ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা ১৬৪
চিত্রগ্রাহক - ঋপণ আর্য
সম্পাদকীয়,
টুংকুড়িকে চেনো তো? যারা চেনো না তারা যাতে চিনতে পারো তারজন্য ঋপণ আঙ্কেল টুংকুড়ির ছবি পাঠিয়েছে। কি এবার মনে পরেছে তো? ঠিক আছে তোমাদের নিয়ে একদিন টুংকুড়িদের গ্রাম দেখতে যাব। বেড়াতে কে না ভালোবাসে? বাসবদত্তা আন্টি তাই তো প্রতি রবিবার আমাদের বেড়াতে নিয়ে যায়। কোথায়? সুদূর আমেরিকায়। আর শ্রীকান্ত আঙ্কেল লাচুঙে। এই তো সেদিন ভ্রমণ দিবস গেল। দোলনচাঁপা আন্টি সেই নিয়ে লেখা লিখেছে এবারের ছোটোবেলায়। বেড়ানোর স্বপ্ন সবার থাকে। তবে তোমাদের বন্ধু রাহুলের কঈ স্বপ্ন জেনে নাও ওর লেখা ছড়া পড়ে। স্বপ্ন কি কেবল আমি তুমি দেখি? স্বপ্ন দেখে নদীও। কে বললেন? স্বপন আঙ্কেল বললেন, তাঁর ছড়ায়। মানালী আর সাহির তোমাদের ছবি আমাদের খুব ভাল লেগেছে। এবার বলো কে কে কলকাতা বইমেলা গেছো? যারা গেছো জানিও কিন্তু বইমেলা তোমাদের কেমন লাগল।.... মৌসুমী
ধারাবাহিক উপন্যাস
লাচুঙের নেকড়ে
শ্রীকান্ত অধিকারী
তেত্রিশ–পর্ব
ডুপ্লিকেট আগর ফেক ভি হ্যায়! আর মজা কি জানেন,ওর কাছে প্রায় চোদ্দটা দেশের পাসপোর্ট ভিসার পেপার্স রয়েছে এবং সব কটায় বৈধ! ইজ ইট পশিবল! গ্যান্টক এস পি শবনম ছেত্রি বলেন। আর সব সে মজাদার কাহানি হ্যায় ইয়ে ইস্ট সিক্কিম সে এট্রি লিয়া লেকিন নর্থ সিক্কিম মে চলা আয়া।
কেউ কিচ্ছু জানতে পারল না? নটবরবাবু সেরগিল সাহেবকে এক বার আড় চোখে দেখে নেন।
-দেখিয়ে নন্দী সাব, এক বাত মান না পারেগা, মিলিট্যান্ট অ্যান্টিসোশ্যাল কিডন্যাপার মার্ডারার অওর সিরিয়াল কিলারকে পাশ অ্যায়সা-ত্যায়সা অস্ত্র শস্ত্র হ্যায় নেহি সব সে মর্ডান হাতিয়ার হ্যায়। ইজরাইলি আর্মস- নেগেভ সেভেন মেশিনগান,নাইট ভিশন ডিভাইস আই ডি ও, মেড ইন জার্মান–সেভেন্টি সিক্স এম এম নাভালগান,যো হামারা মতলব গভর্নমেন্টকে পাশ নেহি হ্যায়। সায়েদ হ্যায় ভি লেকিন ইউজ করনেকে লিয়ে পারমিশন নেহি হ্যায়। AK 203 রাইফেল, কিংবা হাইদ্রাবাদি মেড অ্যাসাল্ট রাইফেল–উগ্রাম, AK-47, AG 87 AK-12 অ্যায়সা পুরানা গান হ্যায়। বঢ়িয়া স্নাইপার ইস্তেমাল করনে কো পারমিশন নেহি হ্যায়। রেজাল্ট আগে ভাগে কাম সেরে চম্পট দিতে এ সব লোগের কোই ট্রাবলই হচ্ছে না। সেরগিল সাহেব কথাটা নন্দীবাবু বললেও এস পি ছেত্রী ম্যাডামের দিকে চেয়ে রইলেন। যেন ওনার সহমত আশা করেন।
মাথা নেড়ে শবনম ছেত্রী ম্যাডাম বলেন,-ফ্লাট ল্যান্ড এরিয়া আই মীন কলকাত্তা মে যেমন মিলিট্যান্টস বাজার মল বড়ে বড়ে আবাসান মে ঘুস কে কাম করতে হ্যায় ইস হিল এরিয়া মে নেহি হোতা। এখানে পাহাড়ের আড়ালে কিংবা জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে কাজ সারে। অওর একটা প্রশাসন কে ঝুট-ঝামেলায় ফেলে হিল এরিয়া মে ভুটান কি ভোট জাতি, নেপাল সে আয়া নেপালি অওর সিক্কিমিজ কে ভি হুলিয়া মিলতে ঝুলতে হ্যায়। ইসলিয়ে পাবলিকের সাথে ঘুল মিল যাতে হ্যায়। ইজিলি ডিটেক্ট কর না মুশকিল হোতা হ্যায়।
-ম্যাম, ইন্টারন্যাশানাল ক্রাইসিস ভি ইসকে সাথ হ্যায়। সেরগিল সাহেব প্রসঙ্গ তুলেই দ্রুত ড্রাইভারকে বলেন-রোকো কিষণ। দেখিয়ে দীপক বাবু, ঐ যে ছোটা ছোটা তাবেলে টাইপ হোম হ্যায় না ,-ও সব গাঁও হ্যায়। লেপচা কা গাঁও।
-লেপচা জগৎ। গ্যাটসো গাড়িটাকে থামিয়েই বলে,-এখানে অনলি লেপচা। এখানের সব সে পুরানা ইনহেভিট্যান্ট।-অ্যাবরিজিনাল!
ওদিকে তখন লেপচা জগতের এন জি ও MLASএর সভাপতি অমর লেপচা নেমে পড়েছে। সঙ্গে সেরগিল সাহেব, বড় মামা আর দীপক বাবু।
এদিকটায় স্বাভাবিকের তুলনায় হঠাৎ ঠাণ্ডা নেমে গেছে অনেকটা। মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। পাহাড়ি আকাশে ঘন মেঘ উড়ে বেড়াচ্ছে। যেখানে সেখানে ধাক্বা খেয়ে বৃষ্টি নামাতে পারে। বড়মামি অনেক আগেই নিজের এবং শিঙির জ্যাকেটটা আরো একটু টেনে দিয়েছে।
দ্রুত অমরবাবু সেরগিল সাহেবের কাছে যেতেই ওরা একটা দোকানের ভেতর ঢুকে যায়। সঙ্গে বড় মামা আর দীপকবাবু।
ওরা কোথায় গেল বলতো গ্যাটসো? রামসিঙের বাবা শুধায়।
-ওই দোকানের নীচে যে ঘরগুলো দেখছেন না ওখানে আচ্ছে সে ছ্যাঙ মিলতা হ্যায়। গ্যাটসোও গাড়ি থেকে নেমে যায়। কিন্তু দূরে যায় না।
-চ্যাঙ! রামসিঙের মা ভীষণ অবাক হয়ে বলে, এটা চ্যাঙ খাবার সময়?
গ্যাটসো কোনো উত্তর দেবার আগেই সেরগিল সাহেবের ফোন আসে। গ্যাটসো ফোন ধরেই প্রায় ছুটতে ছুটতে বলে,-আভি আ রাহা হ্যায় স্যর!
মিনিট দুয়েক চুপচাপ। কারো মুখে কোনো কথা নেই।
সোমেশ্বরবাবু মেঘে ঢাকা অস্পষ্ট সবুজ পাহাড়ের দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে ভাবে এত ঝরণা বোধ হয় আর কোথায় নেই! ওই উঁচু উঁচু ঝরণা থেকে যদি রামসিঙ পা হড়কে পড়ে যায়! কিংবা বুনো জন্তুদের থেকে বাঁচতে ছুটতে গিয়ে নীচে কোথাও হারিয়ে যায়! কিংবা যা শুনছে ওই সব নেকড়েদের খপ্পরে পড়ে! নাহ! আর ভাবতে পারছে না। আবার এ কথাগুলো কাউকে বলা যাচ্ছে না। শিঙি বড় মামির কাছে সিঁটিয়ে গুম মেরে আছে। এক সঙ্গে ভয় এবং মন কষ্টের শিকার। সামনে রামসিঙের মা। এই দু দিনে মুখ চোখের হাল দেখা যায় না। এমনি এক দুশ্চিন্তার জগতে যখন প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই পাশ থেকে রামসিঙের মা নিবেদিতা শান্ত স্বরে বলে, -লাশ হলে পুলিশ ঠিক খুঁজে পেত বল?
এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সোমেশ্বর। কীই বা বলার আছে ওর! তবু সময়ের সঙ্গে চলতে কিছু তো বলতেই হয়।– আসলে কী জানো নিবু, হারিয়ে যাওয়া কিংবা কীডন্যাপ করার তো একটা উদ্দেশ্য থাকে। তারপর না হয় খুন জখম কিংবা আরও কিছু। কোনো মোটিভেশনেই তো ওদের ফেলতে পারছি না। সিক্কিমের পুলিশের কথা যদি ধরেই নিই, তাহলে অন্তত ওরা ওদের কোনো ক্ষতি করবে না। আর যদি ইন্টারন্যাশানাল ব্যাপারে ফেঁসেও যায় দরকার হলে ভারতীয় অ্যাম্বেশির সঙ্গে ওরা ঠিক যোগাযোগ করবে। দীপকবাবু তো আছেন।
তুমি এখনো ওদের কথাকে বিশ্বাস কর? রামসিঙের মা’র গলা বুজে আসে।
-কী করব এ ছাড়া যে উপায় নেই। সোমেশ্বর বাবু চুপ করে যায়।
ততক্ষণে গ্যাটসো চলে এসেছে।-চলিয়ে আভি নিকাল না হোগা। লেপচা জগৎ থেকে ব্যাক করে ডাইনে সরু রাস্তা দিয়ে উঠে যাচ্ছে গাড়ি। আপার জঙ্গু ফরেষ্টের ভেতর ঘুম কে অওর অন্দর মে এক অওর লেপচা ‘রেড উলফে’র আড্ডার খোঁজ মিলেছে। চলিয়ে কুছ না কুছ তো মিলেগা। গ্যাটসোকে খুব উত্তেজিত লাগল। কুসঙ কে ভি উপর জানা পারে গা।
কুসঙ! আবার!-সোমেশ্বর আকাশ থেকে পড়ে। ( ক্রমশ)
জ্বলদর্চি অ্যাপ ডাউনলোড করুন। 👇
ছড়া
খুশির নদী
স্বপনকুমার বিজলী
ইচ্ছে খুশির মিষ্টি ছড়া
গড়ছি যখন দুলে
একটা নদী ঢেউ খেলে যায়
দূরের কোনও কূলে ।
ঢেউ এর সাথে সোনালি রোদ
নাচতে থাকে জলে
সেই নদীটা স্বপ্ন দেখায়
গল্প অনেক বলে ।
কল্পনাতে ছন্দে চলা
সেই যে খুশির নদী
আমার মনে দিনে রাতে
মানালী সরকার
বেথুয়াডহরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বেথুয়াডহরি, নদিয়া, সপ্তম শ্রেণি
স্বপ্নের মেলা
রাহুল পাত্র
শ্রেণী - নবম
স্কুল - মেদিনীপুর টাউন স্কুল হেরিটেজ
ছোট্ট থেকেই স্বপ্ন ছিল
হব একজন কবি,
নানান স্বাদের লিখব ছড়া
আঁকব রঙিন ছবি।
স্বপ্ন ছিল প্রত্যেক বছর
আমিই ফাস্ট বয়,
স্বপ্ন কেবল স্বপ্নই থাকল
কাটল না পড়ার ভয়।
ছোট্ট থেকেই স্বপ্ন ছিল
হাঁটব বাগান জুড়ে,
বাড়িতে আর ফিরব না কভু
হয়ে যাব ভবঘুরে।
স্বপ্ন ছিল সাগর পেরিয়ে
যাব রূপকথাদের দেশে,
রাজকন্যা থাকবে সেথায়
দেখবে মুচকি হেসে।
ছোট্ট থেকেই স্বপ্ন দেখি
উড়ে যাই দিগন্তরে,
পাখির গানে ঘুম ভাঙলেই
রয়েছি মাটির ঘরে।।
উৎসব মরশুমে আমেরিকাতে
বাসবদত্তা কদম
পর্ব ৯
আমাদের গন্তব্য স্থির করাই ছিল, এরপর আমরা যাবো ফিলাডেলফিয়া সিটি হলে। ঠিক আগের দেখা কয়েকটি বিল্ডিঙয়ের মতো এটিও একটি পুরনো স্থাপত্য।
এই ফিলাডেলফিয়া সিটি হল বিল্ডিং এ এখন ফিলাডেলফিয়া মেয়রের অফিস, একটি কোর্ট, এবং আরো কিছু সরকারি অফিস রয়েছে।
তবে এটি লোকজন দেখতে যান যে কয়েকটি কারণে তার মধ্যে একটি হলো এর স্থাপত্য। এর মধ্যে আছে প্রায় সাতশো খানা ঘর। এখনো আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সব থেকে বড় মিউনিসিপাল বিল্ডিং, এমনকি সারা পৃথিবীতেও এত বড় মিউনিসিপাল বিল্ডিং হয়ত কমই আছে। ১৯০১ সালে এই সিটি হল যখন তৈরী হয় তখন এই সাড়ে পাঁচশো ফুটের বিল্ডিং পৃথিবীর সব থেকে উঁচু বলে গণ্য হতো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন আরো অনেক উঁচু বাড়ি পৃথিবীময় তৈরী হয়েছে।
চিত্রগ্রাহক - বাসবদত্তা
এই বাড়ি দেখে, তার ছবি নিয়ে এরপর আমরা খানিকক্ষণ ঘুরে বেড়ালাম ফিলাডেলফিয়া শহরের রাস্তায় রাস্তায়। সেখানকার বিভিন্ন দোকানে। এমনকি নেহাত কাঁচা বাজারেও।
যে কোনো জায়গায় বেড়াতে গেলে সেখানকার সাধারণ মানুষ কেমনভাবে থকেন, কি খান আমার সব সময়ই খুব জানতে ইচ্ছা করে। সব সময় সম্ভব হয় না। তবে কখনো কখনো হয়ে যায়। এখানেও দেখলাম কলকাতার মতো বেশ বড় এক চায়না টাউন। রীতিমত গেট বানিয়ে লেখা। বেশ অনেক চাইনিজ খাবারের দোকান। তবে খেতে ঢুকে খুব সুবিধে লাগলো না। আমাদের দেশের চাইনিজ আর ওখনকার একেবারে মশলা বিহীন চাইনিজে আকাশ পাতাল পার্থক্য। এরপর অন্য একটা দোকান থেকে কিছু খেয়ে আমরা রওনা দিলাম ফেরার বাস ধরার জন্য।
হ্যাঁ গেছিলাম ট্রেনে। ফিরবো বাসে, এটাই ভেবে রেখেছিলাম।
ওদেশের বাসে যা আমার সব থেকে ভালো লেগেছে তা একটা পাটাতন। যে কোনো মানুষ হইল চেয়ার শুদ্ধু অতি সহযে বাসের ভিতর ঢুকে যেতে পারেন। বাস স্টপেজে দাঁড়ালে, কোনো অশক্ত মানুষ থাকলে, ড্রাইভার উঠে এসে ওটা খুলে দেন। লোক উঠে গেলে আবার তুলে নেন। পুরোটাই স্বয়ংক্রিয় বলা যায়, হাতল ঘুরিয়ে খোলা বন্ধ করতে হয়।
এরপর আমরা ফিলাডেলফিয়া শহরের এক বড় বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়ালাম। সেখান থেকেই আমাদের কিং অব প্রাসিয়ার বাস পাবো। বাসের নম্বর আর গন্তব্য দেখে উঠতে হবে।
এই প্রথম এ শহরে আমাদের মন খারাপ হয়ে গেল। রাস্তায় অজস্র গৃহহীন মানুষ। ওদেশের ভাষায় হোমলেস। একটা করে ছোট কার্ট সম্বল প্রায় সবার। বলা যায় বিগ বাজার ইত্যাদি দোলানে যে ছোট্ট স্টিলের ঠেলেগাড়ি করে আমরা বাজার করি তাই। তাতে বিছানার কম্বল থেকে জামাকাপড় সবই রয়েছে। বাইরে তখন মারাত্মক ঠান্ডা। ভাবতেই পারছি না এই মানুষগুলো দিনের পর দিন এই প্রচন্ড শীতে রাস্তায় থাকবেন। শীত তখন বাড়ছে প্রতিদিন। এরপর আসবে তুষারপাত।
পৃথিবীর সব থেকে ধনী দেশের সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষকে রাস্তায় থাকতে হয়। আমাদের দেশেও অতি গরীবরা রাস্তায় থাকেন।
এর মধ্যেই এসে গেল আমাদের বাস। উঠে পড়লাম। আলোর মালায় সাজানো শহরের দোকানপাট পিছনে ফেলে আমরা চললাম কিং অব প্রাসিয়ার দিকে। ওখানে বৌদি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সে নাকি আজই আমাদের নিয়ে যাবে আরেকটা জায়গায়।
স্মরণীয় দিবস
পর্যটন দিবস
(২৫শে জানুয়ারি)
কলমে -দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে
পর্যটন হলো এক ধরনের বিনোদন, যা অবসর বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থান বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করাকে বোঝায়। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পর্যটনকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী অবসরকালীন কর্মকাণ্ডের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
১৯৪৮ সালে প্রথমবার 'পর্যটন দিবস' পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর থেকে প্রতি বছর ২৫ শে জানুয়ারি দিনটি 'জাতীয় পর্যটন দিবস' হিসেবে পালিত হয়। পর্যটন শিল্পকে উন্নত করতে এবং পর্যটনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক অবস্থাকে শক্তিশালী করতে প্রতিবছর 'পর্যটন দিবস' পালন করা হয়।
প্রতিবছর দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ, লক্ষ মানুষ ভারতে বেড়াতে আসেন। দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে পর্যটন শিল্পের বিশেষ ভূমিকা আছে। পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্যই বিশেষভাবে পর্যটন দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
ব্যস্ত জীবনে সকলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সেই ক্লান্তি দূর করতে অবসর যাপনের জন্য, মানুষ কাছে-দূরে কোথাও গিয়ে মন ও শরীরকে চাঙ্গা করার জন্য বেরিয়ে পড়েন।
আমাদের দেশ ভারতবর্ষ এমন এক ভূমি, যেখানে পর্বত- মালভূমি- সমভূমি- সমুদ্র- জঙ্গল এমনকি মরুভূমি পর্যন্ত আছে, শুধু তাই নয়, বলতে পারি এক আধ্যাত্মিক পুণ্যভূমিও ভারতবর্ষ।আমরা সারা জীবন ধরে ভারতবর্ষের নানা স্থানে ঘুরে বেড়ালেও তা শেষ করতে পারবো না।
জাতীয় পর্যটন দিবসের উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বের কাছে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলি কে তুলে ধরা। শুধু তাই নয়, আমাদের দেশের এমন অনেক স্থান আছে, যা শুধু পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটলে দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি সেই অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের মানুষের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানও ঘটবে।
পর্যটনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ভারতে গঠন করা হয়েছে 'পর্যটন ট্রাফিক কমিটি'। কমিটি গঠন হওয়ার তিন বছরের মধ্যে চেন্নাই ও কলকাতাতে তৈরি করা হয় আঞ্চলিক কার্যালয়। এরপর পর্যটন এবং যোগাযোগ মন্ত্রীর নেতৃত্বে পালিত হয়, 'পর্যটন দিবস'। ভারত স্বাধীন হওয়ার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৪৮ সাল থেকে 'জাতীয় পর্যটন দিবস' পালন করা শুরু হয়। ভারতের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে পর্যটনের গুরুত্ব বোঝানোর জন্যই পালন করা হয় এই দিনটি। 'পর্যটন দিবস'এই দিনটির গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী, কারণ সাধারণ মানুষ পর্যটনকে এখন অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে।
প্রত্যেক দিবসের ভিন্ন, ভিন্ন থিম থাকে। গত বছরের পর্যটন দিবসের থিম ছিল 'সাসটেনেবল জার্নি, টাইমলেস মেমোরিজ' অর্থাৎ পর্যটকেরা ভ্রমণের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করবেন।
🍂
0 Comments