জ্বলদর্চি

বার্লিনের ডায়েরি --১৫ পর্ব চিত্রা ভট্টাচার্য্য

সাংসুসি প্যালেস। পটসডাম

বার্লিনের ডায়েরি --১৫ পর্ব  
চিত্রা ভট্টাচার্য্য 

বিশ্বের যাবতীয় রূপরাশি নিয়ে কাঁচা সোনার বরণ রোদ্দুর  চোখ মেলে তাকনোয় ভোরের আকাশ আলোয় আলোময়।  আবিরে লাল রঙের উত্তরীয়র সাজে তরুণ সূর্য  শীতের শিশিরে মোড়া ঘুমন্ত অলস শহরটিকে সচল করতে  এই সাত সকালেই কলস কলস ভরা ত্তপ্ত তরল সোনায় স্নান করিয়ে দিচ্ছে। তন্দ্রা জড়ানো চোখ মেলে শ্রী কফির মগ হাতে নিয়ে ঘরের বাইরের ছাত খোলা ব্যালকনিতে মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে  থাকে । রাত ভর দেখা গা ছমছম করা বিষণ্ণ কালো স্বপ্ন ঐ আলোতে তখন  কোথায় উধাও হয়ে যাওয়াতে মনে ভয় ভাবনা আশঙ্কা ঠাঁই পায়নি।এখন পটসডামের অন্তহীন প্রাসাদ প্রাঙ্গনে একাকী আপন মনে চলার সময় গত রাতে দেখা অকল্পনীয় সেই বীভৎস স্বপ্নেরা শ্রীময়ীর মস্তিষ্কে নাড়া দিয়ে স্বাভাবিক মন কে উতলা করে তুলছে।  

  শ্রী সব ভুলে হাতের ম্যাপে মন দিয়েছিল , জার্মানির অধুনা রাজধানী বার্লিনের দক্ষিণপশ্চিম প্রান্তের সীমানায় ,হ্যাভেল নদীর তীরে প্রায় ২৫ কিলোমিটার আরো দক্ষিণ পশ্চিমদিক জুড়ে গড়ে উঠেছে এই ঐতিহাসিক পটসডাম প্রাসাদ টি। চারদিকে প্রসারিত বন ভূমি শহরটি কে সবুজাবৃত করে রেখেছে।প্যালেসটির আর্কিটেকচারে এবং  বিস্তৃত উদ্যান সম্পূর্ণ সাজানো রয়েছে ইটালিয়ান কারুকার্য্য শিল্পের অনবদ্য সাজে। সানসৌসি এবং তার অলংকৃত রাজকীয় পার্ক যা ক্যাসকেডিং টেরেস ও  বিভিন্ন খ্যাতিমান রাজারাজরাদের মূর্তিদ্বারা পরিপূর্ণ ভাবে সুসজ্জিত। যদিও মূর্তি গুলো কোনো এক অজ্ঞাত কারণে আপাদমস্তক নীল পলিথিনে কভার করাছিল । ঋষভের ধারণা আগামীতে প্রচন্ড শীতে বরফ পরলে মূর্তি গুলো যাতে  ক্ষতি গ্রস্থ না হয় তাই ঢেকে রাখা হয়েছে। ওরা জাতীয় সম্পদ যাতে কিছুমাত্র নষ্ট না হয় সেদিকে বেশ যত্নবান ও সচেষ্ট থাকে। 
উদ্যানে সরোবর।

 এদিকের উদ্যানে ও বিভিন্ন প্রজাতির ফার্ন সিডার পাইন রেডউডের সাথে অলিভ আর মেপল পাতার গাছ গুলো হাওয়ায় দুলছে। নানা রকম আঙ্গুরের লতা পাতার সম্ভারে এতো বিশাল উদ্যানটি  অপরূপা। দুধেআলতা রঙের চেরী ফুলের গাছ গুলো নিষ্পত্র,ডাল নিয়ে অসহায়ের মত দাঁড়িয়ে আছে শুধুই বসন্ত সমাগমের প্রতীক্ষায়। এখানেও পায়ে পায়ে অজস্র ফাউন্টেন। ছল ছল রবে অক্লান্ত ধারায় বাঁকা ধনুকের   প্রবাহিত বাঁকা ধনুকের মত হ্যাভেলের আয়নার মত নীল জল। গ্রীবা তুলে পাতিহাঁস জলে আল্পনা এঁকে সাঁতার কাটে। মাথার ওপর মেঘ মুক্ত নীলাকাশের সামিয়ানা। পার্ক গুলো তে পান্না সবুজ ঘাসের কার্পেট  এই মাত্র কেউ বিছিয়ে দিয়েছিল। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শ্রীময়ী ডুব দিয়েছে চকলেট কালারের সেই পুরোনো মলাটের ছেঁড়া ডায়েরির পাতায়।  

  অদ্রিজার ল্যাবমেট ওর্লি ফোনে জানায় প্যালেসে বেড়াতে আসছে।  খানিক পরেই  লম্বা লম্বা পা ফেলে জ্যাক কে নিয়ে এগিয়ে এলো।  মিষ্টি হেসে বলে আজ ছুটি এই ইউনিভার্সিটির postdoc  student come guid ,,,, আমার বয়ফ্রেন্ড  জ্যাকের সাথে তোমাদের আলাপ করিয়ে দিচ্ছি।  ঋষভ বলে oh ! yes  sure   no problem at all ,,you are most welcome ... আঠাশ বছরের রোগা লম্বা জ্যাক  বাদামী চোখ, সোনালী চুল ব্রিটিশ ছাত্র গোলাপি ফর্সা টিকোলো নাক। সাড়ে ছয় ফুট মত লম্বা ,জ্যাক রবীন -- ''পটসডাম ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের ছাত্র ,ওর্লি বলে ,অফ ক্লাসের ফাঁকে কিছু পারিশ্রমিকের বিনিময়ে সুবিধামত এই প্যালেস টিতে গাইডের কাজ করে। যদিও বাড়তি রোজগার ওর রাতে ছাত্র পড়িয়ে। অদ্রিজার সাথে ওদের বন্ধুত্ব জমে  ইউরোপীয় ইংলিশ উচ্চারণের ভাষা বুঝতে শ্রী বা ঋষভের একটুও অসুবিধা হয়নি। বরং এই প্যালেসের আদ্যপ্রান্ত অনেক অজানা তথ্য ওর কাছ থেকে সংগ্রহ করে শ্রীময়ী ভীষণ খুশি , হাতের নোটবুক আর পেন্সিল  চলেছিল ঝড়ের গতিতে। 

 ভাবতে ভালো লাগছে একসময় এই বিশাল শহরটি জার্মান ফেডারেল স্টেট ব্রান্ডেনবুর্গ এর রাজধানী ছিল। অনেক বন ,উদ্যান ,প্রমোদ উদ্যান ,হ্রদ নিয়ে গঠিত ও সজ্জিত শান্ত শান্তির নীড় ছায়া ঘন এই বড় শহরটি ক্রমশঃ ইতিহাসের পাতায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে নিয়েছে।  
পটসডাম প্যালেস।

        আজ  রাজপ্রাসাদের কথা লিখতে বসে শ্রী চলেছে অতীতের সিঁড়ি বেয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে চাপা পরে থাকা কোন পাতাল পুরীর পুরোনো গহ্বরে --তৎকালীন পটসডাম প্যালেসে।      জ্যাক বলে , পটসডাম প্রাসাদ নগরীর সর্বত্র ,এমন কি জলস্থল মাটি বায়ু সব যেন রোমহর্ষক কাহিনীতে জর্জরিত। ১৭৫৬ থেকে ১৭৬৩সাল, প্রায় দীর্ঘ সাত বছর --ইউরোপের গ্রেট পাওয়ারার দের মধ্যে সাংঘাতিক অন্তর্যুদ্ধ বাঁধায় জনজীবন ও রাজনীতির আকাশ তমসাবৃত  ছিল। এই আভ্যন্তরীন যুদ্ধে এক পক্ষে ছিল ব্রিটিশ ও (prussian ) প্র্রোসিয়ান সাম্রাজ্য এবং অন্য দিকে রোমান সাম্রাজ্য ,ফ্রান্স ও মোঘল সাম্রাজ্য সহ অন্যান্য দেশ। ক্রমশঃ ভারত আমেরিকা এবং ইউরোপ ও সমভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পরে। সেভেন ইয়ার্স ওয়ার বা তৃতীয় সিসেলিয়ান যুদ্ধ নামে ইতিহাসের পাতায় এই বিধ্বংসী যুদ্ধ স্থান পায়। এবং ইউনস্টোন চার্চিল এই যুদ্ধ কেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছিলেন। অবশেষে এংলো প্রোসিয়ান দল প্রবল পরাক্রমশালী হয়ে এই  অন্তর্ঘাতী যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছিল। 

🍂
  বিশাল প্রাসাদ টির তোরণ দ্বারের সামনে ঋষভ এসে দাঁড়ালে  শ্রীময়ী বলে ,এই যে সুসজ্জিত রাজ প্রাসাদটি  দেখছি , ১৭৬৩ সালে জার্মান রাজা ফ্রেডরিক দা গ্রেট যুদ্ধ জয় উদযাপন বা সেলিব্রেশন করতে বার্লিন থেকে একটু বাইরে পটসডামে এসে নিউ প্যালেস নামে এই  প্রাসাদ নির্মান শুরু করেছিলেন। বিলাস বহুল রাজকীয় মর্যাদায় অবকাশ যাপন করতে নব নির্মিত এই প্রাসাদ কে উৎসর্গ করলেন এংলো (prussian )প্রোসিয়ান বিজয়ের স্মৃতি স্বরূপ। পটসডাম সানসৌসি প্যালেসের দামী উজ্জ্বল পাথরে বাঁধানো অপূর্ব সুন্দর বিশাল টেরেস টির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ওরা ঘুরে বেড়ায়।                                                                                                                                                                   জ্যাক হাত নেড়ে প্রকৃত গাইডের ভূমিকায় বলে , ফ্রেডরিক দা গ্রেট যে প্যালেসটি  নির্মাণ করেছিলেন পরবর্তী কালে ১৮ থেকে ১৯ শতাব্দীর সেই সময়ে প্রোশিয়ান রাজাদের দ্বারা এই বিলাস বহুল পটসডাম প্রাসাদ টি আরো অধিক প্রসারিত এবং বিভিন্ন শিল্পকলার পূর্ন বিকাশ  ঘটিয়ে নানা সৌন্দর্য্যের পরিকল্পনায় আর ও সুন্দর দৃষ্টি নন্দন ভাবে নির্মিত হয়ে উঠেছিল। এই যে শিল্প কলা গুলো দিয়ে প্রাসাদ টি সাজানো হয়েছে দেখছো এ সব শিল্প --অষ্টাদশ শতাব্দীর ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলী বিখ্যাত "রোকোস শিল্প "(পেন্টিং ) ও স্থপতি দিয়ে প্যালেস গুলো অত্যন্ত আভিজাত্য পূর্ণ মনন ও রমন শৈলীর পরিচয় দিয়ে  নিখুঁত শিল্প রুচি বোধে সাজানো হয়েছিল। এবং এই শহর কে সমৃদ্ধ শালী মহিমান্বিত করে এক শক্তিশালী মর্যদায় ভূষিত করেছিল। জ্যাক ওর সঞ্চিত ইতিহাসের যত তথ্য আছে সব নিখুঁত বর্ণনা করে বলে ,অষ্টাদশ  শতাব্দীর প্রথম ভাগে বিশ্বজুড়ে ইউরোপীয় শিল্প শৈলীতে "বারোক" বা রোকোস আন্দোলনের চূড়ান্ত প্রকাশ বা অভিব্যক্তি দেখা গিয়েছিল এবং ইউরোপের প্রায় সব বড় শহর গুলোর সর্বত্র এই স্থাপত্য শিল্পের অসাধারণ প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময় ,এটি অন্যান্য শিল্প কর্ম-- বিশেষত পেইনটিং ভাস্কর্য সাহিত্য সংগীত এবং থিয়েটার কে প্রভাবিত করার জন্য সৃষ্টি হয়েছিল।

 অদ্রিজার মনে পড়ে ইতালীয়ান চিত্রশিল্পী বন্ধু আলেক্সেই বলেছিল -সেই সময়ের শিল্পীরা তরলকার্ভ সাদা এবং পেস্টেল রঙের ব্যাবহার করে গ্লিডিংয়ের সাথে মিলিত প্রভাবে রঙ তুলির টানের নতুনধারায় অপূর্ব এই স্থাপত্য শিল্পকর্ম দিয়ে রাজপ্রাসাদ ও চার্চ গুলোকে এক অভিনবত্বে ভরে তুলেছিল। এবং পটসডাম প্যালেস কে তারা অনবদ্য রূপ দিয়েছিল যা আজো ভ্রমণার্থীদের অসাধারণ কৌতূহলের উদ্রেক করে এবং বিশেষ নান্দনিকতার ও দাবী রাখে। প্রসিও (-prussio)  রাজারা তাদের প্রাসাদ ও উদ্যান সহ রাজকীয় ছাপ রেখে যাওয়া স্থান গুলো প্রায় বেশীরভাগ অংশ  ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অধীনে বিশেষ তত্বাধানে  রয়েছে। 

 বুঝলে , ফরাসি ভাষায় সানসৌসি মানে হচ্ছে উদ্বেগহীন এক শান্তির সময় কাটানো।  পটসডামের শহরের সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত রাজপ্রাসাদ হলো সানসোসি (sanssouci ) প্যালেস টি।   সম্রাট ফ্রেডরিক গ্রেটের নির্মিত রোকোকো প্রাসাদ সানসোসি দেখতে ভ্রমণার্থী দের সবসময় বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়।  কিন্তু আজ সুন্দর বেড়ানোর দিন হলে কি হবে দর্শনার্থীর তেমন ভীড় নেই। জ্যাকের গল্প শোনার একনিষ্ঠ শ্রোতা আমরা মাত্র চারজন। ১৭৭৪ সালে রোকোকো শিল্পের শৈল্পিক সৌন্দর্যে নির্মিত এই প্রাসাদ গুলো রাজ পরিবারের অবকাশ যাপনের আদর্শ স্থান হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। সম্রাট ফ্রেডরিক দি গ্রেট বার্লিনে জীবনের রাজনৈতিক বিবিধ ঝড়ঝঞ্ঝা একঘেয়েমী ও বৈচিত্রহীন জীবনে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। তাই সেখান থেকে ছুটি নিয়ে পটসডামের গ্রীষ্ম কালীন প্রাসাদে উদ্বেগহীন আনন্দ ফুর্তিতে বিলাসীতায় ভরা শৌখিন জীবনকাটাতে চলে আসেন।  

এই যে প্রশস্ত বিশাল উদ্যানটি দেখছো ,এই জায়গাটি   প্রায় ৭০০একর জায়গা জুড়ে । একটি টেরাসে দ্রাক্ষা ক্ষেত্রের উপর অবস্থান করে রাজপ্রাসাদের উদ্যান গুলো সুসজ্জিত রয়েছে।  রাজা ফ্রেডরিকের বিশাল এই আঙ্গুর ক্ষেত যার সৌন্দর্য্য বাড়িয়েছে সানসৌসি প্রাসাদটি । এবং এই উদ্যানের শোভা সৌন্দর্য প্রচলিত বাগান গুলোর থেকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী এক সৃষ্টি।  বাগানের মাপজোক ,পথের অবস্থান গাছের কাটিং এবং পছন্দের গাছপালার নির্বাচণ ,ফল ফুলের গাছের বিচিত্র সমারোহ এমন কি ঝোপ ঝাড় থেকে শ্যামল সবুজ তৃণভূমি , ইটালিয়ান ঐতিহ্যে সাজিয়ে তোলা উদ্যান সরোবর স্নানাগার এবং অসংখ্য কৃত্রিম ফাউন্টেন দিয়ে সাজানো পটসডাম প্যালেস ও শহরটি । অপূর্ব রোকোস শিল্প শৈলী পেইন্টিং দেখে ওরা মুগ্ধ হয়েছিলো ।প্রাচীন কালের সেই সময়ের সূক্ষ্ণশিল্প রুচির পরিচয় পেয়ে দেখা যেন শেষ হয় না। যেন কোনো এক চিত্র শিল্পীর নিপুন হাতে আঁকা অন্তহীন সৌন্দর্যে ভরা স্বপ্ননীল ছবির জগতের মধ্য দিয়ে ওরা সবাই হেঁটে চলেছিল।   
পটসডাম শহরের পথে।

জ্যাক ও ওর্লিকে অনুসরণ করে  সেস্যারিয়ানহোফে প্যালেস  ( ceszarieenhof ) পৌঁছে  মনোমুগ্ধ কর এক বিশাল গোলাপ বাগিচা দেখে শ্রী অদ্রিজা ওর্লি আনন্দে আত্মহারা।  সিজিনে  প্রায়  ৮০ প্রজাতির বিভিন্ন রঙের গোলাপ ফুল ফোঁটে এই বাগানে।  সেখানে অল্প কিছু ফুল ফুঁটে আছে দেখে খুব মন খারাপ হলো।কর্কশ শীতের আঘাতে বাগান নিঃস্ব প্রায় ফুল ঝরে গিয়েছে ।  রাজপ্রাসাদে আকর্ষণীয় এক অতি সৌন্দর্য্যে ভরা রোমান স্নানাগারের কাছে পৌঁছলে শ্বেতশুভ্র পাথরের মূর্তি ,মর্মর পাথরের বাঁধানো সোপান ,  কাকচক্ষু নীল জলের শান্ত গভীর সরোবরে রাজা রানীর প্রমোদ লীলায় মুখরিত বন প্রান্তর শ্ৰীময়ীর মানস চক্ষে কল্পনায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠলো। এক অসামান্য শিল্পী  মনের মাধুরী  মিশিয়ে  নিপুন হাতে সাজিয়ে তোলা প্রাসাদ টি অনুপম এক কালের সাক্ষী হয়ে বিরাজমান। প্রাসাদময়  অনেকটা ঘুরে এবার ওরা ভারী ক্লান্ত। তীব্র শীতল হাওয়া বড্ড পাগল করছে , প্যালেস চত্বরে একটু ঘেরা জায়গা দেখে ক্ষণিকের বিশ্রাম নিতে ওরা বসে পড়লো ।                                           ক্রমশঃ

সংগ্রহ করতে পারেন 👇

Post a Comment

0 Comments