জ্বলদর্চি

রূপক কুমার হাতী ও মোনালিসা পাহাড়ী-র কবিতা

রূপক কুমার হাতী ও মোনালিসা পাহাড়ী-র কবিতা 

অমরত্ব
রূপক কুমার হাতী

লেখাটা পড়ে শিশুরা খুব হেসেছিল ; কয়েকটা শব্দ-
ওদের খুব ভালো লেগেছিল ;  কিন্তু - 
পুঁজিবাদের নাকি কোথাও আঘাত লেগেছিল ; তাই -
কলম-ধরা হাতটাই দিল কেটে!  কোনো এক সভায়-
বলেছিলাম খুব ! আবারও ফেটে পড়েছিল হাততালি আর-
শিশুদের হাসিতে ; এবার,গোঁড়া আর ধর্মান্ধরা মুখ বন্ধ করতে-
জিভটা নিল কেটে। কিন্তু আমার মন আর আমার চোখ যে, -
স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে দিতে পারে সে বিশ্বাস তাদের ছিল না ।
এবার শিশুদের হাসি যেন কালবৈশাখীর-কালো মেঘের মতো থমথমে ; 
যে কোনো সময় ফেটে পড়তে পারে। এবার ঝড় থামাতে-
মাঠে নেমেছে পুঁজিবাদ আর ধর্মান্ধ । বোমার বিকট বিস্ফোরণে -
ছিন্নভিন্ন অবশিষ্ট শরীর। ঠোঁটের কোণে সফলতার হাসি -
 নিমিষেই মিলিয়ে যায়। এবার শব্দগুলো নিজে থেকেই শিশুদের মাঝে ।
এমন হাসি আর অট্টরোল ওরা কল্পনাই করতে পারেনি।
বুঝতে পারেনি - এভাবে বিপ্লবকে দমানো যায় না , ধ্বংস করা যায় না ।
🍂
 ফাঁকি
মোনালিসা পাহাড়ী

প্রত্যাখ্যান আর প্রত্যাহারের ভেতর বিস্তর ফারাক

প্রত্যাখ্যান যে কেউ যেকোনো সময় যেকোনো করতে পারেন
কিন্তু প্রত্যাহার সহজে আসে না

ভালোবাসা কিংবা সম্মান

একবার দিয়ে দেওয়া জিনিস প্রত্যাহারে কি
ফেরত পাওয়া যায় সব?
পড়ে থাকে না আরো কত কিছু!
মুহূর্ত, আলো, আনন্দ অথবা উৎসবের ক্ষণ
মুছে ফেলা যায় কি সব অকারণ!

ফিরিয়ে নেওয়ার পরও যা কিছু থেকে গেল বেঁচে
লজ্জায় মাথা নত করে
সেসব কি টোকা দিয়ে যায় না 
নিভৃত অন্তরে...

তখন একাকী-
উঁকি দিয়ে পিছু ডাকে যত কিছু 'ফাকি'।

সংগ্রহ করতে পারেন। হোয়াটসঅ্যাপ -৯৭৩২৫৩৪৪৮৪

Post a Comment

0 Comments