রোশেনারা খান
পর্ব ১০৬
এ জীবনে দায়িত্ব কর্তব্য আমার শেষ হবে না। যদিও আমি একা। তবুও নিজের মত করে বাঁচার উপায় নেই। অবশ্য এই জীবনটাই তো উৎসর্গীকৃত অপরের জন্য। যাইহোক, ‘সারদা কল্যাণ ভাণ্ডার’ থেকে আজ রেখাদি ফোন করে বললেন। ‘রোশেনারা, ১৯ জুন স্টুডেন্টদের জন্য তোমাকে ৪৫ মিনিটের একটা বক্তব্য রাখতে হবে’। আমি তো সংস্থার জন্য কিছুই করতে পারি না। এটুকু না করলে নিজেকে অপরাধী মনে হবে। এদিকে মৃত্যুঞ্জয় সোমবার ফেসবুক লাইভে একটি সাখ্যাৎকার নেবে বলে রেখেছে।
সৌনক এইমাত্র ফোন করেছিল, আমিই ওকে ফোন করব ভাবছিলাম। ভালই হল, ওকে আমার ওষুধটা এনে দেওয়ার জন্য বললাম। ও সন্ধ্যাবেলা আসবে বলেছিল, কিন্তু বিকেল থেকে যা বৃষ্টি শুরু হল, তা আর থামার নাম নেই। বাধ্য হয়ে ওকে আসতে না করলাম। ও কাল সকাল ১০ টাতে আসবে বলেছে।
বাবলি আজ ফোন করে জানাল, ওরা সরাসরি আসিত দাসকে টাকা পাঠাতে পারছে না। তাই আমাকে পাঠাচ্ছে। বাবলির টাকা আমার একাউন্টে ঢুকলে আমি মনিকে চেক দিয়ে দেব। ও টাকাটা অসিত দাসকে পাঠিয়ে দেবে। এই ১,২০,০০০/ টাকা আমার টিকিটের জন্য।
আজ রবিবার, ১৯ জুন। সারদা কল্যাণ ভাণ্ডার গেছলাম বক্তব্য রাখতে। ছাত্রীদের ভাল লেগেছে বলল। আমার মনে হয় এটাই আমি পারি। অনেক মেয়েই এসে প্রণাম করে বলল, ম্যাডাম আবার আসবেন। ভাবছি কাল একবার পেনশন অফিসে যাব। ব্যাঙ্কেও একবার যেতে হবে। আজ বিকেলে চন্দ্রিমা এসেছিল, ওর আরও তিনটে দাঁত তোলা হয়েছে। মোট ১৫ টা দাঁত তোলা হল।
বিপ্লবদার (মাজি) "ভার্চুয়াল প্রেমের কবিতা" বইটির মোড়ক উন্মোচন করলাম।
বুধবার আজহার সাহেবের মৃত্যুবার্ষিকীতে গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ’ একটি শরণসভার আয়োজন করেছে গণপতি ভবনে। একবার যেতেই হবে।এই কাজের মাঝেই রানীকে গোয়ালা পাড়ার হেলথ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে কার্ড করিয়ে নিয়ে এলাম। এসব কাজগুলো ওর শাশুড়ির করা উচিত। কিন্তু যতটা দায় এড়ানো যায়। কিন্তু আমি তো তা পারি না। হাজার ব্যস্ততার মাঝেও আমাকে এসব দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে।
আজ ২২ জুন আজহার সাহেবের শরণ সভায় গেছলাম। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে পিছনের দিকে বসেছিলাম। তবে সবাই সবাইকে দেখতে পাচ্ছিলেন। লোক সেরকম আসেনি। দীপক সরকারের বক্তব্যের পর লায়েক আলি খান বলতে উঠলেন। আমি সেই সময় বেরিয়ে পড়ি। আমাকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল, কিছু বলে যাওয়ার জন্যও বলছিল। কিন্তু আমার সময় ছিল না। লায়েক আলি খান অনেক সময় নেবেন জানি। তাই অপেক্ষা করা সম্ভব ছিল না।
আজ অনেকগুলো কাজ নিয়ে বেরিয়ে ছিলাম। চন্দ্রিমা সঙ্গে ছিল।প্রথমেই পেনশন অফিস গেলাম। অফিসার সব শুনে আমাকে চন্দন ঘোষের কাছ থেকে আর একবার লাইফ সারটিফিকেট এবং সমস্ত প্রমাণপত্র নিয়ে আসতে বললেন।আরও বললেন, ‘আগে টাকাটা রেগুলার আসা শুরু হোক, তারপর জন্ম তারিখ সংশোধন করা হবে’। চন্দন ঘোষকে ফোন করে জানলাম, আজই ওনার মা মারা গেছেন, আমাকে সোমবার যেতে বললেন। আজ শুক্রবার, এমনিতেও সোমবারের আগে কাজ হবে না। তাই বাকি কাজ সেরে বাড়ি ফিরলাম।
আজ ফয়জলের স্কুলে যাওয়ার আছে। রেডি হয়ে নন্দিনীর সঙ্গে অনলাইনে মিটিং এ বসলাম। চন্দ্রিমা টোটো নিয়ে এলে মিটিং ছেড়ে উঠতে হল। নন্দিনীর সঙ্গে এই রকমই কথা হয়েছিল। ফয়জলের স্কুল পাথরঘাটাতে। ওখান থেকে ফিরতে বিকেল ৩ টে বেজে গেল। সন্ধ্যায় আছে ‘অস্তিত্বের খোঁজ’ পত্রিকা প্রকাশ সংক্রান্ত আর একটি মিটিং। সেখানে যেতেই হবে।
আজ সকালে লিখতে বসেছিলাম। তারপর শনিবারের অসমাপ্ত কাজ নিয়ে বেরিয়ে ছিলাম। প্রথমে মীর বাজারে গিয়ে লাইফ সার্টিফিকেট নিয়ে কেরানিতলায় পেনশন অফিসে জমা দিলাম ।PNB র কাজটা আজও হলনা। বাইরের এইসব কাজ করতে সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। বাবলিরা আসার ও আমি যাওয়ার আগে কিছু কাজ সেরে নিতে হবে। ‘সাহিত্য সমাজ’ পত্রিকার লেখাটা আর আত্মকাহিনীর বেশকিছু পর্ব শেষ করে জমা দিয়ে যাব ভেবেছি। আজ উরবি প্রকাশনা থেকে শোভন চক্রবর্তী ফোন করেছিলেন, আমার বই করতে চান। এছাড়াও ‘একালের রক্তকরবী’র পুজো সংখ্যার জন্য প্রবন্ধ চাইছিলেন। আমি আমার অবস্থাটা বুঝিয়ে বললাম, ইংল্যান্ড যাওয়ার আগে এখন নতুন কোনও কিছু লেখা সম্ভব নয়।
🍂
আরও পড়ুন 👇
সকাল থেকেই আজ ব্যস্ত ছিলাম, সকালে রানীকে নিয়ে স্পন্দনে গেছলাম আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে। ওখানেই কমলেশের ফোন পেলাম, বিপ্লব্দার (মাজি) একটি কবিতার বইয়ের মলাট উন্মোচন হবে। আমাকে যেতেই হবে। স্পন্দনে আমি সময়মত পৌঁছালেও রানী শাহবাজ আসতে অনেক দেরি করে। আসলে ওদের সকাল হয় ৯ টার পর। এখানকার একজন পরিচিত স্টাফকে বলে একটু তাড়াতাড়ি করার ব্যবস্থ্যা করি।
আজ রথ, মাঝে মাঝে বৃষ্টি পড়ছে। এর মধ্যেই কমলেশের বাড়ি গেলাম। আমার হাত দিয়েই বইটির মলাট উন্মোচন হল, বইটি থেকে একটি কবিতাও পাঠ করলাম। বাড়ি ফেরার সময় বেশ ঝামেলায় পড়েছিলাম। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। কেরানিতলা থেকে রথ চলেছে ক্ষুদিরাম স্ট্যাচুর দিকে। রাস্তায় খুব ভিড়, তার ওপর এখন আবার নতুন রেওয়াজ হয়েছে রথযাত্রীদের সরবত খাওয়ানো। কিছুটা অন্তর রাস্তার ধারে ট্রেতে সরবত নিয়ে কেউ না কেউ দাঁড়িয়ে আছে। এতদিন এই রেওয়াজ দেখতাম মহরমের সময়। নকল যোদ্ধাদের জন্য বিভিন্ন বাড়ি থেকে দুধের মধ্যে পেস্তা, বাদাম, এলাচ দিয়ে শরবত বানিয়ে দেওয়া হয়। যাইহোক, শরবতের জন্য ভিড়টা বেশি মনে হচ্ছে। টোটো চলাচল কম। ভিড় ঠেলে অনেকটা হেঁটে তারপর টোটো পেলাম।
বজ্রপাতের ফলে Wi Fi কানেকশন অফ হয়ে গেছে। সকাল থেকে চেষ্টা করেও ওরা ঠিক করতে পারেনি। এদিকে আমার সময় নষ্ট হচ্ছে। ২৫ জুলাইয়ের মধ্যেই আমাকে অন্তত ৮ টা পর্ব লিখে জ্বলদর্চিতে জমা দিয়ে যেতে হবে। আজ থেকে বর্ষা শুরু হয়েছে, অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ছে। আমার অনেক কাজ বাকি আছে।ব্যাঙ্কে যেতে হবে। তিনমাসের ওষুধ একটা দোকানে দেবে না।বিভিন্ন দোকান থেকে সংগ্রহ করতে হবে। আর একটা চশমা বানাতে দিতে হবে।
আজ Wi Fi কানেকশন চালু হয়েছে। অনেক্ কিছু বদলাতে হয়েছে। কত টাকা বিল করবে জানি না। এ সপ্তাহেই মেজ নন্দাইয়ের বড় কাজ আছে, ওখনেও ভালই খরচ হবে। ঘরের কত জিনিস যে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে, সারানো যাবে, না কিনতে হব, জানিনা। ১২ জুলাই ফেসবুক লাইভ এ একটা প্রোগ্রাম আছে। ১৭ জুলাই ‘অস্তিত্বের খোঁজে’ পত্রিকা প্রকাশের একটি অনুষ্ঠান আছ্রে।
আমার ইংল্যান্ড যাওয়ার টিকিত হয়ে গেছে, ভিসা এখনও আসেনি। সময় মত না এলে যাওয়া ক্যানস্যাল করতে হবে। কেমন একটা দোটানায় পড়েছি। খুব যে যাওয়ার জন্য মন ছটফট করছে, তাও নয়। আমার জীবনের সব কথা লিখে উঠতে পারছি না। আসলে আমি জীবনের ছন্দটাই হারিয়ে ফেলেছি।
আমাকেই রানীকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হল। রিপোর্ট ঠিক আছে। আজ ব্যাঙ্কে গিয়ে সব কাজ করে এসেছি, ওষুধও কিনেছি। আগামিকাল নন্দাইয়ের বড় কাজে যেতে হবে, তার জন্য কিছু কেনাকাটা করতে হল। টোটো বলে রাখলাম।
এত খুচরো কাজ রয়েছে যে বলার নয়। সবটা আমাকেই যে করতে হয়। মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে। কিছু মনে থাকছে না। সামনের রবিবার ইদ্দুজোহা। মনি বার বার ছবিকে যেতে বলছে। ওরও যাওয়ার ইচ্ছে, আমি আটকাব কি করে? আমার জীবনে উৎসবের আনন্দ না থাকতে পারে, ওরা কেন আনন্দ করবে না? আমি এখন পত্রিকা প্রকাশের কথা ভাবছি, গেস্টকার্ড দেওয়ার দায়িত্ব আমার। DLO সহিদুল্লাহকে আগামিকালই দিয়ে আসতে হবে, কারণ উনি বাড়ি চলে যাবেন। ওনাকে ফোন করতে বললেন, Whats App করে দিতে। যাক, ভালই হল, কাল শুধু বরুণকে দিয়ে এলেই হবে।
তথ্য সংস্কৃতি দফরের আধিকারিক বরুণকে ফোন করে ওর অফিসে গেলাম। অনন্যা মজুমদার চলে যাওয়ার পর এই প্রথমবার এই অফিসে আসা। অনেকদিন ধরেই বরুন আসার কথা বলছিল। কিন্তু কাজ ছাড়া অযথা কোনও অফিসে বা অন্য কোনও কাজের জায়গায় যাওয়া আমি উচিৎ মনে করি না। ছেলেটি বেশ সহজ সরল। অনেক গল্প হল। আসার সময় বলল, ‘কোনও প্রয়োজন হলে বলবেন, এই ভাই আপনার পাশে আছে। আমি একদিন সময় করে আপনার বাড়ি যাব’।
আজ ইদুজ্জোহা, বাড়িতে আমি একা। শুধু ভাত করেছি, চন্দ্রিমা তরকারি পাঠাবে। একটুখানি পায়েস করে রেখেছি, রানী শাহবাজের জন্য। কেন যে এই দিনগুলো আসে আমাকে কষ্ট দিতে। ছবি বুকে নিয়ে কিছুক্ষণ কাঁদলাম। পাশের বাড়ি থেকে অনেক খাবার দিয়ে গেছে।
কাশেম আর আমার নামে একটা জমি কেনা ছিল ।খান সাহেব যখন ছিলেন সেই সময় থেকেই জমিটা বিক্রির কথা বলা হচ্ছিল। কাশেমও মারা গেলেন। ওঁর দুই ছেলের মধ্যে ছোটোটি বৈষয়িক। ওকেই বলেছিলাম আমার অর্ধেক অংশ কিনে নিতে।যা দাম বলেছে তাতেই রাজি হয়েছি। আমার একাউন্টে টাকা জমাও পড়েছে, কাগজপত্র রেডি হলেই যেদিন বলবে সেই দিনই কোর্টে গিয়ে রেজিস্ট্রি করে দেব। টাকাটা তিন ভাগে ফিক্সট করেছি। একটার ইন্টারেস্টের টাকা দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হবে। এরকমটাই ভেবে রেখেছি।
আজ সন্ধ্যায় আমাকে নিয়ে ফেসবুক লাইভ মৃত্যুঞ্জয়ের ‘অপুর আড্ডা’ শুরু হল ৭ টা ৩০শে।শেষ হল রাত ৯ টায়। আমার বক্তব্যকে সমর্থন করে অনেকেই শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা, প্রণাম জানিয়েছেন। অনুষ্ঠান চলা কালে কমেন্ট, লাইক দিয়েছেন অনেকে। ভালই ভিউ হচ্ছে।
আজ ছবি নেই, বারবার দরজা খোলার জন্য সিঁড়ি ভেঙ্গে নামা ওঠা করতে হচ্ছে। ডেক্সটপের মাউস কাজ করছিল না। আফসার এসে পালটে দিয়ে গেল। এসি ঠাণ্ডা হচ্ছিল না, মেকানিককে ফোন করতে, এসে ঠিক করে দিয়ে গেল। চলে যাওয়ার পর হাতের টাকা হিসেব করে দেখি,ও আমাকে ১০০/টাকা বেশি ফেরত দিয়ে গেছে। ওকে ফোন করে ডাকলাম, টাকা নিতে এসে বলল, আমার জন্য আপনাকে কষ্ট করে নামতে হল।
আজ জমিটা ২ ভাগ্নাকে রেজিস্ট্রি করে দিলাম। একটা ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি পেলাম। ন্যায্য দাম দিলে আরও ৫ লাখ টাকা পেতাম। যাক, কিছু তো আদায় হল। বেঁচে থাকার জন্য টাকার প্রয়োজন ঠিকই, কিন্তু টাকাই তো সব নয়। টাকা কি পারবে আমার আগের জীবন ফিরিয়ে পারবে যাদের আমি স্বপ্নে দেখি তাদের বাস্তবে ফিরিয়ে দিতে? তবুও বেঁচে থাকার জন্য টাকা যে কতটা অপরিহার্য তা করোনা কালে দেখেছি। মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে, তবুও পারেনি প্রিয়জনের প্রাণ বাঁচাতে।
গতকাল রাতে অতিরিক্ত গরমের জন্য চুল ভিজিয়ে স্নান করে ছিলাম। হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নিয়েছিলাম। তবুও রাতে জ্বর এসে গেছে। সকালেও জ্বর, সেই সঙ্গে গলা খুস খুস শুরু হয়েছে। এ তো সহজে সারবে বলে মনে হয় না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বরও বাড়ছে, সেই সঙ্গে গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা আর কাশি। গতবছর এই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। এবারও কি করোনা হল? আগামিকালের অনুষ্ঠানে যেতে পারব না মনে হচ্ছে।
এখনো আমার ভিসা আসেনি। তাই একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, আমার মনে হচ্ছে UK যাওয়া হবে না। তা দেখে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের V C ফোন করে জানতে চান আমি কি সত্যিই যাচ্ছি না? আমি যেন ২/৩ দিনের মধ্যে ওনাকে কনফার্ম করি। কিছু বুঝলাম না। যাইহোক, আমি না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। ওনাকে সেটা জানিয়েও দিলাম। অনুষ্ঠানে যাব না বলাতে ওরা শুনল না। গাড়ি পাঠিয়েছিল। আমাকে অনুষ্ঠানের সভাপতি করা হয়েছে। আধ ঘণ্টার জন্য হলেও যেতে হবে। ওরা বাড়ি পৌঁছে দিয়ে গেলে। ফোন করে মাসতুতো বোন আজরাকে ডাকলাম। ও তেল গরম করে সারা শরীরে মালিশ করে দিয়ে গেল। একটু আরাম বোধ করলেও জ্বর আছে।
কবিতিকার প্রকাশক কমলেশ নন্দর বাড়িতে আমরা
বিনোদ আজ ফোন করে ১৩ জন প্রাতঃস্মরণীয় মহিলার জীবন যুদ্ধের কাহিনী নিয়ে ওর লেখা ‘প্রথম আলোর চরণধ্বনি’ বইটির ভূমিকা লিখে দেওয়ার জন্য বলল। কখন লিখব জানি না। বাবলিরা কয়েকদিন পরেই আসবে, শরীর ঠিক যাচ্ছে না। ওষুধ খেয়েই চলেছি। এর মধ্যে আমাদের মহিলাদের (মুসলিম)পত্রিকা কণ্ঠস্বর হাতে পেয়েছি। সৈয়দ তনভির নাসরিন সম্পাদিত এই পত্রিকাটি বছরে একবার ঈদ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়। দুই বাংলার মুসলিম লেখিকারা লিখে থাকেন।
এদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন। ওনার বাড়িতে বান্ধবী অর্পিতার বাড়ির দলিল পাওয়া গেছে। অর্পিতার বাড়িতে ২২ কটি টাকা, বিদেশী মুদ্রা, সোনার গহনা ও ২ টি সেলফোন পাওয়া গেছে। পুলিশ ওকেও গ্রেফতার করেছে। ভেবে পাইনা মানুষে কী জন্য এত টাকা দরকার হয়? আদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তিনি একটাকাও মাইনে নেন না। তাঁর বই সব সময় বেস্ট সেলার হয়, এই বইয়ের রয়ালিটি্র টাকায় তাঁর খরচ চলে। নিন্দুকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, এখন কেন উনি ছবি আকছেন না? তা থেকে তো কোটি কোটি টাকা পেতেন! ছবির বাজার আকেবারে মন্দা হয়ে গেল কী করে? তাঁর বাঁধা খরিদ্দার এখন জেলে আছে বলে?
বিনোদের বইয়ের ভুমিকা প্রায় শেষ করে এনেছি। ভেবেছিলাম বাবলিরা আসার আগে লেখাগুলো রেডি করে নেব, কিন্তু হলনা। একটা পর্ব হারিয়ে গেল কিভাবে, জানি না। তার ওপর এই মাসে ৫ টা শুক্রবার আছে। ভিসা এখনো আসেনি, যেতে পারছি না বলে একটু খারাপ লাগছে। জারার জন্য কষ্ট হচ্ছে, আমি যাচ্ছি না শুনে ওর মন খারাপ। আগস্ট মাসের ছুটিটা ও আমার সঙ্গে কাটাতে চেয়েছিল।
ক্রমশ
0 Comments