ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা ১৬৩
চিত্রগ্রাহক - মৃণাল ঘোষ
সম্পাদকীয়,
শীতকাল মানেই মাঠে মাঠে সর্ষে ফুলের দুলুনি। আর সেই সর্ষে ফুলে ফুলে বন্ধু ভোমরা, প্রজাপতি, মৌমাছি গুঞ্জন। সর্ষে ফুলের এমন এক বন্ধুর ছবি তুলে আমাদের প্রচ্ছদের জন্য পাঠিয়েছে মৃণাল আঙ্কেল। শীতকাল মানেই পিঠে পায়েস। সেই পিঠে পায়েস নিয়ে ছড়া পাঠিয়েছে মলয় জেঠু। শীতকাল মানেই ঘুরে বেড়ানোর কাল। বাসবদত্তা আন্টি সেই ঘুরে বেড়ানোর গল্প শুনতে শুনতে আমরাও আমেরিকা চিনে নিয়েছি, তাই তো? শীতকাল মানেই পাড়ায় পাড়ায় অঙ্কন প্রতিযোগিতা। আর আমাদের ছোটোবেলায় কিন্তু প্রতি রবিবারই আঁকার আসর বসে। এবারে এঁকেছে শুভশ্রী আর আয়ুস্মিতা। শীতকাল মানেই লেপ মুড়ি দিয়ে রহস্য গল্প পড়া। বেশ পড়ে ফেল লাচুঙের নেকড়ে। শ্রীকান্ত আঙ্কেল কিন্তু জমিয়ে দিয়েছেন। কি তাই তো? এবার চলো লেপ মুড়ি দিয়ে পড়ে নিই দোলনচাঁপা আন্টির লেখা স্মরণীয় দিবসের কথা। পড়া শেষ হলে লিখে ফেল তোমার প্রিয় ঋতু শীত কেন। আর পাঠিয়ে দাও ছোটোবেলার দপ্তরে। ---- মৌসুমী ঘোষ।
ধারাবাহিক উপন্যাস
লাচুঙের নেকড়ে
শ্রীকান্ত অধিকারী
পর্ব –বত্রিশ
মানা হ্যায় বললেই মানা হ্যায়! আমাদের ছেলে দুটো কোন অস্থানে কুস্থানে পড়ে রয়ছে, তার বেলা কোনো খবর নেই ওনারা এসেছেন রাস্তা আটকাতে। কে রে আমার চলে এসেছে হুঁটু দাস! -সেই কাটাও থেকে মঙ্গন পর্যন্ত এসে কোনো কথা বলেনি বড় মামি। কেবল দু হাতে শিঙিকে চেপে শিঙির ঘাড়ে মুখ গুঁজে চুপ করে ছিল। মুখ চোখে উদ্বিগ্নের ছাপ। পাশে শিঙির মা বাবা। হঠাৎ এমন করে গাড়ি থামতেই বড্ড বিরক্ত হয়েছিল এমনিতেই, তার ওপর আগে যানা মানা শুনতেই ক্ষেপে যায় বড় মামি। গাড়ির ভেতরেই হাত পা ছুঁড়তে শুরু করে।
ততক্ষণে দুটো গাড়ি থেকে নেমে আসে গ্যাটসো দীপকবাবু, ওদিকে সেরগিল সাহেব, সঙ্গে দুই কনস্টেবল। একজন অফিসার গোছের মনে হল, সেটা ওরা জানে না। ওরা নামতেই আর্মিদের থেকে দুজন এসে সরাসরি সেরগিল সাহেবকে কিছু বলল। সেরগিল সাহেব মাথা নাড়িয়ে যেন কিছু বুঝে চলেছেন। মিনিট খানেকের মধ্যেই গ্যাটসোকে সেরগিল সাহেব হাত দেখিয়ে গাড়ি ঘোরাতে বললেন। আর যেটা বোঝা গেল– ফলো মি। অর্থাৎ আমাকে আগে দাও। পিছন পিছন তুমি এসো। নতুন রাস্তা ভাল হবে না।
লাচুং পুলিস স্টেশন থেকে লাছুং এয়ার পোর্ট, তারপর ওপরের দিকে না গিয়ে সোজা নিচে নেমে চুম্থাং দিকচু নাগা ফলস হয়ে মঙ্গন ঘুরে জংগু যাবার প্ল্যান করেছিল সেরগিল সাহেব। পরে সেখান থেকে সোজা সর্ট কাট রাস্তা ধরে অমরবাবুকে নিয়ে চলে যেত ইয়ুমথাং। কিন্তু বাদ সাধল এই আর্মি। মঙ্গন থেকে বেরিয়েই যে নর্থ সিক্কিমের পূর্ব দিকে টুং ব্রিজ না গিয়ে পশ্চিমে এগিয়ে গেলেই হত। কিন্তু সে আর হল না।
ব্যাপারটা কী হল? রামসির বাবা প্রায় কড়া গলায় জানতে চায়।
গ্যাটসো কোনো কিছু না বলে হাত দিয়ে সামনের গাড়িটাকে দেখিয়ে দেয়। পরে নিজে থেকেই বলে- রাস্তা বনধ!
রাস্তা বনধ তো হেলিকপটার আছে?
-আছে। লাচুঙ মে এক এয়ারপোর্ট- লাচুং হেলিপ্যাড। ইররেগুলার! জরুরত পড়ে তো এজেন্সির তরফে জিরো পয়ন্টে যা শকতে হ্যায়। লেকিন অল টাইম নেহি। গ্যাটসো গাড়ি ব্যাক করতে করতে বলে।
ঠিক একই কথা তখন সেরগিল সাহেব দীপকবাবু আর বড় মামাকে বোঝাচ্ছেন।- সিক্কিম মে যো রেগুলার এয়ারপোর্ট হ্যায়–প্যাকিয়ং এয়ার পোর্ট গ্যন্টক মে, আর সাউথ সিক্কিম মে ইয়াঙ্গাং, লিবিং এয়ারপোর্ট হ্যায়। লেকিন লাচুং সে যাওয়া যেত। পারমিট ভি পাওয়া যাবে। কিন্তু শোচলাম কি ইয়ে বহোত সিক্রেট বাত হ্যায়। অওর এক বাত ভি হ্যায় ইয়ে যো অমরবাবু আছে ওনার ভি হেল্প জরুরি। জঙ্গু মে লেপচা কান্ট্রি ভি পহেলে ভিজিট করকে যেতে চেয়েছিলাম। ক্যায়া হুয়া নন্দীবাবু অওর দীপক বাবু আমাদেরকে আভি ইয়ুম্থাং জানা জরুরি। কিঁও কি উধার যো বডি মিলা হ্যায় উসকো ডিটেক্ট করনা চাহিহে। ইস লিয়ে ইধার আয়া। লেকিন আভি বাত বহত দূর চলা গ্যায়া। ইন্ডিয়ান হেড কোয়ার্টার্স মে মেসেজ চলা গ্যায়া ইস বারে মে। সব সে খতরনাক বাত হ্যায় উন লোগো নে হ্যাঙ্গিং পুল কো ডেস্ট্রয় করনা চাহতে হ্যায়। ইস লিয়ে আর্মি কো বুলা গ্যায়া হ্যায়।
হ্যনগিং পুল! বড় মামা অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে।
ইয়েস নটবর নন্দী সাব। আপডেট হ্যায় কি, ইস সিক্কিম মে সব সে সফট লোগ হ্যায় লেপচা। আই মিন সিক্কিমের অন্দরেই এই লোগগুলোকে ডাইভার্ট করছে কুছ বাহার কা আদমি। ইনফ্লুয়েন্স দিচ্ছে নতুন নতুন খাবার জাম প্যান্ট জুতো ব্যাগেরা সব দে কে। আওর চকলেট বিস্কিট সোপ সব আতে হ্যায় ফরেন সে স্পেশ্যাল পারমিট লে কে কাম করতা হ্যায় এন জি ও। মেডিসিন কে সাথ এক্সট্রা বুক ভি আতে হ্যায়। অর ক্যায়া আতে হ্যায় পুলিশ কো ভি নেহি পাতা। লেকিন দিন দিন ইন সফট মাইন্ডেড ম্যান অ্যংরি হচ্ছে। খুন খারাবা ভি করে ফেলছে। আপনাদের সময় ইতনা নেহি থা।
এ সব সিল্ক রুট সে চলতা হ্যায়?
না না। কবে এ লোগ সিল্ক রুট ছোড় দিয়া। নতুন নতুন রুট বের করছে। আর তার জন্য নদীর পুলগুলোকে কাজে লাগাচ্ছে ড্যাম উল্ফগুলো! নাম দিয়েছে কি জানেন?-রেডউল্ফ !
দীপকবাবু বলেন,- এই জন্যই কি চীন বর্ডারের জনক, দলমাসম্পা লেক এবং গ্লাসিওর থেকে লাচেন হয়ে চুংথাং ড্যামে পড়ছে নদীর জল বা নানান স্প্রিং, হট স্প্রিং গুলো যেমন লিংডেম কিংবা আরও নিচে র্যালোং হট স্প্রিং গুলোকে চীন বা এই নেকড়েগুলো ব্যবহার করছে?
না না এরা এত নিচে নেমে কাজ করে না। লোগ লাগায়। লোকাল লোগ কো মানি ফুড বাগেরা দিয়ে হেল্প করে। ওরা ওদের কথা মত কাজ করে।
এখানে রিভার পুলগুলোতে সিকিউরিটি কেমন?
শুনিয়ে নটবরজি, পহেলে ইতনা খারাবি নেহি থা। ইস লিয়ে সেভাবে সিকিউরিটি নেহি লাগায়া গ্যায়া। ছোটা বড়া মিল কে বহোত ব্রীজ হ্যায়। সাস্পন্সেন ব্রীজই হ্যায় লগভগ বাইশ তেইশ। রঙ্গিত কি উপর আট, লাচেন কি তিন তিস্তা কি ছে অওর লাচেন রংপো রোঠাং চু কি এক এক কর কে। ইয়ে সব সাসপেন্সেনওয়ালা। কুছ কুছ ফুটব্রীজ ভি হ্যায়। লগভগ অওর সাত আট ভেহিকুলার ব্রীজ হ্যায় নর্থ সিক্কিম মে।
তার মানে এ গুলোকে কাট করে দিতে পারলে ওদের লাভ। দ্রুত ফোর্স যেতে পারবে না, দীপকবাবু বলেন।
সেরগিল সাহেব মাথা নাড়েন- একদম ঠিক বলেছেন দীপকবাবু।
সব সে রেডমার্কওয়ালা হল শাংক লাং থেকে থুং এবং চুং থাং রুট। উপর সে ডাইরেক্ট গ্লাসিওরের পানি আতে হ্যায়।
এটা থেকে কি হড়পা বান হতে পারে?
সেরগিল সাহেব কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। ফোন বেজে ওঠে। সেরগিল সাহেব ফোন ধরেই আঁতকে ওঠেন– ক্যায়া? কাম্বোডিয়ান? কাঁহা সে?
(ক্রমশ)
শুভশ্রী সরকার
নবম শ্রেণি, শতদল বালিকা বিদ্যালয়, উত্তর ২৪ পরগণা
পিঠার দুঃখ
মলয় সরকার
শিশুদের ঐ ভাঁড়ার ঘরে
বিহুর আগের রাতে,
ঝুড়িতে বসে পিঠারা সব
নানান কথায় মাতে।
চোঙা পিঠা বলে শোন,
চাপুড়ি পিঠা ভাই-
দেশের কথা দশের কথা
শুনেছ না কি তাই?
এই দেশেতে আর বেশিদিন
অন্ন মোদের নাই।
সুতুলি পিঠা বললে, কেন
এত দুখের কথা?
ফেনী পিঠা উত্তর দেয়,
সত্যি এ বারতা।
শিশুর দলে এখন যে আর
মোদের চেনে না,
লুচি বিস্কুট চা জল খায়
অন্য জানে না।
টপাটপ সব রসগোল্লা
খেতেই সবাই ধায়,
পিঠাপুলি আর নাড়ুর দিকে
ঘৃণার চোখে চায়।
পিঠার এই ঘোর অপমান
ভাবছে কে আর বড়-
এমন হলে খুব বেশিদিন
বাঁচাই কষ্টকর।
আয়ুস্মিতা সামন্ত
নার্সারী, সরস্বতী শিশু মন্দির, মেদিনীপুর
উৎসব মরশুমে আমেরিকাতে বাসবদত্তা কদম
পর্ব ৮ এবার চললাম পরের দ্রষ্টব্য দেখার জন্য। একটা করে দেখা হচ্ছে আর মনে মনে টিক করে দিচ্ছি লিস্টে। গুগল ম্যাপ অনেকাংশেই আমাদের আজকালকার ঘোরাঘুরিতে সাহায্য করে। তোমরা যারা ছোট বা খানিকটা বড় কুড়ির আশপাশ পর্যন্ত যাদের বয়স, তারা জ্ঞান হয়ে থেকে এণ্ড্রয়েড ফোন আর গুগল ম্যাপ দেখে অভ্যস্ত। যে কোনো জায়গার নাম দিলেই সে জানিয়ে দেয় যেখানে আমি আছি তার থেকে কতটা দূরে সেই জায়গা। কিভাবে যাবো, তার সাজেশন চলে আসে। চলে আসে বাস, ট্রেনের টাইমটেবিল। আমাদের বড় হবার সময় ব্যাপারটা একেবারেই তা ছিল না। কোথাও বেড়াতে গেলে নিজেদের চিনে যেতে হলে রীতিমতো কাগজে ছাপানো ম্যাপ এবং গলি ঘুঁজি খুঁজে যেতে হতো।
আমাদের দেশে গাইড বা ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে প্রচুর ঘোরা সহজ সাধ্য এবং খরচ বিরাট বেশি কিছু নয়। বিদেশে খরচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের দেশের থেকে অনেকটাই বেশি তাই গাড়ি ভাড়া করে ঘোরা প্রায় অসম্ভব।
সেই গুগল ম্যাপ দেখেই আমরা ঘুরছিলাম একথা আগেই বলেছি। তাতেই দেখা গেল। ফিলাডেলফিয়া সিটি সেন্টার, ম্যাশনিক টেম্পল , ফর দ্য পিপল অফ দ্য পিপল বাই দ্য পিপল স্ট্যাচু এই তিনটের অবস্থান খুব কাছাকাছি। এমনকি আমরা যেখানে ছিলাম সেই লিবার্টি বেল থেকেও এগুলোর কোনোটাই খুব বেশি দূরে না।
ম্যাশনিক টেম্পলঃ এর সামনে জর্জ ওয়াশিংটনের হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছেন বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন। এর ভেতরে আছে ম্যাশনিক মিউজিয়ম এবং লাইব্রেরী। ম্যাশনিক গ্র্যান্ড লজ। এই ম্যাশনিক টেম্পলের গায়ের অপূর্ব কারুকার্য দেখার মতো।
ম্যাশনিক কি? এ প্রশ্ন তোমরা করতেই পারো। এ এক নির্দিষ্ট বিশ্বাস। কোনো এক অসীম শক্তিধর যিনি সব কিছুকে চালনা করেন তার প্রতি বিশ্বাস বলা যায়। কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম নয়। যাঁরা এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী তাদের এই মন্দির। বলা হয় আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন নিজেও ছিলেন ম্যাশনিক। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় এই ম্যাশনিক টেম্পল আছে। ফিলাডেলফিয়ার এই মন্দিরটি তৈরী হয়েছিল ১৮৬৮-৬৯ এরকম সময়ে।
চিত্রগ্রাহক - বাসবদত্তা
অপূর্ব এই মন্দিরের কারুকাজ। বেশ খানিকক্ষণ থেমে দেখতেই হবে। দেখলাম। অবশ্যই যে কাজ করে থাকি সেই ফটো তোলা। তাও করলাম। এর কাছেই সেই ফর দ্য পিপল অফ দ্য পিপল বাই দ্য পিপল স্ট্যাচু। সেটাও দেখলাম। আমেরিকার স্বাধীনতা এই তিনটে শব্দের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলেই বিশ্বাস করেন আমেরিকান নাগরিকরা। যদিও আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের বেশ কিছু কালো অধ্যায় আছে আমেরিকার প্রাচীন অধিবাসী অথবা আদিবাসীদের নিয়ে। তারা আমেরিকা স্বাধীনতা যুদ্ধের অনেক আগে থেকেই অত্যাচারিত। কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় এক একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে বন্দী বলা যায়। তবে সে আলোচনার জায়গা অবশ্যই এই ভ্রমন কাহিনী নয়।
এরপর আমরা চললাম ফিলাডেলফিয়া সিটি হলের দিকে।
🍂
আরও পড়ুন 👇
স্মরণীয় দিবস
জাতীয় কন্যা শিশু দিবস
(২৪ সে জানুয়ারি)
কলমে-দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে
কন্যা শিশু দিবস লিখতে গেলে প্রথমেই লিখতে হয়, *মেয়েরা যখন শিক্ষিত হয়, তখন তাদের দেশ আরও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ হয়*।
জাতীয় শিশু কন্যা দিবস প্রতিবছর ভারতে ২৪ শে জানুয়ারি পালিত হয়। এটি ২০০৮ সালে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক এবং ভারত সরকার দ্বারা শুরু হয়েছিল। ভারতীয় সমাজে মেয়েরা যে বৈষম্যের মুখোমুখি হয়, সে সম্পর্কে জনসচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
দিনটি 'সেভ দ্য গার্ল চাইল্ড'অর্থাৎ শিশু কন্যাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরীর বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান সহ সংগঠিত কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়।
২০১৯ সালে দিনটি আগামী উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, মেয়েদের ক্ষমতায়ন প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হয়েছিল।
মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী রেনুকা চৌধুরী ২০০৯ এর ১৯শে জানুয়ারি দিল্লিতে কন্যা শিশুর কল্যাণের জন্য নতুন উদ্যোগ এবং জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের লোগো চালু করার সময় একটি ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেন।
প্রত্যেকটা দিবসের যেমন একটা উদ্দেশ্য থাকে এই দিবসেরও সেরকম উদ্দেশ্য আছে যেমন-মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমাজে কন্যা শিশুদের জন্য সুযোগ প্রদান করা।
কন্যা শিশুর মুখোমুখি হওয়া সমস্ত বৈষম্য দূর করা।
দেশের কন্যা শিশু যেন তাদের মানবাধিকার, সম্মান ও সকল মূল্য পায় তা নিশ্চিত করা।
লিঙ্গ -বৈষম্য নিয়ে কাজ করা এবং মানুষকে শিক্ষিত করা।
ভারতের শিশু লিঙ্গ অনুপাত হ্রাস্বের বিরুদ্ধে কাজ করা এবং কন্যা শিশুদের শিশু হিসেবে বিবেচনা করা ও মানুষের মন পরিবর্তন করা।
কন্যা শিশুর গুরুত্ব ও ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
মেয়েদের সুযোগ ও তাদের উন্নতির জন্য অধিকার প্রদান করা।
কন্যা শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করা।
সমান অধিকার ও দেশের সমস্ত প্রান্তে যাতে যাতায়াত করতে পারে তার সুবিধা প্রদান করা।
দেশের মেয়েরা যে সমস্যার সম্মুখীন হয়, সে সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়াই হল শিশু কন্যা দিবসের মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
প্রত্যেক দিবসের মতো শিশুকন্যা দিবসেরও একটা গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য আছে। শিক্ষা, পুষ্টি, বাল্যবিবাহ, আইনি অধিকার, চিকিৎসা, যত্ন,সুরক্ষা ও সম্মানের মত ভারতের কন্যা শিশুর সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার বিষয়ে সচেতনতা প্রচার করা।
জাতীয় শিশু কন্যা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে বলা যায় যে, ২০০৮ সালে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক দ্বারা প্রথম শুরু হয়েছিল। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো মেয়েদের মুখোমুখি হওয়া বৈষম্য গুলি তুলে ধরা এবং একটি মেয়ে শিশুর অধিকার শিক্ষা স্বাস্থ্য ও পুষ্টির গুরুত্ব সহ সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বর্তমানে লিঙ্গ বৈষম্য একটি প্রধান সমস্যা, যা মেয়েদের তথা মহিলাদের সারা জীবন ধরে সম্মুখীন হতে হয়।
প্রত্যেকটি দিবসের যেমন একটি নিজস্ব থিম থাকে কন্যা শিশু দিবসের ও সেরকম অতীতের কতগুলি থিম হল-'একটি উজ্জ্বল আগামীর জন্য মেয়েদের ক্ষমতায়ন'(২০১৯)। ২০২০ র বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের অধীনে থিম ছিল, 'সচেতন মেয়ে শিশু সক্ষম'। ২০২৩ এর থিম ছিল, 'আমাদের অধিকার আমাদের ভবিষ্যৎ'
শেষে, আমি টোনির ভাষায় এই কথা বলতেই হয়, *বিশ্বে শক্তিশালী নারী দরকার। নারী, যারা অন্যকে উত্তোলন করবে এবং গড়ে তুলবে, যারা ভালবাসবে এবং ভালবাসবে। নারী যারা সাহসী ভাবে বাস করে, কোমল এবং উগ্র উভয়ই। অদম্য ইচ্ছা শক্তি মানেই নারী*।
1 Comments
মলয় সরকারের অনুবাদ কবিতা আর শুভশ্রী সরকারের আঁকা ছবি ভালো লাগল।
ReplyDelete