কয়েকটি রম্য কবিতা- ২৯/ শুভশ্রী রায়
সহজিয়া মৌ
অতশত পুঁথিপত্র পড়িনি আমি, মাফ করবেন মশাই,
তাহলে তো হয়ে যেত আপনার মতো বেহাল দশাই,
খালি বই পড়ে পড়ে জীবনের সহজ মধু গেছেন ভুলে;
যে কোনো ব্যাপার দেখেন এবং দেখান কেতাব খুলে!
ব্যবহারিক দিনযাপনের অনুপম টক-মিষ্টি সোয়াদ
নেই বইয়ের পাতায়, সেথায় শুধুই জ্ঞানের আবাদ;
জ্ঞান প্রজ্ঞা সমস্ত কী খালি পুঁথিপত্র থেকেই আসে?
জানতে হবে অরূপ যেমন জলে হাওয়ায় সহজ ভাসে।
কত সত্য উঠে আসে গল্পগুজব হাসিখেলা থেকে,
কিছু তার টেনে নিতে হবে বইটই একটু তুলে রেখে,
সমাজকেও চেনা যায় সবার সাথে মেশামিশি করে;
শুকনো জ্ঞান শুধু নয়, চলুন নিত্য দিনের হাত ধরে।
গাঢ় কথাবার্তা
হলুদ পাখিদের গাঢ় কথাবার্তা চলছে সমানে,
আমার জানলার পাশে, এই মায়ামায়া সকালে,
সে কথা কান পেতে শুনতে ফুরসত হ'চ্ছে না;
অথচ কলম, তুমি আমাকে দিয়ে এত বকালে!
কী কারণে অনর্থক বকরবকর, বাক্য বিনিময়,
যখন পৃথিবী নিজের মতন পবিত্র উচ্চারণময়?
তার নিজস্ব ভাষা, নিরন্তর মধুময় আদানপ্রদান
অপার অমৃতবার্তার জন্য নেই কেন ফোঁটা সময়!
সংগ্রহ করতে পারেন 👇
রহস্য
কে জানে কী জানি কতটুকু জানি, শেষ পর্যন্ত কতটুকু যায় জানা!
অসীম জ্ঞান, সৌন্দর্য ও রহস্যে ভরা জগৎকে নিজের মাথায় আনা
সোজা না মোটেই, হয়তো জন্মমৃত্যুর চক্রে হ'বে সহস্রবার আনাগোনা;
তাও কী খোঁজ পাব তার, আলোআঁধারি মিলে যার হাতে সব বোনা?
দিন তাল
দিন হাজির টাটকা অবয়বে,
কিন্তু আমরাও কী তার সঙ্গে
তাল মিলিয়ে নব্য হতে পারব?
নতুনত্ব যে তার সমস্ত অঙ্গে!
পাশাপাশি চলার চেষ্টা তো করি,
দেখা যাক কতক্ষণ থাকে দম,
আমরা সামান্য তা ঠিক জেনেও
নতুন হওয়ার ইচ্ছা নয় তো কম!
🍂
0 Comments