জ্বলদর্চি

কয়েকটি রম্য কবিতা-২৮/ শুভশ্রী রায়

কয়েকটি রম্য কবিতা-২৮
শুভশ্রী রায়

গল্প বাড়ি

একটা বাড়ি এক সময় লোকজন থাকত অনেক,
এখন কেউ বিদেশে বা নতুন জন্মে অন্য ভেক,
সেই বাড়িটা নিজেই এখন মস্ত একটা গল্প-বাড়ি
ছড়িয়ে ছিটিয়ে হাজার গাথা ভেতর বাহির তারই-
ঘরগুলো আলো হাওয়া পায় ছ' মাসে একবার,
বাকি সময় তাদের ভেতর হরেক গাথার কারবার,
বাড়ির সর্বত্র কত সুখ, দুঃখ ভালোবাসার স্মৃতি,
মজবুত ইঁটগুলোয় গাঁথা কত মানঅভিমান-প্রীতি।

সব মিলিয়ে দুঃখেই কাটে সেই ভবনের দিনকাল,
লোকজন কম আসে যায়, এমনই তার কপাল!
বাড়ি তো সম্পত্তি আর বাড়ির সম্পদ লোকজন,
তার কাহিনী শোনার দিকেই কারোর নেই মন।


হলুদ ঝুঁটি নেই

কেন যে আমার হলুদ ঝুঁটি কথা-বলা কাকাতুয়া একটাও নেই, কেন?
এমন করে বায়না আমি করছি - চাইলেই সব পাওয়া যায় যেন!
না থাকুক নিজের , তাকে পাওয়ার ইচ্ছেটুকু অন্তত ভেতরে যাক রয়ে,
কাকাতুয়ার আকাশ বড় হো'ক, আমি না হয় থাকব তারই ছড়া হয়ে!

সে পাখি হরেক কথা বলে, কিনেটিনে অনেকেই নিয়ে আসেন বাড়ি,
খাঁচার ভেতর বন্দী করে রেখে বিহগ পোষার শখ যে তাঁদের ভারি!
তবে আমার মনে হয়, পিঞ্জর যতই হোক না বড়, মিলুক নিত্য দানা;
কখনোই আকাশের বিকল্প নয় খাঁচা, মহা ভুল খাঁচায় পাখি আনা।


জ্যোৎস্নার জরি

সোহম ও টুকটুকি আমাদের নিষ্পাপ খোকাখুকি
তুমুল চাঁদের আলোর মধ্যে নিশ্চিত দেখেছিল পরী,
অমলিন সেই পরীর চেহারাখানি আর অপূর্ব হাসি;
দুই শিশু তাদের হৃদয়ে রেখেছে বেঁধে যতন করি।

তাদের ভীষণ ইচ্ছে, এই পরীকে দেখবে আবার,
কিন্তু আমরা কী করব, সে নিজে থেকে না এলে,
টুকটুকি বায়না করে বেশি, চন্দ্রপরীকে তার চাই;
তাই তো জ্যোৎস্নায় পরী খুঁজি সব কাজ ফেলে!


টুকটুকি ও চন্দ্রপরী

চাঁদে কোনো পরীটরী থাকে কিনা,
জ্যোৎস্নায় নেমে নিতে হবে খোঁজ,
আমাদের টুকটুকি যে চায় তাকে;
পরীর মতোই মেয়ের সাজগোজ!

এইবার টুকটুকি চাঁদের পরী চায়,
আগ্রহী তার সাথে মিতালির জন্য,
খুঁজে আনতে হ'বে পরমা চন্দ্রপরী;
পরস্পরকে পেয়ে তারা হ'বে ধন্য।

সংগ্রহ করতে পারেন 👇


Post a Comment

1 Comments

  1. শুভশ্রী রায় একজন অসাধারণ কবি। আমি তার লেখা পড়ে যথাযথ আনন্দ পাই।

    ReplyDelete