জ্বলদর্চি

বার্লিনের ডায়েরি --১৮ পর্ব। চিত্রা ভট্টাচার্য্য

বার্লিনের ডায়েরি --১৮ পর্ব। চিত্রা ভট্টাচার্য্য
 
 এলবে নদীর তীরে ড্রেসড্রেন

ড্রেসড্রেন শহরের পথে

নীলাম্বরী আকাশ থেকে অজস্র মুক্তোরাশি কেমন নিঃশব্দে ছড়িয়ে পড়ছে বিষণ্ণতায় নিমজ্জিত রিক্তধরণীর কঠিন ধূসর বুকে। দুরন্ত গতির ট্রেনের জানলার কাঁচে মুখ রেখে শ্রীময়ী তন্ময় , চোখের পলকে নিমেষে উধাও হয়ে যাচ্ছে বহির্বিশ্বলোক। পরিবেশবিদ ম্যাডাম জেসিকা বলছেন , এই যে মাইলের পর মাইল বনভূমি দেখছো , জার্মানিতে প্রায় এক কোটি কুড়ি লক্ষ্য হেক্টর জায়গা জুড়ে এমনই  সুন্দর বিপুল অরণ্য প্রকৃতি রয়েছে। ঐ যে রুক্ষ তামাটে পাহাড় গুলো ক্রমশ সবুজে ভরে উঠেছে আর ঝমঝম চলার গতিতে দ্রূত পিছনে মিলিয়ে যাচ্ছে ,-- কাছে গেলে দেখতে পাবে সেখানে কনীফারের অবারিত জঙ্গলের সাথে পায়ে পায়ে স্প্রুস ,ফার্ন ,ফাঞ্জাই ,মসের  সুদূর প্রসারী  বিশাল সম্ভার । সবুজের কত রঙ ,কোথাও পান্না সবুজ ,   কোথাও শ্যাওলা সবুজ ,কোথাও  টিয়া রঙ বা  কচি কিশলয়ের মত কত বিচিত্র রূপের প্রকাশ। আবার কোথাও দেখবে ওক ,বীচ ,লার্চ এবং অন্যান্য পর্ণমোচী বৃক্ষর সাথে চিরহরিৎ বৃক্ষরাজিরাও রয়েছে পাশাপাশি। বটলব্রাশ ,হিকড়ি,সিডার মেহগিনি পাইন ইউক্যালিপ্টাস ছাড়া ও রয়েছে বিভিন্ন বিশাল গগণস্পর্শী গাছগাছালি। তুমি ভাবতে পারো ,পরিবেশে সমতা রক্ষার জন্য একসময় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সব রকম গাছ এনে জার্মানির বন সম্পদ বৃদ্ধি করার জন্য এমন গভীর অরণ্যানী দেশটিকে পল্যুশন মুক্ত, সুরক্ষিত এবং অপরূপ সমৃদ্ধশালী করে তুলেছে। শ্রীময়ী মগ্ন  হয়ে শোনে এই অশীতিপর বৃদ্ধার অন্তর দিয়ে স্বদেশ ও প্রকৃতি কে নিবিড় ভাবে অনুভবের ও ভালবাসার গল্প।  গাছগাছালির  ফাঁকে উঁকি দেয়  পাহাড়ের গা বেয়ে খানখান করে গড়িয়ে চলা তরঙ্গায়িত রুপালী তরলধারা। রুদ্ধ আবেগে পাষাণকারা ভেঙে পাহাড়ি ঝর্ণা উচ্ছল আবেগে গড়িয়ে পড়ছে। পাহাড় নদী বন্য প্রকৃতির অপরূপ রূপে মুগ্ধ হয়ে আলোর স্রোতে ভেসে ড্রেসড্রেন  শহরে অবশেষে লোকাল ট্রেনটি পৌঁছলো। ম্যাডাম জেসিকা হাসিমুখে বিদায় নিয়ে Glad to see you বললে ,শ্রী ও প্রতুত্তরে হাতজোর করে বলে  Nice to meet you ..লম্বা পা ফেলে .see again বলে পরিবেশবিদ তার দলের সাথে এগিয়ে যায়। 
ড্রেসড্রেনের লোকালয়

নীলাকাশের তলে সবুজের ছোঁয়ায় নরম আলোয় উদাসী নীলস্বপ্নের এই মায়াবী শহর কে এক নজরে দেখেই অপরিসীম ভালোলাগায় মন ভরে যায়। অদ্রিজা উচ্ছসিত হয়ে বলে ,পূর্ব জার্মানি তে অবস্থিত এই ড্রেসড্রেন স্যাক্সনি স্টেটের রাজধানী, দ্বিতীয় জনবহুল নগরী। এবং জার্মানির অন্যতম সুন্দর একটি ট্যুরিস্টস্পট। অঢেল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এক আদর্শ শহরের দরজায় অতিথি হয়ে কড়া নাড়তে এসেছি।  

ওর দুশ্চিন্তা গ্রস্থ মুখে এক ঝলক  ভূবন ভোলানো হাসি। কানে মুঠো ফোন চেপে কথা বলে। এতক্ষণ মল্লিকার ফোন না পেয়ে যথেষ্ট  চিন্তিত ছিল। এবার স্বস্তি বলে ,মলি এক্ষুণি আসছে। পাহাড়ি শহর পিরানের আস্থানা থেকে সময়ে রওনা দিলেও রাস্তায় অন্য একটি গাড়ি এক্সিডেন্টে করায়  যানজটে ফেঁসে গিয়েছে। ড্রেসড্রেনের " হপ্টবানহফ " প্রধান রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন কাছেই যে পার্ক আছে সেখানে অবশ্যই যেন কুড়ি মিনিট মত অপেক্ষা করি। দেরী হওয়ার জন্য ও বারবার ক্ষমা প্রার্থী । এ প্রান্ত থেকে অদ্রিজা ওকে আস্বস্থ করে বলে তুমি সময় নিয়েই এসো আমরা লাঞ্চ সেরে নিচ্ছি।   

🍂

ড্রেসড্রেন ইউনিভার্সিটিতে আপ্লয়েড  ফিজিক্সের ডিপার্টমেন্টে গত ছয়  বছর ধরে মল্লিকার কর্ম জীবন -শুরু হয়েছিল। প্রথমে পোস্টডকে তিন বছর কাটিয়ে সেই সঙ্গে জার্মান ও ল্যাটিন ভাষা শিখে নেওয়ায়   ইউনিভার্সিটিতে চাকরী পেতে অসুবিধা হয়নি ।  এবং  তিন বছরে সে এখানের বেশ ব্যস্ত এক জনপ্রিয় অধ্যাপিকা--Indian young scientist . অদ্রিজাকে ও গত তিন বছর ধরে ম্যাক্সপ্ল্যাঙ্ক ইউনিভার্সিটি থেকে ড্রেসড্রেনের ফিজিক্সের ডিপার্টমেন্টে কনফারেন্স ,পেপার প্রজেক্টে ,পাব্লিকেশনের ইত্যাদি কাজ নিয়ে যাতায়াতের ফলে মলির সাথে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব জমে ওঠে। আত্মীয় পরিজন হীন বিদেশ বিভুঁইয়ে মনের দিক থেকে দুজনেই দুজনের বেশ সহায়। অদ্রিজা যেমন ড্রেসড্রেনে এলে মল্লিকার সাথে থেকে যায় তেমনি প্রয়োজন মত মল্লিকা ও ম্যাক্সপ্ল্যাংকে গেলে বার্লিনে অদ্রিজার কাছেই থেকে যায় ।                                             

  কনকনে শীতের হাওয়া পাগলা করে দিলে ও মাথার ওপর মধ্যাহ্নের দাপুটে সূর্যের কড়া নজরদারি বেশ আরামের। হাওয়ার তালে পর্ণমচির পাতা ঝরার সেই চেনা রিনরিন শব্দে শ্রী কান পাতে। পার্কের ফেন্সিঙের ধারে সারিবদ্ধ চেরী গাছ গুলো নিস্পত্র হয়ে ডালপালা ছড়িয়ে হত দরিদ্রের মত দাঁড়িয়ে আছে। অদ্রিজা ঋষভ কে নিয়ে কাছেই এক আঙুরের ক্ষেতে গিয়েছে। এক স্থানীয় লালচে ফর্সা মাঝারি মাপের স্বাস্থ্য়বান কাউবয়টুপি মাথায় সাহেবটি এগিয়ে এসে ওদের সাথে গল্পে মশগুল হয়। সে আত্মপরিচয়ে  বলে ' দিমিত্রি ফ্রম রাশিয়া '। হ্যান্ডশেকের পর সাহেব জানায় ,আটতিরিশ একর জমি জুড়ে আঙ্গুরের ক্ষেত ও আপেলের ফলের বাগানের মালিক সে , উদয়াস্ত পরিশ্রম করে ফসলের তদারকি করেন এবং ওর বাগানের আঙ্গুর থেকে জার্মানির সব থেকে উৎকৃষ্ট সাদা ওয়াইন তৈরী হওয়ার গল্প শোনায়  । জার্মানিতেই কোথায় কত স্ট্রবেড়ী ,আপেল ,আঙুরের বাগানের  বিবরণ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ওর কোম্পানীর তৈরী ওয়াইন কত এক্সপোর্ট করা হয়।তার হিসাব  শোনাতে ও ভোলেন না ।শ্রী পার্কের বেঞ্চে বসে নোটবুক ও ভ্রমণ গাইডের পাতা ওল্টায়।    

 এবারে  লাঞ্চের সময়  হওয়ায় শ্রী তাড়া লাগালে লাঞ্চ বক্স খুলে লুচি আলু পনির মসলা ও গাঁজরের হালুয়ার সদব্যবহার যখন প্রায় শেষ করে ফেলেছে সেই সময়ে মল্লিকার ফোন ও বেজে ওঠে। ও    ,-জানতে চাইছে কোথায় আছো ? এবং পাঁচ মিনিটের মধ্যেই উজ্জ্বল শ্যামবর্ণা সাড়ে পাঁচ ফুট লম্বা স্লিম ,বাঙালি মেয়েটি  সদ্য কেনা কালো অডি গাড়িটির ব্রেক কষে পার্কের গেটের সামনে নামলো। কালো চুলের লম্বা বিনুনী ,কালো চোখের দৃঢ় ব্যক্তিত্বময়ী বাঙালি মেয়েটি জিন্সের ওপর ব্লেজার টাইপ লালকোট পরা চোখে গোল্ডেন ফ্রেমের ব্রাউন সানগ্লাসে ভারী স্মার্ট বাঙালি মেয়ে  মল্লিকা  কে প্রথম দর্শনেই দেখেই শ্ৰীময়ী মুগ্ধ। আলাপ পরিচয় সারা হলে ড্রেসড্রেন যাত্রা শুরু হলো। মল্লিকা চলেছে অদ্রিজার ইচ্ছানুসারে ওল্ড টাউনের দিকে ইউনিভার্সিটির পথে। মল্লিকার হাতে স্টীয়ারিং , দুই বন্ধুর এত দিন পরে দেখা হওয়ায় রাজ্যের গল্প জমে উঠেছে।  

ঋষভ ভাবছে  এমন গল্পের জোয়ারে ভেসে গেলে আজকের বেড়ানোটা ঠিক হবে তো ?  হয়তো শুধু ইউনিভার্সিটি চত্বরেই ঘুরপাক খেতে হবে। শ্রীর ভাবুক মনে কোনো হেলদোল নেই ও তখন কল্পনার স্বর্গে অন্য সুখের সন্ধানে। কত কালপরে যেন পথ ভুলে এলো অন্য এক নতুন স্বপ্নের দেশে।সোনালী আলোর উন্মুক্ত দুয়ারে যেখানে ইতিহাস আর স্থাপত্যে শিল্পের অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছে।   ড্রেসড্রেন শহরটির অভ্যন্তরে পৌঁছে  স্বচ্ছ জলের ধারায় প্রবাহিত নীল আকাশের ছায়া ভেসে যাওয়া তলোয়ারের মত বাঁকা ,ভরা যৌবনাবতী চঞ্চলা এলবের তীর ধরে গড়ে ওঠা  শহরের দিকে ওরা এগিয়ে চলেছে।     

অতীত ইতিহাসের স্মারক গাঁথার ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এই শান্ত সুন্দর নিরিবিলি সবুজ শহর টি।  নিরন্তর স্রোতের  প্রবাহে ,কাকচোক্ষুর মত স্বচ্ছ জলে পল্যুশন নেই। শ্রী বলে এই নদীটি ই সেই ড্রেসড্রেনের বহুখ্যাত এলবে। মল্লিকা মাথা নাড়ে ,একদম ঠিক। ভৌগোলিক বিবরণ অনুযায়ী মধ্য ইউরোপের প্রধান নদী গুলোর মধ্যে অন্যতমা , একম এবং অদ্বিতীয়ম। এলবে নদীর পাশে হামবুর্গ শহরের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী ড্রেসড্রেন।  শ্রী এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছে দ্বিপ্রহরের রোদের ঝলকে ঝিলিমিলি তার প্রবাহিত ধারার দিকে। ওরা এলবের তীরে বসে পরে ,ঋষভ গুনগুন সুরে গান গেয়ে ওঠে ,  '' কবির তুলিতে আঁকা ,পুণ্য মমতা মাখা আপনার মনে বয়ে যায়।মধুমতী যায় বয়ে যায় । ''ওর ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়া গ্রামের  শাখা নদী টি র সাথে কোথায় যেন অদ্ভুত মিল খুঁজে পায়।  

  নদীর তীর ধরে খুব আস্তে ড্রাইভ করছিল মল্লিকা।  শ্রী বলে ড্রেসড্রেন নগরটি নদী মাতৃক। তোমরা কি  জানো  ? এই এলবের জন্ম চেক রিপাব্লিকের করকোনসে ( krkonose),পর্বত মালায়। এরপরে বোহেমিয়া পেরিয়ে ড্রেসড্রেনের উত্তর পশ্চিম জার্মানী হয়ে কুক্সহাভেন  শহরের  উত্তর সাগরে মিলিত হয়েছে।  বেশীরভাগ পরিশ্রমী মধ্যবিত্ত সরল মানুষের জনবসতী ধীরেধীরে গড়ে উঠেছিল এই নদীর তীরে।  জীবনের ভাঙা গড়ার খেলা কে সাক্ষী রেখে সুখদুঃখের দ্বন্দে প্রতিদিন সহজীয়া ছন্দে জীবন এগিয়ে চলেছিল এই এলবের কিনারায় পাহাড়ের উপত্যকায়।  কিন্তু  ১৯৯০ সালে রাজনৈতিক টালমাটালে পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির পুনর্মিলনের পর থেকে জার্মানি ও ইউরোপের সাংস্কৃতিক , শিক্ষামূলক এবং রাজনৈতিক জীবনে আমূল পরিবর্তন এসেছে। জার্মানীর পীঠস্থান মূলকেন্দ্র ক্রমশ এই  শহরটি হয়ে ওঠায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় রাতারাতি এ জনপদে বিরাট পরিবর্তন এসেছে।  
ঐতিহাসিক শহরের স্থাপত্য।

মল্লিকা বলে আমরা ড্রেসড্রেন  ইউনিভার্সিটির পাশ দিয়ে চলেছি। ও গাড়ির থেকেই দেখায়  বিপুল আয়তনের বিশাল ইউনিভার্সিটি  টিকে। ওরা  কিছুটা সময় সেখানে নেমে সামনের দিকে একটু ঘুরে দেখলো। অদ্রিজা বলে আমি এর আগে যখন এসেছি একটা পুরো দিনে সম্পূর্ণ ঘুরে দেখে ও এই বিপুলায়তন ইনস্টিটিউট টির সব ডিপার্টমেন্ট গুলো দেখা শেষ করতে পারি নি। মল্লিকা জানায়-- ড্রেসড্রেনের এই বিখ্যাত প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় টি কে জার্মানীর ১০টি বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় এক্সসিলেন্স ইনিশিয়েটিভের একটি অংশ। ড্রেসড্রেনের অর্থ নীতি এবং এর সফলতা ও অবস্থান জার্মানির অন্যতম গতিশীল এবং স্যাক্সনি রাজ্যের শীর্ষস্থান দখল করেছে । উচ্চ প্রযুক্তি শাখার অসম্ভব দ্রুত বিস্তার হওয়ায় --তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে একে সিলিকন স্যাক্সনি নামে ও অভিহিত করা হয়েছে ।    

হাতে সময় কম তাই ইচ্ছা থাকলে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টি তে অনেক সময় নিয়ে ঘুরে দেখা সম্ভব হলো না। মল্লিকা বাইরে থেকেই এক একটি জায়গা দেখিয়ে তার বিবরণ দিয়ে চলেছে। রাস্তার দুই দিকে নতুন পুরোনো মেশানো বাড়ি ঘর রেস্তোরাঁ আঁকাবাঁকা পথ ঘুরে  পুরোনো আমলের তৈরী ৪০২মিটার লম্বা এক সেতুর কাছে গাড়ি টি পার্ক করলো। স্টীয়ারিং অফ করে মল্লিকা গাড়ি থেকে নেমে বলে এই শহরের প্রাচীন  একবিখ্যাত সেতুর কাছে আমরা এসেছি। ঐতিহাসিক এই সেতুটি প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের ও বহুকাল প্রায় দুই 'শত বছর আগে তৈরী হয়েছিল।  শ্রী বলে ব্যবসা বাণিজ্য ও দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সেই সময়ের শক্তি শালী সম্রাট অগাস্টাস ১৭২১ সালে ৪০২মিটার লম্বা এই ব্রীজ টি  তৈরী করেছিলেন । তাঁরই নামানুসারে এই ব্রীজ টির নাম অগাষ্টাসব্রূক হয়েছিল।জার্মানি তে ব্রুক কথাটির মানে ব্রীজ। যদিও এই ব্রীজ টি তৈরীর পর বহুবার ভাঙে এবং একে সারানো হয়। বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংস লীলার তান্ডবের পরে বেশ সময় ধরে এর পুনর্নির্মাণ কাজ চলে।                                                 শ্রীময়ী ভাবে আবার এক অতীত ইতিহাসের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে স্বাক্ষী হয়ে রইলো বর্তমান   নব্য সভ্যতার আলোক প্রাপ্ত্য জীবনের সাতকাহন। সেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত নগরীর ভাঙা গড়ার পাঁচালী। -                                                                            ক্রমশঃ

Post a Comment

0 Comments