তিরিশ পেরিয়ে সারস্বত-সাধনায় জ্বলদর্চির শারদ উৎসব
দেখতে দেখতে 'জ্বলদর্চি' তিরিশ বছর পার করলো। দুই মেদিনীপুর থেকে একযোগে প্রকাশিত এই লিটল ম্যাগাজিনে স্বনামধন্য লেখকদের পাশাপাশি বহু সম্ভাবনাময় তরুণের লেখা পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বর্তমান, মুদ্রিত সংখ্যার পাশাপাশি ওয়েব মাধ্যমেও নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে এই পত্রিকা।
শুক্রবার তথা ১৩ অক্টোবর ২০২৩ মেদিনীপুর শহরের ফিল্ম সোসাইটি হলে ছিল পত্রিকার শারদ উৎসব। শারদ উৎসব মানে সাহিত্য আড্ডা, গান, সম্মানজ্ঞাপন, ফোটোগ্রাফি প্রদর্শনী, একগুচ্ছ নতুন বই, শারদ সংখ্যা ও বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ।
এদিন অনুষ্ঠানে প্রকাশ পেল জ্বলদর্চি প্রকাশনার ৫ টি বই।সুমিত্রা ঘোষের 'লোকমাতা রানি রাসমণি'(প্রবন্ধ), বিনোদ মন্ডলের 'বাতাস পিঠে চাকুক হানে'(ছড়া), সুতনু সরকারের 'খাই খাই খাঁদুরাম'(ছড়া), মায়া দে-র 'ছড়া ছন্দসী'(ছড়া), সর্বজয়া নন্দের 'মাতৃস্নেহ'(কবিতা)।
সেইসঙ্গে প্রকাশ পেল জ্বলদর্চির ১৪৩০ উৎসব সংখ্যা ও নির্বাচিত তিরিশ সংকলন। গত তিরিশ বছরের সেরা লেখা নিয়ে এই সংকলন। সংকলনে স্থান পেয়েছে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শঙ্খ ঘোষ, সমরেশ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব গুহ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মনোজ মিত্র, আবুল বাশারের মতো প্রখ্যাত লেখকদের লেখা— যা পূর্বে জ্বলদর্চি'র কোনও না কোনও সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। মুখবন্ধ লিখেছেন ভাষাবিদ পবিত্র সরকার। প্রচ্ছদ এঁকেছেন শ্যামল জানা। জ্বলদর্চির উৎসব সংখ্যায় স্থান পেয়েছে স্মরণজিৎ চক্রবর্তী, শুভেন্দু মাইতি, বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, নলিনী বেরা, শ্যামলকান্তি দাশের সাক্ষাৎকার। রয়েছে অণুগল্প, প্রবন্ধ, একগুচ্ছ কবিতা। অসাধারণ প্রচ্ছদ এঁকেছেন শুভ্রাংশু শেখর আচার্য্য।
উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম সেবায়তন শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আশীষ কুমার গুপ্ত, বিশিষ্ট সমাজসেবী চন্দন বসু, গড়বেতা কলেজের অধ্যক্ষ হরিপ্রসাদ সরকার, রয়েল একাডেমির অধ্যক্ষ সত্যব্রত দোলই, হবিবপুর সরস্বতী বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মালা মজুমদার, 'উপত্যকা' পত্রিকার সম্পাদক তাপস মাইতি, হিজলি কলেজের অধ্যক্ষ আশিস দণ্ডপাট প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সূত্রধর ছিলেন সঞ্জীব ভট্টাচার্য।
শারদ উৎসবে সম্মান জানানো হয় লেখক সম্পাদক অচিন্ত মারিক-কে। ছিল সন্তোষ জানার ফোটোগ্রাফির প্রদর্শনী। অরূপ দণ্ডপাটের যন্ত্রসংগীত ও গার্গী ভট্টাচার্যের গান অনুষ্ঠানকে অন্য মাত্রা দেয়। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বহু কবি,লেখক,শিল্পী। জ্বলদর্চি'র সম্পাদক ঋত্বিক ত্রিপাঠী জানান, "শারদ উৎসবের সঙ্গে সাহিত্যসংস্কৃতির যোগ নিবিড়। একমাত্র সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশই পারে সমাজকে সুস্থ রাখতে। সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই সারস্বত-সাধনা।"
0 Comments