ত অপদস্থ হতে হয় দেবকূলকে। তখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় তাঁরা সমবেত ভাবে মহাকালীর শরণাপন্ন হন। তখন ঐ দেবতাদের কাতর আহ্বানে দেবী পুনর্জন্ম নেন। এই পুনর্জন্মে দেবী কুমারীরূপে বধ করেন বানাসুরকে। এরপর কুমারী পূজা চালু হয় বলে অভিমত। আবার বৃহদ্ধর্ম পুরাণের কাহিনী অনুসারে দেবতাদের সকাতর আবাহনে লঙ্কাধিপতির নিধনের জন্য দেবীর আবির্ভাব হয়েছিল বিল্বশাখায়। সেই বিল্বশাখায় আবির্ভূত কুমারী বালিকাই দেবী চণ্ডীকা রূপে আত্মপ্রকাশ করেন। বিভিন্ন শক্তি পীঠে দেবী পূজিতা হন কুমারী রূপেই। তবে পারিবারিক দুর্গাপূজাতেই কুমারী পূজার মতো লৌকিক উৎসব আরোপিত হয়। ইদানীং কোনো কোনো সর্বজনীন দুর্গোৎসবে কুমারী পূজার প্রচলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলাদেশে এই কুমারী পূজার থেকেই গৌরীদান প্রথার সূচনা বলে গবেষকদের অনুমান। 
মহাভারতের ভীষ্ম পর্বে অর্জুন দেবী কুমারীর পূজা করেছেন। মহাকাল সংহিতা, মার্কণ্ডেয় পুরাণে মেলে কুমারীর উল্লেখ। তৈত্তিরীয় আরণ্যকে রয়েছে - 'কাত্যায়নায় বিদ্মহে কন্যাকুমারী ধীমহি তন্নো দুর্গিঃ প্রচোদয়াৎ'। বৃহদ্ধর্মপুরাণ, দেবীপুরাণে দেবী চণ্ডীকার কুমারী রূপের কথা মেলে। বৃহদ্ধর্মপুরাণে আছে, 'তস্যৈকপত্রে রুচিরে সুচারুবনমালিকাম্ / নিদ্রিতাং তপ্ত হেমাভাং বিম্বোষ্ঠীং তনুমধ্যমাম্ / অনাবৃতাঙ্গাং নিশ্চেষ্টাং রুচিরাং নবমালিকাম্'। দেবীপুরাণে আছে - 'পূজয়েৎ ব্রাম্ভণাষ্ণৈব কন্যাং বালাং তথৈব চ'। এখানেই আছে, 'কুমারী রূপধারী চ কুমার তথা। কুমার রিপুহন্ত্রী চ কৌমারী তেন সা স্মৃতা'। অর্থাৎ রূপে কুমারী সেই সাথে কুমারের জননী এবং কুমারী রূপেই রিপুনাশিনী। তাই তাঁকে কুমারী হিসেবে স্মরণ করা হয়। স্বয়ং শ্রী রামকৃষ্ণ কুমারীকে ভগবতীর অংশ বলেছেন। আসলে কুমারীর মধ্যে দৈবী ভাবের প্রকাশ বা তাঁকে জননী রূপে পূজা করা শুদ্ধভাবাদর্শের পরিচয়বাহী। রামকৃষ্ণের কথায়, 'মাতৃভাব বড় শুদ্ধভাব'। 

শাস্ত্রানুসারে সুলক্ষণা ব্রাম্ভণকন্যা সুশ্রী কুমারীকে গঙ্গাজলে স্নান করিয়ে নতুন বেনারসী শাড়ি পরিয়ে আসনে বসিয়ে ঐ কুমারীর দুই পা ধুইয়ে আলতায় রাঙিয়ে, গলায় সুগন্ধি মালা এবং কপালে রক্তিম তিলক লাগিয়ে কুমারী পূজার জন্য উপযুক্ত করে তোলা হয়। এই কুমারীরা সাংসারিক ঘূর্ণাবর্তে নিমজ্জিত নন। তাই তাঁদের মধ্যে কামনা বাসনা লোভ ক্রোধ হিংসা দ্বন্দ্ব দ্বেষ জন্মানোর সুযোগ ঘটেনি। তাই তাঁরা কুমারী পূজার যোগ্য। পূজার দিন উপোস করে থাকতে হয় কুমারীকে। দেবী দুর্গার সামনে একটি সিংহাসনে বা সুসজ্জিত আসনে বসানো হয় কুমারীকে। কন্যার পায়ের কাছে পূজার নানা উপচার রাখা হয়। শুরু হয় মন্ত্রোচ্চারণ। স্বস্তিবাচনাদির জন্য নিম্নলিখিত বাক্যে সঙ্কল্প করতে হয় -- “বিষ্ণুরোঁ তৎসদদ্যেত্যাদি শ্রীভগবদ্দুর্গাপূজাকর্ম্মণঃ পরিপূর্ণফলপ্রাপ্তিকামঃ শ্রীকুমারীপূজনমহং করিষ্যে”। (পরার্থে—'করিষ্যামি')।

এইরূপে সঙ্কল্প শেষে সূক্ত পাঠ করার মাধ্যমে নিম্নলিখিত মন্ত্রে কুমারীর ধ্যান করতে হয় -- “ওঁ বালরূপাঞ্চ ত্রৈলোক্যসুন্দরং বরবর্ণিনীং নানালঙ্কারভূষাঙ্গীং ভদ্রবিদ্যা প্রকাশিনং। চারুহাস্যাং মহানন্দহৃদয়াং শুভদাং শুভাং। ধ্যায়েৎ কুমারীং জননীং পরমানন্দরূপিণীম্"। অপর একটি ধ্যানমন্ত্রে উচ্চারিত করা হয় -- 'কুমারীং কমলারূঢ়াং ত্রিনেত্রাং চন্দ্রশেখরাং। তপ্তকাঞ্চনবর্ণাভাং ননালঙ্কারভৃষিতাম্।। রক্তাম্বরপরিধানাং রক্তাল্যানুলেপনাম্। বামেনভয়দাং ধ্যায়েদ্দক্ষিণেন বরপ্রদাম্'। ধ্যানের শেষে উচ্চারণ করতে হয় -- “ঐং হ্রীং শ্রীং হুং হেসৌঃ ইদং পাদ্যং (একবর্ষা হইলে) ওঁ সন্ধ্যায়ৈ কুমাৰ্য্যৈ নমঃ”। এইভাবে নানা উপচারের দ্বারা পূজা করতে হয়।

এরপর বক্ষ্যমাণ মন্ত্রে কুমারীর ষড়পূজা করতে হয়। মন্ত্রটি হল -- “ঐং হ্রীং শ্রীং ক্রীং হেসৌঃ কুলকুমারিকে হৃদয়ায় নমঃ। হৈং বৈং হ্রৈং শ্রীং হ্রীং ঐং স্বাহা শিরসে স্বাহা। ঐং হ্রীং শিখায়ৈ বষট্ নমঃ। ঐং বাগীশ্বরি কবচায় হুং নমঃ। ঐং কুলেশ্বরি নেত্রত্রয়ায় বৌষট্ নমঃ। হ্রীং অস্ত্রায় ফট্ নমঃ”। এবার গন্ধপুষ্প দ্বারা নিম্নলিখিত আবরণ দেবতাগণের পূজা করিতে হয়। যথা - “এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ সপরিবারায় বালভৈরবায় নমঃ”। এই ক্রমে “ঐং সিদ্ধজয়ায় পূৰ্ব্ববক্ত্রায় নমঃ, ঐং জয়ায় উত্তরবক্ত্রায় নমঃ, ঐ হ্রীং শ্রীং কুজিকে পশ্চিমবক্ত্রায় নমঃ, ঐং কালিকে দক্ষিণবক্ত্রায় নমঃ”।

এবার প্রাণায়ামের মাধ্যমে যথাসম্ভব মূলমন্ত্র জপ করে “গুহ্যাতি” মন্ত্রে জপ শেষে নিচের মন্ত্রে প্রণাম করতে হয়। যথা - “ওঁ নমামি কুলকামিনীং পরমভাগ্যসন্ধ্যায়িনীং, কুমারবরচাতুরীং সকলসিদ্ধিদা নন্দিনং। প্রবালগুটিকাস্রজাং রজতরাগবস্ত্রান্বিতাং, হিরণ্যকুলভূষণাং ভুবনরূপ কুমারীং ভজে”। 
সবশেষে অচ্ছিদ্রাবধারণ করে পুত্রবতী সধবা রমণীদের খাইয়ে সামর্থ্য মতো দক্ষিণা দিতে হয়। 
বৃহৎতন্ত্রসার অনুসারে কন্যা যতদিন পৰ্য্যন্ত ঋতুমতী না হয়, ততদিন পৰ্য্যন্ত তাঁদের এইভাবে পূজা করা যায়। বিভিন্ন বয়সের কুমারীকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয় -- “একবর্ষা ভবেৎ সন্ধ্যা দ্বিবর্ষা চ সরস্বতী। ত্রিবর্ষা চ ত্রিধামূৰ্ত্তিশ্চতুৰ্ব্বর্ষা চ কালিকা৷৷ সুভগা পঞ্চবর্ষা চ ষড়বর্ষা চ উমা ভবেৎ । সপ্তভিৰ্ম্মালিনী সাক্ষাদষ্টবর্ষাতু কুব্জিকা৷৷ নবভিঃ কালসন্দর্ভা দশভিশ্চাপরাজিতা।। একাদশী চ রুদ্রাণী দ্বাদশাব্দে তু ভৈরবী।। ত্রয়োদশে মহা- লক্ষ্মী দ্বিসপ্তা পীঠনায়িকা। ক্ষেত্রজ্ঞা পঞ্চদশভিঃ ষোড়শে চাম্বিকা মতা।। এবং ক্রমেণ সংপূজ্যা যাবৎ পুষ্পং নবিদ্যতে”। অর্থাৎ এক বছরের কন্যা — সন্ধ্যা, দুই বছরের কন্যা — সরস্বতী, তিন বছরের কন্যা — ত্রিধামূর্তি, চার বছরের কন্যা — কালীকা, পাঁচ বছরের কন্যা — সুভগা, ছয় বছরের কন্যা — উমা, সাত বছরের কন্যা — মালিনী, আট বছরের কন্যা — কুব্জিকা, নয় বছরের কন্যা — কালসন্দর্ভা, দশ বছরের কন্যা — অপরাজিতা, এগারো বছরের কন্যা — রূদ্রাণী, বারো বছরের কন্যা — ভৈরবী, তেরো বছরের কন্যা — মহালক্ষ্মী, চৌদ্দ বছরের কন্যা — পীঠনায়িকা, পনেরো বছরের কন্যা — ক্ষেত্রজ্ঞা এবং ষোলো বছরের কন্যা — অন্নদা বা অম্বিকা নামোল্লেখ করে পূজা করার বিধান। 

কুমারী পূজা খুবই ফলদায়ক। তন্ত্রসার অনুসারে -- 'হোমাদিকং হি সকলং কুমারী পূজনং বিনা / পরিপূর্ণ ফলং ন স্যাৎ পূজয়া তদ্ ভেদে ধ্রুবম্ / কুমারী পূজয়া দেবী ফলং কোটিগুণং ভবেৎ / পুষ্পং কুমার্যৈ যদ্দত্তং তন্মেরুসদৃশং ফলম্ / কুমারী ভোজিতা যেন ত্রৈলোক্যং তেন ভোজিতম্'। অর্থাৎ যাগযজ্ঞ হোম সকলই কুমারী পূজা ছাড়া সম্পূর্ণ ফলদায়ী নয়। কুমারী পূজায় দৈবী ফল কোটিগুণ লাভ হয়। কুমারী পুষ্প দ্বারা পূজিতা হলে তার ফল পর্বতসমান। যিনি কুমারীকে ভোজন করান তাঁর দ্বারা ত্রিলোকেরই তৃপ্তি সাধিত হয়। 'জ্ঞানার্ণব' অনুসারে যিনি পূজিতা কন্যাকে একটি পুষ্পদান করেন, তাঁর পুণ্য হয় সুমেরু পর্বত দানের সমান। আর যিনি কুমারীকে ভোজন করান, তাঁর পুণ্য হয় বহু মানুষকে ভোজন করানোর সমান। শালিচালের ভাত মিষ্টান্ন সহযোগে খাওয়াতে হয় কুমারীকে। দেবীপুরাণে আছে, 'নৈবেদ্যং শালিজং ভক্তং শর্করা কন্যকাস্বপি'। আর যিনি কুমারীর বিয়ে দেন, তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান ফললাভ করেন। মৎস্যপুরাণের ১০১ তম অধ্যায়ের ২৭ নম্বর শ্লোকে আছে -- 'নবমীতে একাহারী থাকিয়া শক্তি অনুসারে এক একটি কন্যাকে ভোজন করাইয়া আসন ও স্বর্ণখচিত বস্ত্র ও কঞ্চুক দান করিবে'। শুধুমাত্র ব্রাম্ভণ কন্যা নয়, চতুর্বর্ণের সুলক্ষণা কুমারী কন্যাও কুমারী পূজার জন্য বিবেচিত হয়। দেবীপুরাণ মতে ব্যবসায় লাভের জন্য বৈশ্য কন্যা, পুত্র কামনায় শূদ্রকন্যা, ভীষণ বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে অন্ত্যজ শ্রেণীর কন্যা এবং সবকাজে সফল হতে ক্ষত্রিয় কন্যাকে কুমারী পূজা করা যায়। 

অষ্টমী কিংবা নবমীর ভোরেই কুমারী পূজা করা হয়। মহানবমীতে কুমারী পূজার কথা তন্ত্রসারেতে রয়েছে, 'মহানবম্যাং দেবেশি কুমারীং চ অপূজয়েৎ'। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় ১৯০১ সালে বেলুড়মঠে স্বামী বিবেকানন্দ প্রথম দুর্গাপূজা এবং কুমারী পূজার প্রবর্তন করেন। সেবার অষ্টমীর দিন তিনি নয়জন কুমারীকে জীবন্ত দুর্গা রূপে পূজা করেছিলেন। যদিও এর অনেক আগেই ১৮৯০ সালে গাজিপুরে জনৈকা মনিকা রায়কে কুমারী রূপে পূজা করেছিলেন প্রথম। যিনি পরবর্তীতে 'যশোদা মা' নামে পরিচিত হয়েছিলেন। এরপর ১৮৯৮ এর অক্টোবর মাসে কাশ্মীরের ক্ষীরভবানিতে এক মুসলিম মাঝির মেয়েকে দেবী জ্ঞানে পূজা করেছিলেন। সেসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভগিনী নিবেদিতা এবং মিস ম্যাকলাউড। এখানে দেবীকে পূজা করা হত ক্ষীর বা পায়েস সহকারে। কামাখ্যা মন্দিরেও তিনি কুমারী পূজা করেছিলেন। সব মিলিয়ে চার পাঁচ বার কুমারী পূজা করার তথ্য মেলে। বেলুড় মঠে প্রথম দুর্গোৎসব এবং কুমারী পূজার বিবরণ স্বামীজির শিষ্য শরৎচন্দ্র চক্রবর্তীর লেখনীতে বিধৃত এভাবে -- “মহাসমারোহে দিনত্রয়ব্যাপী মহোৎসব কল্লোলে মঠ মুখরিত হইল। নহবতের সুললিত তানতরঙ্গ গঙ্গার পরপারে প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল। ঢাক-ঢোলের রুদ্রতালে কলনাদিনী ভাগীরথী নৃত্য করিতে লাগিল। ‘দীয়তাম্ নীয়তাম্ ভুজ্যতাম্’ কথা ব্যতীত মঠস্থ সন্ন্যাসীগণের মুখে ঐ তিনদিন আর কোনো কথা শুনিতে পাওয়া যায় নাই। যে পূজায় সাক্ষাৎ শ্রীশ্রীমাতাঠাকুরাণী উপস্থিত, যাহা স্বামীজির সঙ্কল্পিত, দেহধারী দেবসদৃশ মহাপুরুষগণ যাহার কার্যসম্পাদক, সে পূজা যে অচ্ছিদ্র হইবে, তাহাতে আর বৈচিত্র্য কি? দিনত্রয়ব্যাপী পূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হইল। গরিব দুঃখীর ভোজন তৃপ্তিসূচক কলরবে মঠ তিনদিন পরিপূর্ণ হইল”। বেলুড় মঠে এইসব কুমারীদের 'এয়োরাণী' রূপে পূজা করতেন স্বয়ং মা সারদা। শারদীয়া মহাষ্টমী ছাড়াও অন্নপূর্ণা, জগদ্ধাত্রী কিংবা কালীপূজাতেও কুমারী পূজার বিধান রয়েছে। শাস্ত্রানুযায়ী কুমারী পূজা ছাড়া পূজার সম্পূর্ণ ফললাভ হয়না। 

দক্ষিণ ভারতের কন্যাকুমারীতে কুমারী বিগ্রহের পূজাপাঠ চলে আসছে। নেপাল, ভুটান, সিকিমে কুমারী পূজার চল রয়েছে। নেপালে কুমারী পূজা বহু ধর্মীয় উৎসবের সাথে জড়িত। আদিবাসী সমাজে আশ্বিন মাসের এক বিশেষ তিথিতে ১৭ দিন উপবাসী থেকে 'কুমারী ওষা' পালনের রীতির কথা জানা যায়। কুমারী পূজার শেষে ঐ কুমারীর চেয়ে বয়স্ক নারী পুরুষ দেবীজ্ঞানে কুমারীর পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করে। মাতৃভাবের আবেশে মুখরিত হয় উৎসব প্রাঙ্গন।

🍂

Post a Comment

0 Comments