জ্বলদর্চি

ধামাখালি,একটি রিক্ত নদী /শঙ্খজিৎ


ধামাখালি, একটি রিক্ত নদী

শঙ্খজিৎ

আঁখিজল,বিবর্ণ সন্ত্রাস
মুঠো মুঠো মহুয়ায় ঝিম ধরে আসে
ক্লান্তির বিছানা থেকে
মধ্যবিত্ত নিতম্ব জেগে ওঠে—অবোধ সে জিহ্বার খেলা…

পেছনে পিদিম জ্বলে
রাত্রির,সারা রাতের জলসর 
খুলে আসে মাংসের মতো আগুনের দাগ!

কবে সে দূরন্ত বাতাস
আমাকে রেখেছিল পরমযত্নে গুহায়

আমাকে রেখেছে ঢেকে স্তনের গোপন আস্তানায়!


২.
লাশ—
দেখেছি? দেখিনি
চোখ যেন বসে আছে জলজ বুদ্বুদে

অথচ এ বিস্তৃর্ণ মাঠ,
হাতের গভীর থেকে ফসলের নাভি

একটি মাছের জীবনচক্রের গাঢ়ত্বের মতো—

দেখেছি? দেখিনি!

বিদ্যাধরী-বেতনীর সাঁকো
আনাগোনা শেষ হয়,চিতাকার্যের কাঠ নিভে যায়!

৩.
এমনই ফাল্গুনী বিধ্বংস
রঙে রঙে ভেসে যাচ্ছে পতঙ্গের চাহুনি

জ্যোৎস্নার সীমাহীন ধূসররঙের প্রান্তরে
রমণীর খোলা চুল,যুবতীর মতো

গায়ে কী ধুলো লেগে,রাত্রির মন্থন?
পাড়াতুতো ঝোপঝাড়ে কাটা মাংসের রক্তিম…

🍂

৪.
চিনিনা।
উদ্বৃত্ত জীবনে শস্য আর সবুজ
চোখ কি ভুলেই গেছে বিষাদভ্রম খুঁজতে?

অবোধ পাষাণী যেন চরাচরে মৃত
নিংড়ে নিংড়ে ফেলে দিচ্ছে অবান্তর কথা

যত্রতত্র বসে থাকবে,শুদ্ধতম চোখ?

৫.
জন্মের পাশাপাশি শুয়ে আছে মরণের আগুন
যেখানে সেখানে,যততত্র

নিঃস্ব কপোত আমি ; খেয়ে ফেলি পুরোনো এস্রাজ

মাটি আর জোয়ারের মধ্যবর্তী রেখায়
যতদূর হাঁটা সম্ভব। তত অবধি বাঁচা।

একটি বাঘের থাবা—

মৃত্যুদূত বসে আছে বুকের উষ্ণতায়!


Post a Comment

0 Comments