জ্বলদর্চি

গুচ্ছ কবিতা - ৪ /রূপকুমার কর্মকার

গুচ্ছ কবিতা - ৪
রূপকুমার কর্মকার


দ্বন্দ্ব সমাজ

কিছু লোক বুফে সিস্টেম,অনেক খাওয়ার ,আলাদা হাতা
কিছু লোক,প্রচুর খিদে ,হারখাটুনি,শাক পাতা

কিছু লোক মুহূর্ত সুখ,শাপমোচন ,সদ্যোজাত ডাস্টবিনে
কিছু লোক বন্ধ্যাত্ব, মন্দিরেতে কপাল ঠেকায়, রাতদিনে

কিছু লোক অস্থির হয়ে পূর্ণিমাতে মাংস সাটায়
কিছু লোক গঙ্গা জল, সকাল সন্ধ্যা গোবর ছেটায়

কিছু লোক কাঁচা পিয়াজ শুটকি পোড়া ,খাওয়ার গেলে
কিছু লোক মস্ত টেবিল,বদহজম এর ঢেঁকুর তোলে

কিছু লোক টাকার কুমির, সন্তান সব ষাঁড় এর বেশ
কিছু লোক ধার করা বই,প্রচুর স্ট্রাগল আইপিএস

কিছু লোক বিতৃষ্ণা,ভাল্লাগেনা,আটকে থাকে বদ্ধ ঘরে
কিছু লোক লড়তে  রাজি ,বন্ধ দরজা  লাত্থি মারে

কিছু লোক ,লোক লজ্জা ,কুঁচকে রাখে নাকের পাটা
কিছু লোক সন্ধ্যে হলেই আসল রূপ, দুকান কাটা

কিছু লোক প্রেমের জন্য যুদ্ধ চালায় ,লড়াই করে
কিছু লোক দীর্ঘশ্বাস ,অনেক কষ্টে তালাকপত্র,হাঁফ ছাড়ে

কিছু লোক ভাঙা ঘর, ঘরেই চাঁদ, নিজের প্রিয়া, সুখময়
কিছু লোক , মার্সিটিজ ,গভীর রাত,বুকের জ্বালা ,বেশ্যালয়

প্রলাপ

আধকপালি ,ছটফটানি  হচ্ছে হোক
শুনছি তুমি   ঢু মেরেছো স্বর্গলোক!

স্বর্গ মর্ত পাতাল তুমি গুলোচ্ছ
নতুন ডানায় উড়ছ দেখি যতেচ্ছ

সুযোগ বুঝে তুমিও কি মেরেছো দাও?
তাই বুঝি এ তল্লাটে বাড়াওনি পাও

সত্যিকারের হাতিরও পাঁচপা হয়েছে
দূরের ওই বিচ্ছুরণএ গা সয়েছে

বিচ্ছুরণকে আগুনও যায় বলা
অদ্ভুত এই আগুনেরও কি ছলা কলা!

সেই আগুনে এ ও সেকছে হাত!
না পেরে করি নিজেরই ছায়ার  মুন্ডুপাত

নিজেকে বোঝাই ভবিষ্যতের সারাৎসার
ফুরোলে দিন  একদিন তো অস্থিসার

চাঁদের নাকি একদিক থাকে অন্ধকার
আর অন্যদিক চিরকালীন প্রতিক্ষার?

মিথ্যে আলোয় ফিরেআসা শব্দলো কে
চিরসবুজ থেকে যাওয়া গভীর শোকে



 হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ 

রক্ত   তোমার অস্ত্র  জানি
মানুষকে ভাবো ভিড়
সব রঙ নাকি এক রঙ হবে!
কার পাতে বাড় ক্ষীর?

রাষ্ট্র তোমার দম্ভ জানি
হেলায় ভাঙ্গো নীর
ব্লেড রাখি ট্যাকে.. মজুত রক্ত
আমরা ভক্ত দধীচির

সব রুচি নাকি এক রুচি হবে
কত স্পর্ধা দেখব আর!
জানি দৃষ্টি তোমার অর্থলোলুপ
........চাকরি পুঁজি কারবার

সব ভাষা নাকি এক ভাষা হবে
অন্যেরা সব বিস্বাদ!
তোষণে তোষেন আর নিঃশেষ নয়
চাই তীব্র প্রতিবাদ

আমার ভাষা মায়ের ভাষা
কারো বাপের জায়গীর নয়
চলো নিঃশেষ করে রক্ত বীজ
...ওদের পাঁজরে ধরাই ভয়

Post a Comment

0 Comments